ঈদের দিনেও ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ের তিন ছেলে ও চার নাতি-নাতনি। গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ে। ছেলে ও নাতি-নাতনিদের হারানোর খবর আজ বৃহস্পতিবার আল-জাজিরাকে তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
গাজায় হামাসসংশ্লিষ্ট একটি বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থীশিবিরে ওই হামলা হয়। এতে হামাস নেতা হানিয়ের তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ ইসমাইল হানিয়ে এবং তাঁর অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হন।
ইসমাইল হানিয়ে বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। সেখানে আল-জাজিরাকে এক টেলিফোনে তিনি বলেন, যুদ্ধের মধ্যে তাঁর ছেলে গাজায় অবস্থান করছিলেন।
ছয় মাসের বেশি সময় ধরে গাজা ও পশ্চিম তীরে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলায় হামাস নেতা হানিয়ের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। তাঁর আরেক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারান। এরপর নভেম্বরে তাঁর এক নাতি নিহত হন।
ইসমাইল হানিয়ে আজ কাতারের দোহায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুদ্ধাহত ফিলিস্তিনিদের দেখতে যান। সেখানেই তাঁকে ছেলে ও নাতি-নাতনিদের নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়।
গাজার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঈদের দিনে একটি বেসামরিক গাড়িতে চড়ে এক স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ইসমাইল হানিয়ের ছেলে ও নাতি-নাতনিরা। ওই গাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়।
মিসরের রাজধানী কায়রোতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই আলোচনায় অংশ নিয়েছে হামাস। ছেলে ও নাতি-নাতনিদের মৃত্যুতে হামাসের অবস্থান পরিবর্তন হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ইসমাইল হানিয়ে। তিনি বলেছেন, চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাসের অবস্থানের কোনো নড়চড় হবে না। শত্রুরা যদি মনে করে, আলোচনা যখন গতিশীল হয়েছে এবং হামাস যখন তাদের অবস্থান জানাবে, এমন সময়ে আমার ছেলেদের লক্ষ্যবস্তু বানালে হামাস অবস্থান পরিবর্তন করবে, তাহলে তারা কল্পনার জগতে রয়েছে। আমাদের দেশের মানুষের রক্ত আমার ছেলেদের রক্তের চেয়ে আমার কাছে কম কিছু নয়।
চলমান আলোচনায় হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া কোনো বাধা ছাড়া ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুতদের ঘরে ফেরার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেছে তারা।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, হামাসকে নির্মূল এবং তাদের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।
উল্লেখ্য, ইসমাইল হানিয়ে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান। গত শতকের আশির দশকে হামাসের উত্থানকালে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের এই রাজনৈতিক ও সামরিক আন্দোলনের সামনের কাতারে ছিলেন ইসমাইল হানিয়ে। ১৯৮৯ সালে তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসরায়েল। এরপর ১৯৯২ সালে আরও কয়েকজন হামাস নেতার সঙ্গে হানিয়েকে ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তের শূন্যরেখায় ছেড়ে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
এক বছর নির্বাসনে থাকার পর ইসমাইল হানিয়ে গাজায় ফেরেন। ১৯৯৭ সালে হামাসের মতাদর্শিক গুরুর কার্যালয়ের প্রধানের দায়িত্ব পান তিনি। এতে হামাসে তাঁর পদমর্যাদা বাড়ে।
ফিলিস্তিনের জাতীয় নির্বাচনে হামাস বেশির ভাগ আসনে জয় পাওয়ার পর ২০০৬ সালে ইসমাইল হানিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহর সঙ্গে সপ্তাহব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর সরকার ভেঙে দেওয়া হয়। গাজা থেকে ফাত্তাহর কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া হয়। গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস।
২০১৭ সালে ইসমাইল হানিয়ে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান নির্বাচিত হন। পরের বছর ইসমাইল হানিয়েকে ‘সন্ত্রাসী’ অভিহিত করে যুক্তরাষ্ট্র। কয়েক বছর ধরে কাতারে বসবাস করছেন ইসমাইল হানিয়ে।
ঈদের দিনেও ফিলিস্তিনের গাজায় বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নিহত হয়েছেন হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ের তিন ছেলে ও চার নাতি-নাতনি। গাজা নিয়ন্ত্রণকারী ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়ে। ছেলে ও নাতি-নাতনিদের হারানোর খবর আজ বৃহস্পতিবার আল-জাজিরাকে তিনি নিজেই নিশ্চিত করেছেন।
গাজায় হামাসসংশ্লিষ্ট একটি বার্তা সংস্থার বরাত দিয়ে আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজা শহরের পশ্চিমে একটি শরণার্থীশিবিরে ওই হামলা হয়। এতে হামাস নেতা হানিয়ের তিন ছেলে হাজেম, আমির ও মুহাম্মদ ইসমাইল হানিয়ে এবং তাঁর অন্তত তিন নাতি-নাতনি নিহত হন।
ইসমাইল হানিয়ে বর্তমানে কাতারে অবস্থান করছেন। সেখানে আল-জাজিরাকে এক টেলিফোনে তিনি বলেন, যুদ্ধের মধ্যে তাঁর ছেলে গাজায় অবস্থান করছিলেন।
ছয় মাসের বেশি সময় ধরে গাজা ও পশ্চিম তীরে নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এরই মধ্যে প্রায় ৩৫ হাজার ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, যাদের মধ্যে অধিকাংশ নারী ও শিশু। ইসরায়েলি হামলায় হামাস নেতা হানিয়ের পরিবারের সদস্যদের মৃত্যুর ঘটনা অবশ্য এটাই প্রথম নয়। তাঁর আরেক ছেলে গত ফেব্রুয়ারিতে এবং ভাই ও ভাতিজা অক্টোবরে প্রাণ হারান। এরপর নভেম্বরে তাঁর এক নাতি নিহত হন।
ইসমাইল হানিয়ে আজ কাতারের দোহায় একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুদ্ধাহত ফিলিস্তিনিদের দেখতে যান। সেখানেই তাঁকে ছেলে ও নাতি-নাতনিদের নিহত হওয়ার খবর জানানো হয়।
গাজার স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ঈদের দিনে একটি বেসামরিক গাড়িতে চড়ে এক স্বজনের বাড়িতে যাচ্ছিলেন ইসমাইল হানিয়ের ছেলে ও নাতি-নাতনিরা। ওই গাড়ি লক্ষ্য করে ইসরায়েল বিমান হামলা চালায়।
মিসরের রাজধানী কায়রোতে কাতারের প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা চলছে। সেই আলোচনায় অংশ নিয়েছে হামাস। ছেলে ও নাতি-নাতনিদের মৃত্যুতে হামাসের অবস্থান পরিবর্তন হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন ইসমাইল হানিয়ে। তিনি বলেছেন, চলমান যুদ্ধবিরতির আলোচনায় হামাসের অবস্থানের কোনো নড়চড় হবে না। শত্রুরা যদি মনে করে, আলোচনা যখন গতিশীল হয়েছে এবং হামাস যখন তাদের অবস্থান জানাবে, এমন সময়ে আমার ছেলেদের লক্ষ্যবস্তু বানালে হামাস অবস্থান পরিবর্তন করবে, তাহলে তারা কল্পনার জগতে রয়েছে। আমাদের দেশের মানুষের রক্ত আমার ছেলেদের রক্তের চেয়ে আমার কাছে কম কিছু নয়।
চলমান আলোচনায় হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি এবং গাজা থেকে সব ইসরায়েলি সেনা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। এ ছাড়া কোনো বাধা ছাড়া ফিলিস্তিনের উত্তরাঞ্চল থেকে বাস্তুচ্যুতদের ঘরে ফেরার সুযোগ দেওয়ার দাবি করেছে তারা।
অন্যদিকে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলছেন, হামাসকে নির্মূল এবং তাদের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মুক্ত না করা পর্যন্ত যুদ্ধ চলবে।
উল্লেখ্য, ইসমাইল হানিয়ে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান। গত শতকের আশির দশকে হামাসের উত্থানকালে ফিলিস্তিনি মুসলিমদের এই রাজনৈতিক ও সামরিক আন্দোলনের সামনের কাতারে ছিলেন ইসমাইল হানিয়ে। ১৯৮৯ সালে তাঁকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেয় ইসরায়েল। এরপর ১৯৯২ সালে আরও কয়েকজন হামাস নেতার সঙ্গে হানিয়েকে ইসরায়েল ও লেবানন সীমান্তের শূন্যরেখায় ছেড়ে দেয় ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
এক বছর নির্বাসনে থাকার পর ইসমাইল হানিয়ে গাজায় ফেরেন। ১৯৯৭ সালে হামাসের মতাদর্শিক গুরুর কার্যালয়ের প্রধানের দায়িত্ব পান তিনি। এতে হামাসে তাঁর পদমর্যাদা বাড়ে।
ফিলিস্তিনের জাতীয় নির্বাচনে হামাস বেশির ভাগ আসনে জয় পাওয়ার পর ২০০৬ সালে ইসমাইল হানিয়ে প্রধানমন্ত্রী হন। প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহর সঙ্গে সপ্তাহব্যাপী রক্তক্ষয়ী সংঘাতের পর সরকার ভেঙে দেওয়া হয়। গাজা থেকে ফাত্তাহর কার্যক্রম গুটিয়ে নেওয়া হয়। গাজার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় হামাস।
২০১৭ সালে ইসমাইল হানিয়ে হামাসের রাজনৈতিক ব্যুরোর প্রধান নির্বাচিত হন। পরের বছর ইসমাইল হানিয়েকে ‘সন্ত্রাসী’ অভিহিত করে যুক্তরাষ্ট্র। কয়েক বছর ধরে কাতারে বসবাস করছেন ইসমাইল হানিয়ে।
সাম্প্রতিক অস্থিরতায় সরকার পতনের প্রেক্ষাপটে নেপালে অন্তর্বর্তী সরকারে প্রধানের দায়িত্ব পেয়েছেন সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কারকি। তাঁকে নিয়ে এখন চলছে নানা আলোচনা। তবে একটি চমকপ্রদ তথ্য অনেকেই জানেন না। অর্ধশত বছর আগে আলোচিত একটি বিমান ছিনতাইয়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
২ ঘণ্টা আগেপ্রতিরক্ষা সক্ষমতা বাড়াতে এবং ‘অকাস চুক্তি’র বাস্তবায়নে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ায় নতুন সাবমেরিন জাহাজঘাঁটি গড়ে তুলতে দেশটি এবার প্রায় ৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির সরকার। ২০২১ সালে অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে হওয়া...
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাজ্য পুলিশ এই ঘটনাকে ‘বর্ণবাদী বিদ্বেষমূলক’ হামলা হিসেবে দেখছে এবং হামলাকারীদের খুঁজে বের করতে জনগণের সাহায্য চেয়েছে।
৫ ঘণ্টা আগেস্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে অধিকাংশ সদস্যদেশ। এই প্রস্তাবকে ‘নিউইয়র্ক ঘোষণা’ বলা হচ্ছে। প্রস্তাবে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল দ্বিরাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রচেষ্টায় তৎপরতা আনার কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে, সেখানে...
৫ ঘণ্টা আগে