কুমারখালী (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে হত্যার হুমকি দিয়ে দুজন মাদ্রাসাছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক অবসরপ্রাপ্ত ট্যাক্স কালেক্টরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. শহিদুল ইসলাম (৭২)। তিনি পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার মৃত নুরুল হক বিশ্বাসের ছেলে। তিনি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ট্যাক্স কালেক্টর এবং দুই সন্তানের জনক।
মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ার চুক্তিতে প্রায় সাত মাস আগে মহিলা মাদ্রাসাটি দুর্গাপুর এলাকার হাজি মো. শহিদুল ইসলামের বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণির ৩৩ জন ছাত্রী ও ৩ জন শিক্ষিকা রয়েছেন। মাদ্রাসার একটি কক্ষে বাড়ির মালিক ও তাঁর স্ত্রী থাকেন।
মাদ্রাসার মোবাইল চার্জ দিতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের কক্ষে যাওয়া-আসা করে। সেই সুযোগে প্রথমে ১১ বছর বয়সের এক ছাত্রীকে মাসখানেক আগে প্রথমে যৌন নির্যাতন করেন বাড়ির মালিক মো. শহিদুল ইসলাম। এরপর হত্যার হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীকে নিয়মিত যৌন নির্যাতন করে আসছিলেন তিনি।
এরপর গত বুধবার আরেক ছাত্রী মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে শহিদুলের অপকর্ম দেখে ফেলে। এ সময় শহিদুল ওই ছাত্রীর বিষয়টা কাউকে না বলার জন্য টাকার লোভ দেখান। কিন্তু ওই ছাত্রী এতে অসম্মতি জানালে দুজনকেই হত্যার হুমকি দেন এবং পরে দেখে ফেলা ছাত্রীকেও যৌন নির্যাতন করেন।
ঘটনা দেখে ফেলা ওই ছাত্রী (১২) বলে, ‘মাঝে মাঝেই দাদু (বাড়িওয়ালা) ওকে (প্রথম ভুক্তভোগী) ডেকে আনতে বলত। না ডাকলে হত্যার ভয় দেখাত। গত বুধবার আমি খারাপ অবস্থায় দেখে ফেললে ২৩০ টাকা ঘুষ দিতে চায়। আমি টাকা না নিলে আমার সঙ্গেও খারাপ কাজ করে। পরে অনেক খাবার খাইয়ে কাউকে না বলার হত্যার হুমকি দিয়েছিল।’
মামলার বাদী বলেন, ‘মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমার মেয়ে এমন ঘটনার শিকার হয়েছে। থানায় মামলা করেছি।’
কুমারখালী ফয়জুল উলুম কওমি মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আকামউদ্দিন আকাই বলেন, ‘কয়েক দিন আগে জানতে পেরেছি ছাত্রীদের হত্যার হুমকি দিয়ে যৌনপীড়ন করেছেন বাড়ির মালিক। তাদের সঙ্গে খুব খারাপ কাজ করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলেছিলাম।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার মোবাইল ফোনে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০১৯ সালে হজ করেছি। এমন কাজ আমি করতে পারি না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক ছাত্রীর বাবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মামলা করেছেন। আসামি পলাতক রয়েছেন।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে হত্যার হুমকি দিয়ে দুজন মাদ্রাসাছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক অবসরপ্রাপ্ত ট্যাক্স কালেক্টরের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার রাতে ভুক্তভোগী এক ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মো. শহিদুল ইসলাম (৭২)। তিনি পৌরসভার দুর্গাপুর এলাকার মৃত নুরুল হক বিশ্বাসের ছেলে। তিনি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রি কার্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত ট্যাক্স কালেক্টর এবং দুই সন্তানের জনক।
মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ সূত্রে জানা গেছে, মাসিক ১০ হাজার টাকা ভাড়ার চুক্তিতে প্রায় সাত মাস আগে মহিলা মাদ্রাসাটি দুর্গাপুর এলাকার হাজি মো. শহিদুল ইসলামের বাড়িতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণির ৩৩ জন ছাত্রী ও ৩ জন শিক্ষিকা রয়েছেন। মাদ্রাসার একটি কক্ষে বাড়ির মালিক ও তাঁর স্ত্রী থাকেন।
মাদ্রাসার মোবাইল চার্জ দিতে শিক্ষার্থীরা তাঁদের কক্ষে যাওয়া-আসা করে। সেই সুযোগে প্রথমে ১১ বছর বয়সের এক ছাত্রীকে মাসখানেক আগে প্রথমে যৌন নির্যাতন করেন বাড়ির মালিক মো. শহিদুল ইসলাম। এরপর হত্যার হুমকি দিয়ে ওই ছাত্রীকে নিয়মিত যৌন নির্যাতন করে আসছিলেন তিনি।
এরপর গত বুধবার আরেক ছাত্রী মোবাইল চার্জ দিতে গিয়ে শহিদুলের অপকর্ম দেখে ফেলে। এ সময় শহিদুল ওই ছাত্রীর বিষয়টা কাউকে না বলার জন্য টাকার লোভ দেখান। কিন্তু ওই ছাত্রী এতে অসম্মতি জানালে দুজনকেই হত্যার হুমকি দেন এবং পরে দেখে ফেলা ছাত্রীকেও যৌন নির্যাতন করেন।
ঘটনা দেখে ফেলা ওই ছাত্রী (১২) বলে, ‘মাঝে মাঝেই দাদু (বাড়িওয়ালা) ওকে (প্রথম ভুক্তভোগী) ডেকে আনতে বলত। না ডাকলে হত্যার ভয় দেখাত। গত বুধবার আমি খারাপ অবস্থায় দেখে ফেললে ২৩০ টাকা ঘুষ দিতে চায়। আমি টাকা না নিলে আমার সঙ্গেও খারাপ কাজ করে। পরে অনেক খাবার খাইয়ে কাউকে না বলার হত্যার হুমকি দিয়েছিল।’
মামলার বাদী বলেন, ‘মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের অবহেলায় আমার মেয়ে এমন ঘটনার শিকার হয়েছে। থানায় মামলা করেছি।’
কুমারখালী ফয়জুল উলুম কওমি মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক মো. আকামউদ্দিন আকাই বলেন, ‘কয়েক দিন আগে জানতে পেরেছি ছাত্রীদের হত্যার হুমকি দিয়ে যৌনপীড়ন করেছেন বাড়ির মালিক। তাদের সঙ্গে খুব খারাপ কাজ করেছেন তিনি। বিষয়টি নিয়ে বাড়ির মালিকের সঙ্গে কথা বলেছিলাম।’
এ বিষয়ে জানতে চাইলে গত বৃহস্পতিবার মোবাইল ফোনে অভিযুক্ত শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ২০১৯ সালে হজ করেছি। এমন কাজ আমি করতে পারি না। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, শ্লীলতাহানির অভিযোগে এক ছাত্রীর বাবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১০ ধারায় মামলা করেছেন। আসামি পলাতক রয়েছেন।
ফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগী
৬ দিন আগেচাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
৯ দিন আগেআন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
২০ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫