Ajker Patrika

শৈশব থেকে ইংরেজিতে দক্ষ হওয়ার সহজ পথ

মো. আশিকুর রহমান
শৈশব থেকে ইংরেজিতে দক্ষ হওয়ার সহজ পথ

শিশুকালে ভাষা শেখার ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি থাকে। এ সময় যদি ইংরেজি শেখানো যায়, তাহলে শিশুরা শোনা, বলা, পড়া ও লেখার মাধ্যমে সহজেই ভাষা আয়ত্ত করতে পারে। গান, গল্প, কার্টুন বা ছোট ভিডিওর মাধ্যমে শেখার প্রতি আগ্রহও বাড়ে। ফলে শিক্ষাজীবন ও ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ারের জন্য শক্ত ভিত্তি গড়ে ওঠে। শৈশব থেকে কীভাবে ইংরেজিতে দক্ষ হওয়া যায়, তার সহজ পথ বাতলে দিয়েছেন ইংরেজি শেখার প্রতিষ্ঠান ‘ইংলিশ থেরাপি’র প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল ইসলাম। লিখেছেন মো. আশিকুর রহমান

ছোটবেলায় শিশুর মস্তিষ্ক নতুন ভাষা গ্রহণে সবচেয়ে দ্রুত কাজ করে। মা-বাবা, শিক্ষক কিংবা বন্ধুদের কথোপকথনে ইংরেজি ব্যবহার করলে শিশুরা শোনার মাধ্যমে সহজেই শিখতে পারে। শোনা শুধু শব্দ মনে রাখতে সাহায্য করে না; বরং বাক্য গঠন ও সঠিক উচ্চারণও শেখায়। শৈশব থেকে এই অভ্যাস গড়ে তুললে ভাষা শেখা সহজ এবং আনন্দদায়ক হয়।

শোনার অভ্যাস গড়ে তুলুন

ভাষা শেখার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো বেশি শোনা। গান, গল্প, নাটক, ভিডিও বা তথ্যচিত্র নিয়মিত শোনালে শব্দভান্ডার সমৃদ্ধ হয় এবং বাক্য গঠন স্বাভাবিকভাবে আয়ত্ত হয়। প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা মনোযোগ দিয়ে শোনার অভ্যাস করলে নতুন শব্দ মনে রাখা ও সঠিকভাবে ব্যবহার করা সহজ হয়। এতে আত্মবিশ্বাসও বাড়ে।

বলার চর্চা অপরিহার্য

ইংরেজিতে পারদর্শী হতে হলে বলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সঙ্গী না থাকলেও আয়নার সামনে নিজে নিজে কথা বলা, সহজ বিষয় নিয়ে ভাবনা ইংরেজিতে প্রকাশ করা বা বন্ধু-পরিবারকে নিয়ে কথোপকথনের অভ্যাস করা দরকার। নিয়মিত চর্চার মাধ্যমে ভুল ধীরে ধীরে কমে আসে। ভুলকে ভয় না পেয়ে শেখার অংশ হিসেবে গ্রহণ করলে আত্মবিশ্বাস বাড়ে।

পড়া ও লেখার সমন্বয়

শুধু শোনা ও বলা নয়, পড়া ও লেখা সমানভাবে জরুরি। ছোটগল্প, সংবাদ বা প্রবন্ধ পড়লে নতুন শব্দ ও বাক্যরীতি বোঝা যায়। পড়ার সময় নতুন শব্দ নোট করে অর্থ অনুধাবন করা কার্যকর। অন্যদিকে, লেখা চর্চার জন্য সহজ বিষয় নিয়ে লেখা শুরু করা যেতে পারে—যেমন নিজের বা পরিবারের পরিচয়। বাংলা থেকে ইংরেজিতে অনুবাদ করেও লেখা অনুশীলন করলে শব্দ ব্যবহারে দক্ষতা বাড়ে। নিয়মিত লেখার মাধ্যমে ব্যাকরণ, বাক্য গঠন ও ভাব প্রকাশে উন্নতি ঘটে।

ধৈর্য ও নিয়মিত অনুশীলন

ইংরেজি শেখা কোনো জাদু নয়, এটি ধৈর্য ও ধারাবাহিক চর্চার ফল। প্রতিদিন অন্তত ১ ঘণ্টা শোনা, বলা, পড়া ও লেখার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ছোট ছোট অনুশীলন দীর্ঘ মেয়াদে বড় পরিবর্তন আনে। ধৈর্য ধরে নিয়মিত চর্চা করলে শিশুরা আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে এবং ভবিষ্যতের শিক্ষাগত ও পেশাগত জীবনে এগিয়ে যায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত