সাব্বির হোসেন
শিক্ষাঙ্গনের সৌন্দর্য শুধু পড়াশোনা বা গবেষণার ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়; এর বড় অংশ নির্ভর করে আন্তসম্পর্কের ওপর। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র ও জুনিয়রদের পারস্পরিক সম্পর্ক। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা স্কুল-কলেজ—যেখানেই হোক, জুনিয়রদের প্রতি সিনিয়রদের আচরণ পুরো ক্যাম্পাসের পরিবেশকে সুন্দর বা অশান্ত করে তুলতে পারে। তাই জুনিয়রদের প্রতি স্নেহ, সহযোগিতা ও সহমর্মিতা প্রদর্শন কেবল একটি নৈতিক দায়িত্ব নয়; বরং এটি শিক্ষাঙ্গনের সংস্কৃতিকে সুস্থ ও মানবিক করে তুলতেও অপরিহার্য। এমন কিছু দিক নিয়েই আজকের আলোচনা।
অভ্যর্থনা
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনে নতুন পরিবেশে প্রবেশ করা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং। যখন একজন জুনিয়র প্রথমবার ক্যাম্পাসে আসে, তখন তার মনে নানা প্রশ্ন, ভীতি ও অনিশ্চয়তা কাজ করে। সে মুহূর্তে সিনিয়রের হাসিমুখে একটি স্বাগত সম্ভাষণ কিংবা দিকনির্দেশনা জুনিয়রের মনে যে আস্থা জাগায়, তা সারাজীবনের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ক্যাম্পাসে জুনিয়রদের আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানানোই হলো প্রথম স্নেহ প্রদর্শনের উপায়।
অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি
সিনিয়রদের কাছে থাকে ক্যাম্পাস জীবনের অমূল্য অভিজ্ঞতা। কোন শিক্ষকের ক্লাস কেমন, কীভাবে পড়াশোনা করলে ভালো ফল আসবে, কিংবা কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করলে দক্ষতা বাড়বে—এসব তথ্য জুনিয়রদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি সিনিয়ররা আন্তরিকভাবে এসব অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেয়, তবে জুনিয়ররা ভুল পথে না গিয়ে সঠিক দিকেই এগিয়ে যেতে পারে। অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি শুধু জুনিয়রের উপকার করে না; বরং সিনিয়রের নেতৃত্বগুণকেও বিকশিত করে।
শিক্ষার বাইরের সহায়তা
শিক্ষাজীবনে কেবল পড়াশোনাই নয়, নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জুনিয়ররা অংশগ্রহণ করে থাকে। সে ক্ষেত্রে সিনিয়রদের সহায়তা তাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ক্রীড়া আসর কিংবা সাংবাদিকতা—যেখানেই হোক, সিনিয়রের একটি পরামর্শ বা সহায়তামূলক হাত বাড়িয়ে দেওয়া জুনিয়রের আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।
বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ
সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক অনেক সময় আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু প্রকৃত স্নেহ তখনই প্রকাশ পায়, যখন এ সম্পর্ক বন্ধুত্বে রূপ নেয়। বন্ধুর মতো মিশে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া, তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া—এসব সম্পর্কের মধ্যে উষ্ণতা তৈরি করে। এতে জুনিয়ররা মনে করে তারা অবহেলিত নয়; বরং সমান মর্যাদা ও স্নেহের অংশীদার।
শিক্ষার নামে অসৌজন্যতা নয়
দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেক ক্যাম্পাসে সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্কের জায়গায় কখনো কখনো দেখা যায় আধিপত্য, কিংবা রূঢ় আচরণ। জুনিয়রদের অযথা চাপ দেওয়া, র্যাগিং, বুলিং বা হেয় করার প্রবণতা শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করে। অথচ শিক্ষাঙ্গন হলো জ্ঞান, ভালোবাসা ও মানবিকতার জায়গা। তাই অসৌজন্যতার পরিবর্তে সহমর্মিতা দিয়েই জুনিয়রদের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করা উচিত।
স্নেহের প্রভাব
জুনিয়রদের প্রতি স্নেহশীল আচরণের প্রভাব শুধু স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেই সীমাবদ্ধ থাকে না; বরং তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো সমাজে। একজন জুনিয়র যখন সিনিয়রের কাছ থেকে সহযোগিতা ও মমতা পায়, তখন ভবিষ্যতে সে-ও তার জুনিয়রদের প্রতি একই রকম আচরণ করে। এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মানবিকতা বিস্তার লাভ করে।
জুনিয়রের করণীয়
জুনিয়রদেরও উচিত সিনিয়রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও বিনীত থাকা। তাদের দিকনির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং শিখতে আগ্রহী থাকা সম্পর্ককে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি সহযোগিতা করা, ভদ্র আচরণ বজায় রাখা এবং নিজের ইতিবাচক পরিচয় তৈরি করাও জরুরি। এভাবেই জুনিয়ররা সিনিয়রের স্নেহ ও সহযোগিতার মর্যাদা রক্ষা করতে পারে।
শিক্ষাঙ্গনে জুনিয়রদের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন মানে কেবল ভদ্রতা নয়; বরং একটি সভ্য ও নৈতিক সংস্কৃতির প্রতিফলন। পরিবারে ছোট ভাইবোনদের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করা যেমন আমাদের দায়িত্ব, তেমনি ক্যাম্পাসেও জুনিয়রদের প্রতি স্নেহশীল আচরণ করা আমাদের কর্তব্য। একজন সিনিয়র যদি জুনিয়রের পাশে দাঁড়ায়, তার সাফল্যে উৎসাহ দেয় এবং দুঃসময়ে সহায়তা করে, তবে সেটাই হয়ে ওঠে প্রকৃত মানবিকতার প্রকাশ।
শিক্ষাঙ্গনের সৌন্দর্য শুধু পড়াশোনা বা গবেষণার ভেতরেই সীমাবদ্ধ নয়; এর বড় অংশ নির্ভর করে আন্তসম্পর্কের ওপর। শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্ক যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ সিনিয়র ও জুনিয়রদের পারস্পরিক সম্পর্ক। বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা স্কুল-কলেজ—যেখানেই হোক, জুনিয়রদের প্রতি সিনিয়রদের আচরণ পুরো ক্যাম্পাসের পরিবেশকে সুন্দর বা অশান্ত করে তুলতে পারে। তাই জুনিয়রদের প্রতি স্নেহ, সহযোগিতা ও সহমর্মিতা প্রদর্শন কেবল একটি নৈতিক দায়িত্ব নয়; বরং এটি শিক্ষাঙ্গনের সংস্কৃতিকে সুস্থ ও মানবিক করে তুলতেও অপরিহার্য। এমন কিছু দিক নিয়েই আজকের আলোচনা।
অভ্যর্থনা
প্রত্যেক শিক্ষার্থীর জীবনে নতুন পরিবেশে প্রবেশ করা অনেকটা চ্যালেঞ্জিং। যখন একজন জুনিয়র প্রথমবার ক্যাম্পাসে আসে, তখন তার মনে নানা প্রশ্ন, ভীতি ও অনিশ্চয়তা কাজ করে। সে মুহূর্তে সিনিয়রের হাসিমুখে একটি স্বাগত সম্ভাষণ কিংবা দিকনির্দেশনা জুনিয়রের মনে যে আস্থা জাগায়, তা সারাজীবনের জন্য ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই ক্যাম্পাসে জুনিয়রদের আন্তরিকভাবে অভ্যর্থনা জানানোই হলো প্রথম স্নেহ প্রদর্শনের উপায়।
অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি
সিনিয়রদের কাছে থাকে ক্যাম্পাস জীবনের অমূল্য অভিজ্ঞতা। কোন শিক্ষকের ক্লাস কেমন, কীভাবে পড়াশোনা করলে ভালো ফল আসবে, কিংবা কোন কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করলে দক্ষতা বাড়বে—এসব তথ্য জুনিয়রদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি সিনিয়ররা আন্তরিকভাবে এসব অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেয়, তবে জুনিয়ররা ভুল পথে না গিয়ে সঠিক দিকেই এগিয়ে যেতে পারে। অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি শুধু জুনিয়রের উপকার করে না; বরং সিনিয়রের নেতৃত্বগুণকেও বিকশিত করে।
শিক্ষার বাইরের সহায়তা
শিক্ষাজীবনে কেবল পড়াশোনাই নয়, নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জুনিয়ররা অংশগ্রহণ করে থাকে। সে ক্ষেত্রে সিনিয়রদের সহায়তা তাদের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, ক্রীড়া আসর কিংবা সাংবাদিকতা—যেখানেই হোক, সিনিয়রের একটি পরামর্শ বা সহায়তামূলক হাত বাড়িয়ে দেওয়া জুনিয়রের আত্মবিশ্বাস বহুগুণে বাড়িয়ে তোলে।
বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশ
সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্ক অনেক সময় আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। কিন্তু প্রকৃত স্নেহ তখনই প্রকাশ পায়, যখন এ সম্পর্ক বন্ধুত্বে রূপ নেয়। বন্ধুর মতো মিশে যাওয়া, আড্ডা দেওয়া, তাদের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া—এসব সম্পর্কের মধ্যে উষ্ণতা তৈরি করে। এতে জুনিয়ররা মনে করে তারা অবহেলিত নয়; বরং সমান মর্যাদা ও স্নেহের অংশীদার।
শিক্ষার নামে অসৌজন্যতা নয়
দুঃখজনকভাবে আমাদের অনেক ক্যাম্পাসে সিনিয়র-জুনিয়র সম্পর্কের জায়গায় কখনো কখনো দেখা যায় আধিপত্য, কিংবা রূঢ় আচরণ। জুনিয়রদের অযথা চাপ দেওয়া, র্যাগিং, বুলিং বা হেয় করার প্রবণতা শিক্ষার পরিবেশকে নষ্ট করে। অথচ শিক্ষাঙ্গন হলো জ্ঞান, ভালোবাসা ও মানবিকতার জায়গা। তাই অসৌজন্যতার পরিবর্তে সহমর্মিতা দিয়েই জুনিয়রদের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করা উচিত।
স্নেহের প্রভাব
জুনিয়রদের প্রতি স্নেহশীল আচরণের প্রভাব শুধু স্কুল বা বিশ্ববিদ্যালয়জীবনেই সীমাবদ্ধ থাকে না; বরং তা ছড়িয়ে পড়ে পুরো সমাজে। একজন জুনিয়র যখন সিনিয়রের কাছ থেকে সহযোগিতা ও মমতা পায়, তখন ভবিষ্যতে সে-ও তার জুনিয়রদের প্রতি একই রকম আচরণ করে। এভাবেই প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে মানবিকতা বিস্তার লাভ করে।
জুনিয়রের করণীয়
জুনিয়রদেরও উচিত সিনিয়রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও বিনীত থাকা। তাদের দিকনির্দেশনা মনোযোগ দিয়ে শোনা এবং শিখতে আগ্রহী থাকা সম্পর্ককে সুস্থ রাখে। পাশাপাশি সহযোগিতা করা, ভদ্র আচরণ বজায় রাখা এবং নিজের ইতিবাচক পরিচয় তৈরি করাও জরুরি। এভাবেই জুনিয়ররা সিনিয়রের স্নেহ ও সহযোগিতার মর্যাদা রক্ষা করতে পারে।
শিক্ষাঙ্গনে জুনিয়রদের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন মানে কেবল ভদ্রতা নয়; বরং একটি সভ্য ও নৈতিক সংস্কৃতির প্রতিফলন। পরিবারে ছোট ভাইবোনদের প্রতি স্নেহ প্রদর্শন করা যেমন আমাদের দায়িত্ব, তেমনি ক্যাম্পাসেও জুনিয়রদের প্রতি স্নেহশীল আচরণ করা আমাদের কর্তব্য। একজন সিনিয়র যদি জুনিয়রের পাশে দাঁড়ায়, তার সাফল্যে উৎসাহ দেয় এবং দুঃসময়ে সহায়তা করে, তবে সেটাই হয়ে ওঠে প্রকৃত মানবিকতার প্রকাশ।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) শাখা ছাত্রদলের সভাপতি সুলতান আহমেদ রাহী বলেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলকে ঠেকাতে পাকিস্তানপন্থী প্রশাসনের ষড়যন্ত্র চলছে। আজ সোমবার (২৫ আগস্ট) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরে পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ
১ ঘণ্টা আগেস্নাতক প্রথম বর্ষ পরীক্ষা সামনে রেখে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষায় নকলের যেকোনো প্রমাণ যথাযথভাবে সংরক্ষণ করতে হবে। যদি কোনো পরীক্ষার্থী নকল করে, তবে তার আলামত এবং উত্তরপত্রে লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করতে হবে।
২১ ঘণ্টা আগেএতে বলা হয়, ‘ডাকসু নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা সাইবার বুলিং এবং নারী প্রার্থী ও শিক্ষার্থীদের প্রতি একধরনের নারীবিদ্বেষী আচরণ দেখতে পাচ্ছি। প্রশাসনকে এসব ইস্যুতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে এবং পুলিশের সাইবার ইউনিটের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাইবার সিকিউরিটি সেল গঠন করতে হবে। আমরা দেখতে পাচ্ছি, অনেকেই নির্বাচনী
১ দিন আগেনির্বাচনে অংশ নেওয়া এক ছাত্রসংগঠনের উদ্দেশে আবিদুল অভিযোগ করে বলেন, ‘ডাকসুর গঠনতন্ত্রে আছে, মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতা সংগ্রামের আইডিওলজিকে সমন্বিত রাখা। এই স্বাধীনতা সংগ্রাম ও স্বাধীনতার আইডিওলজিকে যারা ধারণ করে না, তাদের নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন প্রথম
১ দিন আগে