Ajker Patrika

এক দশকের রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোর–চুয়াডাঙ্গায়  

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭: ২১
এক দশকের রেকর্ড ভেঙে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা যশোর–চুয়াডাঙ্গায়  

দেশের বিগত এক দশকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে আজ মঙ্গলবার। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা যশোরে আজকের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর চুয়াডাঙ্গায় রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহনাজ সুলতানা বলেছেন, ‘আজ মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে, ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা বাংলাদেশের বিগত ১০ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড (সর্বোচ্চ)।’ তিনি জানিয়েছেন, এটি বিগত ৩৫ বছরের মধ্যে যশোরেরও রেকর্ড। ১৯৮৯ সালে যশোরে সর্বোচ্চ ৪৩ দশমিক ২ ছিল। 

আবহাওয়াবিদ শাহানাজ সুলতানা আরও জানিয়েছেন, আজ চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা জেলাটির গত ১০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। আর ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গায় সারা দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই বিবেচনায় আজকের যশোর ও চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা দেশের বিগত এক দশকের রেকর্ড। 

দেশের বিগত এক দশকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। ছবি: আজকের পত্রিকাদেশে ৩৫ বছর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৯৮৯ সালের ২১ এপ্রিল। সেদিন বগুড়ায় সর্বোচ্চ ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আর চুয়াডাঙ্গায় ১৯৯৫ সালের গ্রীষ্মে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। 

এদিকে দেশের বিভিন্ন স্থানে তাপমাত্রা বাড়লেও রাজধানী ঢাকার তাপমাত্রা আজ মঙ্গলবার কিছুটা কমেছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সোমবারের তুলনায় আজ প্রায় ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে রাজধানীর তাপমাত্রা দাঁড়িয়েছে ৩৮ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  

এর আগে, গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, শনিবার (২৭ এপ্রিল) ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রি, রোববার (২৮ এপ্রিল) ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বশেষ সোমবার (২৯ এপ্রিল) ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। 

চলতি বছরের মার্চের ৩১ তারিখ থেকে বিক্ষিপ্তভাবে দেশে তাপপ্রবাহ শুরু হয়। ২৭ এপ্রিল তা দেশের ইতিহাসের রেকর্ড ভেঙে ফেলে। টানা ২৮ দিন তাপপ্রবাহ এই ভূখণ্ডে সবশেষ হয়েছিল ১৯৪৮ সালে। এরপর গত বছর এপ্রিল ও মে মাস মিলিয়ে ২৩ দিন টানা তাপপ্রবাহ ছিল। 

দেশের বিগত এক দশকের ইতিহাসে সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড করা হয়েছে যশোরে। ছবি: আজকের পত্রিকাটানা তাপপ্রবাহ শেষে বৃষ্টি কবে নাগাদ হতে পারে সে বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজকের পত্রিকাকে বলেন, মে মাসের ২ থেকে ৩ তারিখ দেশের উত্তর-পূর্ব ও উত্তর-দক্ষিণাঞ্চলে বৃষ্টি হতে পারে। আর ৫ ও ৬ মে সারা দেশেই বৃষ্টি হতে পারে। তিনি বলেন, প্রথম অবস্থায় ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে বৃষ্টি হতে পারে। এরপর বাকি রাজশাহী, রংপুর ও খুলনা বিভাগে বৃষ্টি শুরু হতে পারে।

ওমর ফারুক বলেন, মে মাসের শুরুতে যে বৃষ্টির সম্ভাবনা আছে, সেটি উত্তর-পূর্বাঞ্চল হয়ে আসবে। আর সামগ্রিকভাবে তাপপ্রবাহ কমানোর জন্য দেশের পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে যে বৃষ্টিপাত দরকার, সেটি হতে পারে মে মাসের ৬ তারিখের দিকে। তবে এই বৃষ্টি চার থেকে পাঁচ দিন স্থায়ী হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে কমবে তাপমাত্রা, পড়বে কুয়াশা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ০৯: ০৬
সারা দেশে কমবে তাপমাত্রা, পড়বে কুয়াশা

কার্তিক মাস বিদায় নিতে আর মাত্র দিন সাতেক বাকি। এরপর আসবে হেমন্তকাল। প্রকৃতিতেও লেগেছে হেমন্তের ছোঁয়া। দেশের কোথাও কোথাও পড়ছে হালকা শীত। কোথাওবা পড়েছে হালকা কুয়াশা। আজ শুক্রবারের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসেও সারা দেশে কুয়াশা পড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।

সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

এদিকে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে গরমের অনুভূতিও আগের মতো থাকতে পারে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৩ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।

আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে এবং আগামীকাল শনিবার সূর্যোদয় হবে ৬টা ৯ মিনিটে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বায়ুদূষণে বিপর্যস্ত দিল্লি, ঢাকার অবস্থা অস্বাস্থ্যকর

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ১১টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৭৭, যা গতকাল ছিল ১১১। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ৮ম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১৭তম স্থানে।

বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৫৯৭, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের কলকাতা, চীনের বেইজিং, ইরাকের বাগদাদ ও চীনের উহান। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২২৮, ২১৩, ১৯৪ ও ১৮৭।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সারা দেশে আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক, কমবে তাপমাত্রা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৬ নভেম্বর ২০২৫, ০৮: ৫৫
সারা দেশে আবহাওয়া থাকবে শুষ্ক, কমবে তাপমাত্রা

রাজধানী ঢাকার আকাশে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। আকাশ হালকা মেঘে ঢাকা। আজ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া এমনই মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে তাপমাত্রা কমবে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।

আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৮ মিনিটে।

এদিকে সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।

এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকার বাতাস শিশু ও বৃদ্ধদের জন্য অস্বাস্থ্যকর, দূষণে শীর্ষে কলকাতা

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০: ৫৭
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ শিশু ও বৃদ্ধদের মতো সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর।

বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১১১, যা গতকাল ছিল ১০৫। দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় আজ ১৭তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১১তম স্থানে।

বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের কলকাতা শহরটির বায়ুমান আজ ২৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং ও মিসরের কায়রো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২১৪, ২০৭, ১৯৩ ও ১৮১।

বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্‌রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।

বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।

এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।

দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।

পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত