Ajker Patrika

মোহাম্মদপুরে ফাঁকা বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০১ মে ২০২২, ০০: ১৯
মোহাম্মদপুরে ফাঁকা বাসায় দুর্ধর্ষ চুরি

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা হতে শুরু করেছে রাজধানী। পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে অনেকেই ছুটছেন বাড়ির পথে। আর রাজধানীতে রেখে যাচ্ছেন তাঁদের মূল্যবান সামগ্রী। এই সুযোগে তৎপর হয়ে উঠেছে চোর চক্র। এরই মধ্যে শনিবার (৩০ এপ্রিল) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি বাসায় গ্রিল কেটে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে ৮টার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেছে ভুক্তভোগী পরিবার।

বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ওসি আব্দুল লতিফ। তিনি বলেন, ‘একটি বাসায় গ্রিল কেটে চুরি হয়েছে। আমরা কাজ করছি। সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশ আমাদের সহযোগিতা করছে। এই ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে।’

বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে পুলিশকাউকে চিহ্নিত করা গেছে কি না জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কেউ চিহ্নিত হয়নি। আমরা কাজ করছি। তবে মামলার বাদী তাঁর বাসার একজন গৃহপরিচারিকাকে সন্দেহ করছেন।’

আজ রাত ১০টার দিকে কথা হয় ভুক্তভোগী ইমামুল আরাফাতের সঙ্গে। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দুজনেই চাকরিজীবী। ঈদের ছুটিতে আমার স্ত্রী যশোরের গ্রামের বাড়িতে গেছে। আমি তাকে বিমানবন্দরে দিতে যাই। এরপর বাসায় এসে আবার বের হয়ে বিকেলে একটি ইফতার পার্টির দাওয়াতে যাই। সেখান থেকে ফিরে বাসায় এসে দেখি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করা। বিষয়টি বাড়ির মালিক ও নিরাপত্তা কর্মীকে জানালে তাঁরা দেখেন আমার বাসার পেছন থেকে গ্রিল কাটা।’

বাড়ির সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে পুলিশআরাফাত আরও বলেন, ‘এই ঘটনার পরে আমার বাসায় থাকা সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, এক ব্যক্তি বাসায় প্রবেশ করে। আলমারির কাপড়চোপড় এলোমেলো করেছে। আলমারি ভেঙে সর্বমোট ৩৭ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে গেছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় ২৬ লাখ টাকা। এ ছাড়া নগদ ২ লাখ টাকা ও একটি এইচপি ল্যাপটপ নিয়ে যায়। যার বাজার মূল্য ৭৫ হাজার টাকা।’

এক নারীকে সন্দেহ করছেন জানিয়ে আরাফাত বলেন, ‘আমরা দুজনেই চাকরিজীবী। আমার বাসায় দুজন কাজের লোক ছিল। একজন সার্বক্ষণিক থাকত, আরেকজন এসে কাজ করে চলে যেতো। এই ছুটা বুয়ার নাম পারভীন আক্তার। তাকে আমার সন্দেহ হচ্ছে। আরেকজন যশোর থেকে এসেছে। তিনি সব সময় আমার বাসায় থাকতেন। আমার পরিবারের সঙ্গে যশোর গেছেন। এ ছাড়া বাসার দুজন নিরাপত্তা কর্মীকেও আমার সন্দেহ হচ্ছে। কারণ তাঁরা আমি কখন আসি যাই সব তথ্য জানে। গার্ড দুজনের নাম শহীদুল ও দেলওয়ার। তিনজনকে পুলিশ আটক করেছে। দেখি কী হয়।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত