উপসম্পাদকীয়

স্কুল জীবনের বন্ধুদের মধ্যে যারা এখনো জীবিত, তাঁরা আমার ভয়ের নানা ভয়ংকর গল্প এখনো মনে করতে পারবেন। কত কিছু নিয়ে যে আমি ভয় পেতাম! বাড়ি থেকে বন্ধুদের সঙ্গে দূরে কোথাও যেতাম না; যদি হারিয়ে যাই! পানিতে নেমে গোসল করতাম না, যদি ডুবে যাই। সুন্দরী মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতাম না, যদি ‘ছলাকলা’ করে আমাকে ‘নষ্ট’ কর

আজকের করোনা অতিমারি প্রকৃত অর্থেই একটি বৈশ্বিক সংকট–ব্যাপ্তিতে, গভীরতায় ও অভিঘাতে। ব্যাপ্তির দিক থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ২১২টি দেশ ও ভূখণ্ড এর শিকার হয়েছে। অভিঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বের মোট ১৯ কোটি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছে এবং ৪১ লাখের বেশি

ষাট দিন পরপর নিয়ম মেনে বসছে সংসদ। আমি বলি নিয়মরক্ষার সংসদ। এই অতি সংক্ষিপ্ত আর করোনাকালের কঠোর সাবধানতা মেনে বসা সংসদের কয়েক অধিবেশনে বিভিন্ন ইস্যুতে বারবারই এসেছে শিক্ষা প্রসঙ্গ। নতুন বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন, শিক্ষার মান, কারিগরি শিক্ষা, চতুর্থ শিল্পবিপ্লব মোকাবিলার মতো দক্ষ জনশক্তি তৈরি,

গত ৭ জুলাই ২০২১, এ বছরের মতো প্রথম সাইকেল বের করেছিলাম। সাইকেল অবশ্য রেডি করে রেখেছি অনেক আগেই। তবে, প্রতিদিন হাঁটার কোটা পূরণ করতে গিয়ে আজ না কাল করতে করতে এত দেরি।

কেমন আছেন বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রপতি ও প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ? কেউ এখন তাঁর খোঁজ-খবর রাখেন না। তিনি বেঁচে আছেন কিনা—এই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করলে অনেকেই হয়তো চট করে বলতেও পারবেন না।

এরশাদকে ফাঁকি দেওয়ার জন্য সাংবাদিকেরা তখন নানা বুদ্ধি বা উপায় বের করতেন। সামরিক কর্তৃপক্ষ হরতাল বা ধর্মঘট শব্দ লেখার ওপর আপত্তি তোলায় তখন লেখা হতো বিরোধী দল ২৪ বা ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই ‘কর্মসূচি’র অর্থ বুঝতে কারও অসুবিধা হতো না। এমনও হয়েছে, বোমা বা পটকা ফুটলেও লেখা হতো ‘কর্মসূচি’ বিস্ফো

১৯৮৯ সালের কথা। তখন লে জে হো মো এরশাদের জমানা। আমি কাজ করি সাপ্তাহিক ‘একতা’য়। সে বছর ২ অক্টোবর পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো বাংলাদেশ সফরে এসে জয়পুরহাট গেলেন একজন পিরের সঙ্গে দেখা করতে। পিরের নাম মজিবর রহমান চিশতি।

এই আনন্দ দিনে হৃদয়ের দরজা খোলা থাক আজ। খোলা থাক চোখ। কার্যত দৃশ্য বলে যা ধরা দেবে, তাকে আজ মন দিয়ে বোঝা হোক। আজ পরিজনকে ধন্যবাদ দিই। তাঁদের অনেক ধন্যবাদ পাওনা আছে। 

অনেকে সচেতনতা থেকেই মাস্ক পরছেন। আবার অনেকে মাস্ক পরা নিয়ে হাসি–ঠাট্টা করছেন। এগুলো করে তাঁরা নিজে তো বিপদে পড়ছেনই, অন্যকেও বিপদে ফেলছেন। প্রত্যেককে সঠিকভাবে মাস্ক পরা নিশ্চিত করতে দেশে একটা কঠোর আইন এখন সময়ের দাবি।

বাংলাদেশে টেলিভিশন বা দৃশ্যমাধ্যমের যে বিপ্লব ঘটেছে, তার অন্যতম কান্ডারি অবশ্যই সাইমন ড্রিং। এ এস মাহমুদের মতো উদ্যোক্তা বেসরকারি টেলিভিশন নিয়ে এসেছিলেন ঠিক, কিন্তু একুশের মূল ব্র্যান্ড ছিলেন সাইমন ড্রিং। এখনো শহর, গ্রামের লোকজন বলে, আপনারা তো সাইমনের শিষ্য।

কোরবানি ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত এবং দ্বীনের একটি মহান নিদর্শন। বিশ্বের বহু দেশের মতো আমাদের দেশেও এবার পবিত্র ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হচ্ছে ভিন্ন প্রেক্ষাপটে, সম্পূর্ণ এক বৈরী পরিবেশে। টানা দুই সপ্তাহের লকডাউন শেষে মানুষের জীবন-জীবিকার সুবিধার জন্য সরকার  ৯ দিনের যে শিথিলতার ঘোষণা দিয়েছে, তাতেই

করোনা নয়, আপাতত ঘরে ঘরে আলোচিত বিষয় হয়ে উঠেছে গরু। কারণ কোরবানির ঈদ। কেমন গরু কোরবানি করা হবে, সেই গরু কোত্থেকে সংগ্রহ করা হবে, তার দাম কী রকম হবে, সেই টাকা কোথা থেকে আসবে, এককভাবে কোরবানি দেওয়া হবে, নাকি ভাগে দেওয়া হবে, কোরবানির পশুর হাটে গরু কিনতে গেলে গরুর সঙ্গে করোনা আসবে কি না—এসব নিয়ে এখন বাংল

হিজরি সনের সর্বশেষ মাস জিলহজ। এ মাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ আমল হলো ১০ তারিখে ঈদুল আজহা আদায় করে আল্লাহর উদ্দেশে কোরবানি করা। কিন্তু জিলহজ মাসের চাঁদ দেখার পর ঈদুল আজহার নামাজ পর্যন্ত এমন কিছু কার্যাবলি আছে, যা পালন করলে আমরা অধিক সওয়াব

এক তরুণ হন্যে হয়ে ঘুরছেন পুলিশের এক দপ্তর থেকে আরেক দপ্তরে। বিচার চাইছেন। তাঁকে বিপদে ফেলেছেন এক তরুণী। সেই তরুণী, যাঁর সঙ্গে প্রথম আলাপ ফেসবুকে। তারপর ভার্চুয়াল প্রেম। ভার্চুয়াল প্রেমে নানা ধরনের ঘটনার সঙ্গে পরিচিত হয় মানুষ

২০১২ সাল। মৃত্যুর কিছুদিন আগে কোনো একটি পত্রিকায় সাক্ষাৎকার দিয়ে জীবনের জন্য হুমায়ূন আহমেদ প্রবল আকুতি ব্যক্ত করেছিলেন এই জিজ্ঞাসার মধ্য দিয়ে: ‘একটি কচ্ছপ তিন শ বছর বেঁচে থাকে অথচ মানুষের আয়ু এত কম কেন?’

আমাদের স্কুলের পেছনে সারি সারি পাহাড় ছিল। সেই পাহাড় ধরে হেঁটে হেঁটে সুন্দর চলে যেতাম ফয়’স লেক। বাঁয়ে পড়ে থাকত একটা দারুণ ঝিল। সেই পাহাড় কোথায়! টিভি সেন্টার, হাসপাতাল, বিশ্ববিদ্যালয়—সবকিছুর নিচে চাপা পড়ে গেছে একটা সবুজ স্বর্গ। এখন একটু বর্ষা হলে কী নাকালই না হতে হয়...

এই মুহূর্তে বৈশ্বিক বাস্তবতা হলো, একটি চলমান টিকাযুদ্ধ (ভ্যাকসিন ওয়ার)। অপেক্ষাকৃত গরিব দেশগুলোতে যখন করোনা পরিস্থিতির ভয়ংকর অবনতি ঘটছে, তখন উন্নত ও ধনী দেশগুলো তাদের জনগণকে টিকা দিয়ে একের পর এক ‘লকডাউনমুক্ত’ হয়ে ‘স্বাভাবিক জীবনে’ ফিরে আসছে–এই দৃশ্য একই সঙ্গে নিষ্ঠুর ও চোখে আঙুল দিয়ে পৃথিবীর মধ্যে ব