গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের প্রেমিকের নির্দেশেই ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ভ্যানচালক আব্দুর রহিমকে (৪০) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গুরুদাসপুর থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিল আক্তার। এ সময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মৃত আব্দুর রহিম গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর নতুনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ভাড়াটে খুনি বিপ্লব (৩৫), প্রবাসী রায়হানের ছেলে লিটন সরকার (১৯) ও তাঁর চাচাতো ভাই আব্দুল হান্নান (৪১)।
পুলিশ সুপার বলেন, মালয়েশিয়াপ্রবাসী রায়হানের সঙ্গে নিহত আব্দুর রহিমের স্ত্রীর দীর্ঘদিনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। রায়হান মালয়েশিয়া যাওয়ার পর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। দেশে এসে বিয়ের আশ্বাসও দেন। একপর্যায়ে রায়হানকে ২ লাখ টাকা দিয়ে জমি লিজ নেন আব্দুর রহিমের স্ত্রী। তবে স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ও জমি লিজের বিপক্ষে ছিলেন আব্দুর রহিম। সম্প্রতি রায়হানের কাছে লিজের টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন আব্দুর রহিম। এতে রহিমের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন রায়হান।
এরই জেরে মালয়েশিয়া থেকেই আব্দুর রহিমকে খুনের পরিকল্পনা করেন রায়হান। ২৪ মে সন্ধ্যায় নিখোঁজ হন আব্দুর রহিম। পরে নাজিরপুরের একটি ভুট্টাখেত থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, প্রবাসী রায়হান তাঁর ছেলে লিটন সরকার, চাচাতো ভাই আব্দুল হান্নানের কাছে হত্যার পরিকল্পনার কথা বলেন। রায়হানের দিকনির্দেশনা মোতাবেক হত্যার জন্য লিটন ও হান্নান ভাড়াটে খুনি খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মাদকাসক্ত বিপ্লবের সঙ্গে ১০ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করা হয়।
ওসি আরও বলেন, আব্দুর রহিমকে খুন করার জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা ও রায়হান দেশে আসার পর বিপ্লবকে একটি বাড়ি ও যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণের প্রলোভন দেখান। এতে রাজি হন বিপ্লব। একপর্যায়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪ মে নাজিরপুর কলেজ গেট থেকে যৌনকর্মীর প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুর রহিমকে ভুট্টাখেতে নিয়ে যান বিপ্লব, হান্নান ও লিটন। সেখানে প্রথমে হান্নান রহিমকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে পা চেপে ধরেন। এরপর ভাড়াটে খুনি বিপ্লব দুই হাত ধরে বুকের ওপর ওঠে বসেন। এ সময় মোটরসাইকেলের তার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন লিটন।
এ ঘটনায় পিবিআই, ক্রাইম সিনসহ গুরুদাসপুর থানার তিনটি টিম রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করে। রহস্য উদ্ঘাটনের সময় প্রথমে ভাড়াটে খুনি বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ অপর দুজনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে পুলিশ আরও অধিক তদন্ত করছে।
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের প্রেমিকের নির্দেশেই ১০ হাজার টাকা চুক্তিতে ভ্যানচালক আব্দুর রহিমকে (৪০) শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে গুরুদাসপুর থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সিংড়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. জামিল আক্তার। এ সময় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মৃত আব্দুর রহিম গুরুদাসপুরের নাজিরপুর ইউনিয়নের নাজিরপুর নতুনপাড়া গ্রামের বাসিন্দা।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ভাড়াটে খুনি বিপ্লব (৩৫), প্রবাসী রায়হানের ছেলে লিটন সরকার (১৯) ও তাঁর চাচাতো ভাই আব্দুল হান্নান (৪১)।
পুলিশ সুপার বলেন, মালয়েশিয়াপ্রবাসী রায়হানের সঙ্গে নিহত আব্দুর রহিমের স্ত্রীর দীর্ঘদিনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল। রায়হান মালয়েশিয়া যাওয়ার পর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়। দেশে এসে বিয়ের আশ্বাসও দেন। একপর্যায়ে রায়হানকে ২ লাখ টাকা দিয়ে জমি লিজ নেন আব্দুর রহিমের স্ত্রী। তবে স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক ও জমি লিজের বিপক্ষে ছিলেন আব্দুর রহিম। সম্প্রতি রায়হানের কাছে লিজের টাকা ফেরতের জন্য চাপ দিচ্ছিলেন আব্দুর রহিম। এতে রহিমের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন রায়হান।
এরই জেরে মালয়েশিয়া থেকেই আব্দুর রহিমকে খুনের পরিকল্পনা করেন রায়হান। ২৪ মে সন্ধ্যায় নিখোঁজ হন আব্দুর রহিম। পরে নাজিরপুরের একটি ভুট্টাখেত থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
গুরুদাসপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল মতিন বলেন, প্রবাসী রায়হান তাঁর ছেলে লিটন সরকার, চাচাতো ভাই আব্দুল হান্নানের কাছে হত্যার পরিকল্পনার কথা বলেন। রায়হানের দিকনির্দেশনা মোতাবেক হত্যার জন্য লিটন ও হান্নান ভাড়াটে খুনি খুঁজতে থাকেন। একপর্যায়ে উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের মাদকাসক্ত বিপ্লবের সঙ্গে ১০ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করা হয়।
ওসি আরও বলেন, আব্দুর রহিমকে খুন করার জন্য এককালীন ১০ হাজার টাকা ও রায়হান দেশে আসার পর বিপ্লবকে একটি বাড়ি ও যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহণের প্রলোভন দেখান। এতে রাজি হন বিপ্লব। একপর্যায়ে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী ২৪ মে নাজিরপুর কলেজ গেট থেকে যৌনকর্মীর প্রলোভন দেখিয়ে আব্দুর রহিমকে ভুট্টাখেতে নিয়ে যান বিপ্লব, হান্নান ও লিটন। সেখানে প্রথমে হান্নান রহিমকে পেছন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে পা চেপে ধরেন। এরপর ভাড়াটে খুনি বিপ্লব দুই হাত ধরে বুকের ওপর ওঠে বসেন। এ সময় মোটরসাইকেলের তার গলায় পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে হত্যা করেন লিটন।
এ ঘটনায় পিবিআই, ক্রাইম সিনসহ গুরুদাসপুর থানার তিনটি টিম রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ শুরু করে। রহস্য উদ্ঘাটনের সময় প্রথমে ভাড়াটে খুনি বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ অপর দুজনকে গ্রেপ্তার করে গতকাল সোমবার দুপুরে আদালতের মাধ্যমে নাটোর জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। হত্যাকাণ্ডটি নিয়ে পুলিশ আরও অধিক তদন্ত করছে।
নরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
১৬ দিন আগেসবার সামনে পিটিয়ে হত্যা, পাথরে শরীর থেঁতলে দেওয়া, নিজের বাড়ির সামনে গুলি করে পায়ের রগ কেটে হত্যা, অস্ত্র দেখিয়ে সর্বস্ব ছিনতাই, চাঁদা না পেয়ে গুলি—এ ধরনের বেশ কয়েকটি ঘটনা কয়েক দিন ধরে বেশ আলোচিত। কিন্তু পুলিশ অনেকটাই নির্বিকার। প্রতিটি ঘটনার সিটিটিভি ফুটেজ থাকলেও সব অপরাধীকে গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ।
১৪ জুলাই ২০২৫এবার রাজধানীর শ্যামলীতে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ইতিমধ্যে ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। যেখানে দেখা যাচ্ছে, মানিব্যাগ, কাঁধের ব্যাগ ও মোবাইল ফোন নেওয়ার পর ছিনতাইকারীরা এক যুবকের পোশাক ও জুতা খুলে নিয়ে গেছে।
১২ জুলাই ২০২৫মোবাইল চুরির ঘটনায় বোরহান নামের এক তরুণকে বেধড়ক মারধর করা হয়। ছেলেকে বাঁচাতে বোরহানের বাবা রুবির পরিবারের সাহায্য চান। বসে এক গ্রাম্য সালিস। তবে সেই সালিসে কোনো মীমাংসা হয় না। এরই মধ্য নিখোঁজ হয়ে যান বোরহান। এতে এলাকায় রব পড়ে বোরহানকে হত্যা ও লাশ গুম করে ফেলা হয়েছে। তখন বোরহানের বাবা থানায় অভিযোগ দা
০৫ জুলাই ২০২৫