তানজিল হাসান, মুন্সিগঞ্জ
মুন্সিগঞ্জে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উৎপাদনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন কারখানার মালিকেরা। বছরের পর বছর অভিযান চালিয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদন। পুঁজির বিপরীতে কয়েক গুণ লাভ হওয়ার কারণে কোনোভাবেই এ অবৈধ কাজ থেকে সরে আসছেন না তাঁরা।
থানা-পুলিশ, নৌ-পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ডসহ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সব শাখাই এসব অবৈধ কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে কখনো না কখনো অভিযান চালিয়েছে। অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতও। বিগত বছরগুলোতে কোটি কোটি টাকা মূল্যের কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয়েছে। এতেও থামেনি কারখানা মালিকদের অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদন। বরং দিন-দিন তাঁরা আরও বেপরোয়া হয়েছেন। তাঁরা ইদানীং এমনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন যে, অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদন কারখানায় পুলিশের অভিযানের সময় উল্টো পুলিশকে প্রতিহত করতে চাইছেন।
গত ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাতে পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইমরান ও তাঁর ভাই সমরাজের কারখানায় পুলিশ অভিযান চালালে তাঁরা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে সাতজনকে আহত করেন।
জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জে দুই শতাধিক কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে অবৈধ কারেন্ট জাল। সদর উপজেলার মুক্তারপুর, রামপাল, নয়াগাঁও, পঞ্চসার, সিপাহীপাড়া, মালিরপাথর, ফিরিঙ্গীবাজার, ডিঙ্গাভাঙ্গা ও মিরকাদিম এলাকায় বিভিন্ন সুতা ও জাল তৈরির কারখানায় অবৈধ কারেন্ট জাল (মনোফিলামেন্ট সিনথেটিক গিয়ার) উৎপাদন করা হয়। কারেন্ট জাল উৎপাদন করে বাজারজাত করতে পারলেই প্রচুর লাভ। এ কারণেই বন্ধ করা যাচ্ছে না নিষিদ্ধ জাল উৎপাদন।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ ও ধ্বংস করতে পারলেও জাল তৈরির মেশিনগুলো জব্দ করতে পারেন না। কারণ, একই মেশিনে বৈধ জালও (মাল্টি ফিলামেন্ট) উৎপাদন করা হয়। তাই যখন অভিযান চালিয়ে কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হলো, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হয়তো তার পরের দিনই আবার দ্বিগুণ উৎসাহে অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদন শুরু করেন কারখানার মালিক। অনেক কারখানার কর্মচারী বা স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী দুয়েকটি মেশিন কিনে নিজেদের ঘরেই স্থাপন করেছেন ক্ষুদ্র কারখানা।
দুটি মেশিন নিয়ে জাল কারখানা গড়েছেন মো. মাহমুদ (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে কথা বলে লাভ কী? আপনারাতো শুধু আমাদের ক্ষতি করতে চান।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বৈধ জাল (মালটি-ফিলামেন্ট) তৈরি করলে লাভ কম, কিন্তু কারেন্ট জাল তৈরি করলে লাভ বেশি। তাই কারখানার মালিকেরা এত অভিযানের পরও কারেন্ট জাল তৈরি করেন।’
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কারেন্ট জাল উৎপাদনের কারখানার সংখ্যা ১৫৬টি এবং ক্ষুদ্র কারখানাগুলোকে হিসাবে ধরলে প্রায় ২০০ হবে।
আরও জানা গেছে, ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ৯৪ কোটি ৭১ লাখ মিটারের বেশি অবৈধ কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয়েছে। এই জালের বাজারমূল্য ২১৪ কোটি টাকার বেশি।
তবে মুন্সিগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামশুল করিম জানান, অবৈধভাবে উৎপাদিত কারেন্ট জাল ও চায়না জালের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অর্থ) সুমন দেব বলেন, ‘অবৈধ কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদন বন্ধ করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।’
মুন্সিগঞ্জে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল উৎপাদনে বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন কারখানার মালিকেরা। বছরের পর বছর অভিযান চালিয়েও বন্ধ করা যাচ্ছে না অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদন। পুঁজির বিপরীতে কয়েক গুণ লাভ হওয়ার কারণে কোনোভাবেই এ অবৈধ কাজ থেকে সরে আসছেন না তাঁরা।
থানা-পুলিশ, নৌ-পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ডসহ সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সব শাখাই এসব অবৈধ কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে কখনো না কখনো অভিযান চালিয়েছে। অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালতও। বিগত বছরগুলোতে কোটি কোটি টাকা মূল্যের কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয়েছে। এতেও থামেনি কারখানা মালিকদের অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদন। বরং দিন-দিন তাঁরা আরও বেপরোয়া হয়েছেন। তাঁরা ইদানীং এমনি বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন যে, অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদন কারখানায় পুলিশের অভিযানের সময় উল্টো পুলিশকে প্রতিহত করতে চাইছেন।
গত ১৮ এপ্রিল দিবাগত রাতে পঞ্চসার ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইমরান ও তাঁর ভাই সমরাজের কারখানায় পুলিশ অভিযান চালালে তাঁরা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা করে সাতজনকে আহত করেন।
জানা গেছে, মুন্সিগঞ্জে দুই শতাধিক কারখানায় উৎপাদিত হচ্ছে অবৈধ কারেন্ট জাল। সদর উপজেলার মুক্তারপুর, রামপাল, নয়াগাঁও, পঞ্চসার, সিপাহীপাড়া, মালিরপাথর, ফিরিঙ্গীবাজার, ডিঙ্গাভাঙ্গা ও মিরকাদিম এলাকায় বিভিন্ন সুতা ও জাল তৈরির কারখানায় অবৈধ কারেন্ট জাল (মনোফিলামেন্ট সিনথেটিক গিয়ার) উৎপাদন করা হয়। কারেন্ট জাল উৎপাদন করে বাজারজাত করতে পারলেই প্রচুর লাভ। এ কারণেই বন্ধ করা যাচ্ছে না নিষিদ্ধ জাল উৎপাদন।
এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ কারেন্ট জাল জব্দ ও ধ্বংস করতে পারলেও জাল তৈরির মেশিনগুলো জব্দ করতে পারেন না। কারণ, একই মেশিনে বৈধ জালও (মাল্টি ফিলামেন্ট) উৎপাদন করা হয়। তাই যখন অভিযান চালিয়ে কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হলো, ক্ষতি পুষিয়ে নিতে হয়তো তার পরের দিনই আবার দ্বিগুণ উৎসাহে অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদন শুরু করেন কারখানার মালিক। অনেক কারখানার কর্মচারী বা স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী দুয়েকটি মেশিন কিনে নিজেদের ঘরেই স্থাপন করেছেন ক্ষুদ্র কারখানা।
দুটি মেশিন নিয়ে জাল কারখানা গড়েছেন মো. মাহমুদ (ছদ্মনাম)। তিনি বলেন, ‘আপনাদের (সাংবাদিক) সঙ্গে কথা বলে লাভ কী? আপনারাতো শুধু আমাদের ক্ষতি করতে চান।’ এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বৈধ জাল (মালটি-ফিলামেন্ট) তৈরি করলে লাভ কম, কিন্তু কারেন্ট জাল তৈরি করলে লাভ বেশি। তাই কারখানার মালিকেরা এত অভিযানের পরও কারেন্ট জাল তৈরি করেন।’
জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, কারেন্ট জাল উৎপাদনের কারখানার সংখ্যা ১৫৬টি এবং ক্ষুদ্র কারখানাগুলোকে হিসাবে ধরলে প্রায় ২০০ হবে।
আরও জানা গেছে, ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ৯৪ কোটি ৭১ লাখ মিটারের বেশি অবৈধ কারেন্ট জাল ধ্বংস করা হয়েছে। এই জালের বাজারমূল্য ২১৪ কোটি টাকার বেশি।
তবে মুন্সিগঞ্জ জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শামশুল করিম জানান, অবৈধভাবে উৎপাদিত কারেন্ট জাল ও চায়না জালের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করা হয়।
মুন্সিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও অর্থ) সুমন দেব বলেন, ‘অবৈধ কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে আমরা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করি। জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অবৈধ কারেন্ট জাল উৎপাদন বন্ধ করতে পুলিশ বদ্ধপরিকর। ইতিমধ্যে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে।’
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১১ দিন আগেভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫পাকিস্তানে ভারতের হামলার সমালোচনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। চীনও এই হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে অভিহিত করেছে। উদ্বেগ জানিয়েছে জাতিসংঘও। উত্তেজনা যেন আরও না বাড়ে, সে জন্য দুই পক্ষকে সংযত থাকার আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ, ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশ। এদিকে ভারতের অবস্থানকে সমর্থন করেছে...
০৮ মে ২০২৫