Ajker Patrika

এনডিসি ৩.০ বাস্তবায়নে ১১৬.৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন: পরিবেশ উপদেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭: ২৫
‘থার্ড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনের (এনডিসি ৩.০) ভেলিডেশন ওয়ার্কশপে পরিবেশ উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘থার্ড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনের (এনডিসি ৩.০) ভেলিডেশন ওয়ার্কশপে পরিবেশ উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের এনডিসি ৩.০ (থার্ড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশন) বাস্তবায়নে ১১৬ দশমিক ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। তিনি জানান, এর মধ্যে ২৫ দশমিক ৯৫ বিলিয়ন শর্তহীন এবং ৯০ দশমিক ২৩ বিলিয়ন শর্তসাপেক্ষ বিনিয়োগ ধরা হয়েছে।

আজ রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত ‘থার্ড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনের (এনডিসি ৩.০) ভেলিডেশন ওয়ার্কশপে তিনি এসব কথা বলেন।

পরিবেশ উপদেষ্টা জানান, এ পরিকল্পনায় ২০৩৫ সালের মধ্যে ৮৪ দশমিক ৯২ মিলিয়ন টন CO₂ eq (কার্বন ডাই-অক্সাইড সমতুল্য) নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৬ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন (৬ দশমিক ৩৯ শতাংশ) শর্তহীনভাবে এবং ৫৮ দশমিক ২ মিলিয়ন টন (১৩ দশমিক ৯১ শতাংশ) শর্তসাপেক্ষে হ্রাস করা হবে।

রিজওয়ানা আরও বলেন, এনডিসি ৩.০ কেবল নিঃসরণ হ্রাসের লক্ষ্য নয়, বরং এটি একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ন্যায়সংগত ভবিষ্যৎ গড়ার অঙ্গীকার। এ জন্য নারী, শিশু, প্রবীণ, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও জলবায়ু-অভিবাসী জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণকে অগ্রাধিকার দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

‘থার্ড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনের (এনডিসি ৩.০) ভেলিডেশন ওয়ার্কশপে পরিবেশ উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘থার্ড ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশনের (এনডিসি ৩.০) ভেলিডেশন ওয়ার্কশপে পরিবেশ উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

একই সঙ্গে জলবায়ু পদক্ষেপগুলোকে মানবাধিকারভিত্তিক করার ওপর জোর দেন তিনি।

যুব সমাজের অংশগ্রহণের গুরুত্ব উল্লেখ করে পরিবেশ উপদেষ্টা আরও বলেন, নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্প, সবুজ উদ্যোক্তা তৈরি, গবেষণা ও সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে তরুণদের যুক্ত করা গেলে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জলবায়ু-সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।

তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্য, পানি-স্যানিটেশন, শিক্ষা, খাদ্যনিরাপত্তা, কৃষি ও অবকাঠামো খাতকে জলবায়ু সহনশীল ও পরিবেশবান্ধব করে তুলতে হবে। এ জন্য শিক্ষাব্যবস্থায় জলবায়ু শিক্ষা ও সবুজ দক্ষতা অন্তর্ভুক্ত করা জরুরি।

একই সঙ্গে জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে নবায়নযোগ্য শক্তিতে রূপান্তরে ‘ন্যায়সংগত রূপান্তর’ নিশ্চিত করতে হবে, যেখানে শ্রমিকদের পুনঃ প্রশিক্ষণ, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের সহায়তা এবং ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে।

উপদেষ্টা বলেন, সরকার, উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারি খাত, গবেষক ও নাগরিক সমাজের অভিন্ন প্রচেষ্টা ছাড়া টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জলবায়ু সহনশীল বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব নয়।

কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ এবং অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ। সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. কামরুজ্জামান। মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) ধরিত্রী কুমার সরকার কর্মশালাটি পরিচালনা করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত