দুই গন্তব্যে তাঁরা দুই

দক্ষিণ আমেরিকান ফুটবল কনফেডারেশন থেকে চারটি দল অংশ নিয়েছিল কাতার বিশ্বকাপের মূল পর্বে। উরুগুয়ে-ইকুয়েডর প্রথম রাউন্ডেই বিদায় নিয়েছিল। শিরোপার দাবি নিয়ে আসা ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা ভালোভাবেই এগোচ্ছিল। কোয়ার্টার ফাইনালে ব্রাজিলের স্বপ্ন যাত্রার পথ উপড়ে দিয়েছে ক্রোয়েশিয়া। গত পরশু দোহার এডুকেশন সিটি স্টেডিয়ামে টাইব্রেকারে ৪–২ ব্যবধানে হেরে গেছে সেলেসাওরা। অন্য দিকে লুসাইল স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসকে টাইব্রেকারে ৪-৩ গোলে হারিয়ে গগনে উড়ছে আকাশি-সাদারা। এতে উড়ছে আর্জেন্টিনার স্কালোনি আর ব্যর্থতার দায় নিয়ে শেষ তিতের ব্রাজিল-অধ্যায়।

২-০ গোলে এগিয়ে থাকার পর যখন জয়ের সুবাস পাচ্ছিল, তখনই দুই গোল হজম করে বসে আর্জেন্টিনা। অতিরিক্ত সময়েও ২-২ সমতা থাকলে ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।

সেখানেই এমিলিয়ানো মার্তিনেজ চিলের মতো দুটি ছোঁ মেরে কেড়ে নিয়েছেন ডাচদের স্বপ্ন। ম্যাচের পর আর্জেন্টিনার কোচ লিওনেল স্কালোনি জানালেন, সব পরিস্থিতি মোকাবিলা করার উপায় নিয়েই মাঠে নেমেছেন তাঁরা।

স্কালোনি বললেন, ‘আর্জেন্টিনার দলীয় মনোবল শক্ত। আমরা জানি, কীভাবে ম্যাচের প্রতিটি পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে হয়। এটা সত্য যে পেনাল্টি শুটআউটে যাওয়া আমাদের প্রাপ্য ছিল না। তবে আমরা শেষ পর্যন্ত লড়াই করেছি। ডাচরা আমাদের জন্য কঠিন বাধা তৈরি করেছিল।’

নির্ধারিত ৯০ মিনিটের দ্বিতীয়ার্ধকে অদ্ভুতুড়ে উল্লেখ করে আর্জেন্টিনা কোচ প্রশংসায় করেন শিষ্যদের, ‘এই দল গর্ব করতে পারে, এই দলের অভিজ্ঞতা ও তারুণ্যের মিশেল রয়েছে। আমরা লড়াই করতে চাই এবং এটাই হলো (সাফল্যের) চাবিকাঠি।’

লিওনেল মেসিকে নিয়ে আলাদা প্রশংসা ঝরেছে স্কালোনির কণ্ঠে, ‘লিও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন খেলোয়াড়। সে দেখিয়েছে, কেন সে সর্বকালের সেরা। আমরা খুশি সে আমাদের পাশে রয়েছে।’

দুর্দান্ত দল পেয়েও ব্রাজিলকে লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারেননি আদেনর লিওনার্দো বাচ্চি তিতে। ২০১৬ থেকেই দলটি তাঁর অধীনে খেলছে। ২০১৮ বিশ্বকাপেও কোয়ার্টার ফাইনালে হেরেছিল সেলেসাওরা। এবারও তার পুনরাবৃত্তি ঘটল।

তিতে আগেই জানিয়েছেন, কাতার বিশ্বকাপের পর ব্রাজিলের দায়িত্ব ছাড়বেন। দলের ব্যর্থতার দায় নিয়ে তা-ই করলেন। গত পরশু ম্যাচের পর সংবাদ সম্মেলনেই পদত্যাগের ঘোষণা করলেন, ‘আমার চক্র শেষ। আমি বছর দেড়েক আগেই বলেছিলাম দল জিতুক বা হারুক বিশ্বকাপের পর আর থাকছি না।’