মধ্যপ্রাচ্য

ঈদের দিনেও ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ের তিন ছেলে ও চার নাতি-নাতনি। গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ে। ছেলে ও নাতি-নাতনিদের হারানোর খবর আজ বৃহস্পতিবার আল জাজিরাকে তিনি নিজেই নিশ্

ক্ষুধার্ত গাজার বাসিন্দারা নিঃশব্দে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপন করছেন। ইসরায়েল খাদ্য সরবরাহ বন্ধ করে দিয়ে বিমান হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। রামাল্লায় চলছে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীদের হামলা।

গাজায় ঈদের আনন্দ সেভাবে আসেনি ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে। ইহুদিবাদী দেশটির আগ্রাসনে গাজার অধিকাংশ এলাকাই বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। অধিকাংশ আবাসিক ভবন স্রেফ ধুলোর সঙ্গে মিশে গিয়েছে। তবু অঞ্চলটির মানুষ ঈদুল ফিতরকে স্বাগত 

ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর হামলা বন্ধের আহ্বান জানিয়েছেন সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার মুসলমানদের অন্যতম বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে এই আহ্বান জানান তিনি। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

দুর্ভিক্ষপীড়িত অঞ্চলটির রাস্তায় রাস্তায় ছোটখাটো মেলা বসেছে খাবার-দাবার, কাপড়চোপড়সহ বিভিন্ন পণ্যের। ত্রাণসহায়তাও ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। যদিও পর্যাপ্ততার অভাব, তবু আনন্দের কমতি নেই। স্বজন-প্রিয়জনের বিয়োগব্যথায় মুখের হাসি হারিয়ে গেলেও ঈদের দিনে গাজাবাসীর

ঠিক কবে এবং কখন অভিযান চালানো হবে, বিষয়টি প্রকাশ করেননি নেতানিয়াহু। তিনি বলেছেন, ‘হামাস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে বিজয়ের জন্য রাফাহে প্রবেশ এবং সেখানে সন্ত্রাসী ব্যাটালিয়নগুলো নির্মূল করা প্রয়োজন। এবং এটি শিগগিরই ঘটবে—এ বিষয়ে একটি তারিখ নির্ধারণ 

ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছে, তা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের দাবি পূরণ করে না। তবু সেই প্রস্তাব বিবেচনায় রেখেছে হামাস। কাতার ও মিসরীয় মধ্যস্থতাকারীরা এই প্রস্তাব হামাসের কাছে উত্থাপন করে

মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতরের দিন-তারিখ নিশ্চিত করেছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যে উপসাগরীয় অঞ্চলের পাঁচ দেশ। দেশগুলো হলো—সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, কুয়েত বাহরাইন ও সৌদি আরব। সংযুক্ত আরব আমিরাতের সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজের 

সৌদি আরবের আকাশে শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। ফলে আগামীকাল মঙ্গলবার এবারের রমজান মাস ৩০ দিন পূর্ণ করবে। আর বুধবার দেশটিতে ঈদুল ফিতর উদ্‌যাপিত হবে।

ক্রমবর্ধমান আন্তর্জাতিক চাপের মধ্যে থাকা ইসরায়েল আজ সোমবার ৩২২টি ত্রাণবাহী ট্রাকের ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে প্রবেশের অনুমতি দিয়েছে। ইসরায়েলের অঞ্চলগুলোতে সরকারি কার্যক্রম সমন্বয়কারী সংস্থা (সিওজিএটি) সামাজিক প্ল্যাটফর্মে এক্সে এক পোস্ট দিয়ে বলেছে, মোট ট্রাকের ৭০ শতাংশ অর্থাৎ, ২২৮টি ট্রাকে খাবার নিয়ে যাওয়া

দক্ষিণ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী (আইডিএফ)। এই সুযোগে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হওয়া, মাটির সঙ্গে মিশে যাওয়া নিজ বসতভিটায় ফিরতে শুরু করেছেন স্থানীয়রা। তবে, এখনো তাদের মনে ভয়। মনে করছেন, মৃত্যু এখনো তাদের তাড়া করছে। বিধ্বস্ত অঞ্চলটি যেন, মৃত্যুর গন্ধে ভারী হয়ে আছে

বিশ্বের যেখানেই ইসরায়েলি কূটনৈতিক মিশন বা দূতাবাস তার কোনোটাই আর নিরাপদ নয়। গত সপ্তাহে সিরিয়ায় ইসরায়েলি হামলায় ইরানের দুই শীর্ষ জেনারেল নিহত হওয়ার ঘটনার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে এই হুমকি দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনির 

গাজার দক্ষিণাঞ্চল থেকে সেনা প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েল। মধ্য গাজার খান ইউনিস থেকেও সেনা প্রত্যাহার করা হয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলটিতে এরই মধ্যে স্থানীয়রা ফিরতে শুরু করেছে। গতকাল রোববার ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী বা আইডিএফ এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত 

ইসরায়েলি হামলায় সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইরানি কনস্যুলেটের সাত কর্মকর্তা নিহত হওয়ার ঘটনায় কঠিন প্রতিশোধ নেওয়ার হুমকি দিয়েছে তেহরান। পর্যবেক্ষকেরা বলছেন, গাজায় যুদ্ধনীতি নিয়ে পশ্চিমা চাপে থাকা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এখন মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধ আরও বিস্তৃত করার ফন্দি আঁটছেন।

সুপ্রিম কোর্টের একটি বিবৃতির বরাত দিয়ে রোববার সৌদি গেজেট এই খবর জানিয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—যারা খালি চোখে বা দুরবিনের মাধ্যমে নতুন বাঁকা চাঁদ দেখতে পাবেন তাঁদেরকে নিকটস্থ আদালতে গিয়ে খবরটি জানাতে হবে। তবে তাঁদেরকে অবশ্যই চাঁদ দেখার প্রমাণপত্র সঙ্গে রাখতে হবে। 

দক্ষিণ গাজা উপত্যকা থেকে প্রায় সব সৈন্যই প্রত্যাহার করেছে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। আজ রোববার আইডিএফের একজন মুখপাত্র জানান, মাত্র একটি ব্রিগেড রেখে বাকি সব সৈন্যই প্রত্যাহার করা হয়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে খবরটি দিয়েছে।

সৌদি আরবের নাগরিক আতি আল-মালিকি মক্কায় বসবাস করেন। সম্প্রতি তাঁর ছেলে আবদুল্লাহকে হত্যা করেছিলেন এক ব্যক্তি। এ ঘটনায় সৌদি বিচারব্যবস্থায় ওই হত্যাকারীর মৃত্যুদণ্ডের রায় হয়েছিল। কিন্তু দণ্ড কার্যকরের কয়েক দিন আগেই সেই খুনিকে ক্ষমা করে দিলেন আতি আল-মালিকি।