ইন্দ্রমোহন রাজবংশী বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধনী আসরের রিহার্সালের সময় মাথা ঘুরে পড়ে যান। সেই থেকেই তিনি অসুস্থ। অবশেষে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তাকে হারানোর ক্ষতি পূরণ হবে না। ইন্দ্রমোহন রাজবংশী আমার বন্ধু। তার মৃত্যুতে খুব ঘনিষ্ঠ একজনকে হারালাম।
ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর জন্ম ঢাকায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিজের নাম পরিচয় গোপন করে পাকিস্তানিদের দোভাষী হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে চলে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এই কিংবদন্তি। তার পরিবারের পাঁচ পুরুষ সংগীতের সঙ্গে যুক্ত। সংগীত কলেজে লোকসংগীত বিভাগের প্রধান হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন পাঠদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশ লোকসংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৬৭ সালে ‘চেনা অচেনা’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শুরু করেন।
রাজবংশী তার পিসেমশাইয়ের পরিচিত একজনকে ধরে ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি’ গানের শিল্পী অংশুমান রায়ের সঙ্গে বালিগঞ্জস্থ স্বাধীন বাংলা বেতারে যান জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে। এর পর থেকে গান গাওয়া, লেখা, সুর করা আর মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্পে ক্যাম্পে পণ্ডিত বারীন মুজমদারের দলের সঙ্গে বা এককভাবে অনুষ্ঠান করে দিন কাটতে থাকে তার। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত স্বধীন বাংলা বেতারে এককভাবে গাইতে পেরেছিলেন মোট তিনটি গান। একটির কথা ও সুর আবদুল লতিফ সাহেবের (এসো গাই দেশের জয়গান), একটি তার কথা ও সুরে (কে কে যাবি আয় রে চল যাই রে) ও একটি শিল্পী মুকসেদ আলী সাঁইয়ের সংগ্রহ করা (বিড়াল বলে মাছ খাব না)। অনেক সমবেত কণ্ঠের গানও গেয়েছেন তিনি।
তাঁর ‘কে কে যাবি আয় রে’ গানটি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনুষ্ঠান ‘অগ্নিশিখা’ প্রচার হওয়ার আগে প্রতিদিনই বাজত। দেশ স্বাধীন হলে আবারও কলকাতা থেকে রওনা হয়ে ১৯৭১ সালের ১৯ ডিসেম্বর নিজ গ্রামে মা-বাবা ও ভাই-বোনদের মাঝে ফিরে আসেন ইন্দ্রমোহন রাজবংশী।
অসংখ্য চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই কণ্ঠশিল্পী। ১৯৬৭ সালের শেষ দিকে কৌতুকাভিনেতা আনিস ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে খ্যাতিমান সংগীত পরিচালক সত্য সাহার বাসায় নিয়ে যান। এই শিল্পীর কণ্ঠ শুনে তিনি খুশি হন এবং পরের সপ্তাহেই যেতে বলেন। নির্ধারিত দিনে তার বাসায় গেলে তিনি গান তুলে দেন ‘তুই বন্ধুয়া কোন পিরিতে পরাণ নিলি কাড়ি/সোনার কন্যা ছাইড়া চলে সাধের বাপের বাড়ি’। এটি মাঝির গান। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কথায় চমৎকার সুর দেন সত্য সাহা। এরপর অসংখ্য গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ইন্দ্রমোহন।
ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর স্ত্রী দীপ্তি রাজবংশীও এখন শয্যাশায়ী। তার শারীরিক অবস্থা ভালো না। তাদের একমাত্র পুত্র দীপঙ্কর রাজবংশী থাকেন অস্ট্রেলিয়া ও মেয়ে সংগীতা রাজবংশী থাকেন জাপানে। তারা নিজেরাও লোকগানের সাথে যুক্ত।
ইন্দ্রমোহন রাজবংশী বঙ্গবন্ধু নবম বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধনী আসরের রিহার্সালের সময় মাথা ঘুরে পড়ে যান। সেই থেকেই তিনি অসুস্থ। অবশেষে আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন। তাকে হারানোর ক্ষতি পূরণ হবে না। ইন্দ্রমোহন রাজবংশী আমার বন্ধু। তার মৃত্যুতে খুব ঘনিষ্ঠ একজনকে হারালাম।
ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর জন্ম ঢাকায়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় নিজের নাম পরিচয় গোপন করে পাকিস্তানিদের দোভাষী হিসেবে কাজ করেছেন। পরবর্তীতে সেখান থেকে চলে এসে মুক্তিযোদ্ধাদের অনুপ্রেরণা দিতে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন এই কিংবদন্তি। তার পরিবারের পাঁচ পুরুষ সংগীতের সঙ্গে যুক্ত। সংগীত কলেজে লোকসংগীত বিভাগের প্রধান হিসেবে তিনি দীর্ঘদিন পাঠদান করেছেন। তিনি বাংলাদেশ লোকসংস্কৃতি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা। ১৯৬৭ সালে ‘চেনা অচেনা’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক শুরু করেন।
রাজবংশী তার পিসেমশাইয়ের পরিচিত একজনকে ধরে ‘শোনো একটি মুজিবরের থেকে লক্ষ মুজিবরের কণ্ঠস্বরের ধ্বনি প্রতিধ্বনি’ গানের শিল্পী অংশুমান রায়ের সঙ্গে বালিগঞ্জস্থ স্বাধীন বাংলা বেতারে যান জুন মাসের মাঝামাঝি সময়ে। এর পর থেকে গান গাওয়া, লেখা, সুর করা আর মুক্তিযুদ্ধের ক্যাম্পে ক্যাম্পে পণ্ডিত বারীন মুজমদারের দলের সঙ্গে বা এককভাবে অনুষ্ঠান করে দিন কাটতে থাকে তার। দেশ স্বাধীন হওয়ার আগ পর্যন্ত স্বধীন বাংলা বেতারে এককভাবে গাইতে পেরেছিলেন মোট তিনটি গান। একটির কথা ও সুর আবদুল লতিফ সাহেবের (এসো গাই দেশের জয়গান), একটি তার কথা ও সুরে (কে কে যাবি আয় রে চল যাই রে) ও একটি শিল্পী মুকসেদ আলী সাঁইয়ের সংগ্রহ করা (বিড়াল বলে মাছ খাব না)। অনেক সমবেত কণ্ঠের গানও গেয়েছেন তিনি।
তাঁর ‘কে কে যাবি আয় রে’ গানটি মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অনুষ্ঠান ‘অগ্নিশিখা’ প্রচার হওয়ার আগে প্রতিদিনই বাজত। দেশ স্বাধীন হলে আবারও কলকাতা থেকে রওনা হয়ে ১৯৭১ সালের ১৯ ডিসেম্বর নিজ গ্রামে মা-বাবা ও ভাই-বোনদের মাঝে ফিরে আসেন ইন্দ্রমোহন রাজবংশী।
অসংখ্য চলচ্চিত্রেও গান গেয়েছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই কণ্ঠশিল্পী। ১৯৬৭ সালের শেষ দিকে কৌতুকাভিনেতা আনিস ইন্দ্রমোহন রাজবংশীকে খ্যাতিমান সংগীত পরিচালক সত্য সাহার বাসায় নিয়ে যান। এই শিল্পীর কণ্ঠ শুনে তিনি খুশি হন এবং পরের সপ্তাহেই যেতে বলেন। নির্ধারিত দিনে তার বাসায় গেলে তিনি গান তুলে দেন ‘তুই বন্ধুয়া কোন পিরিতে পরাণ নিলি কাড়ি/সোনার কন্যা ছাইড়া চলে সাধের বাপের বাড়ি’। এটি মাঝির গান। গাজী মাজহারুল আনোয়ারের কথায় চমৎকার সুর দেন সত্য সাহা। এরপর অসংখ্য গানে কণ্ঠ দিয়েছেন ইন্দ্রমোহন।
ইন্দ্রমোহন রাজবংশীর স্ত্রী দীপ্তি রাজবংশীও এখন শয্যাশায়ী। তার শারীরিক অবস্থা ভালো না। তাদের একমাত্র পুত্র দীপঙ্কর রাজবংশী থাকেন অস্ট্রেলিয়া ও মেয়ে সংগীতা রাজবংশী থাকেন জাপানে। তারা নিজেরাও লোকগানের সাথে যুক্ত।
ভারতের প্রখ্যাত চলচ্চিত্র প্রযোজক বনি কাপুর প্রয়াত স্ত্রী ও অভিনেত্রী শ্রীদেবীর চেন্নাইয়ের সম্পত্তি নিয়ে আইনি লড়াইয়ে নেমেছেন। ওই জমির ওপর অবৈধ মালিকানা দাবি করছেন অভিযোগ করে অন্তত তিনজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে তিনি মাদ্রাজ হাইকোর্টে মামলা করেছেন।
৭ ঘণ্টা আগেতিনি আগে কখনোই ঢাকায় আসেননি। বান্দরবানে যেখানে ওনার বাড়ি সেখান থেকে বান্দরবান শহরে আসতেও প্রায় এক দিন লাগে। ওনার বয়স ৬০-এর বেশি। তাঁকে ঢাকায় নিয়ে এসেছিলেন তাঁর মেয়ে। তিনিও প্রথম ঢাকায় এলেন। মণিপুরি ঢোলের পুং গ্রুপটার খবর দিয়েছে আমার স্ত্রী।
১৭ ঘণ্টা আগেঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর নতুন সিনেমা ‘বেলা’। বেলা দের এই বায়োপিকে ঋতুপর্ণা অভিনয় করেছেন কেন্দ্রীয় চরিত্রে। কে এই বেলা দে? আকাশবাণী কলকাতার বিশিষ্ট সঞ্চালিকা, নির্দেশক ও লেখিকা। হাজারো নারীর অনুপ্রেরণা তিনি। বাঙালি নারীদের স্বাধীনতা আর স্বীকৃতির জন্য যাঁরা লড়াই করেছেন, তাঁদের মধ্যে একেবারে প্রথম সারির
১৮ ঘণ্টা আগেপারিবারিক সম্পর্কের ভাঙাগড়া, ভালোবাসা আর ত্যাগের গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে নাটক ‘দেয়াল’। শফিক রিয়ানের চিত্রনাট্যে নাটকটি পরিচালনা করেছেন আনিসুর রহমান রাজীব। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন পার্থ শেখ, নওবা তাহিয়া, শহীদুজ্জামান সেলিম, মনিরা মিঠু প্রমুখ। আনিসুর রহমান রাজীব বলেন, ‘গল্পটা একেবারেই আমাদের চার
১৮ ঘণ্টা আগে