Ajker Patrika

ভাজাপোড়া ও তেলজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভাজাপোড়া ও তেলজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলুন

আমার বয়স ১৪ বছর, ওজন ৪৭ কেজি। উচ্চতা ৫ ফুট। আমার মুখমণ্ডলে ছোট ছোট ঘামাচির মতো দানা থাকে বছরের অধিকাংশ সময়। ডান হাতের বাহুতে দুই ইঞ্চি জায়গায় এই দানা আছে। এটি ব্যাকটেরিয়া ক্রিম ব্যবহার করলে চলে যায়। পরে আবারও হয়। শারীরিক অন্য কোনো সমস্যা নেই। এই দানা থেকে বাঁচার উপায় কী?

সুমাইয়া সিলভি চৌধুরী
বদরগঞ্জ, রংপুর।

তোমার বয়স ১৪ বছর এবং তোমার ঘামাচির মতো দানা হয়। তার মানে তোমার এখন বয়ঃসন্ধিকাল। এ সময়ে অনেকেই বুঝতে পারে না এগুলো ব্রণ কি না। অনেকেরই অনেক ধরনের ব্রণ হয়ে থাকে। সেগুলো দেখতে অনেক সময় ঘামাচির মতো হয়। অনেক সময় মুখে অ্যাকজিমার কারণেও ঘামাচির মতো র‍্যাশ দেখা দেয়। কিন্তু তুমি বলেছ যে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম ব্যবহার করলে এগুলো চলে যায়। এসব বিবেচনা করে মনে হচ্ছে, এগুলো বয়ঃসন্ধিকালের সমস্যা বা হরমোনাল ইনফ্লুয়েন্স। এগুলোকে আমরা বডি একনে বলে থাকি। চুলের খুশকি থাকা, রাতে চুলে তেল লাগিয়ে ঘুমিয়ে পড়া, মুখ পরিষ্কার না রাখার মতো কারণেও এগুলো হতে পারে। এ সময় ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত হলে বা শুষ্ক থাকলেও ব্রণ হতে পারে। অনেকে ত্বকের ধরন না বুঝে তৈলাক্ত ক্রিম বা পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করে ভুলবশত। সে ক্ষেত্রেও ব্রণ হতে পারে। আবার রাত জাগা, অতিরিক্ত ক্লান্তি, খাদ্যাভ্যাসে তেলজাতীয় বা ভাজাপোড়া খাবারেও ব্রণ হয়ে থাকে। গ্লাইক্লোলিক অ্যাসিডযুক্ত ফেসওয়াশ, হায়ালুরনিক অ্যাসিডযুক্ত ওয়াটারবেজড ময়েশ্চারাইজার ও ওয়াটারবেজড সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে। ক্লিনডামাইসিন, এলথোমাইসিন বেনজয়পার-অক্সাইডযুক্ত ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করতে হবে। অ্যান্টিবায়োটিক খেতে হতে পারে। সে ক্ষেত্রে তোমাকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

ডা. তাওহিদা রহমান ইরিন
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ, শিওরসেল মেডিকেল, বাংলাদেশ

আমার বাবার বয়স ৭৪ বছর। ভীষণ কর্মঠ মানুষ ছিলেন। সঙ্গে শৌখিনও। ডায়াবেটিস, হাইপ্রেশার আছে। দীর্ঘদিন ধরে এসবের ওষুধ খাচ্ছেন। ইদানীং লক্ষ করছি, বাবা কিছুই মনে রাখতে পারছেন না। গোসল না করেই বলছেন, গোসল করেছেন। সকালে নাশতা না খেয়েই ওষুধ খেয়ে নিচ্ছেন। সবচেয়ে দুশ্চিন্তার বিষয়, তিনি প্রস্রাব নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না। রাতে বিছানা থেকে উঠে ওয়াশরুমে যেতে যেতেই প্রস্রাব হয়ে যাচ্ছে। শর্ট টার্ম মেমোরি লস হচ্ছে। একবার স্ট্রোকের ঘটনাও আছে। কী করতে পারি? কী ধরনের চিকিৎসা তাঁর প্রয়োজন?

সানাউল হক, ধামরাই।

বর্ণনা শুনে মনে হচ্ছে তিনি ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। ডিমেনশিয়াকে আমরা বাংলায় বলে থাকি স্মৃতিলোপ বা স্মৃতিভ্রংশ। এর অনেকগুলো কারণ আছে। বিবরণ শুনে মনে হচ্ছে তিনি আলঝেইমার রোগেও আক্রান্ত। সঠিকভাবে রোগ নির্ণয় করার জন্য মস্তিষ্কের এমআরআই ও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা প্রয়োজন।

আলঝেইমার রোগের শুরুতে আক্রান্ত ব্যক্তি ভুলে যান বেশি। কোনো কিছু মনে রাখতে পারেন না। ভুলে যাওয়া দৈনন্দিন কাজে ব্যাঘাত ঘটায়, যেমনটা আপনার বাবার হচ্ছে। দিন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাঁর ভুলে যাওয়া আরও বাড়তে পারে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয় নতুন নতুন সমস্যা।

চিকিৎসার কথা যদি বলি, তাহলে বলতে পারি, এ রোগের চিকিৎসা আছে। কিন্তু রোগ পুরোপুরি নির্মূল করার ব্যবস্থা নেই। চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।
চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ দেশেই পাওয়া যায়। ওষুধ দীর্ঘমেয়াদি সেবন করতে হয় বলে ব্যয় বেশি হয়। খুব ধৈর্য ধরে এ রোগের চিকিৎসা করতে হয়। দেরি না করে আপনি একজন নিউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হোন।

ডা. হুমায়ুন কবীর হিমু
কনসালট্যান্ট নিউরোলজিস্ট, ল্যাবএইড ডায়াগনস্টিক 
সেন্টার, ঢাকা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ইরানের ‘দানবীয় ক্ষেপণাস্ত্রের’ সামনে উন্মুক্ত ইসরায়েলের ‘অ্যাকিলিস হিল’

ভারতীয় বিমানবন্দরে ১১ দিন ধরে পড়ে আছে ব্রিটিশ এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান, ঘনাচ্ছে রহস্য

মা-মেয়ের ত্রিভুজ প্রেম, বিয়ে ও একটি খুন

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফল আজ, যেভাবে দেখবেন

পাকিস্তানের পরমাণু প্রকল্প ধ্বংসে ভারত-ইসরায়েলের যৌথ প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় যেভাবে

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত