Ajker Patrika

ইটের সলিং নয়, মহাসড়কে পিচ ঢালাইয়ের দাবি

মো. রবিউল ইসলাম, অভয়নগর
আপডেট : ০২ নভেম্বর ২০২১, ১৪: ২৩
ইটের সলিং  নয়, মহাসড়কে পিচ ঢালাইয়ের দাবি

যশোর-খুলনা মহাসড়কের নওয়াপাড়া থেকে যশোর পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক নির্মাণের এক বছরের মধ্যে উঠে গেছে পিচ। সৃষ্টি হয়েছে খানাখন্দ। এতে মহাসড়কে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা এড়াতে বসানো হচ্ছে ইটের সোলিং। তবে স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, অভয়নগর শিল্প এলাকা হওয়ায় ভারী যানবাহন চলাচল করায় জোড়াতালি দিয়ে লাভ হবে না। পুনরায় পিচ ঢালাই করার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

ব্যবসায়ী জামাল হোসেন বলেন, যশোর-খুলনা মহাসড়ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক। উপজেলার নওয়াপাড়া শিল্প এলাকা হওয়ায় এ সড়কে সারা দেশে সার-কয়লা, পাথরসহ পণ্যবাহী ট্রাক চলাচল করে। ভারী যানবাহন চলাচল করায় জোড়াতালির সংস্কারে দুর্ভোগ কমবে না। বরং দুর্ঘটনা বাড়বে। তাই সড়কটিকে পুনরায় পিচ ঢালাইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। তা না হলে সড়কে চলাচল করা কঠিন হবে।

গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিন দেখা গেছে, যশোর-খুলনা মহাসড়কের ভাঙ্গাগেট নামক স্থানে চলছে সংস্কারকাজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘তমা গ্রুপ’ সংস্কার করে সাময়িকভাবে সড়কে চলাচলের উপযোগী করার চেষ্টা করছে। তা ছাড়া পিচ উঠে সড়কের যে অংশ উঁচুনিচু ঢিবি তৈরি হয়েছে, সেই অংশ কেটে সমান করা হচ্ছে। ফলে বিটুমিন, কেমিক্যালসহ অন্যান্য উপাদান কাটা পড়ছে। শুধু সড়কের ওপরে খোয়া থেকে যাচ্ছে।

তমা গ্রুপের সহকারী প্রকৌশলী হৃদয় খান বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি তেমন কিছু জানি না। তবে সড়কের যে অংশে গর্ত হয়েছে, শুধু সেই অংশটুকু মেরামত করা হচ্ছে।’

ওই সড়কে চলাচলকারী একাধিক যানবাহনের চালক বলছেন, পিচ উঠে যাওয়ায় ৩০ মিনিটের পথ যেতে ৫০ মিনিটের বেশি সময় লাগছে। তা ছাড়া এই ভাঙাচোরা সড়কে প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেক সময় গাড়ি বিকল হয়ে পড়ে থাকছে। মাঝেমধ্যে নামমাত্র সংস্কার করা হচ্ছে। যা সপ্তাহ যেতে না যেতেই আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। তা ছাড়া মহাসড়কের কিছু জায়গা বিশেষ করে বেঙ্গলগেটের রেল ক্রসিং, ভাঙ্গাগেট, বসুন্দিয়া এলাকায় পিচের বদলে ইটের সোলিং দিতে দেখা গেছে।

মহাসড়কে ইটের সোলিংয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সহকারী প্রকৌশলী হৃদয় খান প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সটকে পড়েন।

এ বিষয়ে ভাঙ্গাগেট এলাকার বাসিন্দা আমজেদ শেখ বলেন, ‘যশোর-খুলনা মহাসড়কের নির্মাণকাজ শেষ হতে না হতেই বিভিন্ন জায়গায় বিটুমিন ও খোয়া উঠে গেছে। সড়কের বিভিন্ন জায়গায় উঁচুনিচু ঢিবির সৃষ্টি হয়। আমার জীবনে কখনো দেখিনি মহাসড়কের এত অল্প সময়ে সড়ক বেহাল হয়ে পড়তে। ইটের সোলিং দিতে।’

সড়ক ও জনপদ যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী এস এম মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, ‘জনদুর্ভোগ কমাতে খুব দ্রুত মেরামতের কাজ শেষ করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সড়কের যে অংশে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়েছে সেই অংশ মেরামতের কথা বলা হয়েছে।’

উল্লেখ্য, নওয়াপাড়া-যশোর সড়কের সংস্কার কাজ শেষ হয় ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

শাহজালালে তৃতীয় টার্মিনাল চালুতে বাধা, রাজস্ব ভাগাভাগি নিয়ে টানাপোড়েন

বৈপ্লবিক পরিবর্তন করার সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেছে

ব্যাংকের চাকরি যায় জাল সনদে, একই নথি দিয়ে বাগালেন স্কুল সভাপতির পদ

ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ নিয়ে হাবুডুবু খাচ্ছে এবি ব্যাংক

১ লাখ ৮২২ শিক্ষক নিয়োগ: যোগ্য প্রার্থীদের প্রাথমিক তালিকা চলতি সপ্তাহে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত