তানযীম আজওয়াদ জামান
পড়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় যেহেতু উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচি ফলো করা হবে তাই পাঠ্যবইয়ের ওপর মজবুত ভিত্তি থাকা অত্যাবশ্যক। সব বইয়ের প্রতিটি বিষয়ই সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়া উচিত বলে আমি মনে করি। যে টপিকগুলোর ওপর দুর্বলতা কাজ করে, সেগুলো সময় নিয়ে বুঝে পড়ে নিজের আয়ত্তে আনার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি বিষয়ের ওপর নিয়মিত মক টেস্ট দিলে বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি মজবুত হবে। আর পড়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। প্রতিটি শিক্ষার্থীর ধারণক্ষমতা আলাদা হয়ে থাকে। তবে যতক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখা যায়, ততক্ষণ নিয়মিত পড়াশোনা করা উচিত। শেষের দিকে প্রতিদিন প্রায় ৬ ঘণ্টার বেশি পড়াশোনা করেছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিটের প্রস্তুতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিটে এমসিকিউ ৬০ নম্বর এবং লিখিত ৪০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞান এ চারটি বিভাগ থেকে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। চতুর্থ বিষয় জীববিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিতের বদলে শিক্ষার্থীরা সম নম্বরের বাংলা কিংবা ইংরেজি বিষয়ের ওপর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পদার্থ, রসায়ন ও গণিত বিষয়ের অঙ্ক ক্যালকুলেটর ছাড়া তাড়াতাড়ি ও নির্ভুলভাবে সমাধান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় যেহেতু কোনো নেগেটিভ মার্ক নেই, তাই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে।
বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি
বুয়েটে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত দুটি ধাপে পরীক্ষা হয়ে থাকে। ১০০ মার্কের এমসিকিউ ও ৪০০ মার্কের চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে। চূড়ান্ত পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের ফিজিকস, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথ থেকে মোট ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। মোট ২ ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ৩ মিনিট করে সময় পাওয়া যাবে তাই সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্ট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের জন্য ইংরেজি ভার্সনের ইউ এস আহমেদ ও ডক্টর শাহজাহান তপনের বই ফলো করে ভালো উপকার পেয়েছিলাম। মূল পরীক্ষার ৪০টি প্রশ্ন অন্তত একবার পড়তে হবে, যে প্রশ্নের উত্তর জানা নেই তাতে সময় নষ্ট না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরবর্তী প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সময় পেলে শেষে যে প্রশ্নগুলো বাদ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
নোটভিত্তিক প্রস্তুতি
মূলত টেক্সট বই থেকেই পড়াশোনা করেছি, যদি কোনো কনফিউশন থাকে গুগলের সহায়তা নিয়েছি। যে টপিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, সেগুলো আলাদা করে খাতায় টুকে রাখা ভালো, যাতে পরে সহজেই খুঁজে পড়ে নেওয়া যায়। গণিত, ফিজিকসের বিভিন্ন ফর্মুলা নোট করে পড়লে ভালো দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব। নিয়মিত লেখার অভ্যাস করলে লিখিত পরীক্ষায় লেখার দ্রুততা বাড়বে।
কিছু বিষয়ে নিজেকে রাখুন
নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে। নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। প্রতিটি বিষয়ে সব টপিক বুঝে পড়াশোনা করতে হবে। স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিজেকে সংযত রাখতে হবে। টাইম ম্যানেজমেন্টের জন্য নিয়মিত মক টেস্ট দিতে হবে। মূল পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র উত্তরের স্ট্র্যাটেজি আগে থেকে ঠিক করে যাওয়া ভালো। পরীক্ষায় কোনো প্রশ্নের উত্তর কঠিন কিংবা বড় মনে হলে তা রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরবর্তী প্রশ্নের উত্তর প্রদানের চেষ্টা করা উচিত। যেকোনো দিক থেকে নিজেকে এগিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে। যথাসম্ভব চিন্তামুক্ত হয়ে আত্মবিশ্বাস রেখে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।
শেষ মুহূর্তে করণীয়
শেষ মুহূর্তে নিজেকে সুস্থ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যতটা সম্ভব নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে হবে। প্রতিটি বিষয়ে মুখস্থ করার অংশগুলো, বিশেষ করে ফর্মুলাগুলো বারবার দেখতে হবে। যেসব টপিক একেবারেই পড়া হয়নি তাতে সময় নষ্ট না করে যেগুলো পড়া হয়েছে তাতে চোখ বুলিয়ে নিতে হবে; বিশেষ করে পরীক্ষার আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। বলা হয়ে থাকে সফলতার আরেক নাম আত্মবিশ্বাস, তাই বিভ্রান্ত না হয়ে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে এবং আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে নিজের প্রতি।
তানযীম আজওয়াদ জামান, শিক্ষার্থী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বুয়েট।
অনুলিখন: সাদিয়া আফরিন হীরা
পড়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই
এবারের ভর্তি পরীক্ষায় যেহেতু উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচি ফলো করা হবে তাই পাঠ্যবইয়ের ওপর মজবুত ভিত্তি থাকা অত্যাবশ্যক। সব বইয়ের প্রতিটি বিষয়ই সমান গুরুত্ব দিয়ে পড়া উচিত বলে আমি মনে করি। যে টপিকগুলোর ওপর দুর্বলতা কাজ করে, সেগুলো সময় নিয়ে বুঝে পড়ে নিজের আয়ত্তে আনার চেষ্টা করতে হবে। প্রতিটি বিষয়ের ওপর নিয়মিত মক টেস্ট দিলে বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি মজবুত হবে। আর পড়ার কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। প্রতিটি শিক্ষার্থীর ধারণক্ষমতা আলাদা হয়ে থাকে। তবে যতক্ষণ মনোযোগ ধরে রাখা যায়, ততক্ষণ নিয়মিত পড়াশোনা করা উচিত। শেষের দিকে প্রতিদিন প্রায় ৬ ঘণ্টার বেশি পড়াশোনা করেছি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিটের প্রস্তুতি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক ইউনিটে এমসিকিউ ৬০ নম্বর এবং লিখিত ৪০ নম্বরের পরীক্ষা হয়ে থাকে। শিক্ষার্থীদের পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, উচ্চতর গণিত ও জীববিজ্ঞান এ চারটি বিভাগ থেকে প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। চতুর্থ বিষয় জীববিজ্ঞান ও উচ্চতর গণিতের বদলে শিক্ষার্থীরা সম নম্বরের বাংলা কিংবা ইংরেজি বিষয়ের ওপর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। পরীক্ষায় ভালো ফলাফল করতে পদার্থ, রসায়ন ও গণিত বিষয়ের অঙ্ক ক্যালকুলেটর ছাড়া তাড়াতাড়ি ও নির্ভুলভাবে সমাধান করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। লিখিত পরীক্ষায় যেহেতু কোনো নেগেটিভ মার্ক নেই, তাই সব প্রশ্নের উত্তর দিয়ে আসার চেষ্টা করতে হবে।
বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার প্রস্তুতি
বুয়েটে প্রাথমিক ও চূড়ান্ত দুটি ধাপে পরীক্ষা হয়ে থাকে। ১০০ মার্কের এমসিকিউ ও ৪০০ মার্কের চূড়ান্ত পরীক্ষা হবে। চূড়ান্ত পরীক্ষায় পরীক্ষার্থীদের ফিজিকস, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথ থেকে মোট ৪০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। মোট ২ ঘণ্টার পরীক্ষায় প্রতিটি প্রশ্নের জন্য ৩ মিনিট করে সময় পাওয়া যাবে তাই সঠিক টাইম ম্যানেজমেন্ট করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানের জন্য ইংরেজি ভার্সনের ইউ এস আহমেদ ও ডক্টর শাহজাহান তপনের বই ফলো করে ভালো উপকার পেয়েছিলাম। মূল পরীক্ষার ৪০টি প্রশ্ন অন্তত একবার পড়তে হবে, যে প্রশ্নের উত্তর জানা নেই তাতে সময় নষ্ট না করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরবর্তী প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সময় পেলে শেষে যে প্রশ্নগুলো বাদ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোর উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।
নোটভিত্তিক প্রস্তুতি
মূলত টেক্সট বই থেকেই পড়াশোনা করেছি, যদি কোনো কনফিউশন থাকে গুগলের সহায়তা নিয়েছি। যে টপিকগুলো গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়, সেগুলো আলাদা করে খাতায় টুকে রাখা ভালো, যাতে পরে সহজেই খুঁজে পড়ে নেওয়া যায়। গণিত, ফিজিকসের বিভিন্ন ফর্মুলা নোট করে পড়লে ভালো দক্ষতা অর্জন করা সম্ভব। নিয়মিত লেখার অভ্যাস করলে লিখিত পরীক্ষায় লেখার দ্রুততা বাড়বে।
কিছু বিষয়ে নিজেকে রাখুন
নিজেকে সুস্থ রাখতে হবে। নিয়মিত পড়াশোনা করতে হবে। প্রতিটি বিষয়ে সব টপিক বুঝে পড়াশোনা করতে হবে। স্যোশাল মিডিয়া ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিজেকে সংযত রাখতে হবে। টাইম ম্যানেজমেন্টের জন্য নিয়মিত মক টেস্ট দিতে হবে। মূল পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র উত্তরের স্ট্র্যাটেজি আগে থেকে ঠিক করে যাওয়া ভালো। পরীক্ষায় কোনো প্রশ্নের উত্তর কঠিন কিংবা বড় মনে হলে তা রেখে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরবর্তী প্রশ্নের উত্তর প্রদানের চেষ্টা করা উচিত। যেকোনো দিক থেকে নিজেকে এগিয়ে রাখার চেষ্টা করতে হবে। যথাসম্ভব চিন্তামুক্ত হয়ে আত্মবিশ্বাস রেখে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করতে হবে।
শেষ মুহূর্তে করণীয়
শেষ মুহূর্তে নিজেকে সুস্থ রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যতটা সম্ভব নিজেকে দুশ্চিন্তামুক্ত রাখতে হবে। প্রতিটি বিষয়ে মুখস্থ করার অংশগুলো, বিশেষ করে ফর্মুলাগুলো বারবার দেখতে হবে। যেসব টপিক একেবারেই পড়া হয়নি তাতে সময় নষ্ট না করে যেগুলো পড়া হয়েছে তাতে চোখ বুলিয়ে নিতে হবে; বিশেষ করে পরীক্ষার আগের রাতে পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। বলা হয়ে থাকে সফলতার আরেক নাম আত্মবিশ্বাস, তাই বিভ্রান্ত না হয়ে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে এবং আত্মবিশ্বাস রাখতে হবে নিজের প্রতি।
তানযীম আজওয়াদ জামান, শিক্ষার্থী, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, বুয়েট।
অনুলিখন: সাদিয়া আফরিন হীরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন নিয়ে চলছে ব্যাপক তোড়জোড়। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন বুধবার ডাকসুর ২৮টি পদের বিপরীতে জমা পড়েছে মোট ৫০৯টি মনোনয়নপত্র।
৯ ঘণ্টা আগেশিক্ষার্থীরা একটি সুন্দর বিশ্ববিদ্যালয় পাবে, যেখানে কোনো ভয়-ডরের পরিবেশ থাকবে না। নির্বাচিত হলে এমন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস গড়তে কাজ করবেন বিন ইয়ামিন মোল্লা। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ নির্বাচনে তিনি ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’ প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী।
১০ ঘণ্টা আগেক্যাম্পাসে রাজনীতিতে সহাবস্থান ও সম্প্রীতির নমুনা তৈরি করতে চান ইয়াসিন আরাফাত। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ‘সচেতন শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদে প্রার্থী হয়েছেন তিনি। ইসলামী ছাত্র আন্দোলন এই প্যানেল দিয়েছে।
১০ ঘণ্টা আগেনির্বাচিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদকে (ডাকসু) সত্যিকার অর্থেই শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ের জায়গা হিসেবে প্রস্তুত করবেন মো. নাঈম হাসান। ডাকসু নির্বাচনে তিনি ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেল থেকে সহসভাপতি (ভিপি) পদপ্রার্থী। ছাত্র ইউনিয়ন (মাহির-বাহাউদ্দিন), সমাজতান্ত্রিক...
১০ ঘণ্টা আগে