Ajker Patrika

প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ ইউপি চেয়ারম্যানের

প্রতিনিধি (কালীগঞ্জ) সাতক্ষীরা
আপডেট : ১০ অক্টোবর ২০২১, ২০: ১৩
প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ  ইউপি চেয়ারম্যানের

সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের মথুরেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তাঁর বিরুদ্ধে ২০১৬-২০২০ সাল পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের ৯ লাখ ২৭ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাতের প্রমাণ মিলেছে বলে ইউএনওর তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

এর আগে কালীগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাকিম চেয়ারম্যানের দুর্নীতির বিষয়ে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসকের নির্দেশে গত সোমবার বেলা ১২টার সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম সরেজমিনে প্রকল্পের অনিয়ম ও দুর্নীতির তদন্ত করেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান প্রকল্পের কাজ না করে এলজিএসপি, এজিএসপি, টিআর, কাবিখাসহ বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করেছেন।

এর মধ্যে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এলজিএসপি ৩ এর আওতায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মনোরঞ্জন ঘোষের বাড়ি থেকে নীলকমল ঘোষের বাড়ি পর্যন্ত ইটের সলিং রাস্তা নির্মাণে এক লাখ টাকা, একই অর্থবছরে এজিএসপি ৩ কাজের আওতায় ৫ নম্বর ওয়ার্ডের দেওয়া পিচের রাস্তা হতে বজলু সরদারের বাড়ি পর্যন্ত নতুন রাস্তার ১ লাখ টাকা, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে এলজিএসপি-৩ এর আওতায় ৭ নম্বর ওয়ার্ডের উজয়মারি জয়দেবের বাড়ি হতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত রাস্তা সংস্কার ৮৯ হাজার ৮ শ টাকা ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে এলজিএসপি ৩ এর আওতায় জুলু সরদারের বাড়ি হতে কোমলের বাড়ি পর্যন্ত ইটসোলিং নির্মাণ ৪১ হাজার টাকার কাজ না করে আত্মসাৎ করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে।

তবে এ বিষয়ে মথুরেশপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের নিকট সরকারি অর্থ আত্মসাৎ প্রমাণিত হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভিযোগের কোনো সত্যতা পায়নি। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন ইউএনও অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন আমি জানি না আপনারা জানলেন কীভাবে? আমার কাছে ফোন দিয়েছেন কেন? ইউএনও সাহেবকে ফোন দিয়ে যা লেখার লেখেন।’

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার রবিউল ইসলাম জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি বিষয়টি তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন ডিসি স্যার বরাবর দাখিল করেছি।’

এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক হ‌ুমায়ূন কবিরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা তদন্ত প্রতিবেদন পেয়েছি, তদন্ত প্রতিবেদনটি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য পাঠানো হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত