শাপলা খন্দকার, বগুড়া
শুধু শীতকালেই নয়, এখন থেকে সারা বছরই পাওয়া যাবে ধনেপাতা। খুব সহজে ধনে চাষ করে লাভবান হবেন কৃষকও। এমনটাই বলছেন বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকেরা।
তাঁদের সাত বছরের গবেষণায় এসেছে সফলতা। এখন অল্প পরিশ্রমে, সামান্য যত্নেই উৎপাদন হবে খাবারে স্বাদবর্ধক মসলাজাতীয় এই ফসলটি। বাংলাদেশের ধনেপাতার চাহিদার কথা মাথায় রেখে ২০১৪ সালে কাজ শুরু করেন গবেষকেরা। কীভাবে দেশি এবং হাইব্রিডজাতের ধনে সারা বছর উৎপাদন করা সম্ভব, সেটা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তাঁরা। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ বছর তাঁরা শুনিয়েছেন সফলতার কথা।
গবেষকেরা উদ্ভাবন করেছেন বারি ধনে-৩ (প্রস্তাবিত) জাতের ধনেগাছ। এ বছর জুন নাগাদ বীজ প্রত্যয়ন সংস্থার অনুমোদন পেতে যাচ্ছে জাতটি। গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই জাতের ধনে চাষে প্রতি শতকে এক মণ ধনেপাতা সংগ্রহ করা যাবে। ঋতুভেদে এক কেজি ধনেপাতার দাম হবে ২০-২৫০ টাকা পর্যন্ত। এই হিসাবে এক বিঘা জমি থেকে কৃষকের আয় হবে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।
গবেষকদের পরামর্শ, ফলন ভালো পেতে ধনেবীজ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ওই ভেজা ধনে কাপড় দিয়ে চেপে চার দিন রাখতে হবে। এতে ভেজা ধনে একই সঙ্গে কিছুটা তাপও পাবে। এরপর বীজের মুখ সামান্য ফেটে গেলে আগে থেকেই তৈরি করা জমিতে তিন সেন্টিমিটার গভীরে বীজ ছিটিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ৪৫তম দিন থেকে সংগ্রহ করা যাবে ধনেপাতা। টানা ৬০ দিন পর্যন্ত পাতা পাওয়া যাবে। এরপর গাছে ফুল আসতে শুরু করবে। কৃষকেরা এই সময়ে ধনের বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। এরপর এই বীজ থেকে সারা বছরই চাষ করা যাবে ধনে। ধনেরগাছ অধিক তাপ ও জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। তাই বর্ষা মৌসুমে পলিথিনের ছাউনি এবং গ্রীষ্মকালে নেটের শেড দিতে পারলেই গাছ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।
সাধারণত ধনে উৎপাদন করতে প্রতি বিঘায় কৃষকের খরচ হবে ২০-২৫ হাজার টাকা। আর বর্ষাকালে পলিথিনের শেড এবং গ্রীষ্মকালে নেট দিতে গেলে খরচ হবে দ্বিগুণ। সেক্ষেত্রে প্রতি বিঘায় খরচ পড়বে ৪০-৪৫ হাজার টাকা।
শিবগঞ্জ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান সুজা বলেন, ‘দেশে ধনেপাতার ব্যাপক চাহিদা থাকায় আমরা সারা বছর ধনে উৎপাদনের বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করি ২০১৪ সালে। সম্প্রতি গবেষণায় সফল হয়েছি। এখন আর হাইব্রিড জাতের ধনের ওপর নির্ভর করতে হবে না। দেশি জাতের ধনের উৎপাদন করা যাবে সারা বছর। আমরা ধনের একটা জাতও উদ্ভাবন করেছি। চলতি বছরের জুন মাসেই প্রস্তাবিত বারি ধনে-৩ জাতের অনুমোদন পাবে বলে আশা করছি।’
ইতিমধ্যে সারা বছর ধনে চাষের জন্য ভারত, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা হাইব্রিড জাতের বীজ সংগ্রহ করে চাষ করে আসছিলেন বগুড়া, নাটোর, পাবনা, যশোর অঞ্চলের কৃষক।
শিবগঞ্জ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের উদ্ভাবিত দেশি ধনের জাতটি এখন কৃষকদের নতুন আশা দেখাচ্ছে।
বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার ধনেচাষি হাসমত উল্লাহ বলেন, ‘শীতকালের চাইতে অন্যান্য মৌসুমে ধনে চাষ করা বেশি লাভজনক। হাইব্রিড ধনেপাতা খুব বেশি পছন্দ করে না মানুষ। দেশি জাতের চাহিদা ব্যাপক। এই ধনে চাষে আমরা অনেক বেশি লাভবান হব।’
শুধু শীতকালেই নয়, এখন থেকে সারা বছরই পাওয়া যাবে ধনেপাতা। খুব সহজে ধনে চাষ করে লাভবান হবেন কৃষকও। এমনটাই বলছেন বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্রের গবেষকেরা।
তাঁদের সাত বছরের গবেষণায় এসেছে সফলতা। এখন অল্প পরিশ্রমে, সামান্য যত্নেই উৎপাদন হবে খাবারে স্বাদবর্ধক মসলাজাতীয় এই ফসলটি। বাংলাদেশের ধনেপাতার চাহিদার কথা মাথায় রেখে ২০১৪ সালে কাজ শুরু করেন গবেষকেরা। কীভাবে দেশি এবং হাইব্রিডজাতের ধনে সারা বছর উৎপাদন করা সম্ভব, সেটা নিয়ে গবেষণা শুরু করেন তাঁরা। অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে এ বছর তাঁরা শুনিয়েছেন সফলতার কথা।
গবেষকেরা উদ্ভাবন করেছেন বারি ধনে-৩ (প্রস্তাবিত) জাতের ধনেগাছ। এ বছর জুন নাগাদ বীজ প্রত্যয়ন সংস্থার অনুমোদন পেতে যাচ্ছে জাতটি। গবেষকেরা জানিয়েছেন, এই জাতের ধনে চাষে প্রতি শতকে এক মণ ধনেপাতা সংগ্রহ করা যাবে। ঋতুভেদে এক কেজি ধনেপাতার দাম হবে ২০-২৫০ টাকা পর্যন্ত। এই হিসাবে এক বিঘা জমি থেকে কৃষকের আয় হবে দেড় থেকে দুই লাখ টাকা।
গবেষকদের পরামর্শ, ফলন ভালো পেতে ধনেবীজ ২৪ ঘণ্টা পানিতে ভিজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ওই ভেজা ধনে কাপড় দিয়ে চেপে চার দিন রাখতে হবে। এতে ভেজা ধনে একই সঙ্গে কিছুটা তাপও পাবে। এরপর বীজের মুখ সামান্য ফেটে গেলে আগে থেকেই তৈরি করা জমিতে তিন সেন্টিমিটার গভীরে বীজ ছিটিয়ে মাটি দিয়ে ঢেকে দিতে হবে। ৪৫তম দিন থেকে সংগ্রহ করা যাবে ধনেপাতা। টানা ৬০ দিন পর্যন্ত পাতা পাওয়া যাবে। এরপর গাছে ফুল আসতে শুরু করবে। কৃষকেরা এই সময়ে ধনের বীজ সংগ্রহ করতে পারবেন। এরপর এই বীজ থেকে সারা বছরই চাষ করা যাবে ধনে। ধনেরগাছ অধিক তাপ ও জলাবদ্ধতা সহ্য করতে পারে না। তাই বর্ষা মৌসুমে পলিথিনের ছাউনি এবং গ্রীষ্মকালে নেটের শেড দিতে পারলেই গাছ নষ্ট হওয়ার ঝুঁকি থাকবে না।
সাধারণত ধনে উৎপাদন করতে প্রতি বিঘায় কৃষকের খরচ হবে ২০-২৫ হাজার টাকা। আর বর্ষাকালে পলিথিনের শেড এবং গ্রীষ্মকালে নেট দিতে গেলে খরচ হবে দ্বিগুণ। সেক্ষেত্রে প্রতি বিঘায় খরচ পড়বে ৪০-৪৫ হাজার টাকা।
শিবগঞ্জ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের সিনিয়র বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান সুজা বলেন, ‘দেশে ধনেপাতার ব্যাপক চাহিদা থাকায় আমরা সারা বছর ধনে উৎপাদনের বিষয়টি নিয়ে গবেষণা শুরু করি ২০১৪ সালে। সম্প্রতি গবেষণায় সফল হয়েছি। এখন আর হাইব্রিড জাতের ধনের ওপর নির্ভর করতে হবে না। দেশি জাতের ধনের উৎপাদন করা যাবে সারা বছর। আমরা ধনের একটা জাতও উদ্ভাবন করেছি। চলতি বছরের জুন মাসেই প্রস্তাবিত বারি ধনে-৩ জাতের অনুমোদন পাবে বলে আশা করছি।’
ইতিমধ্যে সারা বছর ধনে চাষের জন্য ভারত, ইতালি, অস্ট্রেলিয়া থেকে আসা হাইব্রিড জাতের বীজ সংগ্রহ করে চাষ করে আসছিলেন বগুড়া, নাটোর, পাবনা, যশোর অঞ্চলের কৃষক।
শিবগঞ্জ মসলা গবেষণা কেন্দ্রের উদ্ভাবিত দেশি ধনের জাতটি এখন কৃষকদের নতুন আশা দেখাচ্ছে।
বগুড়ার শাহজাহানপুর উপজেলার ধনেচাষি হাসমত উল্লাহ বলেন, ‘শীতকালের চাইতে অন্যান্য মৌসুমে ধনে চাষ করা বেশি লাভজনক। হাইব্রিড ধনেপাতা খুব বেশি পছন্দ করে না মানুষ। দেশি জাতের চাহিদা ব্যাপক। এই ধনে চাষে আমরা অনেক বেশি লাভবান হব।’
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা এলাকায় যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি বেড়েই চলছে। এ কারণে চালক ও যাত্রীদের কাছে আতঙ্কের নাম হয়ে উঠছে এই সড়ক। ডাকাতির শিকার বেশি হচ্ছেন প্রবাসফেরত লোকজন। ডাকাতেরা অস্ত্র ঠেকিয়ে লুট করে নিচ্ছে সর্বস্ব। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়েও ঘটছে ডাকাতির ঘটনা।
০২ মার্চ ২০২৫বিআরটিসির বাস দিয়ে চালু করা বিশেষায়িত বাস র্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) লেনে অনুমতি না নিয়েই চলছে বেসরকারি কোম্পানির কিছু বাস। ঢুকে পড়ছে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। উল্টো পথে চলছে মোটরসাইকেল। অন্যদিকে বিআরটিসির মাত্র ১০টি বাস চলাচল করায় সোয়া চার হাজার কোটি টাকার এই প্রকল্প থেকে...
১৬ জানুয়ারি ২০২৫গাজীপুর মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পিকনিকে যাচ্ছিলেন শ্রীপুরের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামের সরু সড়কে ঢোকার পর বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে যায় বিআরটিসির একটি দোতলা বাস...
২৪ নভেম্বর ২০২৪ঝড়-জলোচ্ছ্বাস থেকে রক্ষায় সন্দ্বীপের ব্লক বেড়িবাঁধসহ একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬২ কোটি টাকা। এ জন্য টেন্ডারও হয়েছে। প্রায় এক বছর পেরিয়ে গেলেও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ শুরু করছে না। পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) তাগাদায়ও কোনো কাজ হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন...
২০ নভেম্বর ২০২৪