ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
ময়মনসিংহে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি কর্মসূচির তৃতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। নির্দিষ্ট স্থানে পণ্য বিক্রি না করা, এক এলাকার ট্রাক অন্য এলাকায় পণ্য বিক্রি করায় নির্দিষ্ট ট্রাকের খোঁজে হয়রান হয়েছেন ক্রেতা।
এ ছাড়া রাস্তা বন্ধ করে টিসিবির ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এসব ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল সকাল ১০টা থেকে তৃতীয় দিনের মতো সিটি করপোরেশনের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৯টি স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে পণ্য নিতে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হরিকিশোর রায় রোডে রাস্তা বন্ধ করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয়দের।
অপরদিকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের টিসিবির একটি ট্রাক ৩ নম্বর ওয়ার্ডে চলে যাওয়ায় উপকারভোগীরা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য ক্রয় করতে না পেরে ভোগান্তির শিকার হন।
হরিকিশোর রায় রোডের বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, রোড বন্ধ করে সকাল থেকে টিসিবির মালামাল বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সরু রাস্তার মধ্যে ট্রাকে করে মাল দেওয়ায় নারী-পুরুষের জটলা বেঁধেছে। কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলেই সুন্দর পরিবেশে তৈরি করতে পারত।
ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘আমরা সব সময় দেখে আসছি বড় রাস্তার ওপর মাল দিতে। আজকে হঠাৎ করে সরু রাস্তার মধ্যে মাল দেওয়ায় আমাদের ট্রাক খুঁজে পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।’
রনি দত্ত নামের একজন উপকারভোগী বলেন, ‘৭ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি স্থানে টিসিবির পণ্য দেওয়ার কথা ছিল। এক হচ্ছে মৃত্যুঞ্জয় স্কুল, হরিকিশোর রায় রোড এবং টাউন হল মোড়। মৃত্যুঞ্জয় স্কুলের সামনে সকাল থেকে ভিড় হওয়ার কারণে সেখান থেকে এসে হরিকিশোর রায় রোড এবং টাউন হল মোড়ে আমি ট্রাক খুঁজে পাইনি। প্রায় এক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর জব্বারের হোটেলের সামনে ট্রাকটি পেয়েছি। ট্রাক খুঁজে পেতে একটু ভোগান্তি হলেও পণ্য হাতে পেয়ে ভালো লাগছে।’
তাসলিমা আক্তার নামে আরেকজন বলেন, ‘ট্রাকের সন্ধানে পুরো টাউন হল ঘুরে পরে মুমিনুন্ন্সি কলেজের সামনে গিয়ে শুনি, ট্রাক জব্বারের হোটেলের সামনে। পরে এখানে এসে পণ্য নিলাম। প্রায় এক শ টাকা রিকশা ভাড়া লেগেছে। পণ্যের উদ্দেশ্যে সকাল আটটার সময় বাসা থেকে বের হয়ে ১২টার দিকে পেয়েছি।’
এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে তাসলিমা বলেন, ‘৭ নম্বর ওয়ার্ডের ট্রাক ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কেন যাবে? আমার কথা হলো দায়িত্বশীলেরা কী করেন?’
সিটি করপোরেশনের অধীনে ইউএনডিপি প্রজেক্টের সভাপতি ও টিসিবি ট্রাকের দায়িত্বরত রীতা রায় বলেন, বড় রাস্তার মধ্যে পণ্য দিলে কার্ড ছাড়া অনেক লোক এসে লাইনে দাঁড়িয়ে সমস্যা করে। তাই আশপাশের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে ট্রাকটি সরু রাস্তায় ঢুকিয়ে পণ্য দেওয়া হয়। তবে মানুষের খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। শুধু রিকশা ঢুকতে পারছে না।
সিটি করপোরেশনের খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুটি ট্রাক নির্দিষ্ট স্থানে না পেয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়ি। পরে দুপুর ১২টার দিকে নির্দিষ্ট স্থানে একটি ট্রাক আনা হয়।’
৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হামিদা পারভীন বলেন, ‘ট্রাক কে কীভাবে কোথায় রাখছে, এসব প্রশ্ন আমাকে করে লাভ নেই। সবকিছু কাউন্সিলর আসিফ হোসেন ডন জানেন।’
সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সেজুতি ধর বলেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ট্রাক নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। পরে সিটি করপোরেশনের লোকজন বিষয়টি সমাধান করে মালামাল দিচ্ছে। তবে হরিকিশোর রায় রোডে কাউন্সিলরের নির্দেশেই নির্দিষ্ট স্থানে পণ্য দেওয়া হচ্ছে।
ময়মনসিংহে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি কর্মসূচির তৃতীয় দিনে গতকাল মঙ্গলবার হয়রানির শিকার হওয়ার অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। নির্দিষ্ট স্থানে পণ্য বিক্রি না করা, এক এলাকার ট্রাক অন্য এলাকায় পণ্য বিক্রি করায় নির্দিষ্ট ট্রাকের খোঁজে হয়রান হয়েছেন ক্রেতা।
এ ছাড়া রাস্তা বন্ধ করে টিসিবির ট্রাক দাঁড় করিয়ে রাখায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। এসব ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগীরা। পাশাপাশি বিষয়টি নিয়ে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছে কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিনে দেখা গেছে, গতকাল সকাল ১০টা থেকে তৃতীয় দিনের মতো সিটি করপোরেশনের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ৯টি স্থানে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু হয়। প্রচণ্ড রোদ উপেক্ষা করে পণ্য নিতে নারী-পুরুষের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। ৭ নম্বর ওয়ার্ডের হরিকিশোর রায় রোডে রাস্তা বন্ধ করে টিসিবির পণ্য বিক্রি করায় ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্থানীয়দের।
অপরদিকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের টিসিবির একটি ট্রাক ৩ নম্বর ওয়ার্ডে চলে যাওয়ায় উপকারভোগীরা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য ক্রয় করতে না পেরে ভোগান্তির শিকার হন।
হরিকিশোর রায় রোডের বাসিন্দা আব্দুল জলিল বলেন, রোড বন্ধ করে সকাল থেকে টিসিবির মালামাল বিক্রি করা হচ্ছে। এতে সাধারণ মানুষের চলাচলে ভোগান্তি সৃষ্টি হয়েছে। সরু রাস্তার মধ্যে ট্রাকে করে মাল দেওয়ায় নারী-পুরুষের জটলা বেঁধেছে। কর্তৃপক্ষ ইচ্ছে করলেই সুন্দর পরিবেশে তৈরি করতে পারত।
ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা আনোয়ারা খাতুন বলেন, ‘আমরা সব সময় দেখে আসছি বড় রাস্তার ওপর মাল দিতে। আজকে হঠাৎ করে সরু রাস্তার মধ্যে মাল দেওয়ায় আমাদের ট্রাক খুঁজে পেতে হয়রানির শিকার হতে হয়েছে।’
রনি দত্ত নামের একজন উপকারভোগী বলেন, ‘৭ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি স্থানে টিসিবির পণ্য দেওয়ার কথা ছিল। এক হচ্ছে মৃত্যুঞ্জয় স্কুল, হরিকিশোর রায় রোড এবং টাউন হল মোড়। মৃত্যুঞ্জয় স্কুলের সামনে সকাল থেকে ভিড় হওয়ার কারণে সেখান থেকে এসে হরিকিশোর রায় রোড এবং টাউন হল মোড়ে আমি ট্রাক খুঁজে পাইনি। প্রায় এক ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর জব্বারের হোটেলের সামনে ট্রাকটি পেয়েছি। ট্রাক খুঁজে পেতে একটু ভোগান্তি হলেও পণ্য হাতে পেয়ে ভালো লাগছে।’
তাসলিমা আক্তার নামে আরেকজন বলেন, ‘ট্রাকের সন্ধানে পুরো টাউন হল ঘুরে পরে মুমিনুন্ন্সি কলেজের সামনে গিয়ে শুনি, ট্রাক জব্বারের হোটেলের সামনে। পরে এখানে এসে পণ্য নিলাম। প্রায় এক শ টাকা রিকশা ভাড়া লেগেছে। পণ্যের উদ্দেশ্যে সকাল আটটার সময় বাসা থেকে বের হয়ে ১২টার দিকে পেয়েছি।’
এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে তাসলিমা বলেন, ‘৭ নম্বর ওয়ার্ডের ট্রাক ৩ নম্বর ওয়ার্ডে কেন যাবে? আমার কথা হলো দায়িত্বশীলেরা কী করেন?’
সিটি করপোরেশনের অধীনে ইউএনডিপি প্রজেক্টের সভাপতি ও টিসিবি ট্রাকের দায়িত্বরত রীতা রায় বলেন, বড় রাস্তার মধ্যে পণ্য দিলে কার্ড ছাড়া অনেক লোক এসে লাইনে দাঁড়িয়ে সমস্যা করে। তাই আশপাশের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে ট্রাকটি সরু রাস্তায় ঢুকিয়ে পণ্য দেওয়া হয়। তবে মানুষের খুব একটা সমস্যা হচ্ছে না। শুধু রিকশা ঢুকতে পারছে না।
সিটি করপোরেশনের খাদ্য ও স্যানিটেশন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘দুটি ট্রাক নির্দিষ্ট স্থানে না পেয়ে কিছুটা সমস্যায় পড়ি। পরে দুপুর ১২টার দিকে নির্দিষ্ট স্থানে একটি ট্রাক আনা হয়।’
৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর হামিদা পারভীন বলেন, ‘ট্রাক কে কীভাবে কোথায় রাখছে, এসব প্রশ্ন আমাকে করে লাভ নেই। সবকিছু কাউন্সিলর আসিফ হোসেন ডন জানেন।’
সিটি করপোরেশনের প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা সেজুতি ধর বলেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের একটি ট্রাক নিয়ে সমস্যা হয়েছিল। পরে সিটি করপোরেশনের লোকজন বিষয়টি সমাধান করে মালামাল দিচ্ছে। তবে হরিকিশোর রায় রোডে কাউন্সিলরের নির্দেশেই নির্দিষ্ট স্থানে পণ্য দেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪