নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: গত বছর দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছিল কানাডার টরন্টো শহরের ‘বেগম পাড়া’। ওই সময় হাইকোর্ট কানাডায় বাড়ি কেনা সরকারি কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়েছিলেন। প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারসহ অনেক বাংলাদেশি ‘বেগম পাড়ায়’ বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন বলেও জানিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশি কোটিপতিদের স্ত্রী এবং সন্তানরা টরন্টোর এই এলাকায় বাস করেন বলে জানা যায়।
ধারণা করা হয় দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে কানাডায়। এ কারণে দুদকের প্রধান কার্যালয় আপাতত সে দেশেই করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ফিরোজ রশীদ বলেন, বাংলাদেশে আপাতত দুদকের হেড অফিস রাখার দরকার নাই। কানাডায় করা হোক। আরেকটি মালয়েশিয়ায় ব্রাঞ্চ করুক। একটি আমেরিকায় করুক, অস্ট্রেলিয়ায় করুক, দুবাই করুক। এইখান থেকে তাহলে আমরা বুঝতে পারবো সঠিক চিত্রটা কী।
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার করার সুযোগ রাখার বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, আমরা বারবার বলছিলাম, আমাদের কালোটাকা বলতে কোনো টাকা নাই। টাকা সব বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনেন। এখন আমেরিকা থেকে টাকা ফেরত আসছে। কেন আসতেছে? কারণ তারা জানেন এই দেশে যদি টাকা আনেন তাহলে হিসাব দিতে হবে না। শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করে অথবা কোনো সম্পদ কেনে তাহলে টেন পারসেন্ট দিয়ে এই টাকা লগ্নি করতে পারবেন। আমরা চাই আমাদের দেশের টাকা দেশে থাকুক। দেশের টাকা বিদেশে চলে যাবে আমরা কোনো সুযোগ দেব না? আপনি টকশো দেখে, পত্রিকা পড়ে আর আমাদের বক্তব্য শুনে বিভ্রান্ত হবেন না।
আর্থিক খাতে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্ব খুব কঠিন। কিন্তু ওনার কর্তৃত্ব অত্যন্ত দুর্বল–এমন মন্তব্য করে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘উনি কর্তৃত্ব, অথোরিটি খাটাতে পারেন না। ওনার যে মন্ত্রণালয় এর মধ্যেই উনি কর্তৃত্ব খাটান। কিন্তু বাইরে যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে ব্যাংক এখানে ওনার কোনো কর্তৃত্ব নেই। অন্যান্য যে শিডিউল (তফসিলি) ব্যাংক আছে, লিজিং কোম্পানিগুলো আছে, ইনস্যুরেন্সগুলো আছে, কোনো জায়গায় যদি কর্তৃত্ব না থাকে অবাধে সবকিছু হবে। একটি ব্যাংক থেকে আরেকটি ব্যাংক টাকা নিচ্ছে। একটি ব্যাংকের ডাইরেক্টর অন্য ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছে। ওই ব্যাংকের ডাইরেক্টর এই ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছে। টাকাটা নিয়ে তারা হুন্ডি করে বিদেশে পাচার করতেছে। এইভাবে তারা বহু টাকা, হাজার হাজার লক্ষ কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করতেছে।’
জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি বলবো, ইতিমধ্যে হাইকোর্ট আমাদের বলে দিছেন যে আপনারা আমাদেরকে লিস্ট দেন, কারা কারা বিদেশে বাড়ি করেছেন, বেগমপাড়া বলেন, যে পাড়া বলেন। আমেরিকায় কারা বাড়ি করেছে, মালয়েশিয়ায় কারা বাড়ি করেছে লিস্ট দেন। সাম্প্রতিক কালে গিয়ে, দীর্ঘকাল যারা সেখানে বসবাস করেন, ব্যবসা-বাণিজ্য করেন তারা তো সেখানে বাড়ি করবেন। কিন্তু সেই লিস্টটা কিন্তু বারবার দুদক দিতে পারে নাই। দুদক যায় আর আসে-এইভাবে শত শত কোটি টাকা ব্যয় হবে, কিছুই হবে না।’
পিকে হালাদারের অর্থ আত্মসাৎ ঠেকাতে ও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের ব্যর্থ রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই যে পিকে হালদার উনি এতগুলো টাকা নিলেন। আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি অডিট সেকশন আছে। তারা যদি সব সময় অডিট করত তাহলে কিন্তু এইটা হতো না। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি অডিট করে ওই ব্যাংকগুলোকে, লিজিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাহলে কিন্তু কেউ চুরি করার সুযোগ পায় না। চুরি করার সুযোগটা আমরা করে দিচ্ছি। অর্থমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে বসে বসে কী করবেন? সমস্ত দোষ মন্ত্রীর ঘাড়ে পড়ে। আসলে মন্ত্রীর তো করার কিছু থাকে না। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অডিট করবে প্রতি মাসে, তাহলে তারা এই সমস্ত টাকা পাচার করতে পারে না। এই সমস্ত বাজে ঋণ হতে পারে না। দেশটা আজকে অনেক উন্নয়নের দিকে গেছে। আরও উন্নয়ন হতো। নিজস্ব টাকায় একটা পদ্মা ব্রিজ না, আরও একটা পদ্মা ব্রিজ আমরা করতে পারব যদি আমরা এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মটা একটু নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসেন।’
সরকার তৎপর হলে পিকে হালদারের বিদেশ পালানো ঠেকানো যেত বলে উল্লেখ করে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘পিকে হালদার চলে গেল, বলল আমরা মাত্র নয় মিনিটের জন্য ধরতে পারি নাই। তাকে নয় ঘণ্টা আগে থেকে অ্যারেস্ট করলেন না কেন? টাকাটা দেশে রেখে দিতাম। পারল না কেন? এইটা আমরা মন্ত্রীর দোষ দেব কি? সবার কিন্তু দায়িত্ব ভাগ করা আছে। আমি মনে করি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতার জন্য আজকে এইগুলো হচ্ছে। অর্থাৎ অথোরিটি নাই। এখানে দুইটা জিনিস দরকার। একটা হচ্ছে নেতৃত্ব, আরেকটা কর্তৃত্ব। নেতৃত্ব ঠিকই দিচ্ছেন, কিন্তু কর্তৃত্ব নেই।’
করোনার মধ্যেও পুঁজিবাজারে চাঙাভাব অর্থনীতির ভালো অবস্থাকেই নির্দেশ করছে বলেই মনে করছেন ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের আর্থিক খাতের কথা বলতে গেলে প্রথম বলতে হয় শেয়ার মার্কেটের কথা উঠেছে, আমি ৪২ বছর এই মার্কেটের সঙ্গে আছি। শেয়ার মার্কেট এই করোনা ভাইরাসের মধ্যেও সব থেকে উঁচু স্তরে আছে। আমরা বাড়িতে থাকি, মার্কেটে যেতে পারি না। আমাদের মতো লোকেরা যদি মার্কেটে যেতে পারত এই মার্কেট আজকে ৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হতো। এই কোভিডের মধ্যেও কিন্তু ৩ হাজার কোটি টাকার কাছে চলে গেছে। শেয়ার মার্কেট হচ্ছে অর্থনীতির ব্যারোমিটার, তার মানে ব্যারোমিটার ঠিক আছে।’

ঢাকা: গত বছর দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছিল কানাডার টরন্টো শহরের ‘বেগম পাড়া’। ওই সময় হাইকোর্ট কানাডায় বাড়ি কেনা সরকারি কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়েছিলেন। প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারসহ অনেক বাংলাদেশি ‘বেগম পাড়ায়’ বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন বলেও জানিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশি কোটিপতিদের স্ত্রী এবং সন্তানরা টরন্টোর এই এলাকায় বাস করেন বলে জানা যায়।
ধারণা করা হয় দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে কানাডায়। এ কারণে দুদকের প্রধান কার্যালয় আপাতত সে দেশেই করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ফিরোজ রশীদ বলেন, বাংলাদেশে আপাতত দুদকের হেড অফিস রাখার দরকার নাই। কানাডায় করা হোক। আরেকটি মালয়েশিয়ায় ব্রাঞ্চ করুক। একটি আমেরিকায় করুক, অস্ট্রেলিয়ায় করুক, দুবাই করুক। এইখান থেকে তাহলে আমরা বুঝতে পারবো সঠিক চিত্রটা কী।
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার করার সুযোগ রাখার বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, আমরা বারবার বলছিলাম, আমাদের কালোটাকা বলতে কোনো টাকা নাই। টাকা সব বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনেন। এখন আমেরিকা থেকে টাকা ফেরত আসছে। কেন আসতেছে? কারণ তারা জানেন এই দেশে যদি টাকা আনেন তাহলে হিসাব দিতে হবে না। শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করে অথবা কোনো সম্পদ কেনে তাহলে টেন পারসেন্ট দিয়ে এই টাকা লগ্নি করতে পারবেন। আমরা চাই আমাদের দেশের টাকা দেশে থাকুক। দেশের টাকা বিদেশে চলে যাবে আমরা কোনো সুযোগ দেব না? আপনি টকশো দেখে, পত্রিকা পড়ে আর আমাদের বক্তব্য শুনে বিভ্রান্ত হবেন না।
আর্থিক খাতে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্ব খুব কঠিন। কিন্তু ওনার কর্তৃত্ব অত্যন্ত দুর্বল–এমন মন্তব্য করে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘উনি কর্তৃত্ব, অথোরিটি খাটাতে পারেন না। ওনার যে মন্ত্রণালয় এর মধ্যেই উনি কর্তৃত্ব খাটান। কিন্তু বাইরে যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে ব্যাংক এখানে ওনার কোনো কর্তৃত্ব নেই। অন্যান্য যে শিডিউল (তফসিলি) ব্যাংক আছে, লিজিং কোম্পানিগুলো আছে, ইনস্যুরেন্সগুলো আছে, কোনো জায়গায় যদি কর্তৃত্ব না থাকে অবাধে সবকিছু হবে। একটি ব্যাংক থেকে আরেকটি ব্যাংক টাকা নিচ্ছে। একটি ব্যাংকের ডাইরেক্টর অন্য ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছে। ওই ব্যাংকের ডাইরেক্টর এই ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছে। টাকাটা নিয়ে তারা হুন্ডি করে বিদেশে পাচার করতেছে। এইভাবে তারা বহু টাকা, হাজার হাজার লক্ষ কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করতেছে।’
জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি বলবো, ইতিমধ্যে হাইকোর্ট আমাদের বলে দিছেন যে আপনারা আমাদেরকে লিস্ট দেন, কারা কারা বিদেশে বাড়ি করেছেন, বেগমপাড়া বলেন, যে পাড়া বলেন। আমেরিকায় কারা বাড়ি করেছে, মালয়েশিয়ায় কারা বাড়ি করেছে লিস্ট দেন। সাম্প্রতিক কালে গিয়ে, দীর্ঘকাল যারা সেখানে বসবাস করেন, ব্যবসা-বাণিজ্য করেন তারা তো সেখানে বাড়ি করবেন। কিন্তু সেই লিস্টটা কিন্তু বারবার দুদক দিতে পারে নাই। দুদক যায় আর আসে-এইভাবে শত শত কোটি টাকা ব্যয় হবে, কিছুই হবে না।’
পিকে হালাদারের অর্থ আত্মসাৎ ঠেকাতে ও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের ব্যর্থ রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই যে পিকে হালদার উনি এতগুলো টাকা নিলেন। আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি অডিট সেকশন আছে। তারা যদি সব সময় অডিট করত তাহলে কিন্তু এইটা হতো না। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি অডিট করে ওই ব্যাংকগুলোকে, লিজিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাহলে কিন্তু কেউ চুরি করার সুযোগ পায় না। চুরি করার সুযোগটা আমরা করে দিচ্ছি। অর্থমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে বসে বসে কী করবেন? সমস্ত দোষ মন্ত্রীর ঘাড়ে পড়ে। আসলে মন্ত্রীর তো করার কিছু থাকে না। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অডিট করবে প্রতি মাসে, তাহলে তারা এই সমস্ত টাকা পাচার করতে পারে না। এই সমস্ত বাজে ঋণ হতে পারে না। দেশটা আজকে অনেক উন্নয়নের দিকে গেছে। আরও উন্নয়ন হতো। নিজস্ব টাকায় একটা পদ্মা ব্রিজ না, আরও একটা পদ্মা ব্রিজ আমরা করতে পারব যদি আমরা এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মটা একটু নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসেন।’
সরকার তৎপর হলে পিকে হালদারের বিদেশ পালানো ঠেকানো যেত বলে উল্লেখ করে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘পিকে হালদার চলে গেল, বলল আমরা মাত্র নয় মিনিটের জন্য ধরতে পারি নাই। তাকে নয় ঘণ্টা আগে থেকে অ্যারেস্ট করলেন না কেন? টাকাটা দেশে রেখে দিতাম। পারল না কেন? এইটা আমরা মন্ত্রীর দোষ দেব কি? সবার কিন্তু দায়িত্ব ভাগ করা আছে। আমি মনে করি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতার জন্য আজকে এইগুলো হচ্ছে। অর্থাৎ অথোরিটি নাই। এখানে দুইটা জিনিস দরকার। একটা হচ্ছে নেতৃত্ব, আরেকটা কর্তৃত্ব। নেতৃত্ব ঠিকই দিচ্ছেন, কিন্তু কর্তৃত্ব নেই।’
করোনার মধ্যেও পুঁজিবাজারে চাঙাভাব অর্থনীতির ভালো অবস্থাকেই নির্দেশ করছে বলেই মনে করছেন ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের আর্থিক খাতের কথা বলতে গেলে প্রথম বলতে হয় শেয়ার মার্কেটের কথা উঠেছে, আমি ৪২ বছর এই মার্কেটের সঙ্গে আছি। শেয়ার মার্কেট এই করোনা ভাইরাসের মধ্যেও সব থেকে উঁচু স্তরে আছে। আমরা বাড়িতে থাকি, মার্কেটে যেতে পারি না। আমাদের মতো লোকেরা যদি মার্কেটে যেতে পারত এই মার্কেট আজকে ৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হতো। এই কোভিডের মধ্যেও কিন্তু ৩ হাজার কোটি টাকার কাছে চলে গেছে। শেয়ার মার্কেট হচ্ছে অর্থনীতির ব্যারোমিটার, তার মানে ব্যারোমিটার ঠিক আছে।’
নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকা: গত বছর দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছিল কানাডার টরন্টো শহরের ‘বেগম পাড়া’। ওই সময় হাইকোর্ট কানাডায় বাড়ি কেনা সরকারি কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়েছিলেন। প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারসহ অনেক বাংলাদেশি ‘বেগম পাড়ায়’ বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন বলেও জানিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশি কোটিপতিদের স্ত্রী এবং সন্তানরা টরন্টোর এই এলাকায় বাস করেন বলে জানা যায়।
ধারণা করা হয় দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে কানাডায়। এ কারণে দুদকের প্রধান কার্যালয় আপাতত সে দেশেই করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ফিরোজ রশীদ বলেন, বাংলাদেশে আপাতত দুদকের হেড অফিস রাখার দরকার নাই। কানাডায় করা হোক। আরেকটি মালয়েশিয়ায় ব্রাঞ্চ করুক। একটি আমেরিকায় করুক, অস্ট্রেলিয়ায় করুক, দুবাই করুক। এইখান থেকে তাহলে আমরা বুঝতে পারবো সঠিক চিত্রটা কী।
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার করার সুযোগ রাখার বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, আমরা বারবার বলছিলাম, আমাদের কালোটাকা বলতে কোনো টাকা নাই। টাকা সব বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনেন। এখন আমেরিকা থেকে টাকা ফেরত আসছে। কেন আসতেছে? কারণ তারা জানেন এই দেশে যদি টাকা আনেন তাহলে হিসাব দিতে হবে না। শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করে অথবা কোনো সম্পদ কেনে তাহলে টেন পারসেন্ট দিয়ে এই টাকা লগ্নি করতে পারবেন। আমরা চাই আমাদের দেশের টাকা দেশে থাকুক। দেশের টাকা বিদেশে চলে যাবে আমরা কোনো সুযোগ দেব না? আপনি টকশো দেখে, পত্রিকা পড়ে আর আমাদের বক্তব্য শুনে বিভ্রান্ত হবেন না।
আর্থিক খাতে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্ব খুব কঠিন। কিন্তু ওনার কর্তৃত্ব অত্যন্ত দুর্বল–এমন মন্তব্য করে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘উনি কর্তৃত্ব, অথোরিটি খাটাতে পারেন না। ওনার যে মন্ত্রণালয় এর মধ্যেই উনি কর্তৃত্ব খাটান। কিন্তু বাইরে যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে ব্যাংক এখানে ওনার কোনো কর্তৃত্ব নেই। অন্যান্য যে শিডিউল (তফসিলি) ব্যাংক আছে, লিজিং কোম্পানিগুলো আছে, ইনস্যুরেন্সগুলো আছে, কোনো জায়গায় যদি কর্তৃত্ব না থাকে অবাধে সবকিছু হবে। একটি ব্যাংক থেকে আরেকটি ব্যাংক টাকা নিচ্ছে। একটি ব্যাংকের ডাইরেক্টর অন্য ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছে। ওই ব্যাংকের ডাইরেক্টর এই ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছে। টাকাটা নিয়ে তারা হুন্ডি করে বিদেশে পাচার করতেছে। এইভাবে তারা বহু টাকা, হাজার হাজার লক্ষ কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করতেছে।’
জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি বলবো, ইতিমধ্যে হাইকোর্ট আমাদের বলে দিছেন যে আপনারা আমাদেরকে লিস্ট দেন, কারা কারা বিদেশে বাড়ি করেছেন, বেগমপাড়া বলেন, যে পাড়া বলেন। আমেরিকায় কারা বাড়ি করেছে, মালয়েশিয়ায় কারা বাড়ি করেছে লিস্ট দেন। সাম্প্রতিক কালে গিয়ে, দীর্ঘকাল যারা সেখানে বসবাস করেন, ব্যবসা-বাণিজ্য করেন তারা তো সেখানে বাড়ি করবেন। কিন্তু সেই লিস্টটা কিন্তু বারবার দুদক দিতে পারে নাই। দুদক যায় আর আসে-এইভাবে শত শত কোটি টাকা ব্যয় হবে, কিছুই হবে না।’
পিকে হালাদারের অর্থ আত্মসাৎ ঠেকাতে ও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের ব্যর্থ রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই যে পিকে হালদার উনি এতগুলো টাকা নিলেন। আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি অডিট সেকশন আছে। তারা যদি সব সময় অডিট করত তাহলে কিন্তু এইটা হতো না। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি অডিট করে ওই ব্যাংকগুলোকে, লিজিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাহলে কিন্তু কেউ চুরি করার সুযোগ পায় না। চুরি করার সুযোগটা আমরা করে দিচ্ছি। অর্থমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে বসে বসে কী করবেন? সমস্ত দোষ মন্ত্রীর ঘাড়ে পড়ে। আসলে মন্ত্রীর তো করার কিছু থাকে না। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অডিট করবে প্রতি মাসে, তাহলে তারা এই সমস্ত টাকা পাচার করতে পারে না। এই সমস্ত বাজে ঋণ হতে পারে না। দেশটা আজকে অনেক উন্নয়নের দিকে গেছে। আরও উন্নয়ন হতো। নিজস্ব টাকায় একটা পদ্মা ব্রিজ না, আরও একটা পদ্মা ব্রিজ আমরা করতে পারব যদি আমরা এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মটা একটু নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসেন।’
সরকার তৎপর হলে পিকে হালদারের বিদেশ পালানো ঠেকানো যেত বলে উল্লেখ করে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘পিকে হালদার চলে গেল, বলল আমরা মাত্র নয় মিনিটের জন্য ধরতে পারি নাই। তাকে নয় ঘণ্টা আগে থেকে অ্যারেস্ট করলেন না কেন? টাকাটা দেশে রেখে দিতাম। পারল না কেন? এইটা আমরা মন্ত্রীর দোষ দেব কি? সবার কিন্তু দায়িত্ব ভাগ করা আছে। আমি মনে করি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতার জন্য আজকে এইগুলো হচ্ছে। অর্থাৎ অথোরিটি নাই। এখানে দুইটা জিনিস দরকার। একটা হচ্ছে নেতৃত্ব, আরেকটা কর্তৃত্ব। নেতৃত্ব ঠিকই দিচ্ছেন, কিন্তু কর্তৃত্ব নেই।’
করোনার মধ্যেও পুঁজিবাজারে চাঙাভাব অর্থনীতির ভালো অবস্থাকেই নির্দেশ করছে বলেই মনে করছেন ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের আর্থিক খাতের কথা বলতে গেলে প্রথম বলতে হয় শেয়ার মার্কেটের কথা উঠেছে, আমি ৪২ বছর এই মার্কেটের সঙ্গে আছি। শেয়ার মার্কেট এই করোনা ভাইরাসের মধ্যেও সব থেকে উঁচু স্তরে আছে। আমরা বাড়িতে থাকি, মার্কেটে যেতে পারি না। আমাদের মতো লোকেরা যদি মার্কেটে যেতে পারত এই মার্কেট আজকে ৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হতো। এই কোভিডের মধ্যেও কিন্তু ৩ হাজার কোটি টাকার কাছে চলে গেছে। শেয়ার মার্কেট হচ্ছে অর্থনীতির ব্যারোমিটার, তার মানে ব্যারোমিটার ঠিক আছে।’

ঢাকা: গত বছর দেশজুড়ে আলোচনায় এসেছিল কানাডার টরন্টো শহরের ‘বেগম পাড়া’। ওই সময় হাইকোর্ট কানাডায় বাড়ি কেনা সরকারি কর্মকর্তাদের তালিকা চেয়েছিলেন। প্রশান্ত কুমার হালদার ওরফে পিকে হালদারসহ অনেক বাংলাদেশি ‘বেগম পাড়ায়’ বিলাসবহুল বাড়ি কিনেছেন বলেও জানিয়েছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বাংলাদেশি কোটিপতিদের স্ত্রী এবং সন্তানরা টরন্টোর এই এলাকায় বাস করেন বলে জানা যায়।
ধারণা করা হয় দেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার হয়েছে কানাডায়। এ কারণে দুদকের প্রধান কার্যালয় আপাতত সে দেশেই করার দাবি জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) সংসদ সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ।
আজ সোমবার জাতীয় সংসদে চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে ফিরোজ রশীদ বলেন, বাংলাদেশে আপাতত দুদকের হেড অফিস রাখার দরকার নাই। কানাডায় করা হোক। আরেকটি মালয়েশিয়ায় ব্রাঞ্চ করুক। একটি আমেরিকায় করুক, অস্ট্রেলিয়ায় করুক, দুবাই করুক। এইখান থেকে তাহলে আমরা বুঝতে পারবো সঠিক চিত্রটা কী।
বাজেটে কালো টাকা সাদা করার করার সুযোগ রাখার বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, আমরা বারবার বলছিলাম, আমাদের কালোটাকা বলতে কোনো টাকা নাই। টাকা সব বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনেন। এখন আমেরিকা থেকে টাকা ফেরত আসছে। কেন আসতেছে? কারণ তারা জানেন এই দেশে যদি টাকা আনেন তাহলে হিসাব দিতে হবে না। শেয়ার মার্কেটে বিনিয়োগ করে অথবা কোনো সম্পদ কেনে তাহলে টেন পারসেন্ট দিয়ে এই টাকা লগ্নি করতে পারবেন। আমরা চাই আমাদের দেশের টাকা দেশে থাকুক। দেশের টাকা বিদেশে চলে যাবে আমরা কোনো সুযোগ দেব না? আপনি টকশো দেখে, পত্রিকা পড়ে আর আমাদের বক্তব্য শুনে বিভ্রান্ত হবেন না।
আর্থিক খাতে অর্থমন্ত্রীর নেতৃত্ব খুব কঠিন। কিন্তু ওনার কর্তৃত্ব অত্যন্ত দুর্বল–এমন মন্তব্য করে কাজী ফিরোজ রশীদ বলেন, ‘উনি কর্তৃত্ব, অথোরিটি খাটাতে পারেন না। ওনার যে মন্ত্রণালয় এর মধ্যেই উনি কর্তৃত্ব খাটান। কিন্তু বাইরে যে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো আছে ব্যাংক এখানে ওনার কোনো কর্তৃত্ব নেই। অন্যান্য যে শিডিউল (তফসিলি) ব্যাংক আছে, লিজিং কোম্পানিগুলো আছে, ইনস্যুরেন্সগুলো আছে, কোনো জায়গায় যদি কর্তৃত্ব না থাকে অবাধে সবকিছু হবে। একটি ব্যাংক থেকে আরেকটি ব্যাংক টাকা নিচ্ছে। একটি ব্যাংকের ডাইরেক্টর অন্য ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছে। ওই ব্যাংকের ডাইরেক্টর এই ব্যাংক থেকে টাকা নিচ্ছে। টাকাটা নিয়ে তারা হুন্ডি করে বিদেশে পাচার করতেছে। এইভাবে তারা বহু টাকা, হাজার হাজার লক্ষ কোটি টাকা তারা বিদেশে পাচার করতেছে।’
জাপার এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘আমি বলবো, ইতিমধ্যে হাইকোর্ট আমাদের বলে দিছেন যে আপনারা আমাদেরকে লিস্ট দেন, কারা কারা বিদেশে বাড়ি করেছেন, বেগমপাড়া বলেন, যে পাড়া বলেন। আমেরিকায় কারা বাড়ি করেছে, মালয়েশিয়ায় কারা বাড়ি করেছে লিস্ট দেন। সাম্প্রতিক কালে গিয়ে, দীর্ঘকাল যারা সেখানে বসবাস করেন, ব্যবসা-বাণিজ্য করেন তারা তো সেখানে বাড়ি করবেন। কিন্তু সেই লিস্টটা কিন্তু বারবার দুদক দিতে পারে নাই। দুদক যায় আর আসে-এইভাবে শত শত কোটি টাকা ব্যয় হবে, কিছুই হবে না।’
পিকে হালাদারের অর্থ আত্মসাৎ ঠেকাতে ও তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারের ব্যর্থ রয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আমাদের আর্থিক প্রতিষ্ঠান এই যে পিকে হালদার উনি এতগুলো টাকা নিলেন। আমাদের বাংলাদেশ ব্যাংকে একটি অডিট সেকশন আছে। তারা যদি সব সময় অডিট করত তাহলে কিন্তু এইটা হতো না। বাংলাদেশ ব্যাংক যদি অডিট করে ওই ব্যাংকগুলোকে, লিজিং প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাহলে কিন্তু কেউ চুরি করার সুযোগ পায় না। চুরি করার সুযোগটা আমরা করে দিচ্ছি। অর্থমন্ত্রী মন্ত্রণালয়ে বসে বসে কী করবেন? সমস্ত দোষ মন্ত্রীর ঘাড়ে পড়ে। আসলে মন্ত্রীর তো করার কিছু থাকে না। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো অডিট করবে প্রতি মাসে, তাহলে তারা এই সমস্ত টাকা পাচার করতে পারে না। এই সমস্ত বাজে ঋণ হতে পারে না। দেশটা আজকে অনেক উন্নয়নের দিকে গেছে। আরও উন্নয়ন হতো। নিজস্ব টাকায় একটা পদ্মা ব্রিজ না, আরও একটা পদ্মা ব্রিজ আমরা করতে পারব যদি আমরা এই আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মটা একটু নিয়মের মধ্যে নিয়ে আসেন।’
সরকার তৎপর হলে পিকে হালদারের বিদেশ পালানো ঠেকানো যেত বলে উল্লেখ করে এই সংসদ সদস্য বলেন, ‘পিকে হালদার চলে গেল, বলল আমরা মাত্র নয় মিনিটের জন্য ধরতে পারি নাই। তাকে নয় ঘণ্টা আগে থেকে অ্যারেস্ট করলেন না কেন? টাকাটা দেশে রেখে দিতাম। পারল না কেন? এইটা আমরা মন্ত্রীর দোষ দেব কি? সবার কিন্তু দায়িত্ব ভাগ করা আছে। আমি মনে করি, আর্থিক প্রতিষ্ঠানের দুর্বলতার জন্য আজকে এইগুলো হচ্ছে। অর্থাৎ অথোরিটি নাই। এখানে দুইটা জিনিস দরকার। একটা হচ্ছে নেতৃত্ব, আরেকটা কর্তৃত্ব। নেতৃত্ব ঠিকই দিচ্ছেন, কিন্তু কর্তৃত্ব নেই।’
করোনার মধ্যেও পুঁজিবাজারে চাঙাভাব অর্থনীতির ভালো অবস্থাকেই নির্দেশ করছে বলেই মনে করছেন ফিরোজ রশীদ। তিনি বলেন, ‘আমাদের আর্থিক খাতের কথা বলতে গেলে প্রথম বলতে হয় শেয়ার মার্কেটের কথা উঠেছে, আমি ৪২ বছর এই মার্কেটের সঙ্গে আছি। শেয়ার মার্কেট এই করোনা ভাইরাসের মধ্যেও সব থেকে উঁচু স্তরে আছে। আমরা বাড়িতে থাকি, মার্কেটে যেতে পারি না। আমাদের মতো লোকেরা যদি মার্কেটে যেতে পারত এই মার্কেট আজকে ৫ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হতো। এই কোভিডের মধ্যেও কিন্তু ৩ হাজার কোটি টাকার কাছে চলে গেছে। শেয়ার মার্কেট হচ্ছে অর্থনীতির ব্যারোমিটার, তার মানে ব্যারোমিটার ঠিক আছে।’

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আমাদের কালোটাকা বলতে কোনো টাকা নাই। টাকা সব বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনেন। এখন আমেরিকা থেকে টাকা ফেরত আসছে। কেন আসতেছে? কারণ তারা জানেন এই দেশে যদি টাকা আনেন তাহলে হিসাব দিতে হবে না।
০৭ জুন ২০২১
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

আমাদের কালোটাকা বলতে কোনো টাকা নাই। টাকা সব বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনেন। এখন আমেরিকা থেকে টাকা ফেরত আসছে। কেন আসতেছে? কারণ তারা জানেন এই দেশে যদি টাকা আনেন তাহলে হিসাব দিতে হবে না।
০৭ জুন ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

আমাদের কালোটাকা বলতে কোনো টাকা নাই। টাকা সব বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনেন। এখন আমেরিকা থেকে টাকা ফেরত আসছে। কেন আসতেছে? কারণ তারা জানেন এই দেশে যদি টাকা আনেন তাহলে হিসাব দিতে হবে না।
০৭ জুন ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

আমাদের কালোটাকা বলতে কোনো টাকা নাই। টাকা সব বিদেশে পাচার হয়ে যাচ্ছে। এই টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনেন। এখন আমেরিকা থেকে টাকা ফেরত আসছে। কেন আসতেছে? কারণ তারা জানেন এই দেশে যদি টাকা আনেন তাহলে হিসাব দিতে হবে না।
০৭ জুন ২০২১
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৭ দিন আগে