সৌগত বসু, ঢাকা

রাজধানীর অদূরে সাভার বাসস্ট্যান্ড পার হলেই রেডিও কলোনি, এরপর বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)। বিপিএটিসির সীমানাপ্রাচীর শুরু হওয়ার আগেই তাপমাত্রার একটা বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যারা ঢাকা থেকে নিয়মিত আরিচা রোডে যাতায়াত করেন, তাঁরা বিষয়টি টের পেয়ে থাকতে পারেন। তবে তাপমাত্রা পরিবর্তনের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অনুধাবন করতে পারেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন পরিবর্তনের তথ্য ও কারণ উঠে এসেছে। যদিও গবেষণাটি এখনো সম্পন্ন হয়নি। অবশ্য ২০১০ সালে একই ব্যক্তির গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছিল।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং অ্যান্ড জিআইএসের পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলামের চলমান গবেষণাকাজ ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড কার্বন স্টক এস্টিমেশন অ্যাট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এই গবেষকের ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ: আ ক্লোজার লুক ইনটু টেম্পারেচার অ্যান্ড রেইনফল’ নামক গবেষণায়ও ঠিক একই রকম তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এবার তিনি তাপমাত্রা ও কার্বন নিঃসরণ নিয়ে কাজ করছেন।
শেখ তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি চলমান গবেষণা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস কতটুকু নিঃসরিত হচ্ছে, তা দেখছি এখন। আমরা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবহার এবং যানবাহনের জ্বালানি খরচের বিপরীতে আমাদের গাছপালা কী পরিমাণ কার্বন গ্রহণ করছে, তা নিয়ে কাজ করছি। আমরা স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে দেখেছি, জাবিতে বড় গাছের সংখ্যা ২৭ হাজার। আমরা হিসাব করার চেষ্টা করছি, কী পরিমাণ কার্বন আমরা ক্যাপচার করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট ও সার্ভার ব্যান্ড আছে। আমরা ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট কানেক্ট করে ২০২০, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪-এ চার বছরে ১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেড় মাসের তাপমাত্রা তুলনা করে দেখেছি। বছরের এই সময়টা তাপমাত্রা বেশি থাকে। দেখা গেছে, এ সময় জাহাঙ্গীরনগরের চেয়ে ঢাকায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি থাকে। আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের তাপমাত্রা কম থাকার কারণ, এখানকার গাছপালা, ওয়েট ল্যান্ডস (জলাভূমি), লতা ও গুল্মের সবুজ আচ্ছাদন।’
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে জাহাঙ্গীরনগরের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪৭ ডিগ্রি, আর ঢাকায় ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২২ সালে জাবিতে ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর ঢাকায় ৩৭ দশমিক ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৩ সালে জাবিতে ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ঢাকায় ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি ২০২৪ সালে জাবিতে গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বিপরীতে ঢাকায় পাওয়া গেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এটি চলমান গবেষণা, তাই এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে তাপমাত্রার সমীক্ষায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা এখন সেগুলো নিয়ে কাজ করব।’
কেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে, এর ব্যাখ্যায় অধ্যাপক তৌহিদুল বলেন, ‘আমাদের এখানে ৫০ শতাংশের বেশি গাছপালা এখনো আছে। যদিও গাছপালাগুলো ভালো না। আমাদের গাছপালাগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের এই গাছগুলোর নিচে অন্য কোনো গাছ জন্ম নেয় না। বিশেষ করে এখানে যে মেহগনিগাছ আছে, তার আশপাশে তাকালে অন্য কোনো গাছ দেখা যাবে না। জাহাঙ্গীরনগরে এ গাছগুলো যখন লাগানো হয়েছে, তখন খুব ভালো পরিকল্পনা করতে পারেনি। বৃক্ষের কারণে ক্যাম্পাসে যে তাপমাত্রা কম, তা টের পাওয়া যায় আরিচা রোড দিয়ে যখন ক্যাম্পাসে আমরা প্রবেশ করি।’
ঢাকায় কেন তাপমাত্রা বেশি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বিগত দশ বছরের তাপমাত্রার হিসাব বলছে, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে আর ৪০-এর ঘর পার না করলেও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে টানা দুই বছর এপ্রিলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরোলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।
২০২৩ সালে জাবির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের একটি গবেষণায় দেখা যায়, রাজধানী ঢাকায় মাত্র ৩ শতাংশ বনভূমি রয়েছে। যদিও বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দাবি, এটি ৭ শতাংশ। যেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বনভূমি প্রায় ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ঢাকায় জলাভূমি থাকার কথা ১০ দশমিক ১২ শতাংশ, কিন্তু আছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণার তথ্য বলছে, ১৯৯৫ সালে রাজধানীর ১৪৭ বর্গকিলোমিটারের কেন্দ্রীয় নগর অঞ্চলে জলাধার ও জলাভূমি ছিল ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশে ঠেকেছে। আর সবুজ ও ফাঁকা জায়গা ৫২ দশমিক ৪৮ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ২৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমেছে।
অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গাছের আচ্ছাদন যখন থাকে, সূর্যের তাপটা তখন মাটি পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাটি উত্তপ্ত হয় না। মাটিতে তাপ পৌঁছালে উত্তপ্ত হয়ে ওপরের স্তরের আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকায় একধরনের শুষ্ক মরুকরণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাতের বেলায়ও এই তাপমাত্রা থেকে যায়। পরের দিন এসে আবার তাপ যুক্ত হয়। এভাবে তাপমাত্রার ক্রমবৃদ্ধি চলতে থাকে। এভাবে ক্রমপুঞ্জীভূত তাপমাত্রা ৫ থেকে ৭ দিনের স্কেলে ভয়াবহ গরম অবস্থা তৈরি করে।
এই গবেষক বলেন, গাছপালা থাকলে রাতের বেলা তাপমাত্রা কমে যেত। সে ক্ষেত্রে অতটা গরম অনুভব হতো না। গাছপালা নাই হয়ে যাওয়ার কারণে এখানে পরিবেশের ভারসাম্য ভেঙে পড়ছে। গাছ রাতের বেলা পাতার নিচের অংশে থাকা পত্ররন্ধ্র দিয়ে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেয়। এটিকে বলে প্রস্বেদন। এতে আর্দ্রতার একটা অবস্থা তৈরি হয়। এই অবস্থা স্থানীয় সীমিত জলবায়ুকে শান্ত রাখে, আর্দ্র রাখে এবং তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখে। ফলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।
তবে ঢাকায় যথেষ্ট পরিমাণ গাছপালা নেই বলে গরম বেশি হয় বলে জানান এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘ব্যাংককে গেলে দেখা যায়, সেখানে যে ফুটপাতগুলোতে লোহার মাচার মতো বানিয়ে বাগানবিলাস, লতাগুল্ম ও নানা ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। ফলে ফুটপাত দিয়ে মানুষ যখন হাঁটে, তখন খুব গরম লাগে না। আমাদের ঢাকা শহরে সিটি করপোরেশন যদি এ কাজগুলো করে, তাহলে পথচারীদের জন্য স্বস্তির জায়গা তৈরি হবে।’

রাজধানীর অদূরে সাভার বাসস্ট্যান্ড পার হলেই রেডিও কলোনি, এরপর বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)। বিপিএটিসির সীমানাপ্রাচীর শুরু হওয়ার আগেই তাপমাত্রার একটা বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যারা ঢাকা থেকে নিয়মিত আরিচা রোডে যাতায়াত করেন, তাঁরা বিষয়টি টের পেয়ে থাকতে পারেন। তবে তাপমাত্রা পরিবর্তনের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অনুধাবন করতে পারেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন পরিবর্তনের তথ্য ও কারণ উঠে এসেছে। যদিও গবেষণাটি এখনো সম্পন্ন হয়নি। অবশ্য ২০১০ সালে একই ব্যক্তির গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছিল।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং অ্যান্ড জিআইএসের পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলামের চলমান গবেষণাকাজ ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড কার্বন স্টক এস্টিমেশন অ্যাট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এই গবেষকের ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ: আ ক্লোজার লুক ইনটু টেম্পারেচার অ্যান্ড রেইনফল’ নামক গবেষণায়ও ঠিক একই রকম তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এবার তিনি তাপমাত্রা ও কার্বন নিঃসরণ নিয়ে কাজ করছেন।
শেখ তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি চলমান গবেষণা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস কতটুকু নিঃসরিত হচ্ছে, তা দেখছি এখন। আমরা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবহার এবং যানবাহনের জ্বালানি খরচের বিপরীতে আমাদের গাছপালা কী পরিমাণ কার্বন গ্রহণ করছে, তা নিয়ে কাজ করছি। আমরা স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে দেখেছি, জাবিতে বড় গাছের সংখ্যা ২৭ হাজার। আমরা হিসাব করার চেষ্টা করছি, কী পরিমাণ কার্বন আমরা ক্যাপচার করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট ও সার্ভার ব্যান্ড আছে। আমরা ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট কানেক্ট করে ২০২০, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪-এ চার বছরে ১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেড় মাসের তাপমাত্রা তুলনা করে দেখেছি। বছরের এই সময়টা তাপমাত্রা বেশি থাকে। দেখা গেছে, এ সময় জাহাঙ্গীরনগরের চেয়ে ঢাকায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি থাকে। আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের তাপমাত্রা কম থাকার কারণ, এখানকার গাছপালা, ওয়েট ল্যান্ডস (জলাভূমি), লতা ও গুল্মের সবুজ আচ্ছাদন।’
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে জাহাঙ্গীরনগরের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪৭ ডিগ্রি, আর ঢাকায় ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২২ সালে জাবিতে ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর ঢাকায় ৩৭ দশমিক ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৩ সালে জাবিতে ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ঢাকায় ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি ২০২৪ সালে জাবিতে গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বিপরীতে ঢাকায় পাওয়া গেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এটি চলমান গবেষণা, তাই এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে তাপমাত্রার সমীক্ষায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা এখন সেগুলো নিয়ে কাজ করব।’
কেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে, এর ব্যাখ্যায় অধ্যাপক তৌহিদুল বলেন, ‘আমাদের এখানে ৫০ শতাংশের বেশি গাছপালা এখনো আছে। যদিও গাছপালাগুলো ভালো না। আমাদের গাছপালাগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের এই গাছগুলোর নিচে অন্য কোনো গাছ জন্ম নেয় না। বিশেষ করে এখানে যে মেহগনিগাছ আছে, তার আশপাশে তাকালে অন্য কোনো গাছ দেখা যাবে না। জাহাঙ্গীরনগরে এ গাছগুলো যখন লাগানো হয়েছে, তখন খুব ভালো পরিকল্পনা করতে পারেনি। বৃক্ষের কারণে ক্যাম্পাসে যে তাপমাত্রা কম, তা টের পাওয়া যায় আরিচা রোড দিয়ে যখন ক্যাম্পাসে আমরা প্রবেশ করি।’
ঢাকায় কেন তাপমাত্রা বেশি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বিগত দশ বছরের তাপমাত্রার হিসাব বলছে, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে আর ৪০-এর ঘর পার না করলেও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে টানা দুই বছর এপ্রিলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরোলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।
২০২৩ সালে জাবির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের একটি গবেষণায় দেখা যায়, রাজধানী ঢাকায় মাত্র ৩ শতাংশ বনভূমি রয়েছে। যদিও বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দাবি, এটি ৭ শতাংশ। যেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বনভূমি প্রায় ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ঢাকায় জলাভূমি থাকার কথা ১০ দশমিক ১২ শতাংশ, কিন্তু আছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণার তথ্য বলছে, ১৯৯৫ সালে রাজধানীর ১৪৭ বর্গকিলোমিটারের কেন্দ্রীয় নগর অঞ্চলে জলাধার ও জলাভূমি ছিল ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশে ঠেকেছে। আর সবুজ ও ফাঁকা জায়গা ৫২ দশমিক ৪৮ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ২৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমেছে।
অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গাছের আচ্ছাদন যখন থাকে, সূর্যের তাপটা তখন মাটি পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাটি উত্তপ্ত হয় না। মাটিতে তাপ পৌঁছালে উত্তপ্ত হয়ে ওপরের স্তরের আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকায় একধরনের শুষ্ক মরুকরণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাতের বেলায়ও এই তাপমাত্রা থেকে যায়। পরের দিন এসে আবার তাপ যুক্ত হয়। এভাবে তাপমাত্রার ক্রমবৃদ্ধি চলতে থাকে। এভাবে ক্রমপুঞ্জীভূত তাপমাত্রা ৫ থেকে ৭ দিনের স্কেলে ভয়াবহ গরম অবস্থা তৈরি করে।
এই গবেষক বলেন, গাছপালা থাকলে রাতের বেলা তাপমাত্রা কমে যেত। সে ক্ষেত্রে অতটা গরম অনুভব হতো না। গাছপালা নাই হয়ে যাওয়ার কারণে এখানে পরিবেশের ভারসাম্য ভেঙে পড়ছে। গাছ রাতের বেলা পাতার নিচের অংশে থাকা পত্ররন্ধ্র দিয়ে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেয়। এটিকে বলে প্রস্বেদন। এতে আর্দ্রতার একটা অবস্থা তৈরি হয়। এই অবস্থা স্থানীয় সীমিত জলবায়ুকে শান্ত রাখে, আর্দ্র রাখে এবং তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখে। ফলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।
তবে ঢাকায় যথেষ্ট পরিমাণ গাছপালা নেই বলে গরম বেশি হয় বলে জানান এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘ব্যাংককে গেলে দেখা যায়, সেখানে যে ফুটপাতগুলোতে লোহার মাচার মতো বানিয়ে বাগানবিলাস, লতাগুল্ম ও নানা ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। ফলে ফুটপাত দিয়ে মানুষ যখন হাঁটে, তখন খুব গরম লাগে না। আমাদের ঢাকা শহরে সিটি করপোরেশন যদি এ কাজগুলো করে, তাহলে পথচারীদের জন্য স্বস্তির জায়গা তৈরি হবে।’
সৌগত বসু, ঢাকা

রাজধানীর অদূরে সাভার বাসস্ট্যান্ড পার হলেই রেডিও কলোনি, এরপর বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)। বিপিএটিসির সীমানাপ্রাচীর শুরু হওয়ার আগেই তাপমাত্রার একটা বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যারা ঢাকা থেকে নিয়মিত আরিচা রোডে যাতায়াত করেন, তাঁরা বিষয়টি টের পেয়ে থাকতে পারেন। তবে তাপমাত্রা পরিবর্তনের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অনুধাবন করতে পারেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন পরিবর্তনের তথ্য ও কারণ উঠে এসেছে। যদিও গবেষণাটি এখনো সম্পন্ন হয়নি। অবশ্য ২০১০ সালে একই ব্যক্তির গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছিল।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং অ্যান্ড জিআইএসের পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলামের চলমান গবেষণাকাজ ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড কার্বন স্টক এস্টিমেশন অ্যাট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এই গবেষকের ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ: আ ক্লোজার লুক ইনটু টেম্পারেচার অ্যান্ড রেইনফল’ নামক গবেষণায়ও ঠিক একই রকম তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এবার তিনি তাপমাত্রা ও কার্বন নিঃসরণ নিয়ে কাজ করছেন।
শেখ তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি চলমান গবেষণা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস কতটুকু নিঃসরিত হচ্ছে, তা দেখছি এখন। আমরা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবহার এবং যানবাহনের জ্বালানি খরচের বিপরীতে আমাদের গাছপালা কী পরিমাণ কার্বন গ্রহণ করছে, তা নিয়ে কাজ করছি। আমরা স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে দেখেছি, জাবিতে বড় গাছের সংখ্যা ২৭ হাজার। আমরা হিসাব করার চেষ্টা করছি, কী পরিমাণ কার্বন আমরা ক্যাপচার করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট ও সার্ভার ব্যান্ড আছে। আমরা ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট কানেক্ট করে ২০২০, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪-এ চার বছরে ১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেড় মাসের তাপমাত্রা তুলনা করে দেখেছি। বছরের এই সময়টা তাপমাত্রা বেশি থাকে। দেখা গেছে, এ সময় জাহাঙ্গীরনগরের চেয়ে ঢাকায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি থাকে। আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের তাপমাত্রা কম থাকার কারণ, এখানকার গাছপালা, ওয়েট ল্যান্ডস (জলাভূমি), লতা ও গুল্মের সবুজ আচ্ছাদন।’
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে জাহাঙ্গীরনগরের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪৭ ডিগ্রি, আর ঢাকায় ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২২ সালে জাবিতে ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর ঢাকায় ৩৭ দশমিক ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৩ সালে জাবিতে ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ঢাকায় ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি ২০২৪ সালে জাবিতে গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বিপরীতে ঢাকায় পাওয়া গেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এটি চলমান গবেষণা, তাই এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে তাপমাত্রার সমীক্ষায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা এখন সেগুলো নিয়ে কাজ করব।’
কেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে, এর ব্যাখ্যায় অধ্যাপক তৌহিদুল বলেন, ‘আমাদের এখানে ৫০ শতাংশের বেশি গাছপালা এখনো আছে। যদিও গাছপালাগুলো ভালো না। আমাদের গাছপালাগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের এই গাছগুলোর নিচে অন্য কোনো গাছ জন্ম নেয় না। বিশেষ করে এখানে যে মেহগনিগাছ আছে, তার আশপাশে তাকালে অন্য কোনো গাছ দেখা যাবে না। জাহাঙ্গীরনগরে এ গাছগুলো যখন লাগানো হয়েছে, তখন খুব ভালো পরিকল্পনা করতে পারেনি। বৃক্ষের কারণে ক্যাম্পাসে যে তাপমাত্রা কম, তা টের পাওয়া যায় আরিচা রোড দিয়ে যখন ক্যাম্পাসে আমরা প্রবেশ করি।’
ঢাকায় কেন তাপমাত্রা বেশি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বিগত দশ বছরের তাপমাত্রার হিসাব বলছে, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে আর ৪০-এর ঘর পার না করলেও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে টানা দুই বছর এপ্রিলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরোলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।
২০২৩ সালে জাবির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের একটি গবেষণায় দেখা যায়, রাজধানী ঢাকায় মাত্র ৩ শতাংশ বনভূমি রয়েছে। যদিও বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দাবি, এটি ৭ শতাংশ। যেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বনভূমি প্রায় ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ঢাকায় জলাভূমি থাকার কথা ১০ দশমিক ১২ শতাংশ, কিন্তু আছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণার তথ্য বলছে, ১৯৯৫ সালে রাজধানীর ১৪৭ বর্গকিলোমিটারের কেন্দ্রীয় নগর অঞ্চলে জলাধার ও জলাভূমি ছিল ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশে ঠেকেছে। আর সবুজ ও ফাঁকা জায়গা ৫২ দশমিক ৪৮ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ২৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমেছে।
অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গাছের আচ্ছাদন যখন থাকে, সূর্যের তাপটা তখন মাটি পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাটি উত্তপ্ত হয় না। মাটিতে তাপ পৌঁছালে উত্তপ্ত হয়ে ওপরের স্তরের আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকায় একধরনের শুষ্ক মরুকরণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাতের বেলায়ও এই তাপমাত্রা থেকে যায়। পরের দিন এসে আবার তাপ যুক্ত হয়। এভাবে তাপমাত্রার ক্রমবৃদ্ধি চলতে থাকে। এভাবে ক্রমপুঞ্জীভূত তাপমাত্রা ৫ থেকে ৭ দিনের স্কেলে ভয়াবহ গরম অবস্থা তৈরি করে।
এই গবেষক বলেন, গাছপালা থাকলে রাতের বেলা তাপমাত্রা কমে যেত। সে ক্ষেত্রে অতটা গরম অনুভব হতো না। গাছপালা নাই হয়ে যাওয়ার কারণে এখানে পরিবেশের ভারসাম্য ভেঙে পড়ছে। গাছ রাতের বেলা পাতার নিচের অংশে থাকা পত্ররন্ধ্র দিয়ে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেয়। এটিকে বলে প্রস্বেদন। এতে আর্দ্রতার একটা অবস্থা তৈরি হয়। এই অবস্থা স্থানীয় সীমিত জলবায়ুকে শান্ত রাখে, আর্দ্র রাখে এবং তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখে। ফলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।
তবে ঢাকায় যথেষ্ট পরিমাণ গাছপালা নেই বলে গরম বেশি হয় বলে জানান এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘ব্যাংককে গেলে দেখা যায়, সেখানে যে ফুটপাতগুলোতে লোহার মাচার মতো বানিয়ে বাগানবিলাস, লতাগুল্ম ও নানা ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। ফলে ফুটপাত দিয়ে মানুষ যখন হাঁটে, তখন খুব গরম লাগে না। আমাদের ঢাকা শহরে সিটি করপোরেশন যদি এ কাজগুলো করে, তাহলে পথচারীদের জন্য স্বস্তির জায়গা তৈরি হবে।’

রাজধানীর অদূরে সাভার বাসস্ট্যান্ড পার হলেই রেডিও কলোনি, এরপর বাংলাদেশ লোকপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (বিপিএটিসি)। বিপিএটিসির সীমানাপ্রাচীর শুরু হওয়ার আগেই তাপমাত্রার একটা বড় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যারা ঢাকা থেকে নিয়মিত আরিচা রোডে যাতায়াত করেন, তাঁরা বিষয়টি টের পেয়ে থাকতে পারেন। তবে তাপমাত্রা পরিবর্তনের বিষয়টি সবচেয়ে বেশি অনুধাবন করতে পারেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি একটি গবেষণায় এমন পরিবর্তনের তথ্য ও কারণ উঠে এসেছে। যদিও গবেষণাটি এখনো সম্পন্ন হয়নি। অবশ্য ২০১০ সালে একই ব্যক্তির গবেষণায় এমন তথ্য উঠে এসেছিল।
ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনস্টিটিউট অব রিমোট সেন্সিং অ্যান্ড জিআইএসের পরিচালক অধ্যাপক শেখ তৌহিদুল ইসলামের চলমান গবেষণাকাজ ‘বায়োডাইভারসিটি অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড কার্বন স্টক এস্টিমেশন অ্যাট জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়’-এ এমন তথ্য উঠে এসেছে। যদিও এই গবেষকের ২০১০ সালে প্রকাশিত ‘ক্লাইমেট চেঞ্জ ইন বাংলাদেশ: আ ক্লোজার লুক ইনটু টেম্পারেচার অ্যান্ড রেইনফল’ নামক গবেষণায়ও ঠিক একই রকম তথ্য পাওয়া গিয়েছিল। এবার তিনি তাপমাত্রা ও কার্বন নিঃসরণ নিয়ে কাজ করছেন।
শেখ তৌহিদুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এটি একটি চলমান গবেষণা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গ্রিনহাউস গ্যাস কতটুকু নিঃসরিত হচ্ছে, তা দেখছি এখন। আমরা ক্যাম্পাসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের ব্যবহার এবং যানবাহনের জ্বালানি খরচের বিপরীতে আমাদের গাছপালা কী পরিমাণ কার্বন গ্রহণ করছে, তা নিয়ে কাজ করছি। আমরা স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে দেখেছি, জাবিতে বড় গাছের সংখ্যা ২৭ হাজার। আমরা হিসাব করার চেষ্টা করছি, কী পরিমাণ কার্বন আমরা ক্যাপচার করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট ও সার্ভার ব্যান্ড আছে। আমরা ল্যান্ডসেট স্যাটেলাইট কানেক্ট করে ২০২০, ২০২১, ২০২২, ২০২৩ ও ২০২৪-এ চার বছরে ১ মার্চ থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত দেড় মাসের তাপমাত্রা তুলনা করে দেখেছি। বছরের এই সময়টা তাপমাত্রা বেশি থাকে। দেখা গেছে, এ সময় জাহাঙ্গীরনগরের চেয়ে ঢাকায় তাপমাত্রা ২ থেকে ৩ ডিগ্রি বেশি থাকে। আমাদের জাহাঙ্গীরনগরের তাপমাত্রা কম থাকার কারণ, এখানকার গাছপালা, ওয়েট ল্যান্ডস (জলাভূমি), লতা ও গুল্মের সবুজ আচ্ছাদন।’
গবেষণায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে জাহাঙ্গীরনগরের গড় তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ৪৭ ডিগ্রি, আর ঢাকায় ছিল ৩৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০২২ সালে জাবিতে ছিল ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর ঢাকায় ৩৭ দশমিক ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, ২০২৩ সালে জাবিতে ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও ঢাকায় ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চলতি ২০২৪ সালে জাবিতে গড় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বিপরীতে ঢাকায় পাওয়া গেছে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘যেহেতু এটি চলমান গবেষণা, তাই এখনো প্রকাশ হয়নি। তবে তাপমাত্রার সমীক্ষায় এসব তথ্য পাওয়া গেছে। আমরা এখন সেগুলো নিয়ে কাজ করব।’
কেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে, এর ব্যাখ্যায় অধ্যাপক তৌহিদুল বলেন, ‘আমাদের এখানে ৫০ শতাংশের বেশি গাছপালা এখনো আছে। যদিও গাছপালাগুলো ভালো না। আমাদের গাছপালাগুলো পরিবর্তন করতে হবে। আমাদের এই গাছগুলোর নিচে অন্য কোনো গাছ জন্ম নেয় না। বিশেষ করে এখানে যে মেহগনিগাছ আছে, তার আশপাশে তাকালে অন্য কোনো গাছ দেখা যাবে না। জাহাঙ্গীরনগরে এ গাছগুলো যখন লাগানো হয়েছে, তখন খুব ভালো পরিকল্পনা করতে পারেনি। বৃক্ষের কারণে ক্যাম্পাসে যে তাপমাত্রা কম, তা টের পাওয়া যায় আরিচা রোড দিয়ে যখন ক্যাম্পাসে আমরা প্রবেশ করি।’
ঢাকায় কেন তাপমাত্রা বেশি
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ঢাকায় বিগত দশ বছরের তাপমাত্রার হিসাব বলছে, ২০১৪ সালের ২৪ এপ্রিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর মধ্যে আর ৪০-এর ঘর পার না করলেও ২০২৩ ও ২০২৪ সালে টানা দুই বছর এপ্রিলের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়েছে। ২০২৩ সালের ১৬ এপ্রিল তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং চলতি বছরের ২০ এপ্রিল ছিল ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সাধারণত তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পেরোলে তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে।
২০২৩ সালে জাবির পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের একটি গবেষণায় দেখা যায়, রাজধানী ঢাকায় মাত্র ৩ শতাংশ বনভূমি রয়েছে। যদিও বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের দাবি, এটি ৭ শতাংশ। যেখানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বনভূমি প্রায় ৫০ শতাংশ। অন্যদিকে ঢাকায় জলাভূমি থাকার কথা ১০ দশমিক ১২ শতাংশ, কিন্তু আছে মাত্র ২ দশমিক ৯ শতাংশ।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের (বিআইপি) এক গবেষণার তথ্য বলছে, ১৯৯৫ সালে রাজধানীর ১৪৭ বর্গকিলোমিটারের কেন্দ্রীয় নগর অঞ্চলে জলাধার ও জলাভূমি ছিল ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ। যা ধারাবাহিকভাবে কমতে কমতে ৪ দশমিক ২৮ শতাংশে ঠেকেছে। আর সবুজ ও ফাঁকা জায়গা ৫২ দশমিক ৪৮ শতাংশ থেকে কমে বর্তমানে ২৯ দশমিক ৯৫ শতাংশে নেমেছে।
অধ্যাপক তৌহিদুল ইসলাম বলেন, গাছের আচ্ছাদন যখন থাকে, সূর্যের তাপটা তখন মাটি পর্যন্ত পৌঁছায় না। ফলে মাটি উত্তপ্ত হয় না। মাটিতে তাপ পৌঁছালে উত্তপ্ত হয়ে ওপরের স্তরের আর্দ্রতা বাষ্পীভূত হয়ে যায়। ফলে ওই এলাকায় একধরনের শুষ্ক মরুকরণ পরিস্থিতি তৈরি হয়। রাতের বেলায়ও এই তাপমাত্রা থেকে যায়। পরের দিন এসে আবার তাপ যুক্ত হয়। এভাবে তাপমাত্রার ক্রমবৃদ্ধি চলতে থাকে। এভাবে ক্রমপুঞ্জীভূত তাপমাত্রা ৫ থেকে ৭ দিনের স্কেলে ভয়াবহ গরম অবস্থা তৈরি করে।
এই গবেষক বলেন, গাছপালা থাকলে রাতের বেলা তাপমাত্রা কমে যেত। সে ক্ষেত্রে অতটা গরম অনুভব হতো না। গাছপালা নাই হয়ে যাওয়ার কারণে এখানে পরিবেশের ভারসাম্য ভেঙে পড়ছে। গাছ রাতের বেলা পাতার নিচের অংশে থাকা পত্ররন্ধ্র দিয়ে অতিরিক্ত পানি ছেড়ে দেয়। এটিকে বলে প্রস্বেদন। এতে আর্দ্রতার একটা অবস্থা তৈরি হয়। এই অবস্থা স্থানীয় সীমিত জলবায়ুকে শান্ত রাখে, আর্দ্র রাখে এবং তাপমাত্রা ঠান্ডা রাখে। ফলে গাছ লাগানোর বিকল্প নেই।
তবে ঢাকায় যথেষ্ট পরিমাণ গাছপালা নেই বলে গরম বেশি হয় বলে জানান এই অধ্যাপক। তিনি বলেন, ‘ব্যাংককে গেলে দেখা যায়, সেখানে যে ফুটপাতগুলোতে লোহার মাচার মতো বানিয়ে বাগানবিলাস, লতাগুল্ম ও নানা ধরনের গাছ লাগানো হয়েছে। ফলে ফুটপাত দিয়ে মানুষ যখন হাঁটে, তখন খুব গরম লাগে না। আমাদের ঢাকা শহরে সিটি করপোরেশন যদি এ কাজগুলো করে, তাহলে পথচারীদের জন্য স্বস্তির জায়গা তৈরি হবে।’

দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
২ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কার্তিক মাস বিদায় নিতে আর মাত্র দিন সাতেক বাকি। এরপর আসবে হেমন্তকাল। প্রকৃতিতেও লেগেছে হেমন্তের ছোঁয়া। দেশের কোথাও কোথাও পড়ছে হালকা শীত। কোথাওবা পড়েছে হালকা কুয়াশা। আজ শুক্রবারের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসেও সারা দেশে কুয়াশা পড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে গরমের অনুভূতিও আগের মতো থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৩ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে এবং আগামীকাল শনিবার সূর্যোদয় হবে ৬টা ৯ মিনিটে।

কার্তিক মাস বিদায় নিতে আর মাত্র দিন সাতেক বাকি। এরপর আসবে হেমন্তকাল। প্রকৃতিতেও লেগেছে হেমন্তের ছোঁয়া। দেশের কোথাও কোথাও পড়ছে হালকা শীত। কোথাওবা পড়েছে হালকা কুয়াশা। আজ শুক্রবারের আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসেও সারা দেশে কুয়াশা পড়ার বার্তা দেওয়া হয়েছে।
সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, আজ সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তবে দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
এদিকে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আজ সকাল ৭টা থেকে পরবর্তী ৬ ঘণ্টার পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারা দিন আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। উত্তর ও উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। সেই সঙ্গে গরমের অনুভূতিও আগের মতো থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের এই পূর্বাভাসে আরও জানানো হয়, আজ সকাল ৬টায় ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আর্দ্রতার পরিমাণ ৯৩ শতাংশ। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং আজকের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় কোনো বৃষ্টি হয়নি।
আজ ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে এবং আগামীকাল শনিবার সূর্যোদয় হবে ৬টা ৯ মিনিটে।

ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৫ এপ্রিল ২০২৪
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
২ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ১১টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৭৭, যা গতকাল ছিল ১১১। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ৮ম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১৭তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৫৯৭, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের কলকাতা, চীনের বেইজিং, ইরাকের বাগদাদ ও চীনের উহান। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২২৮, ২১৩, ১৯৪ ও ১৮৭।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ১১টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১৭৭, যা গতকাল ছিল ১১১। বায়ুদূষণের শীর্ষ শহরগুলোর তালিকায় আজ ৮ম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১৭তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের দিল্লির বায়ুমান আজ ৫৯৭, যা দুর্যোগপূর্ণ বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো— ভারতের কলকাতা, চীনের বেইজিং, ইরাকের বাগদাদ ও চীনের উহান। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২২৮, ২১৩, ১৯৪ ও ১৮৭।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউ এয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১-১৫০ এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতি বছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৫ এপ্রিল ২০২৪
দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
২ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাজধানী ঢাকার আকাশে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। আকাশ হালকা মেঘে ঢাকা। আজ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া এমনই মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে তাপমাত্রা কমবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৮ মিনিটে।
এদিকে সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

রাজধানী ঢাকার আকাশে আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সূর্যের দেখা নেই। আকাশ হালকা মেঘে ঢাকা। আজ দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া এমনই মেঘলা থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে তাপমাত্রা কমবে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর আজ সকাল ৭টার পূর্বাভাসে জানিয়েছে, ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
আজ সকাল ৬টায় ঢাকার তাপমাত্রা ছিল ২৫ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৮৭ শতাংশ। আজকে ঢাকায় সূর্যাস্ত ৫টা ১৬ মিনিটে। আগামীকাল সূর্যোদয় ৬টা ৮ মিনিটে।
এদিকে সারা দেশের আজকের পূর্বাভাসে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে ভারী বর্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলেও অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে এবং দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।

ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৫ এপ্রিল ২০২৪
দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
২ দিন আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ শিশু ও বৃদ্ধদের মতো সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১১১, যা গতকাল ছিল ১০৫। দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় আজ ১৭তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১১তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের কলকাতা শহরটির বায়ুমান আজ ২৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং ও মিসরের কায়রো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২১৪, ২০৭, ১৯৩ ও ১৮১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বুধবার এই তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের কলকাতা। শহরটির অবস্থা আজ খুব অস্বাস্থ্যকর। আজ ঢাকার বাতাসেও দূষণ কিছুটা বেড়েছে। ঢাকার বাতাস আজ শিশু ও বৃদ্ধদের মতো সংবেদনশীল মানুষের জন্য অস্বাস্থ্যকর।
বায়ুমান নিয়ে কাজ করা সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ সকাল ৮টা ৫০ মিনিটের রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ১১১, যা গতকাল ছিল ১০৫। দূষিত বায়ুর শহরগুলোর তালিকায় আজ ১৭তম স্থানে আছে ঢাকা, গতকাল ছিল ১১তম স্থানে।
বায়ুদূষণের শীর্ষে থাকা ভারতের কলকাতা শহরটির বায়ুমান আজ ২৬৭, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। শীর্ষ পাঁচে থাকা অন্য শহরগুলো হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, ভারতের দিল্লি, চীনের বেইজিং ও মিসরের কায়রো। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে ২১৪, ২০৭, ১৯৩ ও ১৮১।
বাতাসের গুণমান সূচকের (একিউআই) মাধ্যমে দূষণের মাত্রা নির্ধারণ করে নিয়মিত বায়ু পরিস্থিতি তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। তাদের তালিকার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকার বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণাই দূষণের প্রধান উৎস। বেশি মাত্রার দূষণ শ্বাসতন্ত্রের রোগ, হৃদ্রোগ এবং দীর্ঘ মেয়াদে ক্যানসারের মতো মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
বৈশ্বিক মানদণ্ড অনুযায়ী, বায়ুমান সূচক ৫০-এর নিচে থাকলে বিশুদ্ধ বাতাস ধরা হয়। ৫১-১০০ হলে তা সহনীয়। ১০১ থেকে ১৫০-এর মধ্যে হলে সতর্কতামূলক বা সংবেদনশীল মানুষের (শিশু ও বয়স্ক ব্যক্তি) জন্য অস্বাস্থ্যকর। ১৫১-২০০ হলে সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর এবং সূচক ২০১ থেকে ৩০০ হলে বাতাসকে খুব অস্বাস্থ্যকর বলা হয়। আর সূচক ৩০০ ছাড়ালে সেই বাতাস দুর্যোগপূর্ণ।
বায়ুদূষণজনিত স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রতিবছর বহু মানুষ মারা যায়। জীবাশ্ম জ্বালানি থেকে বায়ুদূষণ প্রতিবছর বিশ্বব্যাপী ৫২ লাখ মানুষের মৃত্যুর কারণ বলে ২০২৩ সালের নভেম্বরে ব্রিটিশ মেডিকেল জার্নালে (বিএমজে) প্রকাশিত একটি সমীক্ষায় তুলে ধরা হয়।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, গৃহস্থালি ও পারিপার্শ্বিক বায়ুদূষণের সম্মিলিত প্রভাবে বছরে ৬৭ লাখ মানুষ মারা যায়।
দীর্ঘদিন ঢাকার বাতাস অতিমাত্রায় দূষিত হওয়ায় বাইরে বের হলে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এ ছাড়া সংবেদনশীল ব্যক্তিদের অতি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না যাওয়ার অনুরোধও করা হয়েছে।
পাশাপাশি ইটভাটা, শিল্পকারখানার মালিক এবং সাধারণ মানুষকে কঠিন বর্জ্য পোড়ানো বন্ধ রাখা, নির্মাণস্থলে ছাউনি ও বেষ্টনী স্থাপন করা, নির্মাণসামগ্রী ঢেকে রাখা, নির্মাণসামগ্রী পরিবহনের সময় ট্রাক বা লরি ঢেকে নেওয়া, নির্মাণস্থলের আশপাশে দিনে অন্তত দুবার পানি ছিটানো এবং পুরোনো ও ধোঁয়া তৈরি করা যানবাহন রাস্তায় বের না করতে বলা হয়েছে।

ঢাকার গুলিস্তান থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দূরত্ব প্রায় ৩১ কিলোমিটার। আর যদি গাবতলী থেকে ধরা হয়, তবে দূরত্ব ১৯ কিলোমিটারের কিছু বেশি। এটুকু দূরত্বেই গড় তাপমাত্রার ব্যবধান ২ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
২৫ এপ্রিল ২০২৪
দেশের অন্যান্য অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে মধ্যরাত থেকে ভোরের দিকে সারা দেশের কোথাও কোথাও হালকা থেকে মাঝারি ধরনের কুয়াশা পড়তে পারে।
১৬ ঘণ্টা আগে
শুষ্ক মৌসুমের শুরু থেকেই ভারত উপমহাদেশের তিন প্রতিবেশী দেশ পাকিস্তান, ভারত ও বাংলাদেশের প্রধান প্রধান শহরগুলো বিশ্বের দূষিত শহর তালিকায় শুরুর দশের মধ্যে অবস্থান করছে। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার এ তালিকায় শীর্ষে আছে ভারতের দিল্লি। শহরটির অবস্থা আজ দুর্যোগপূর্ণ।
২ দিন আগে
ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের আকাশ দুপুর পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে মেঘলা থাকতে পারে। তবে আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ সময় উত্তর অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৫ থেকে ১০ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যেতে পারে। দিনের তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
২ দিন আগে