Ajker Patrika

কাউন্সিলরের নামে যৌন নিপীড়নের মামলা

প্রতিনিধি, নারায়ণগঞ্জ 
আপডেট : ২৬ আগস্ট ২০২১, ১৬: ০১
কাউন্সিলরের নামে যৌন নিপীড়নের মামলা

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন এক নারী। ওই নারী তাঁর বিরুদ্ধে এর আগেও সাইবার ট্রাইব্যুনালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেছিলেন। ওই মামলায় নিজেকে কাউন্সিলর খোরশেদের বিবাহিত স্ত্রী বলেও দাবি করেছিলেন। করোনার সংকটকালীন সময়ে মৃতদেহের দাফন ও সৎকার করে ইতিবাচকভাবে আলোচনায় আসেন এ কাউন্সিলর।  

গতকাল বুধবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন ওই নারী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট রকিবউদ্দিন আহমেদ। তিনি জানান, আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী জসিম উদ্দিন বলেন, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করা হয়। মামলার একমাত্র আসামি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ। আদালত মামলাটি বিবেচনায় নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার বাদী পেশায় একজন ব্যবসায়ী। তিনি পোশাক কারখানা মালিকদের সংগঠন বিজেএমই’রও সদস্য। মামলার বাদী বলেন, তিনি কাউন্সিলর খোরশেদের বিবাহিত স্ত্রী। গত বছরের ২ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুরের এসএস ফিলিং স্টেশনে কাউন্সিলর খোরশেদ নিজেই কাজী নিয়ে গিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহরে তাঁকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে তাঁদের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়। তবে বিয়ের বিষয়টি জানাজানি হলে খোরশেদ বাদীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর বিভিন্নভাবে তাঁকে হেয়-প্রতিপন্ন করেন বলে অভিযোগ বাদীর। এর আগে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থও হাতিয়ে নেন খোরশেদ।

তিনি আরও বলেন, ‘খোরশেদ আমাকে স্ত্রী বলে অস্বীকার করেছেন। তিনি আমাকে কাবিননামা দেননি। তবে কাবিননামা ছাড়া তাঁর সঙ্গে সম্পর্কের সব প্রমাণ আমার কাছে আছে। তিনি যেহেতু আমাকে স্ত্রী হিসেবে অস্বীকার করেছেন, সুতরাং তাঁর সঙ্গে আমার শারীরিক সম্পর্ক ধর্ষণের সমান। আমি তাই আদালতে সুবিচারের দাবিতে মামলা করেছি।’

এর আগে গত ১৬ মে ওই নারী নিজে বাদী হয়ে নাসিক কাউন্সিলর ও নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করেন। মামলায় নিজেকে খোরশেদের বিবাহিত স্ত্রী দাবি করে ওই নারী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে লাইভ ভিডিওতে তাঁর বিরুদ্ধে আপত্তিকর, বানোয়াট ও মিথ্যা কাহিনি সাজিয়ে কুৎসা রটানোর অভিযোগ আনেন। এই মামলায় সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন কাউন্সিলর খোরশেদ।

উল্লেখ্য, কাউন্সিলর খোরশেদ পূর্বেই বিবাহিত। তাঁর সন্তানও রয়েছে।

এ ব্যাপারে কাউন্সিলর খোরশেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে একটি পক্ষ। কেন এমনটা করছে এটা আমার কাছে পরিষ্কার নয়। হতে পারে সামনে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন, এ জন্য আমার ইমেজ ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায়। কারণ এই নারী প্রথমে আমাকে তাঁর স্বামী দাবি করে আইসিটি মামলা করল। বহু কষ্টে সে মামলায় জামিন নিলাম। এখন সে ধর্ষণের মামলা করেছে। তার বক্তব্যই তো স্ববিরোধী। স্বামী হলে সেটা ধর্ষণ হয় কীভাবে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আন্দালিব রহমান পার্থর স্ত্রীকে বিদেশ যেতে বাধা

‘মেয়েরা যেন আমার মরা মুখ না দেখে’, চিরকুট লিখে ঠিকাদারের ‘আত্মহত্যা’

ফরিদপুরে পালিয়ে যাওয়া আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার, থানার ওসিকে বদলি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করায় ভারতের উদ্বেগ

সৌদি আরবের সঙ্গে ১৪২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির চুক্তি করে নিজের রেকর্ড ভাঙল যুক্তরাষ্ট্র

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত