Ajker Patrika

জঙ্গিবাদ ছাড়তে চাওয়ায় খুন হন আমিনুল ইসলাম

বান্দরবান সংবাদদাতা
জঙ্গিবাদ ছাড়তে চাওয়ায় খুন হন আমিনুল ইসলাম

নিষিদ্ধ সংগঠন জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে এতে যোগ দেন কুমিল্লার স্নাতকের শিক্ষার্থী আমিনুল ইসলাম আল আমিন। পরে ভুল বুঝতে পেরে বাড়ি ফিরতে চাইলে সহযোগীরা তাঁকে হত্যা করেন। এই ঘটনায় কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) ও জামাতুল আনসার ফিল হিন্দাল শারক্বীয়ার ২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার আমিনুল ইসলামের বাবা নুরুল ইসলাম বাদী হয়ে ২০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে বিষয়টি আমলে নিয়ে ৫ দিনের মধ্যে রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন বান্দরবান চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ এস এম এমরান। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাদীপক্ষের আইনজীবী এম ডি খলিল।

আসামিরা হলেন কুমিল্লার আনিসুর রহমান মাহমুদ (৩২), শামীম মাহফুজ (৪৭), নারায়ণগঞ্জের মোশাররফ হোসেন বাবু (৩৪), সিলেটের আব্দুল্লাহ মায়মুন ওরফে শায়েখ (৩৪), সিলেটের মাসকুর রহমান রনবীর (৪৪), সুনামগঞ্জের সৈয়দ মারুফ আহমেদ মানিক (৩১), আব্দুল কাদের সুজন ওরফে ফয়েজ সোহেল, কুমিল্লার মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ হাবিব (৩৫), বান্দরবানের নাথানা লনচেও ওরফে নাথান বম (৫০), লাল মোহন (৫০), কর্নেল সলোমান (৫০), কুমিল্লার মো. বায়োজিদ ইসলাম মোয়াজ ওরফে বাইরু (২১), নোয়াখালীর নিজামুদ্দিন হিরন ইউসুফ ওরফে বাপুয়াল (৩২), বান্দরবানের লালদন সাং বম পাদন (২৭), কুমিল্লার দিদার ওরফে চম্পাই (২৭), সিলেটের শিবির আহমেদ (২৬), ইসমাইল হোসেন হানজালা ওরফে ফাহিম, কুমিল্লার সালেহ আহম্মদ সাইহা (২৭), সিলেটের মো. সাদিকুর রহমান সুমন ওরফে ফারকুন (২৯) ও কুমিল্লার ইমরান বিন রহমান শিথিল ওরফে বিল্লাল (১৮)।

মামলা সূত্রে জানা গেছে, কুমিল্লার কান্দিরপাড়া এলাকায় তবলিগে যাওয়ার কথা বলে ২০২২ সালের ২৩ আগস্ট ঘর থেকে বের হন আমিনুল ইসলাম। এর পর থেকে ফোনে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পারায় ১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লার কোতোয়ালি মডেল থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁর বাবা। পরে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তৎপরতায় ও বিভিন্ন সংবাদপত্রের মাধ্যমে জানতে পারেন তাঁর ছেলেসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ৫০ জনের বেশি তরুণ নিখোঁজ হয়েছেন।

এরই মধ্যে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব) অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত পাঁচ জঙ্গির দেওয়া তথ্যে জানা যায়, নিজ বাড়িতে ফিরতে চাইলে সংগঠনের তথ্য ফাঁস হওয়ার ভয়ে আমিনুলকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তাঁর মরদেহ বান্দরবানের রুমা উপজেলার দুর্গম লুমউয়ালপাড়া এলাকার পাহাড়ের ঢালে গুম করে ফেলা হয়। এ অবস্থায় আমিনুলের মরদেহ উদ্ধার করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে ফৌজদারি অভিযোগ করা হয়।

গ্রেপ্তার জঙ্গিদের দেওয়া তথ্যমতে, গত রোববার রেমাক্রী প্রাংসা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দুর্গম লুয়ংমুয়াল পাড়া এলাকায় মরদেহ উদ্ধারে যায় পুলিশ, র‍্যাব ও স্থানীয় প্রশাসন। তবে পাহাড়ে সন্ধান পাওয়া কবরটি খোঁড়া হলেও তাতে মরদেহ পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছিলেন র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

মামলার আসামিসহ বিএসইসির ২২ কর্মকর্তাকে বরখাস্তের সিদ্ধান্ত

সরকারি টাকায় ব্যক্তিগত সড়ক কার্পেটিং বিচারপতি খিজির হায়াতের, প্রমাণ পেয়েছে দুদক

অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে থানায় সোপর্দ, ছিঁড়ে ফেলা হয় পরনের পোশাক

ঐকমত্য কমিশনের সদস্যদের তেলের বরাদ্দ ২৫০ থেকে বেড়ে ৫০০ লিটার

বগুড়ায় ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা, পাঁচ নেতা-কর্মীকে শোকজ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত