Ajker Patrika
সাক্ষাৎকার

শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে পুরো গানে হাশিম ভাইকে রাখা হয়নি

ইমন চৌধুরী। ছবি: সংগৃহীত

হাশিম মাহমুদের ‘বাজি’ গান দিয়ে এক বছরের বেশি সময় পর ফিরেছে কোক স্টুডিও বাংলা। সংগীতায়োজনের পাশাপাশি হাশিম মাহমুদের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন ইমন চৌধুরী। এই গানের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলের বৈচিত্র্যময় লোকজ সংগীত, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বাদ্যযন্ত্রের মাধুর্য এবং লোকশিল্পকে তুলে ধরেছেন ইমন। তাঁর সঙ্গে কথা বলেছেন শিহাব আহমেদ

শিহাব আহমেদ 

বাজি গানের সৃষ্টির গল্পটা জানতে চাই।

২০২৩ সাল থেকে ভাবছিলাম এমন একটা গান করব যেখানে সমতল, সমুদ্র, পাহাড়, নদীপারের মানুষকে একত্র করা যায়। যেটা দেখে সবাই বুঝতে পারবে এটা বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি। তখন আমার মনে হলো হাশিম ভাইয়ের বাজি গানটি পারফেক্ট। এখানে পুরো ব্যাপারটাই আছে, যেখানে সবাইকে একসঙ্গে দেখানো যাবে।

সবাইকে একসঙ্গে করা কতটা চ্যালেঞ্জিং ছিল?

চ্যালেঞ্জ তো ছিলই। তবে, ভালোবেসে করলে প্রকৃতিও সহায়তা করে। মারমা ভাষায় যিনি গেয়েছেন ম্রাকোইচিং মারমা। তাঁকে যুক্ত করার পেছনেও একটা গল্প আছে। আমরা চিন্তা করছিলাম গানের শুরুটা কীভাবে হবে। প্রথমে ভাবলাম বম জনগোষ্ঠীর ব্যাম্বো ড্যান্স দিয়ে বাঁশের তালে তালে শুরু করব। আবার এমন কিছুও চাইছিলাম যেটা আমাদের দেশে আগে হয়নি, ‘কথা কইয়ো না’তে যেমন আমরা ব্যবহার করেছিলাম পাতার বাঁশি। আমরা খুঁজে পেলাম আমাদের নানিকে। তাঁর খবর দিয়েছিলেন অর্ণব ভাই। একই দিনে বংশীবাদক কিয়ো উ প্রু মারমা ওনার কথা বললেন। আমি দেখলাম তাঁর গানের ভাবার্থ আমাদের গানের সঙ্গে মিলে যায়। এটাকে পাহাড়ের পুঁথি বলা হয়। এখন এটা একদমই হারিয়ে গেছে। ওনার কণ্ঠটাও ম্যাজিক্যাল মনে হলো। মনস্থির করলাম যেভাবেই হোক তাঁকে আমাদের লাগবে। তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। উনিও রাজি হলেন।

তিনি কি ঢাকায় থাকেন?

তিনি আগে কখনোই ঢাকায় আসেননি। বান্দরবানে যেখানে ওনার বাড়ি সেখান থেকে বান্দরবান শহরে আসতেও প্রায় এক দিন লাগে। ওনার বয়স ৬০-এর বেশি। তাঁকে ঢাকায় নিয়ে এসেছিলেন তাঁর মেয়ে। তিনিও প্রথম ঢাকায় এলেন। মণিপুরি ঢোলের পুং গ্রুপটার খবর দিয়েছে আমার স্ত্রী। ওরা যে বাংলাদেশের, এটা আমিও বুঝি নাই। আমার স্ত্রী আমাকে ওদের একটা শোয়ের ভিডিও দেখায়। ঢোল বাজিয়ে ড্যান্স করে, দারুণ লাগে। ভেবেছিলাম ওরা ভারত থেকে এসেছে। যখন জানলাম তারা বাংলাদেশের, সিদ্ধান্ত নিলাম তাঁরাও বাজি গানের অংশ হতে পারে। আর ধুয়ার গানের দল ঢাকা বিভাগ বা আশপাশের জেলার। তাদের কথা জেনেছি আব্বুর কাছ থেকে। ২০২৩ সালে উনি আমাকে একটি ভিডিও পাঠিয়ে বলেন, দেখো তো কী সুন্দর! এরপর ধুয়া গান নিয়ে জানার চেষ্টা করি। প্রায় ১০০ বছর আগে থেকে চলে আসছে এই ঘরানা। কিন্তু এক্সপ্লোর করা হয়নি সেভাবে। তাই সিদ্ধান্ত নিলাম বাজিতে আমরা ধুয়া গান ব্যবহার করব।

জালাল উদ্দিন খাঁর লেখা গান থেকে সুর করে ধুয়া গানটি তৈরি হয়েছে। এই পরিকল্পনা কে করেছিলেন?

বাজি হলো কথা কইয়ো না গানের সিকুয়েল বা জবাব। কথা কইয়ো নার একটা অংশ নিয়েছিলাম মৈমনসিংহ গীতিকা থেকে। সেখানে মেয়েদের একটি দল গানটি করেছে। আর এখানে ছেলেদের একটি দল সেই কথার জবাব দিয়েছে। গানের কথা নিয়ে যখন চিন্তা করছিলাম, তখন জালাল উদ্দিন খাঁর লেখা কথাগুলো মনে ধরল। জালাল উদ্দিন খাঁর একটা বই আমার কাছে আছে। সেখান থেকে দুটি গানের পঙ্‌ক্তি মিলিয়ে ধুয়া গানের ঘরানায় সাজিয়েছি। অবশ্যই জালাল উদ্দিন খাঁর পরিবারের অনুমতি নিয়েই করা হয়েছে।

কোক স্টুডিওর দ্বিতীয় সিজনে এসেছিল কথা কইয়ো না, এবার বাজি। দুটি গানেই বেছে নিয়েছেন হাশিম মাহমুদকে। এর কারণ কী?

কথা কইয়ো না গানের সময়েই পরিকল্পনা ছিল সিকুয়েল করার। এর জার্নিটা পরিপূর্ণ করার। কথা কইয়ো না গানের জবাবে বাজি ধরার মধ্য দিয়ে শেষ হলো এই জার্নি।

হাশিম মাহমুদের লেখা আগের দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এরফান মৃধা শিবলু। এবার হাশিম মাহমুদকে নিয়েই বাজি গাইলেন আপনি। এই পরিকল্পনা কীভাবে হয়েছিল?

হাশিম ভাইয়ের ‘সাদা সাদা কালা কালা’ ও ‘কথা কইয়ো না’ গান দুটি আমাদের অনেক কিছু দিয়েছে। খুব করে চাইছিলাম উনি আমাদের সঙ্গে সেটে থাকুন। কথা কইয়ো নার সময়েই চেয়েছিলাম ওনাকে দিয়ে গাওয়াতে। কিন্তু তিনি অসুস্থ থাকায় সম্ভব হয়নি। এবার তাই মিস করতে চাইনি। কোনো একটা অংশে তিনি আমাদের সঙ্গে থাকবেন—এটা আগে থেকেই পরিকল্পনা হচ্ছিল। যেন তাঁকে সম্মান জানাতে পারি, এমন একটা প্ল্যাটফর্মের আর্কাইভে যেন তিনি থাকেন।

আগেই হাশিম মাহমুদের গলায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া গান বাজি। এমন পরিচিত গান নিয়ে ফিউশন করলে আগের গানের সঙ্গে তুলনা হয়। বিষয়টি মাথায় ছিল কি?

তুলনা হওয়াই স্বাভাবিক। একটা গানের মূল কারিগরের ভাইব তো কখনোই ফুলফিল করা সম্ভব না। কিন্তু এটাও ঠিক কোক স্টুডিও পুরোনো ও নতুনের মিশ্রণ। আমরা চেষ্টা করেছি নতুন প্রজন্মের মানুষেরাও যখন গানটি শুনবে, তারা যেন নতুন ভাইব পায়। আবার পুরোনো আবেগটাও যেন থাকে। আমি সব সময় ফিল করি ওল্ড ইজ গোল্ড। হাশিম ভাইয়ের আগের যে ভিডিওটির সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে, সেই গানের মুগ্ধতা থেকেই তো গানটি করা।

অনেকে বলছেন পুরো গানটি হাশিম মাহমুদকে দিয়ে গাওয়ালে ভালো হতো। দুজনে গাওয়ার বিষয়টা কি আগে থেকে পরিকল্পনা ছিল, নাকি অন্য কোনো সমস্যা ছিল?

একটা পুরো গান গাওয়ার মতো অবস্থা তাঁর নেই। এ রকম একটা গানে ব্যাপক মানুষের অংশগ্রহণ থাকে। একটা গল্প থাকে, পরিচালকের পরিকল্পনা থাকে, ক্লায়েন্টের পরিকল্পনা থাকে। সব মিলিয়ে একটা জার্নি থাকে। শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করেই পুরো গানে হাশিম ভাইকে রাখা হয়নি। এত বড় প্রোডাকশনে আমার একার চাওয়াতে কিছু হয় না। এটা একটা টিমওয়ার্ক। এখানে যে আমি গাইব সেটাও আমার চাওয়াতে হয়নি। নিজে গাওয়ার চেয়ে আমি সব সময় অন্যদের গাওয়াতে পছন্দ করি। সবার ইচ্ছা ছিল নতুন প্রজন্মের কাছে ফ্রেশ ভাইবে গানটি উপস্থাপন করার। আবার আমরা চাইছিলাম হাশিম ভাইকে সম্মানিত করতে। সেই সঙ্গে এটাও বিবেচনায় ছিল উনি অসুস্থ, আবার প্রোডাকশনেও যেন কোনো ব্যাঘাত না ঘটে। সব মিলিয়ে সবার সিদ্ধান্তে বিষয়গুলো চূড়ান্ত হয়েছে। আমরা পাহাড়, সমুদ্র ও সমতলের মানুষদের একত্র করতে চেয়েছি, হাশিম ভাইকে সম্মান দিতে চেয়েছি, সেটা পেরেছি।

কেউ কেউ বলছেন পাহাড়, সমুদ্র ও সমতলের এই মিশ্রণে আসল গানটির আবেদন খানিকটা হারিয়েছে। এই বিষয়ে আপনার কী মন্তব্য?

বাজি গানটি তো হাশিম মাহমুদের কণ্ঠে স্টুডিওতে কখনো রেকর্ডই হয়নি। এবার হলো। আগের ভিডিওটিতে হাশিম ভাই যে স্থানে এবং যে মুডে ছিলেন সেই ভাইবে গেয়েছেন। ওই গানের সঙ্গে এই গান কম্পেয়ার করার কোনো কারণই নেই।

হাশিম মাহমুদের গান নিয়ে আর কী পরিকল্পনা আছে?

আমরা তো হাশিম ভাইয়ের ভক্ত। তাঁর গানগুলো মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে আরও কাজ করতে চাই। তবে ওনাকে অসম্মান করে নয়, যেভাবে এখন পর্যন্ত সবার সামনে উপস্থাপন করেছি, এভাবে করতে পারলে করব।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শুরু হচ্ছে তারকাবহুল ‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার শুটিং

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা (সর্ববাঁয়ে) ও অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
‘বনলতা এক্সপ্রেস’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনে নির্মাতা (সর্ববাঁয়ে) ও অভিনয়শিল্পীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

চার্লস ডিকেন্সের ‘আ ক্রিসমাস ক্যারল’ অবলম্বনে তানিম নূর বানিয়েছিলেন ‘উৎসব’। এবার হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাস অবলম্বনে সিনেমা নির্মাণ করছেন তিনি। নাম ‘বনলতা এক্সপ্রেস’। আগেই জানা গিয়েছিল, এতে অভিনয় করবেন মোশাররফ করিম, চঞ্চল চৌধুরী, শরিফুল রাজ ও সাবিলা নূর। গতকাল আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলো অভিনয়শিল্পীদের। এতে আরও আছেন আজমেরি হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ইন্তেখাব দিনার ও শ্যামল মাওলা।

হুমায়ূন আহমেদের ‘কিছুক্ষণ’ উপন্যাসে অসুস্থ মামাকে দেখতে ট্রেনে করে দিনাজপুর যাচ্ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী চিত্রা। তার সেই ট্রেন জার্নির অভিজ্ঞতা নিয়েই এগিয়ে যায় কাহিনি। নির্মাতা সেই গল্পই পর্দায় তুলে ধরবেন, তবে সিনেমার প্রয়োজনে থাকবে কিছু সংযোজন-পরিমার্জন। থাকবে নতুন চমক। তবে কী সেই চমক, তা জানা যাবে বনলতা এক্সপ্রেস মুক্তির পর। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, আগামীকাল থেকে ঢাকায় শুরু হবে শুটিং। চিত্রা চরিত্রে থাকছেন সাবিলা নূর। আগামী রোজার ঈদে মুক্তি পাবে সিনেমাটি।

পারিবারিক গল্পের উৎসব সিনেমায় অভিনয় করেছেন একঝাঁক তারকা। এবারও তারকাসমৃদ্ধ পারিবারিক গল্পের সিনেমা দিয়ে দর্শকের সামনে আসার পরিকল্পনা নির্মাতার। বনলতা এক্সপ্রেস প্রসঙ্গে নির্মাতা তানিম নূর বলেন, ‘উৎসব শেষ করার পর নতুন সিনেমা নিয়ে যখন পরিকল্পনা করছিলাম, অনেকে পরামর্শ দিল আরেকটা পারিবারিক গল্প নিয়ে কাজ করতে। তখন ভাবলাম, হুমায়ূন আহমেদের কোনো গল্প নিয়ে কাজ করা যায়। সেই ভাবনা থেকেই কিছুক্ষণ উপন্যাস নিয়ে বনলতা এক্সপ্রেস নির্মাণের প্রস্তুতি শুরু।’

অভিনেতা মোশাররফ করিম বলেন, ‘চরিত্রের প্রেমে পড়েই এই সিনেমায় যুক্ত হওয়া। সিনেমার চিত্রনাট্য ও সংলাপ দারুণ লেগেছে। এ ছাড়া হুমায়ূন আহমেদের উপন্যাসটি আমার পড়া, সেটার প্রতিও ভালো লাগা আছে। বনলতা এক্সপ্রেসে আমার সহশিল্পী যাঁরা আছেন, তাঁরা আমার অনেক দিনের সঙ্গী। সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় আছি।’

চঞ্চল চৌধুরী বলেন, ‘তানিম নূরের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা থেকে বলছি, সিনেমাটি সবার ভালো লাগবে। হুমায়ূন আহমেদের গল্প থেকে সিনেমা এই বিষয়টি যেমন দর্শকের আলাদা আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। তেমনি অভিনেতা হিসেবে আমরাও একটি ভালো সিনেমার অংশ হতে অধীর হয়ে আছি।’

আজমেরী হক বাঁধন বলেন, ‘এই সিনেমার নির্মাতা ও সহশিল্পীরা আমার ভীষণ পছন্দের। তানিম নূর যখন এই চরিত্রের কথা বলল, তখন আমার মেয়ে বলেছে, তুমি এটি করো। কারণ আমাকে নাকি সব সময় সিরিয়াস আর অবসাদগ্রস্ত চরিত্রে দেখা যায়। আর হুমায়ূন আহমেদ যে আমার কত পছন্দের, সেটা সবাই জানে। অনেক বছর পর তাঁর গল্পে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। এটা আমার কাছে বিশেষ কিছু।’

জাকিয়া বারী মম বলেন, ‘বনলতা এক্সপ্রেসে উঠে পড়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে, এর ড্রাইভার তানিম নূর। এ ছাড়া যাত্রাপথে সহযাত্রীরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এখানে আমার সহযাত্রীরা সবাই দুর্দান্ত। আশা করি দারুণ একটি যাত্রা হবে আমাদের।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিজয় দিবসের আয়োজন

৬ ইয়াং স্টারকে নিয়ে ৩ বিচারকের গান

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

২০২৩ সালে আরটিভি ইয়াং স্টার প্রতিযোগিতার বিচারক ছিলেন গীতিকার কবির বকুল, সুরকার ইমন সাহা ও কণ্ঠশিল্পী সানিয়া সুলতানা লিজা। বিচারকের আসনে বসে তাঁরা বলেছিলেন প্রতিযোগিতার শীর্ষ শিল্পীদের সুযোগ করে দিতে কাজ করবেন, তাদের নিয়ে গান বানাবেন। কথামতো সেই প্রতিযোগিতার শীর্ষ দশের ছয় প্রতিযোগীকে নিয়ে গান বানালেন তাঁরা। বিজয় দিবস উপলক্ষে তৈরি গানটি আজ বিকেল ৫টা ৩০ মিনিটে লিজার ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হবে। ‘আমরা সবাই বাংলাদেশ’ শিরোনামের গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন লিজা এবং ইয়াং স্টার ২০২৩-এর জাহিদ অন্তু, অনিক, অরিন্দল, আদিবা, অঙ্কিতা ও দীপান্বিতা। সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন ইমন সাহা। ‘আমার মুখে বাংলাদেশ, আমার বুকে বাংলাদেশ, সুখে দুঃখে আমার বাংলাদেশ... আমরা সবাই বাংলাদেশ’—এমন কথায় গানটি লিখেছেন কবির বকুল।

আমরা সবাই বাংলাদেশ গানটির সার্বিক আয়োজন ও প্রযোজনা করেছেন লিজা। গানের ভিডিও নির্দেশনা দিয়েছেন রাজ বিশ্বাস শংকর। শুটিং হয়েছে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দি উদ্যান, শিখা চিরন্তনসহ বিভিন্ন লোকেশনে।

কবির বকুল বলেন, ‘মূলত গানটির উদ্যোক্তা কণ্ঠশিল্পী লিজা। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করেছি সুন্দর একটি দেশের গান উপহার দেওয়ার। এই সুন্দর দেশটার সঙ্গে প্রতিটি মানুষের যে আত্মিক টান, আবেগমাখা সম্পর্ক, দেশের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা—তা-ই তুলে ধরার চেষ্টা করেছি গানের কথায়।’

সুরকার ইমন সাহা বলেন, ‘প্রতিযোগিতার সময় থেকেই আমাদের ইচ্ছা ছিল নতুনদের নিয়ে গান করার। সেই ইচ্ছার প্রতিফলন এই গান। সবাই মিলে একটি সুন্দর দেশের গান উপহার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। আমার বিশ্বাস গানটি ভালো লাগবে সবার।’

কণ্ঠশিল্পী লিজা বলেন, ‘আমি নিজেও রিয়েলিটি শো থেকে এসেছি। শো শেষে আমাদের বাকি জার্নিটা কিন্তু সলো হয়, দিকনির্দেশনা দেওয়ার মতো কেউ থাকে না। নিজের জীবন থেকেই উপলব্ধি করেছি, শুধু নতুন শিল্পী খুঁজে বের করলেই হবে না, তাঁদের প্রপার গাইড করতে হবে। তাঁদের পাশে থাকতে হবে। তাই বিচারকের আসনে থাকার সময়ই বলেছিলাম, নতুনদের জন্য কাজ করব, শুধু কাভার সং নয়, প্রতিটি নতুন শিল্পীর মৌলিক গান হওয়া প্রয়োজন। তাই ইয়াং স্টারদের নিয়ে আমাদের এই দেশের গান। চেষ্টা করেছি একটি সুন্দর গান উপহার দিতে। আমরা চাই গানটি সব শ্রোতার কাছে পৌঁছে যাক, তাই আমার চ্যানেল থেকে প্রকাশ করা হলেও, কোনো ধরনের কপিরাইট রেসট্রিকশন রাখছি না। যে কেউ চাইলে যেকোনো চ্যানেলে গানটি প্রকাশ করতে পারবেন।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রটারড্যাম উৎসবে ‘দেলুপি’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
‘দেলুপি’ সিনেমার দৃশ্য
‘দেলুপি’ সিনেমার দৃশ্য

দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মাতা মোহাম্মদ তাওকীর ইসলাম বানিয়েছেন ‘দেলুপি’। যেখানে রাজনীতি আছে, ভালোবাসা আছে, প্রাকৃতিক দুর্যোগ আছে, যাত্রাশিল্পীদের সংগ্রাম আছে; আর আছে জীবন বদলানোর গল্প। এটি নির্মাতার প্রথম সিনেমা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায়। প্রথম সিনেমাতেই প্রশংসা পাচ্ছেন তাওকীর। এখনো সিনেমাটি চলছে প্রেক্ষাগৃহে। এর মধ্যে জানা গেল নেদারল্যান্ডসের ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামে জায়গা করে নিয়েছে দেলুপি। এই উৎসবে আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে সিনেমাটির।

আগামী বছরের ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। যেখানে বিশ্বের সেরা নির্মাতা, উদীয়মান প্রতিভা ও আর্টহাউস সিনেমার প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন। উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়।

রটারড্যামে দেলুপির যাত্রা নিয়ে উচ্ছ্বসিত পুরো টিম। পরিচালক তাওকীর বলেন, ‘রটারড্যাম থেকে আমরা যখন প্রথম মেইল পেয়ে জানতে পারি, তারা সিনেমাটির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার করতে চায়। সে সময় একটু বিপাকেই পড়ে গিয়েছিলাম। কেননা আমরা সিনেমা বানানোর সময় দেলুটি ইউনিয়নের মানুষদের কথা দিয়েছিলাম, সিনেমাটা প্রথমে তাঁদের দেখাব। আমাদের এই ইচ্ছা ফেস্টিভ্যালের অর্গানাইজারদের জানিয়েছিলাম। তারা ইতিবাচক সাড়া দেয়। আমরা সিনেমাটি আগে খুলনায় রিলিজ দিই। এখন দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বিদেশের দর্শকেরা দেলুপি দেখতে পারবেন। তাই আমরা আনন্দিত।’

দেলুপি সিনেমায় যাঁরা অভিনয় করেছেন, তাঁরা সবাই খুলনার বিভিন্ন ইউনিয়নের বাসিন্দা। অভিনয় করেছেন চিরনজিৎ বিশ্বাস, অদিতি রায়, রুদ্র রায়, মো. জাকির হোসেনসহ অনেকে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফুটপ্রিন্ট ফিল্ম প্রোডাকশনের ব্যানারে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

দেখা হলো শাহরুখ-মেসির, সঙ্গে ছিল খানপুত্র আব্রাম

বিনোদন ডেস্ক
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৩
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত
(বাঁ থেকে) মেসি, আব্রাম, লুইস সুয়ারেজ ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত

‘গোট ট্যুর অব ইন্ডিয়া ২০২৫’–এর অংশ হিসেবে আর্জেন্টাইন ফুটবল তারকা লিওনেল মেসি এখন ভারতে। গতকাল শনিবার এসেছিলেন কলকাতায়। অংশ নেন একটি বিশেষ মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে। এ সময় কলকাতার সল্টলেক স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি উন্মোচন করা হয়েছে মেসির বিশাল ৭০ ফুট উচ্চতার মূর্তি। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলিউড সুপারস্টার শাহরুখ খান।

মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসবেন, এ কথা নিজেই জানিয়েছিলেন বলিউড কিং শাহরুখ খান। কথামতোই মেসির সঙ্গে দেখা করতে কলকাতায় আসেন অভিনেতা। এ সময় শাহরুখের সঙ্গে ছিল তাঁর ছোট ছেলে আব্রাম খান। সংবাদ সংস্থা পিটিআই প্রকাশিত এক ভিডিওতে দেখা যায়, মেসির পাশে দাঁড়িয়ে ছবি তুলছেন শাহরুখ ও আব্রাম। ফুটবল তারকার সঙ্গে আব্রামের সহজ-স্বাভাবিক মুহূর্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় ইতিমধ্যেই ভাইরাল।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে শাহরুখ প্রথমে করমর্দন করেন উরুগুয়ের তারকা লুইস সুয়ারেজ ও আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডার রদ্রিগো দি পলের সঙ্গে। এরপর এগিয়ে যান মেসির দিকে। দুজন হাত মেলান, কথা বলেন, ছবি তোলেন। সেই সময় মেসি আলাদাভাবে ছবি তোলেন আব্রামের সঙ্গেও।

মেসির সঙ্গে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে উপস্থিত থাকার কথা জানিয়েছিলেন শাহরুখ। কিন্তু তেমনটা আর হয়নি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী হোটেলে অনুষ্ঠান শেষ করে স্থানীয় সময় বেলা সোয়া ১১টার দিকে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান মেসি। মিনিট ১৫ ছিলেন মাঠে। এর পরই বেরিয়ে যান মাঠ ছেড়ে। মেসিকে দেখতে না পাওয়ায় ক্ষোভে ফেটে পড়েন ভক্তরা। চরম বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয় মাঠজুড়ে। খবর যায় শাহরুখের কাছেও। তাই যুবভারতীতে না গিয়ে শাহরুখ রওনা দেন বিমানবন্দরের দিকে।

জানা গেছে, অব্যবস্থাপনায় আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয়ী অধিনায়ক মেসির অনুষ্ঠান ঘিরে যুবভারতী স্টেডিয়াম রীতিমতো রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল। এই ঘটনায় মেসির কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

রাজধানীতে অপরাধ: ১৪ ভাগ করে মিরপুর নিয়ন্ত্রণ করছে চার শীর্ষ সন্ত্রাসী

ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আটক

উত্তরায় জুলাই রেভেলসের দুই সদস্যকে কুপিয়ে জখম

নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র চলছে: তিন দলের সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত