গত সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে হঠাৎ লাইভে আসেন সাদিয়া আয়মান। বিধ্বস্ত চেহারা, চোখমুখে আতঙ্কের ছাপ। সমস্যাটা গুরুতর। কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানালেন, গত কয়েকদিন ধরে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হচ্ছে তাঁর। এক অশরীরি সাদিয়ার পিছু নিয়েছে। যেখানেই যাচ্ছেন, কালো পোশাকে ঢাকা এক ব্যক্তি অনুসরণ করছে তাঁকে।
এক রাতে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে শুটিং শেষে বাসায় ফিরছিলেন। হঠাৎ সাদিয়ার গাড়ির সামনে এসে পথ আটকায় কালো পোশাকে মোড়া ওই ব্যক্তি। এরপরই গায়েব। সাদিয়া বলেন, ‘হঠাৎ করে একটা মানুষ আমার গাড়ির সামনে চলে আসে। আমার গাড়ি থামায়। এরপর সে মানুষটা কোথায়? দিস ইজ মাই কোয়েশ্চেন। আমার ড্রাইভার ও আমি কোনোমতে ওখান থেকে চলে আসছি। এরপর থেকে ট্রমা কাজ করছে আমার। একা থাকতে পারছি না। সাফোকেশন হচ্ছে।’
এর আগের রাতেও নাকি একই ঘটনা ঘটেছে সাদিয়ার সঙ্গে। ওই মুহূর্তের বর্ণনা দিয়ে সাদিয়া বলেন, ‘বাসায় আসার পথে এ রকম একজনকে দেখেছি। আমি জানি না ওটা মানুষ না অন্য কিছু! অনেক দ্রুত হাঁটে। আমি জাস্ট তাকাতেই চলে গেল।’
ঘটনার এখানেই শেষ নয়। যে রাতে লাইভে আসেন সাদিয়া, তার কিছুক্ষণ আগেই নাকি এ রকম ঘটনা আরেকবার ঘটেছে। রাতে বাসায় ঢোকার সময় গেটের বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে ছিল কালো পোশাকে ঢাকা ব্যক্তিটি। দৌড়ে বাসায় ঢুকে যান সাদিয়া। অভিনেত্রী বলেন, ‘এরপর যখন বাসায় আছি, চেক করার জন্য বারান্দায় যাই, জাস্ট কিছুক্ষণ আগেই। বারান্দায় গিয়ে আমি দেখি, সেম ব্যক্তিটি দাঁড়িয়ে আছে নিচে। আমার বারান্দার দিকে তাকিয়ে আছে।’
এটুকু বলে সাদিয়া সবাইকে দেখানোর জন্য বারান্দায় যান। তাঁর ক্যামেরায় দেখা যায়, খানিকটা দূরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে কালো পোশাকে ঢাকা এক ব্যক্তি। সাদিয়া আরও ভয় পেয়ে যান। কয়েকবার চিৎকার করে লোকটাকে ডাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাড়া পাওয়া যায় না। এক পর্যায়ে বারান্দার দরজা লাগিয়ে রুমে চলে আসেন সাদিয়া আয়মান। এ সময়ও তাঁর লাইভটি চলছিল। লাইভ চলাকালীন হঠাৎ আঁতকে ওঠেন অভিনেত্রী। এক পর্যায়ে ‘ও মাই গড’, ‘ও মাই গড’ বলতে বলতে লাইভটি কেটে দেন।
সাদিয়া আয়মানের লাইভ শেষ হতেই ভক্তদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুশ্চিন্তায় একের পর এক স্ট্যাটাস দিতে শুরু করেন ভক্তরা। সবাই ধারণা করে নেন, সাদিয়ার সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটেছে। তবে এর কিছুক্ষণ পর ফেসবুক থেকে লাইভটি সরিয়ে নেন সাদিয়া আয়মান। ঘণ্টাখানেক বাদে একটি ওয়েব ফিল্মের পোস্টার শেয়ার করেন তিনি। ‘বিভাবরী’ নামের ওই ফিল্মে অভিনয় করেছেন সাদিয়া আয়মান। জানা যায়, ভৌতিক গল্পের এ কনটেন্টের প্রচারের জন্য এত কিছু করেছেন অভিনেত্রী!
এ তথ্য জানার পর অনেকেই সাদিয়ার সমালোচনা শুরু করেন। সিনেমার প্রচারের জন্য এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো কতটা নৈতিক, সে প্রশ্নও তোলেন অনেকে। একজন লিখেছেন, ‘প্রচারণার জন্য এই ধরনের কাজ মোটেও কাম্য নয়।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘প্রমোশনের জন্য এ রকম জঘন্য কাজ না করলেও পারতেন আপু। লাইভটা দেখার সময় ট্রমাটাইজড হয়ে গিয়েছিলাম।’ কেউ কেউ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘ইদানীং প্রোমোশন এত সস্তা কেন হয়ে যাচ্ছে?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এর পর সত্যি সত্যি এমন কিছু হলে, তখন কি মানুষ বিশ্বাস করবে আপনাকে?’
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়ে পিছু হটেছেন সাদিয়া আয়মান। নিজের ফেসবুক পেজ ডিঅ্যাকটিভ করে রেখেছেন। বুঝতে পেরেছেন, তাঁর প্রচারের কৌশল ভক্তদের মনে আঘাত দিয়েছে।
গণমাধ্যমে সাদিয়া আয়মান বলেন, ‘এরকম কোনো কাজ আমার আদর্শের সঙ্গে যায় না। তবুও প্রোডাকশন হাউজের অনুরোধে কাজটা করতে হয়েছে। যখন বুঝতে পারলাম, পুরো বিষয়টি আমার ভক্তদের আঘাত করেছে, এরপর থেকে নিজের কাছেই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে, কাজটা করার আগে আমার অন্তত দশবার ভাবা উচিত ছিল।’
সাদিয়া আরও বলেন, ‘আমি জানি, এ ঘটনায় অনেক মানুষের ভালোবাসা হারিয়ে ফেলেছি। তবে আমি বিশ্বাস করি, নিজের কাজ দিয়ে আবারও সবার ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে পারব। আমার ছোট ক্যারিয়ারে এমন ভুল এর আগে হয়নি। জীবনেও এই ভুল আর করব না।’
গত সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে নিজের ফেসবুক পেজ থেকে হঠাৎ লাইভে আসেন সাদিয়া আয়মান। বিধ্বস্ত চেহারা, চোখমুখে আতঙ্কের ছাপ। সমস্যাটা গুরুতর। কান্নাজড়িত কণ্ঠে জানালেন, গত কয়েকদিন ধরে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা হচ্ছে তাঁর। এক অশরীরি সাদিয়ার পিছু নিয়েছে। যেখানেই যাচ্ছেন, কালো পোশাকে ঢাকা এক ব্যক্তি অনুসরণ করছে তাঁকে।
এক রাতে উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে শুটিং শেষে বাসায় ফিরছিলেন। হঠাৎ সাদিয়ার গাড়ির সামনে এসে পথ আটকায় কালো পোশাকে মোড়া ওই ব্যক্তি। এরপরই গায়েব। সাদিয়া বলেন, ‘হঠাৎ করে একটা মানুষ আমার গাড়ির সামনে চলে আসে। আমার গাড়ি থামায়। এরপর সে মানুষটা কোথায়? দিস ইজ মাই কোয়েশ্চেন। আমার ড্রাইভার ও আমি কোনোমতে ওখান থেকে চলে আসছি। এরপর থেকে ট্রমা কাজ করছে আমার। একা থাকতে পারছি না। সাফোকেশন হচ্ছে।’
এর আগের রাতেও নাকি একই ঘটনা ঘটেছে সাদিয়ার সঙ্গে। ওই মুহূর্তের বর্ণনা দিয়ে সাদিয়া বলেন, ‘বাসায় আসার পথে এ রকম একজনকে দেখেছি। আমি জানি না ওটা মানুষ না অন্য কিছু! অনেক দ্রুত হাঁটে। আমি জাস্ট তাকাতেই চলে গেল।’
ঘটনার এখানেই শেষ নয়। যে রাতে লাইভে আসেন সাদিয়া, তার কিছুক্ষণ আগেই নাকি এ রকম ঘটনা আরেকবার ঘটেছে। রাতে বাসায় ঢোকার সময় গেটের বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে ছিল কালো পোশাকে ঢাকা ব্যক্তিটি। দৌড়ে বাসায় ঢুকে যান সাদিয়া। অভিনেত্রী বলেন, ‘এরপর যখন বাসায় আছি, চেক করার জন্য বারান্দায় যাই, জাস্ট কিছুক্ষণ আগেই। বারান্দায় গিয়ে আমি দেখি, সেম ব্যক্তিটি দাঁড়িয়ে আছে নিচে। আমার বারান্দার দিকে তাকিয়ে আছে।’
এটুকু বলে সাদিয়া সবাইকে দেখানোর জন্য বারান্দায় যান। তাঁর ক্যামেরায় দেখা যায়, খানিকটা দূরে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে কালো পোশাকে ঢাকা এক ব্যক্তি। সাদিয়া আরও ভয় পেয়ে যান। কয়েকবার চিৎকার করে লোকটাকে ডাকার চেষ্টা করেন। কিন্তু সাড়া পাওয়া যায় না। এক পর্যায়ে বারান্দার দরজা লাগিয়ে রুমে চলে আসেন সাদিয়া আয়মান। এ সময়ও তাঁর লাইভটি চলছিল। লাইভ চলাকালীন হঠাৎ আঁতকে ওঠেন অভিনেত্রী। এক পর্যায়ে ‘ও মাই গড’, ‘ও মাই গড’ বলতে বলতে লাইভটি কেটে দেন।
সাদিয়া আয়মানের লাইভ শেষ হতেই ভক্তদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুশ্চিন্তায় একের পর এক স্ট্যাটাস দিতে শুরু করেন ভক্তরা। সবাই ধারণা করে নেন, সাদিয়ার সঙ্গে খারাপ কিছু ঘটেছে। তবে এর কিছুক্ষণ পর ফেসবুক থেকে লাইভটি সরিয়ে নেন সাদিয়া আয়মান। ঘণ্টাখানেক বাদে একটি ওয়েব ফিল্মের পোস্টার শেয়ার করেন তিনি। ‘বিভাবরী’ নামের ওই ফিল্মে অভিনয় করেছেন সাদিয়া আয়মান। জানা যায়, ভৌতিক গল্পের এ কনটেন্টের প্রচারের জন্য এত কিছু করেছেন অভিনেত্রী!
এ তথ্য জানার পর অনেকেই সাদিয়ার সমালোচনা শুরু করেন। সিনেমার প্রচারের জন্য এ ধরনের বিভ্রান্তি ছড়ানো কতটা নৈতিক, সে প্রশ্নও তোলেন অনেকে। একজন লিখেছেন, ‘প্রচারণার জন্য এই ধরনের কাজ মোটেও কাম্য নয়।’ অন্য একজন লিখেছেন, ‘প্রমোশনের জন্য এ রকম জঘন্য কাজ না করলেও পারতেন আপু। লাইভটা দেখার সময় ট্রমাটাইজড হয়ে গিয়েছিলাম।’ কেউ কেউ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছেন, ‘ইদানীং প্রোমোশন এত সস্তা কেন হয়ে যাচ্ছে?’ আরেকজন লিখেছেন, ‘এর পর সত্যি সত্যি এমন কিছু হলে, তখন কি মানুষ বিশ্বাস করবে আপনাকে?’
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়ে পিছু হটেছেন সাদিয়া আয়মান। নিজের ফেসবুক পেজ ডিঅ্যাকটিভ করে রেখেছেন। বুঝতে পেরেছেন, তাঁর প্রচারের কৌশল ভক্তদের মনে আঘাত দিয়েছে।
গণমাধ্যমে সাদিয়া আয়মান বলেন, ‘এরকম কোনো কাজ আমার আদর্শের সঙ্গে যায় না। তবুও প্রোডাকশন হাউজের অনুরোধে কাজটা করতে হয়েছে। যখন বুঝতে পারলাম, পুরো বিষয়টি আমার ভক্তদের আঘাত করেছে, এরপর থেকে নিজের কাছেই খারাপ লাগছে। মনে হচ্ছে, কাজটা করার আগে আমার অন্তত দশবার ভাবা উচিত ছিল।’
সাদিয়া আরও বলেন, ‘আমি জানি, এ ঘটনায় অনেক মানুষের ভালোবাসা হারিয়ে ফেলেছি। তবে আমি বিশ্বাস করি, নিজের কাজ দিয়ে আবারও সবার ভালোবাসা ফিরিয়ে আনতে পারব। আমার ছোট ক্যারিয়ারে এমন ভুল এর আগে হয়নি। জীবনেও এই ভুল আর করব না।’
গ্লাসগোর রাস্তায় শুটিং দেখতে জড়ো হয়েছেন অনেকে। ভক্তদের উদ্দেশে হাত নাড়ছেন হল্যান্ড। তাঁদের সঙ্গে কথা বলছেন। ছবি তুলছেন। স্পাইডার-ম্যানের পোশাক পরা এক শিশুকে কাছে টেনে নেন তিনি।
১২ ঘণ্টা আগেঅভিনেত্রী ভূমি পেডনেকারও শুরু করলেন নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। তবে খানিকটা ভিন্ন পথে হেঁটেছেন। মিনারেল ওয়াটারের ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। এ উদ্যোগে ভূমির সঙ্গে আছেন তাঁর বোন সমীক্ষা পেডনেকার।
১৫ ঘণ্টা আগেসেই দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় যাতে প্রেমিকাকে বারবার জড়িয়ে ধরতে পারেন ধর্মেন্দ্র, সেই ব্যবস্থা করেছিলেন। স্পটবয়দের প্রত্যেককে ২০ রুপি দিয়ে বলেছিলেন, শটটি কোনো না কোনোভাবে বারবার ভেস্তে দিতে; যাতে বারবার রিটেকের প্রয়োজন হয়।
১৭ ঘণ্টা আগেব্যক্তিগত বিষয় আড়ালে রাখতেই পছন্দ করেন অভিনেত্রী জয়া আহসান। সিনেমা, সমাজ, পরিবেশ, সংস্কৃতি—নানা বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সাক্ষাৎকার দিলেও, ব্যক্তিগত প্রসঙ্গ তিনি সব সময় এড়িয়ে যান। তবে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জয়া জানালেন, দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্কে আছেন তিনি।
২০ ঘণ্টা আগে