উপসম্পাদকীয়

যৌতুকবিরোধী এক সমাবেশে বক্তৃতা দিতে উঠে জনৈক নেতা বললেন, আগামী মাস থেকে আমরা যৌতুকবিরোধী আন্দোলনে নামব।  এটা শুনে একজন কর্মী প্রশ্ন করলেন, এ মাসে নয় কেন, ভাই? 

ছয় দফা ঘোষণার পর শেখ মুজিব কারারুদ্ধ হন; তবে সাংগঠনিকভাবে দুর্বল অবস্থাতেও ৭ জুন আওয়ামী লীগ যে হরতালের ডাক দেয়, সেটিকে সফল করার পেছনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কৃতিত্ব ছিল সর্বাধিক। হরতালের কর্মসূচিতে সাধারণ মানুষের অংশগ্রহণ ছিল উল্লেখযোগ্য। শ্রমিকেরা এসে যোগ দিয়েছেন। এত দিন আওয়ামী লীগের কোনো শ্রমিক

আধুনিক মানুষ কে? নোবেল বিজয়ী সাহিত্যিক এবং আউটসাইডারের লেখক আলবেয়ার কাম্যু এর উত্তর দিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘যে খবরের কাগজ পড়ে আর রমণ করে, সে-ই আধুনিক মানুষ।’ রমণ না হয় বুঝলাম; কিন্তু খবরের কাগজ তো দূরে থাক, খোদ কাগজই নাকি পৃথিবীতে আর থাকবে না।

আমরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন বন্ধ রাখতে পারি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে বৈঠক করে সশরীর বা অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সবকিছুরই একটা কম্প্রোমাইজের জায়গা আছে। আমরা বলতে পারি না অনলাইনে পরীক্ষা হলেই শতভাগ সশরীরের মতো হবে।

অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য আমরা একটা কমিটি করে পরবর্তী সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলে উপস্থাপন করে অনুমোদন করে নিয়েছি। সে অনুযায়ী আমাদের শিক্ষকেরা পরীক্ষাগুলো নিচ্ছেন। আমাদের প্রশ্নগুলো খুব ক্রিয়েটিভ।

পঁচাত্তরের নৃশংস, ঘৃণ্য এবং জঘন্যতম হত্যাকাণ্ডে ১৮ জন পরিবার-পরিজনসহ জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমান শাহাদতবরণ করেন। দৈবশুভে তাঁর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বেঁচে যান। ৩০ জুলাই বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের বুকফাটা কান্নার রোলের মাঝে পশ্চিম জার্মানি চলে যান বলে তাঁরা দুই বোন প্রাণে বেঁচে যান।

সম্প্রতি বাংলাদেশের সবচেয়ে পুরোনো দুটি বিশ্ববিদ্যালয়–ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় যথাক্রমে ১০০ ও ৬৮ বছরপূর্তি উদযাপন করেছে। একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করার জন্য এটি কম সময় নয়। এ সময়ে প্রতিষ্ঠান দুটোর অর্জন যেমন অনেক, তেমনি তাদের প্রতি মানুষের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তিত

মুক্তিযুদ্ধ বহুমাত্রিক, এমনকি যুদ্ধকালীন শিশুদের মনেও রয়েছে এর ভিন্ন ভিন্ন ক্ষত। শিশুমনে মুক্তিযুদ্ধের প্রভাব কেমন ছিল, তা নিয়ে বৃহৎ পরিসরে গবেষণার সুযোগ রয়েছে। এখন পর্যন্ত এমন কোনো কাজ হয়েছে বলে জানা যায়নি।

কিছুদিন পরপর আওয়ামী লীগের নেতা-নেত্রী হিসেবে পরিচিত কারও কারও নাম আলোচনায় আসে। বিভিন্ন মহলে নিন্দা-সমালোচনা হয়। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের ছবি ভাইরাল হয়। তারপর তাঁকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার ঘোষণা আসে

ষোলো বছর বয়সী ছেলেটার গোমড়া মুখ। মাঝে মাঝে বারান্দায় চলে যাচ্ছে। ফিরে আসার পর মুখে পাওয়া যাচ্ছে সিগারেটের কড়া গন্ধ। ও সেটা বুঝতে পারছে না। মনে করছে, লুকিয়েই খাওয়া গেছে সিগারেটটা। গন্ধ-টন্ধ নেই ঠোঁটে।

বৈষম্য বাড়বে সেবা-সুযোগেও। একটা ছোট্ট উদাহরণ দিই। শিক্ষার সকল পর্যায়ে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষাদান চলবে আগামী দিনগুলোতে। কিন্তু এ প্রযুক্তি ধনী গৃহস্থালিতে যতখানি লভ্য, দরিদ্র গৃহস্থালিতে ততখানি নয়।

‘আমার নাম তুলু, ভালো নাম জাকির। চিনতি পারিচেন?’ না। চিনতে পারিনি। বয়সে আমার চেয়ে একটু বড়ই হবেন হয়তো; কিন্তু চেহারায় তা ধরা পড়ছে না। চোখেমুখে কোনো অসহায়ত্ব নেই। ভেবেছিল, যেমন ভাবনা একটু নাগরিক ভদ্দরলোকি মনে কোনো কারণ ছাড়াই খাবি খায়। লোকটা নিশ্চয়ই সাহায্যপ্রার্থী!

সে রকমই কোনো এক দিনে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘সপ্তবর্ণা শুরু হলো। সপ্তবর্ণার উপস্থাপক ছিলেন আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। তখনো আমরা জানতাম না, তিনি ঢাকা কলেজের শিক্ষক। জানতাম না, ক্লাসে তাঁর লেকচার শুনতে অন্য বিভাগ থেকেও ছাত্ররা উপচে পড়ে। জানতাম না, একটা ছোট্ট বিষয় নিয়ে তিনি দিনের পর দিন কথা বলতে পারেন এবং...

ফকির আলমগীর মারা গেলে আমরা বহুদূরের এক জগতে চলে যাই। সে জগতে ছায়ার মতো দুলতে থাকে পাঁচটি মূর্তি। বাস্তবে ফিরে এলে দেখি, একা ফেরদৌস ওয়াহিদ পাহারা দিচ্ছেন সেই সময়কে। বাকি চারজন—আজম খান, ফিরোজ সাঁই, পিলু মমতাজ, আর ফকির আলমগীর ছায়া হয়েই থেকে যান আমাদের কতিপয় হৃদয়ে। এবং সেখানেই...

ভালো কাজ করেও প্রশংসা না পাওয়ার জন্যই হয়তো তিনি আক্ষেপ করে এমন কথা বলেছিলেন। আসলে সমাজে প্রশংসা করার লোক কম, নিন্দা করার লোক বেশি। তবে সব সময় নিন্দুককে মন্দ ভাবার কারণ নেই। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তো নিন্দুকের প্রশস্তি গেয়েছেন

করোনা সংকটের বৈশ্বিক প্রভাবকে তিনটি সময়সীমার পরিপ্রেক্ষিতে মূল্যায়ন করা যেতে পারে: স্বল্পকালীন, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি। স্বল্প মেয়াদে তিনটি বিরূপ অর্থনৈতিক প্রভাব পড়তে পারে। প্রথমত, কর্মহীনতা।

অনেক দিন আগের একটি সোনা গল্প। এক লোক রাজার কাছ থেকে একটি ঘোড়া অনুদান পেয়েছিল তার সংসার নির্বাহের জন্য। দয়ালু রাজা ওই ব্যক্তিকে ঘোড়াটা দান করার সঙ্গে সঙ্গে, প্রতিদিন সাড়ে তিন কেজি করে ছোলাও মঞ্জুর করেছিলেন ঘোড়ার খাবার হিসেবে। রাজা ছিলেন খুবই দয়ালু।