Ajker Patrika

নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল কৃষকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ

পাবনা প্রতিনিধি
আপডেট : ১০ আগস্ট ২০২৩, ১৫: ৫৪
নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংকে মিলল কৃষকের হাত-পা বাঁধা মরদেহ

পাবনার আতাইকুলায় নিখোঁজের দুই দিন পর রশি দিয়ে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় সেপটিক ট্যাংক থেকে এক কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন হিসেবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহতের প্রতিবেশী এক দম্পতিকে থানায় নিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে উপজেলার সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের দড়ি শ্রীকোল গ্রামের দড়ি শ্রীকোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে খাইরুল ইসলামের সেপটিক ট্যাংক থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। গত মঙ্গলবার রাতে নিখোঁজ হন ওই কৃষক।

নিহত ওই কৃষকের নাম আব্দুল কুদ্দুস প্রামাণিক (৫০)। তিনি সাদুল্লাপুর ইউনিয়নের দড়ি শ্রীকোল গ্রামের শিরহাব প্রামাণিকের ছেলে।

এ ঘটনায় সন্দেহজনক আটক ব্যক্তিরা হলেন একই গ্রামের জোসনা ও সায়াম নামের দম্পতি।

পুলিশ ও পরিবার বলছে, গত মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে স্থানীয় একটি চায়ের দোকান থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে নিখোঁজ হন কৃষক কুদ্দুস। রাতে বাড়িতে না যাওয়ায় পরিবার বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও কোনো সন্ধান পায়নি। পরদিন সকালে নিখোঁজ ব্যক্তির বাড়ির সামনে স্যান্ডেল, গামছা ও একটি রশি পাওয়া যায়। তারপর বিষয়টি দুবলিয়া ফাঁড়ির পুলিশকে জানানো হয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দিনব্যাপী বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেও তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে পরিবার থানায় একটি নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করে। জিডির বর্ণনার সূত্র ধরে বৃহস্পতিবার সকালে দড়ি শ্রীকোল গ্রামের খাইরুল ইসলামের সেপটিক ট্যাংকে মরদেহের সন্ধান পাওয়া যায়। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। নিহতের হাত-পা রশি দিয়ে বাঁধা ছিল। মরদেহের অর্ধেক পচে গলে গেছে।

মরদেহ দেখতে এলাকাবাসীর ভিড়। ছবি: আজকের পত্রিকানিহতের ছেলে শরিফুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বাবা একজন নিরীহ মানুষ ছিলেন। তাঁকে পূর্বশত্রুতার জেরে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। রূপপুর প্রকল্পের কাজ থেকে বাড়ি এসে শুনি বাবা নিখোঁজ হয়েছেন। বাড়ির পাশের জোসনা ও তাঁর স্বামী সায়াম আমার বাবাকে রাতে হত্যা করে থাকতে পারে বলে আমাদের ধারণা।’

এ বিষয়ে সাদুল্লাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল কুদ্দুস মুনসী বলেন, ‘কুদ্দুস প্রামাণিক ছোটবেলা থেকেই অনেক ভালো মানুষ ছিলেন। কারও সঙ্গে কোনো বিরোধ ছিল বলে শুনিনি। আমরা তাঁর খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবি করছি।’

দুবলিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম বলেন, ‘নিখোঁজের পরে পরিবারের জিডির আলোকে মরদেহের সন্ধান পেয়েছি। তাঁকে হত্যা করে খাইরুল ইসলাম নামের একজনের বাড়ির সেপটিক ট্যাংকে মরদেহ রাখা হয়েছিল। পরিবার লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

এ বিষয়ে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মাসুদ আলম বলেন, ‘কীভাবে হত্যা করা হয়েছে এখনো বলা সম্ভব হচ্ছে না। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে বিষয়টি বলা যাবে। এ ঘটনায় আমরা অধিকতর তদন্ত করছি। খুব দ্রুতই রহস্য উদ্‌ঘাটন করা হবে। এ ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পাকিস্তানে কীভাবে হামলা চালাতে পারে ভারত, ইতিহাস যা বলছে

জনবল-সরঞ্জাম বেশি হলেও সমরশক্তিতে ভারত কি পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে

ইতিহাস গড়ে পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদে আইএসআইপ্রধান

ভারত-পাকিস্তানে যুদ্ধের প্রস্তুতি

ভারতের সঙ্গে সংঘাতে পাকিস্তানের ভাগ্যনিয়ন্তা সেনাপ্রধান জেনারেল মুনির

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত