আরিফুজ্জামান তুহিন, ঢাকা

গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস ঘুষ-দুর্নীতির আখড়া। আর এসব অনিয়মের কেন্দ্রে থাকেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বড় অংশকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হতে হয়েছে। তিন বছর ধরে তিতাসের এমডি পদে আছেন হারুনুর রশীদ মোল্লাহ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনিয়ম-দুর্নীতিতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি।
হারুনুর রশীদ মোল্লাহ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এমডি পদে পদোন্নতি পান ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। তারপরও ২০২৩ সালের আগস্টে তিতাসের এমডি পদে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি। তাঁর এই নিয়োগে বড় ভূমিকা রাখেন শেখ হাসিনা সরকারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তাঁদের মধ্যে এমন সম্পর্কের যোগসূত্র হলো, দুজনের বাড়িই ঢাকার কেরানীগঞ্জে। শুধু তা-ই নয়, হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বিভিন্ন জায়গায় দাবি করতেন, তাঁর স্ত্রী নসরুল হামিদের স্ত্রীর বোন হন। তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাতারাতি বিএনপিপন্থী সেজে গেছেন হারুনুর রশীদ। জানা গেছে, কেরানীগঞ্জে বাড়ি– বিএনপির এমন দুই নেতাকে দিয়ে তদবির করে ফের তিতাসের এমডি পদে চুক্তি নবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।
হারুনুর রশীদ মোল্লাহর চুক্তি নবায়নের চেষ্টা নিয়ে উদ্বেগে আছেন তিতাসের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় অনিয়ম-দুর্নীতি করে বারবার ছাড় পেয়ে গেছেন হারুনুর রশীদ। সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ছত্রচ্ছায়ায় মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে ক্যাপটিভ পাওয়ারে গ্যাস-সংযোগ, গ্যাসের নতুন সংযোগ ও অবৈধ সংযোগের দেদার বাণিজ্য করেছেন তিনি। অনিয়ম-দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিয়ে নসরুল হামিদসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে বহুবার। তবে কোনো তদন্ত হয়নি। তিতাস গ্যাসের এই ঘুষ-দুর্নীতি সিন্ডিকেটে প্রতিষ্ঠানটির এমডি হারুনুর রশীদের সঙ্গে রয়েছেন তিতাসের মহাব্যবস্থাপক অপর্ণা ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক মো. লুৎফুল হায়দার মাসুম, মহাব্যবস্থাপক হাছান আহম্মদ ও মহাব্যবস্থাপক মো. সেলিম মিঞা। এই প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের দৌরাত্ম্যে তিতাসের অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তোপের মুখে থাকেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে গত শনিবার টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিতাসের হারুনুর রশীদ মোল্লাহ আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘যা করেছি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে করেছি। আইনের ব্যত্যয় করে কিছু করা হয়নি।’
তিতাসের এমডির যত অনিয়ম
তিতাসের এমডি হারুনুর রশীদ মোল্লাহর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, তিনি অন্তত ১৫০টি প্রতিষ্ঠানকে গ্যাসের নতুন সংযোগ দিয়ে ও লোড বৃদ্ধি করে অন্তত ৪৫০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। প্রতিটি সংযোগ ও লোড বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ঘুষের রেট ছিল ৩ থেকে ৫ কোটি টাকা। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, তাঁর সময়ে অন্তত ১ হাজার ২৫০টি অবৈধ গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এসব অবৈধ সংযোগ থেকে মাসে মাসে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকে তাঁর নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট।
তিতাসের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের কোনো গ্যাস বিতরণ সংস্থা ১০ মেগাওয়াটের বেশি কোনো ক্যাপটিভ পাওয়ার কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করতে চাইলে এ জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অনুমতি নিতে হয়। ১০ মেগাওয়াটের বেশি—এমন অন্তত ২০টি ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রকে গ্যাস-সংযোগ দিয়েছেন তিতাসের বর্তমান এমডি হারুন, যেগুলোর একটিরও অনুমতি নেওয়া হয়নি। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অনুমতি ছাড়াই গ্যাস সরবরাহ করা প্রতিটি ক্যাপটিভ কেন্দ্র থেকে ৩ থেকে ৫ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তিতাসের এমডি ১০ মেগাওয়াটকে ভেঙে একাধিক ভাগে লোড দিয়েছেন। এতে কৌশলে এড়ানো গেছে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি। এ ছাড়া অন্তত ১০০ ক্যাপটিভ কেন্দ্রকে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হয়েছে ঘুষের বিনিময়ে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ময়মনসিংহের ভালুকার জামিরদিয়ায় এনআর গ্রুপের কারখানায় পৃথক তিনটি গ্রাহক সংকেত নম্বর দিয়ে ২৪.৯২ মেগাওয়াট ক্যাপটিভে গ্যাস-সংযোগ দিয়েছে তিতাস। এর মধ্যে এনআরজি স্পিনিং মিলসের নামে ১৬.২৫ মেগাওয়াট, এনআরজি কম্পোজিট ইয়ার্ন ডাইনকে ৩.৮৭ মেগাওয়াট ও এনআরজি নিট কম্পোজিটকে ৪.৮০ মেগাওয়াট গ্যাস দেওয়া হয়। এই তিন প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা একই। এ ছাড়া একই কারখানায় এনআরজি হোমটেক্সের নামে ৭.৭৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ক্যাপটিভ কেন্দ্রে সংযোগ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২২ সালের এপ্রিলে তিতাস গ্যাসের ৮৮১তম বোর্ড সভায় ১৬টি ক্যাপটিভ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এগুলো ছিল ঘুষ ও তদবিরের সংযোগ।
গত বছরের সেপ্টেম্বর গাজীপুরের সিলভার টেক্সটাইল মিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর কাছে গ্যাস-সংযোগের আবেদন করে। ওই আবেদনে জ্বালানিমন্ত্রীর (তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) কোনো সুপারিশ ছিল না। তবে সেই আবেদনের ফাইল ঢাকায় আনার জন্য তিতাসের গাজীপুর অফিসকে নির্দেশ দেন এমডি হারুন। সেখানে বলা হয়, এটি জ্বালানিমন্ত্রীর তদবির। এরপরই সিলভার টেক্সটাইল মিল সংযোগ পেয়ে যায়।
পরে প্রধানমন্ত্রীর নামে এমন নির্দেশনা দেখে গত বছরের ২৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জ্বালানি বিভাগের সচিবকে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে ঘুষের মাধ্যমে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস-সংযোগ প্রদানের বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এই চিঠি পর্যন্তই ঘটনা শেষ। এই ঘটনারও বিচার হয়নি।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, মেঘনা গ্রুপের এভারেস্ট পাওয়ার জেনারেশন ৮ মেগাওয়াট অতিরিক্ত লোড চালাচ্ছিল। এ জন্য লাইনটি কেটে দেওয়া হয়। পরে তিতাস বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই ৩ কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে ফের সংযোগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া রুপালি ডাইংয়ে মিটার টেম্পারিং করে অবৈধভাবে বা চুরি করে গ্যাস নেওয়ার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। আবার ঘুষ নিয়ে ওই রাতে সংযোগ দেওয়া হয়।
নিয়ম না মেনে সিএনজি স্টেশনে গ্যাস-সংযোগ
দেশীয় গ্যাসের মজুত কমতে থাকার কারণে নতুন করে সিএনজি স্টেশনের অনুমতি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। সে কারণে ঘোষণা দিয়ে সিএনজি স্টেশনে নতুন গ্যাস-সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ওপরে-ওপরে বন্ধ থাকলেও ভেতরে-ভেতরে চলত গ্যাস-সংযোগের কাজ। সিএনজি স্টেশনে গ্যাস-সংযোগ নিতে হলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই লাইসেন্স না থাকলেও একের পর এক নতুন গ্যাস-সংযোগ দিয়েছেন তিতাস গ্যাসের এমডি হারুন।
তিতাস সূত্র বলছে, ঢাকায় লাইসেন্সবিহীন সিএনজি স্টেশন রয়েছে ৪০টি। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে ১৫টি, নরসিংদীতে ১০টি, গাজীপুরে ১০টি, মুন্সিগঞ্জে ২টিসহ মোট ৭৯টি লাইসেন্সবিহীন গ্যাস-সংযোগ রয়েছে তিতাসের। অভিযোগ আছে, এগুলোর প্রতিটির কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন তিতাসের এমডি।
ঘুষ না দিলে বৈধ লাইন বন্ধ
তিতাসের এমডি হারুনের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ হলো, প্রতিটি শিল্পের সংযোগ ও সিএনজি স্টেশন থেকে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ মাসোয়ারা নিয়ে থাকেন তিনি। এই মাসোয়ারা বৈধ ও অবৈধ লাইন—উভয়কেই দিতে হয়। যারা মাসোয়ারা দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাদের বৈধ লাইনও নানান মারপ্যাঁচে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানাও বন্ধ হয়ে যাওয়ার উদাহরণ রয়েছে। অনেক উদ্যোক্তা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন।
তিতাসের কর্মকর্তারা জানান, ঘুষের টাকা না দেওয়ায় আয়মান টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি লিমিটেড নামের একটি বৈধ গ্যাস-সংযোগ বন্ধ করে দেয় তিতাস। আদালতের রায় নিয়ে তিন বছর পর গ্যাস পায় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু তত দিনে তাদের ব্যবসার লালবাতি জ্বলে গেছে। গাজীপুরের মাওনা এলাকার বদর স্পিনিং মিলসের ইভিসি মিটারটিতে ত্রুটি দেখা দিলে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিতাস গ্যাসকে জানানো হয়। এর চার মাস পরে তিতাস গ্যাসের লোকজন কারখানায় আসেন। এরও ছয় মাস পরে ইভিসি মিটার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এরপর বড় অঙ্কের বিল পাঠায় তিতাস গ্যাস। কারণ, এই প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা ঘুষ দিতে চাননি।
নিয়োগে কেলেঙ্কারি
তিতাসে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যাঁদের নিয়োগ হয়, তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বনিম্ন এসএসসি পাস থাকতে হবে। অথচ তিতাসে ৭১ জনের নিয়োগ হয়েছে, যাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি, সেই সনদও ঘষামাজা। আবার বয়সের সীমা ৬০ বছর অতিক্রম করেছে—এমন রয়েছেন ৮ জন।
তিতাসে এসব ঘুষ-দুর্নীতি নিয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, জ্বালানি খাতের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান হলো ঘুষ-দুর্নীতির আখড়া। তার মধ্যে তিতাস হলো মহা দুর্নীতিবাজ। এই অন্তর্বর্তী সরকার’কে এমন একটি বার্তা দিতে হবে যে, ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে পরিণাম হবে ভয়াবহ। এখন পর্যন্ত এমনটি দেখা যায়নি।
আরও খবর পড়ুন:

গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস ঘুষ-দুর্নীতির আখড়া। আর এসব অনিয়মের কেন্দ্রে থাকেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বড় অংশকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হতে হয়েছে। তিন বছর ধরে তিতাসের এমডি পদে আছেন হারুনুর রশীদ মোল্লাহ। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, অনিয়ম-দুর্নীতিতে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙেছেন তিনি।
হারুনুর রশীদ মোল্লাহ তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের এমডি পদে পদোন্নতি পান ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে। দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে একের পর এক ঘুষ ও অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। তারপরও ২০২৩ সালের আগস্টে তিতাসের এমডি পদে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পান তিনি। তাঁর এই নিয়োগে বড় ভূমিকা রাখেন শেখ হাসিনা সরকারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু। তাঁদের মধ্যে এমন সম্পর্কের যোগসূত্র হলো, দুজনের বাড়িই ঢাকার কেরানীগঞ্জে। শুধু তা-ই নয়, হারুনুর রশীদ মোল্লাহ বিভিন্ন জায়গায় দাবি করতেন, তাঁর স্ত্রী নসরুল হামিদের স্ত্রীর বোন হন। তবে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর রাতারাতি বিএনপিপন্থী সেজে গেছেন হারুনুর রশীদ। জানা গেছে, কেরানীগঞ্জে বাড়ি– বিএনপির এমন দুই নেতাকে দিয়ে তদবির করে ফের তিতাসের এমডি পদে চুক্তি নবায়নের চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।
হারুনুর রশীদ মোল্লাহর চুক্তি নবায়নের চেষ্টা নিয়ে উদ্বেগে আছেন তিতাসের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের ঘনিষ্ঠ হওয়ায় অনিয়ম-দুর্নীতি করে বারবার ছাড় পেয়ে গেছেন হারুনুর রশীদ। সাবেক প্রতিমন্ত্রীর ছত্রচ্ছায়ায় মন্ত্রণালয়ের অনুমতি না নিয়ে ক্যাপটিভ পাওয়ারে গ্যাস-সংযোগ, গ্যাসের নতুন সংযোগ ও অবৈধ সংযোগের দেদার বাণিজ্য করেছেন তিনি। অনিয়ম-দুর্নীতির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ দিয়ে নসরুল হামিদসহ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের কাছে তাঁর বিরুদ্ধে তদন্তের দাবি জানানো হয়েছে বহুবার। তবে কোনো তদন্ত হয়নি। তিতাস গ্যাসের এই ঘুষ-দুর্নীতি সিন্ডিকেটে প্রতিষ্ঠানটির এমডি হারুনুর রশীদের সঙ্গে রয়েছেন তিতাসের মহাব্যবস্থাপক অপর্ণা ইসলাম, মহাব্যবস্থাপক মো. লুৎফুল হায়দার মাসুম, মহাব্যবস্থাপক হাছান আহম্মদ ও মহাব্যবস্থাপক মো. সেলিম মিঞা। এই প্রভাবশালী কর্মকর্তাদের দৌরাত্ম্যে তিতাসের অন্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তোপের মুখে থাকেন।
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চেয়ে গত শনিবার টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলে তিতাসের হারুনুর রশীদ মোল্লাহ আজকের পত্রিকা’কে বলেন, ‘যা করেছি যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে করেছি। আইনের ব্যত্যয় করে কিছু করা হয়নি।’
তিতাসের এমডির যত অনিয়ম
তিতাসের এমডি হারুনুর রশীদ মোল্লাহর বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, তিনি অন্তত ১৫০টি প্রতিষ্ঠানকে গ্যাসের নতুন সংযোগ দিয়ে ও লোড বৃদ্ধি করে অন্তত ৪৫০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন। প্রতিটি সংযোগ ও লোড বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ঘুষের রেট ছিল ৩ থেকে ৫ কোটি টাকা। তাঁর বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে, তাঁর সময়ে অন্তত ১ হাজার ২৫০টি অবৈধ গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এসব অবৈধ সংযোগ থেকে মাসে মাসে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে থাকে তাঁর নেতৃত্বাধীন সিন্ডিকেট।
তিতাসের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশের কোনো গ্যাস বিতরণ সংস্থা ১০ মেগাওয়াটের বেশি কোনো ক্যাপটিভ পাওয়ার কেন্দ্রে গ্যাস সরবরাহ করতে চাইলে এ জন্য জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অনুমতি নিতে হয়। ১০ মেগাওয়াটের বেশি—এমন অন্তত ২০টি ক্যাপটিভ বিদ্যুৎকেন্দ্রকে গ্যাস-সংযোগ দিয়েছেন তিতাসের বর্তমান এমডি হারুন, যেগুলোর একটিরও অনুমতি নেওয়া হয়নি। জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের অনুমতি ছাড়াই গ্যাস সরবরাহ করা প্রতিটি ক্যাপটিভ কেন্দ্র থেকে ৩ থেকে ৫ কোটি টাকা নেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু ক্ষেত্রে তিতাসের এমডি ১০ মেগাওয়াটকে ভেঙে একাধিক ভাগে লোড দিয়েছেন। এতে কৌশলে এড়ানো গেছে মন্ত্রণালয়ের অনুমতি। এ ছাড়া অন্তত ১০০ ক্যাপটিভ কেন্দ্রকে গ্যাস-সংযোগ দেওয়া হয়েছে ঘুষের বিনিময়ে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ময়মনসিংহের ভালুকার জামিরদিয়ায় এনআর গ্রুপের কারখানায় পৃথক তিনটি গ্রাহক সংকেত নম্বর দিয়ে ২৪.৯২ মেগাওয়াট ক্যাপটিভে গ্যাস-সংযোগ দিয়েছে তিতাস। এর মধ্যে এনআরজি স্পিনিং মিলসের নামে ১৬.২৫ মেগাওয়াট, এনআরজি কম্পোজিট ইয়ার্ন ডাইনকে ৩.৮৭ মেগাওয়াট ও এনআরজি নিট কম্পোজিটকে ৪.৮০ মেগাওয়াট গ্যাস দেওয়া হয়। এই তিন প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা একই। এ ছাড়া একই কারখানায় এনআরজি হোমটেক্সের নামে ৭.৭৮ মেগাওয়াট ক্ষমতার ক্যাপটিভ কেন্দ্রে সংযোগ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০২২ সালের এপ্রিলে তিতাস গ্যাসের ৮৮১তম বোর্ড সভায় ১৬টি ক্যাপটিভ সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এগুলো ছিল ঘুষ ও তদবিরের সংযোগ।
গত বছরের সেপ্টেম্বর গাজীপুরের সিলভার টেক্সটাইল মিল বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রীর কাছে গ্যাস-সংযোগের আবেদন করে। ওই আবেদনে জ্বালানিমন্ত্রীর (তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) কোনো সুপারিশ ছিল না। তবে সেই আবেদনের ফাইল ঢাকায় আনার জন্য তিতাসের গাজীপুর অফিসকে নির্দেশ দেন এমডি হারুন। সেখানে বলা হয়, এটি জ্বালানিমন্ত্রীর তদবির। এরপরই সিলভার টেক্সটাইল মিল সংযোগ পেয়ে যায়।
পরে প্রধানমন্ত্রীর নামে এমন নির্দেশনা দেখে গত বছরের ২৯ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জ্বালানি বিভাগের সচিবকে চিঠি পাঠানো হয়। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে ঘুষের মাধ্যমে শিল্পপ্রতিষ্ঠানে গ্যাস-সংযোগ প্রদানের বিষয়ে ব্যবস্থা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়কে অবহিত করার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে এই চিঠি পর্যন্তই ঘটনা শেষ। এই ঘটনারও বিচার হয়নি।
অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, মেঘনা গ্রুপের এভারেস্ট পাওয়ার জেনারেশন ৮ মেগাওয়াট অতিরিক্ত লোড চালাচ্ছিল। এ জন্য লাইনটি কেটে দেওয়া হয়। পরে তিতাস বোর্ডের অনুমোদন ছাড়াই ৩ কোটি টাকা ঘুষ নিয়ে ফের সংযোগ দেওয়া হয়। এ ছাড়া রুপালি ডাইংয়ে মিটার টেম্পারিং করে অবৈধভাবে বা চুরি করে গ্যাস নেওয়ার কারণে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছিল। আবার ঘুষ নিয়ে ওই রাতে সংযোগ দেওয়া হয়।
নিয়ম না মেনে সিএনজি স্টেশনে গ্যাস-সংযোগ
দেশীয় গ্যাসের মজুত কমতে থাকার কারণে নতুন করে সিএনজি স্টেশনের অনুমতি কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। সে কারণে ঘোষণা দিয়ে সিএনজি স্টেশনে নতুন গ্যাস-সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। কিন্তু ওপরে-ওপরে বন্ধ থাকলেও ভেতরে-ভেতরে চলত গ্যাস-সংযোগের কাজ। সিএনজি স্টেশনে গ্যাস-সংযোগ নিতে হলে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক। এই লাইসেন্স না থাকলেও একের পর এক নতুন গ্যাস-সংযোগ দিয়েছেন তিতাস গ্যাসের এমডি হারুন।
তিতাস সূত্র বলছে, ঢাকায় লাইসেন্সবিহীন সিএনজি স্টেশন রয়েছে ৪০টি। এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জে ১৫টি, নরসিংদীতে ১০টি, গাজীপুরে ১০টি, মুন্সিগঞ্জে ২টিসহ মোট ৭৯টি লাইসেন্সবিহীন গ্যাস-সংযোগ রয়েছে তিতাসের। অভিযোগ আছে, এগুলোর প্রতিটির কাছ থেকে ৫০ লাখ টাকা করে ঘুষ নিয়েছেন তিতাসের এমডি।
ঘুষ না দিলে বৈধ লাইন বন্ধ
তিতাসের এমডি হারুনের বিরুদ্ধে আরেকটি অভিযোগ হলো, প্রতিটি শিল্পের সংযোগ ও সিএনজি স্টেশন থেকে মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ মাসোয়ারা নিয়ে থাকেন তিনি। এই মাসোয়ারা বৈধ ও অবৈধ লাইন—উভয়কেই দিতে হয়। যারা মাসোয়ারা দিতে অস্বীকৃতি জানায়, তাদের বৈধ লাইনও নানান মারপ্যাঁচে বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে উৎপাদনমুখী শিল্পকারখানাও বন্ধ হয়ে যাওয়ার উদাহরণ রয়েছে। অনেক উদ্যোক্তা সর্বস্বান্ত হয়ে গেছেন।
তিতাসের কর্মকর্তারা জানান, ঘুষের টাকা না দেওয়ায় আয়মান টেক্সটাইল অ্যান্ড হোসিয়ারি লিমিটেড নামের একটি বৈধ গ্যাস-সংযোগ বন্ধ করে দেয় তিতাস। আদালতের রায় নিয়ে তিন বছর পর গ্যাস পায় প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু তত দিনে তাদের ব্যবসার লালবাতি জ্বলে গেছে। গাজীপুরের মাওনা এলাকার বদর স্পিনিং মিলসের ইভিসি মিটারটিতে ত্রুটি দেখা দিলে ২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি তিতাস গ্যাসকে জানানো হয়। এর চার মাস পরে তিতাস গ্যাসের লোকজন কারখানায় আসেন। এরও ছয় মাস পরে ইভিসি মিটার পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। এরপর বড় অঙ্কের বিল পাঠায় তিতাস গ্যাস। কারণ, এই প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা ঘুষ দিতে চাননি।
নিয়োগে কেলেঙ্কারি
তিতাসে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে যাঁদের নিয়োগ হয়, তাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা সর্বনিম্ন এসএসসি পাস থাকতে হবে। অথচ তিতাসে ৭১ জনের নিয়োগ হয়েছে, যাঁদের শিক্ষাগত যোগ্যতা অষ্টম শ্রেণি, সেই সনদও ঘষামাজা। আবার বয়সের সীমা ৬০ বছর অতিক্রম করেছে—এমন রয়েছেন ৮ জন।
তিতাসে এসব ঘুষ-দুর্নীতি নিয়ে কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম বলেন, জ্বালানি খাতের প্রতিটি প্রতিষ্ঠান হলো ঘুষ-দুর্নীতির আখড়া। তার মধ্যে তিতাস হলো মহা দুর্নীতিবাজ। এই অন্তর্বর্তী সরকার’কে এমন একটি বার্তা দিতে হবে যে, ঘুষ-দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকলে পরিণাম হবে ভয়াবহ। এখন পর্যন্ত এমনটি দেখা যায়নি।
আরও খবর পড়ুন:

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
১৪ ঘণ্টা আগে
পুলিশ বলছে, হামলার সময় দুজন শুটার পিস্তল চালিয়ে হামলা চালায়। তবে আশপাশে অন্তত দুটি ব্যাকআপ টিম ছিল, ওই টিমের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। মামুনকে হত্যার পর হামলাকারীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
২ দিন আগে
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১০ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী। এখন ঢাকার অপরাধজগতের নতুন নিয়ন্ত্রক হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে জানান, রনি মূলত মুদিদোকানি ছিলেন। শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন কারাগারে থাকাকালে রনির সঙ্গে পরিচয় হয়। ইমন তাঁর মাধ্যমে অপরাধ চক্রের একটি অংশ নিয়ন্ত্রণ করতেন। শুরুতে রাজধানীর হাজারীবাগ এলাকার ডিশ ব্যবসা দখল, চাঁদাবাজি ও হুমকি দেওয়ার মাধ্যমে অর্থ আদায় করে কারাগারে থাকা ইমনকে পাঠাতেন। পরে সন্ত্রাসী ইমনের শিষ্যদের ব্যবহার করে বড় বড় কাজ করতে থাকেন। মিরপুর এলাকায়ও ব্যবসা বড় করতে থাকেন। এভাবে রনি ধীরে ধীরে ঢাকার অপরাধজগতের পরিচিত মুখে পরিণত হন।
ডিবির সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুনকে হত্যা করার পরিকল্পনা ছিল ইমনের। সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে রনির নির্দেশে ফারুক হোসেন ফয়সাল ও রবিন আহম্মেদ পিয়াস গুলি করেন। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে দিকনির্দেশনা দিচ্ছিলেন তিনি। পুলিশ বলছে, এখন পর্যন্ত ফারুক রবিন, রুবেল, শামীম আহম্মেদ ও ইউসুফ ওরফে জীবনকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও রনির খোঁজ মিলছে না।
ডিবির তথ্য অনুযায়ী, গতকাল মঙ্গলবার রাতে নরসিংদীর ভেলানগর থেকে ফারুক, রবিন, শামীম ও রুবেলকে গ্রেপ্তার করা হয়। হত্যার পর তাঁরা প্রথমে ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু ব্যর্থ হয়ে সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। গ্রেপ্তার হওয়ার আগে ফারুক ও রবিন ব্যবহৃত অস্ত্র ও অব্যবহৃত গুলি রনির নির্দেশে রুবেলের কাছে রেখে আসেন। পরে রুবেল পেশায় দরজি ইউসুফের কাছে অস্ত্রগুলো হস্তান্তর করেন।
পুলিশ জানিয়েছে, ইউসুফ মোহাম্মদপুরে তাঁর বাসায় অস্ত্র ও গুলি লুকিয়ে রেখেছিলেন। মোটরসাইকেল, অস্ত্র ও নগদ ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়েছে। রনি পারিশ্রমিক হিসেবে এই টাকা দুই ভাগে ভাগ করে দুই শুটারকে দেন।
ডিবি পুলিশ জানিয়েছে, জামিনে মুক্তির পর মামুন আবার অপরাধজগতে প্রভাব বিস্তার শুরু করেন। রনিকে পাত্তা না দিয়ে তাঁর এলাকা দখল করতে চান। তখনই শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সঙ্গে পরার্মশ করে মামুনকে পথ থেকে সরানোর পরিকল্পনা করেন রনি। পরিকল্পনা অনুযায়ী দুই লাখ টাকায় ভাড়াটে খুনি ব্যবহার করেন।
পুলিশ ও ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, এই হত্যাকাণ্ড আন্ডারওয়ার্ল্ডের পুরোনো দ্বন্দ্বের ধারাবাহিকতা। মামুন ও ইমন দুজনই ঢাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী, যাঁরা প্রভাব বিস্তার ও এলাকা দখল নিয়ে লড়াই করছিলেন। ইমনের সহযোগী হিসেবে রনি দ্রুত অপরাধজগতে পরিচিত হয়ে ওঠেন। সর্বশেষ মামুন হত্যার পর তিনি এখন ঢাকার অপরাধজগতে নতুন চরিত্র। ডিবি অভিযান চালিয়ে মূল পরিকল্পনাকারী রনি ও তাঁর সহযোগীদের ধরার চেষ্টা করছে।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বলছে, এ ধরনের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রোধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
পাঁচজন রিমান্ডে
মামুন হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার পাঁচজনকে গতকাল মোহাম্মদপুর থানার অস্ত্র আইনের মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে ডিবি পুলিশ। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র প্রত্যেকের চার দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস ঘুষ-দুর্নীতির আখড়া। আর এসব অনিয়মের কেন্দ্রে থাকেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বড় অংশকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হতে হয়েছে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
পুলিশ বলছে, হামলার সময় দুজন শুটার পিস্তল চালিয়ে হামলা চালায়। তবে আশপাশে অন্তত দুটি ব্যাকআপ টিম ছিল, ওই টিমের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। মামুনকে হত্যার পর হামলাকারীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
২ দিন আগে
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১০ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তারিক সাইফ মামুনকে হত্যার ঘটনায় দুই পেশাদার শুটারসহ চারজনকে শনাক্ত করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। শুটার দুজনের মধ্যে একজন ধানমন্ডি, আরেকজন তেজগাঁও এলাকার একাধিক মামলার আসামি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, যেকোনো সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।
গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ফটকে মামুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, হামলার সময় দুজন শুটার পিস্তল চালিয়ে হামলা চালায়, তবে আশপাশে অন্তত দুটি ব্যাকআপ টিম ছিল, ওই টিমের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। মামুনকে হত্যার পর হামলাকারীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে তারা দেশের ভেতরেই অবস্থান করছে এবং তাদের ধরার জন্য পুলিশ একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে। এ অবস্থায় সীমান্তে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মো. মোস্তাক সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দুজনকে শনাক্ত করেছি। তারা দেশেই আছে। তাদের গ্রেপ্তারের খুব কাছাকাছি রয়েছি।’
ডিএমপির অপর এক কর্মকর্তা বলেন, শুটাররা মুখে মাস্ক ও মাথায় টুপি পরিধান করলেও প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। মামুন হত্যার আগে অন্তত একজন তাঁকে অনুসরণ করছিল। হামলার আগে তাদের পরিকল্পনা সূক্ষ্মভাবে ছিল এবং তারা পেশাদারত্বের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম রুবেল, অপরজন ইব্রাহীম। এ ছাড়া আরও দুটি দল আলাদাভাবে হত্যাকাণ্ডে ব্যাকআপ টিম হিসেবে কাজ করেছে। এতে সোহেল ও কামাল নামে দুই সন্ত্রাসীর নাম এসেছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একাধিক পুলিশের টিম কাজ করছে। শনাক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তাদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।’
মামুনের একসময় ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বন্ধু ইমনের সঙ্গে পারিবারিক ও চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব তীব্র ছিল। এ কারণে ইমনের অনুসারীরা একাধিকবার হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। ২০১৭ সালে তেজগাঁওয়ে মামুনের ওপর হামলার চেষ্টা হয়েছিল, তখনো তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল নিহত হন।
মামুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং শুটারদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মল্লিক এহসান আহসান সামী জানান, গুলিতে নিহত ব্যক্তিটি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। তিনি কোনো ব্যবসায়ী নন।

পুরান ঢাকায় ‘শীর্ষ সন্ত্রাসী’ তারিক সাইফ মামুনকে হত্যার ঘটনায় দুই পেশাদার শুটারসহ চারজনকে শনাক্ত করেছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা। শুটার দুজনের মধ্যে একজন ধানমন্ডি, আরেকজন তেজগাঁও এলাকার একাধিক মামলার আসামি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছে, যেকোনো সময় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হবে।
গতকাল সোমবার (১০ নভেম্বর) সকালে ঢাকা ন্যাশনাল মেডিকেল ইনস্টিটিউট হাসপাতালের ফটকে মামুনকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, হামলার সময় দুজন শুটার পিস্তল চালিয়ে হামলা চালায়, তবে আশপাশে অন্তত দুটি ব্যাকআপ টিম ছিল, ওই টিমের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। মামুনকে হত্যার পর হামলাকারীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়। বর্তমানে তারা দেশের ভেতরেই অবস্থান করছে এবং তাদের ধরার জন্য পুলিশ একাধিক টিম অভিযান চালাচ্ছে। এ অবস্থায় সীমান্তে অভিযান জোরদার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার মো. মোস্তাক সরকার আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা দুজনকে শনাক্ত করেছি। তারা দেশেই আছে। তাদের গ্রেপ্তারের খুব কাছাকাছি রয়েছি।’
ডিএমপির অপর এক কর্মকর্তা বলেন, শুটাররা মুখে মাস্ক ও মাথায় টুপি পরিধান করলেও প্রযুক্তির সহায়তায় তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। মামুন হত্যার আগে অন্তত একজন তাঁকে অনুসরণ করছিল। হামলার আগে তাদের পরিকল্পনা সূক্ষ্মভাবে ছিল এবং তারা পেশাদারত্বের সঙ্গে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করেছে। তাদের মধ্যে একজনের নাম রুবেল, অপরজন ইব্রাহীম। এ ছাড়া আরও দুটি দল আলাদাভাবে হত্যাকাণ্ডে ব্যাকআপ টিম হিসেবে কাজ করেছে। এতে সোহেল ও কামাল নামে দুই সন্ত্রাসীর নাম এসেছে।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা) মো. শফিকুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘একাধিক পুলিশের টিম কাজ করছে। শনাক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। তাদের শিগগিরই গ্রেপ্তার করা হবে।’
মামুনের একসময় ঘনিষ্ঠ সহযোগী ও বন্ধু ইমনের সঙ্গে পারিবারিক ও চাঁদাবাজি-সংক্রান্ত দ্বন্দ্ব তীব্র ছিল। এ কারণে ইমনের অনুসারীরা একাধিকবার হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। ২০১৭ সালে তেজগাঁওয়ে মামুনের ওপর হামলার চেষ্টা হয়েছিল, তখনো তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও মোটরসাইকেল আরোহী ভুবন চন্দ্র শীল নিহত হন।
মামুন হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, মামলা প্রক্রিয়াধীন এবং শুটারদের দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে।
গতকাল ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) লালবাগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (লালবাগ বিভাগ) মল্লিক এহসান আহসান সামী জানান, গুলিতে নিহত ব্যক্তিটি শীর্ষ সন্ত্রাসী মামুন। তিনি কোনো ব্যবসায়ী নন।

গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস ঘুষ-দুর্নীতির আখড়া। আর এসব অনিয়মের কেন্দ্রে থাকেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বড় অংশকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হতে হয়েছে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
১৪ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১০ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস ঘুষ-দুর্নীতির আখড়া। আর এসব অনিয়মের কেন্দ্রে থাকেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বড় অংশকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হতে হয়েছে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
১৪ ঘণ্টা আগে
পুলিশ বলছে, হামলার সময় দুজন শুটার পিস্তল চালিয়ে হামলা চালায়। তবে আশপাশে অন্তত দুটি ব্যাকআপ টিম ছিল, ওই টিমের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। মামুনকে হত্যার পর হামলাকারীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
২ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

গ্যাস বিতরণ কোম্পানি তিতাস ঘুষ-দুর্নীতির আখড়া। আর এসব অনিয়মের কেন্দ্রে থাকেন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) শীর্ষ কয়েকজন কর্মকর্তা। এই প্রতিষ্ঠান থেকে বিদায় নেওয়ার পর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের বড় অংশকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মুখোমুখি হতে হয়েছে।
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
রাজধানীর অপরাধজগতে নতুন পর্দা নামিয়েছেন রনি নামের এক সন্ত্রাসী। দুই লাখ টাকায় খুনি ভাড়া দিয়ে তিনি শীর্ষ সন্ত্রাসী তারিক সাইফ মামুনকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করিয়েছেন। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বলছে, রনি সানজিদুল ইসলাম ইমনের ঘনিষ্ঠ সহযোগী। প্রথমে মুদিদোকানদার, পরে ডিশ ব্যবসায়ী।
১৪ ঘণ্টা আগে
পুলিশ বলছে, হামলার সময় দুজন শুটার পিস্তল চালিয়ে হামলা চালায়। তবে আশপাশে অন্তত দুটি ব্যাকআপ টিম ছিল, ওই টিমের সদস্যদের শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে। মামুনকে হত্যার পর হামলাকারীরা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সীমান্ত দিয়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়।
২ দিন আগে
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
১০ দিন আগে