
জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে বহুল আলোচিত শব্দগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘ফ্যাসিস্ট’ ও ‘গণহত্যাকারী’। এই দুটি গণহারে ব্যবহার হচ্ছে। পতিত সরকার ও তাঁর সহযোগীদের উদ্দেশ্যে ব্যবহার তো হচ্ছেই, ক্ষমতাসীনদের কোনো সমালোচনা করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও এই ট্যাগের শিকার হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে চলমান বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে, তাকে ‘গণহত্যাকারীর দোসর’ বলে স্যোশাল মিডিয়ায় ট্রল করা হচ্ছে।
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। এই বিচার নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলছেন, জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড গণহত্যা নয় এবং এসব ঘটনার বিচার করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নেই। এই বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে একটি আবেদনও করা হয়। যদিও সেই আবেদন শোনার এখতিয়ার নেই বলে খারিজ করা হয়েছে। তবে আবেদনের ‘মেরিট’ বা গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ট্রাইব্যুনাল কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে বিশ্বজুড়ে গণহত্যার বিচার সংঘটিত হয় জাতিসংঘের একটি সনদ অনুসারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গৃহীত ওই সনদের ভিত্তিতে জার্মানির নুরেমবার্গ ট্রায়ালে প্রথম বিচার হয়। এরপরে স্থাপিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতসহ (আইসিসি) আরো কয়েকটি ট্রাইব্যুনাল এই সনদের ভিত্তিতে বিচারকাজ পরিচালনা করছে। Genocide Convention (জেনোসাইড কনভেনশন) বা গণহত্যা সনদ নামে পরিচিত এই সনদে বাংলাদেশও স্বাক্ষর করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও এই সনদ অনুসারে গৃহীত হয়। সেই সনদে গণহত্যা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
গণহত্যা সনদ কী?
গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি প্রদান সম্পর্কিত সনদ বা সংক্ষেপে গণহত্যা সনদ হল একটি আন্তর্জাতিক আইন। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সনদটি চূড়ান্ত করা হয়। এই সনদেই প্রথমবারের মতো গণহত্যার (জেনোসাইড) অপরাধকে আইনগতভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
সনদে প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘জাতিগত, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস’ করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত অপরাধই গণহত্যা। এই সনদ অনুযায়ী, গণহত্যা যুদ্ধকালীন বা শান্তিকালীন সময়েও সংঘটিত হতে পারে। তবে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বা তথাকথিত ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’ এই সনদের অন্তর্ভুক্ত নয়।

গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে রাষ্ট্রগুলোর ওপর বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে এই সনদে। এর মধ্যে আছে— সংশ্লিষ্ট আইন প্রণয়ন ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। এই দায়িত্ব সংবিধানিকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত শাসক, সরকারি কর্মকর্তা বা বেসরকারি ব্যক্তি (৪নং অনুচ্ছেদ) সকলের উপর বর্তায়।
গণহত্যার সংজ্ঞা
সনদের ২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে’ নিম্নলিখিত কাজগুলো সংঘটিত হলে তা গণহত্যা বলে বিবেচিত হবে—
১. নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা
২. গোষ্ঠীর সদস্যদের মারাত্মক শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করা
৩. সম্পূর্ণ বা আংশিক শারীরিক ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে তেমন জীবনযাত্রার পরিস্থিতি চাপিয়ে দেওয়া
৪. গোষ্ঠীর মধ্যে জন্ম রোধের ব্যবস্থা গ্রহণ
৫. গোষ্ঠীর শিশুদের অন্য গোষ্ঠীতে জোরপূর্বক স্থানান্তর
গণহত্যা অপরাধ গণ্য হওয়ার বিশেষ শর্ত
গণহত্যার সংজ্ঞায় দুটি উপাদান রয়েছে— (১) শারীরিক উপাদান বা সংঘটিত কাজগুলো এবং (২) মানসিক উপাদান বা অপরাধীদের উদ্দেশ্য। সনদে বর্ণিত সংজ্ঞায় উল্লেখিত কোনো একটি গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার ‘সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য’ নিয়ে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত হতে হবে। এইভাবে অপরাধ প্রমাণিত না হলে তা গণহত্যা হিসেবে গণ্য হবে না।
গণহত্যা সনদে রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা
১. গণহত্যা না করা (অনুচ্ছেদ ১)
২. গণহত্যা প্রতিরোধ করা (অনুচ্ছেদ ১), যা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের মতে আঞ্চলিকভাবে প্রযোজ্য।
৩. গণহত্যার জন্য শাস্তি প্রদান করা (অনুচ্ছেদ ১)।
৪. সনদের বিধান কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা (অনুচ্ছেদ ৫)।
৫. গণহত্যার অপরাধের জন্য দায়ীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা (অনুচ্ছেদ ৫)।
৬. গণহত্যার অপরাধে অভিযুক্তদের জাতীয় বা আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করা (অনুচ্ছেদ ৬)।
৭. গণহত্যার জন্য অপরাধীদের প্রত্যর্পণ করা (অনুচ্ছেদ ৭)।
গণহত্যা সনদের গুরুত্ব
গণহত্যা সনদের গ্রহণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত প্রথম মানবাধিকার চুক্তি ছিল এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বর্বরতার পর ‘আর কখনো নয়’ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ছিল।
গ্রহণের তারিখ: ৯ ডিসেম্বর ১৯৪৮
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১২ জানুয়ারি ১৯৫১
সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সংখ্যা: ১৫০ (জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত)
গণহত্যার সনদে স্বাক্ষর করেছে যারা
বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ১৫০টি রাষ্ট্র এই সনদ অনুমোদন করেছে। জাতিসংঘের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এই সনদ অনুমোদন বা এতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে এটি একটি সর্বজনীন চুক্তি হয়ে ওঠে।
৪৪টি রাষ্ট্র এখনো সনদটি অনুমোদন করেনি, যার মধ্যে রয়েছে—
আমেরিকা: ডোমিনিকা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, গ্রেনাডা, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সুরিনাম।
আফ্রিকা: অ্যাঙ্গোলা, বোতসোয়ানা, ক্যামেরুন, চাদ, কঙ্গো, জিবুতি, কেনিয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, জাম্বিয়া প্রভৃতি।
এশিয়া: ভুটান, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কিরিবাতি, মালদ্বীপ, কাতার, থাইল্যান্ড, টুভালু, ভানুয়াতু ইত্যাদি।
গণহত্যা প্রতিরোধের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে আর কখনো মানবজাতিকে এই নৃশংসতার শিকার হতে না হয়।

জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে বহুল আলোচিত শব্দগুলোর মধ্যে অন্যতম ‘ফ্যাসিস্ট’ ও ‘গণহত্যাকারী’। এই দুটি গণহারে ব্যবহার হচ্ছে। পতিত সরকার ও তাঁর সহযোগীদের উদ্দেশ্যে ব্যবহার তো হচ্ছেই, ক্ষমতাসীনদের কোনো সমালোচনা করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরাও এই ট্যাগের শিকার হচ্ছে। ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ছয় মাসে চলমান বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে কেউ প্রশ্ন তুললে, তাকে ‘গণহত্যাকারীর দোসর’ বলে স্যোশাল মিডিয়ায় ট্রল করা হচ্ছে।
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের সময় সহিংসতায় সহস্রাধিক নিহতের ঘটনায় শেখ হাসিনাসহ অনেকের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার চলছে। এই বিচার নিয়ে এরই মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকে বলছেন, জুলাই-আগস্টের হত্যাকাণ্ড গণহত্যা নয় এবং এসব ঘটনার বিচার করার এখতিয়ার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের নেই। এই বিষয়ে ট্রাইব্যুনালে একটি আবেদনও করা হয়। যদিও সেই আবেদন শোনার এখতিয়ার নেই বলে খারিজ করা হয়েছে। তবে আবেদনের ‘মেরিট’ বা গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ট্রাইব্যুনাল কোনো মন্তব্য করেননি।
তবে বিশ্বজুড়ে গণহত্যার বিচার সংঘটিত হয় জাতিসংঘের একটি সনদ অনুসারে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর গৃহীত ওই সনদের ভিত্তিতে জার্মানির নুরেমবার্গ ট্রায়ালে প্রথম বিচার হয়। এরপরে স্থাপিত আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতসহ (আইসিসি) আরো কয়েকটি ট্রাইব্যুনাল এই সনদের ভিত্তিতে বিচারকাজ পরিচালনা করছে। Genocide Convention (জেনোসাইড কনভেনশন) বা গণহত্যা সনদ নামে পরিচিত এই সনদে বাংলাদেশও স্বাক্ষর করেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য ১৯৭৩ সালে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালও এই সনদ অনুসারে গৃহীত হয়। সেই সনদে গণহত্যা সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
গণহত্যা সনদ কী?
গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি প্রদান সম্পর্কিত সনদ বা সংক্ষেপে গণহত্যা সনদ হল একটি আন্তর্জাতিক আইন। ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সনদটি চূড়ান্ত করা হয়। এই সনদেই প্রথমবারের মতো গণহত্যার (জেনোসাইড) অপরাধকে আইনগতভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়।
সনদে প্রদত্ত সংজ্ঞা অনুযায়ী, ‘জাতিগত, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস’ করার উদ্দেশ্যে সংঘটিত অপরাধই গণহত্যা। এই সনদ অনুযায়ী, গণহত্যা যুদ্ধকালীন বা শান্তিকালীন সময়েও সংঘটিত হতে পারে। তবে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বা তথাকথিত ‘সাংস্কৃতিক গণহত্যা’ এই সনদের অন্তর্ভুক্ত নয়।

গণহত্যা প্রতিরোধ ও শাস্তি প্রদানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে রাষ্ট্রগুলোর ওপর বাধ্যবাধকতা দেওয়া হয়েছে এই সনদে। এর মধ্যে আছে— সংশ্লিষ্ট আইন প্রণয়ন ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা। এই দায়িত্ব সংবিধানিকভাবে দায়িত্বপ্রাপ্ত শাসক, সরকারি কর্মকর্তা বা বেসরকারি ব্যক্তি (৪নং অনুচ্ছেদ) সকলের উপর বর্তায়।
গণহত্যার সংজ্ঞা
সনদের ২ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, ‘জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিকভাবে ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে’ নিম্নলিখিত কাজগুলো সংঘটিত হলে তা গণহত্যা বলে বিবেচিত হবে—
১. নির্দিষ্ট গোষ্ঠীর সদস্যদের হত্যা করা
২. গোষ্ঠীর সদস্যদের মারাত্মক শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি করা
৩. সম্পূর্ণ বা আংশিক শারীরিক ক্ষতি করার পরিকল্পনা করে তেমন জীবনযাত্রার পরিস্থিতি চাপিয়ে দেওয়া
৪. গোষ্ঠীর মধ্যে জন্ম রোধের ব্যবস্থা গ্রহণ
৫. গোষ্ঠীর শিশুদের অন্য গোষ্ঠীতে জোরপূর্বক স্থানান্তর
গণহত্যা অপরাধ গণ্য হওয়ার বিশেষ শর্ত
গণহত্যার সংজ্ঞায় দুটি উপাদান রয়েছে— (১) শারীরিক উপাদান বা সংঘটিত কাজগুলো এবং (২) মানসিক উপাদান বা অপরাধীদের উদ্দেশ্য। সনদে বর্ণিত সংজ্ঞায় উল্লেখিত কোনো একটি গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার ‘সুস্পষ্ট উদ্দেশ্য’ নিয়ে অপরাধমূলক কাজ সংঘটিত হতে হবে। এইভাবে অপরাধ প্রমাণিত না হলে তা গণহত্যা হিসেবে গণ্য হবে না।
গণহত্যা সনদে রাষ্ট্রের বাধ্যবাধকতা
১. গণহত্যা না করা (অনুচ্ছেদ ১)
২. গণহত্যা প্রতিরোধ করা (অনুচ্ছেদ ১), যা আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের মতে আঞ্চলিকভাবে প্রযোজ্য।
৩. গণহত্যার জন্য শাস্তি প্রদান করা (অনুচ্ছেদ ১)।
৪. সনদের বিধান কার্যকর করতে প্রয়োজনীয় আইন প্রণয়ন করা (অনুচ্ছেদ ৫)।
৫. গণহত্যার অপরাধের জন্য দায়ীদের যথাযথ শাস্তি নিশ্চিত করা (অনুচ্ছেদ ৫)।
৬. গণহত্যার অপরাধে অভিযুক্তদের জাতীয় বা আন্তর্জাতিক আদালতে বিচার করা (অনুচ্ছেদ ৬)।
৭. গণহত্যার জন্য অপরাধীদের প্রত্যর্পণ করা (অনুচ্ছেদ ৭)।
গণহত্যা সনদের গুরুত্ব
গণহত্যা সনদের গ্রহণ আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক অপরাধ আইনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক গৃহীত প্রথম মানবাধিকার চুক্তি ছিল এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের বর্বরতার পর ‘আর কখনো নয়’ প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন ছিল।
গ্রহণের তারিখ: ৯ ডিসেম্বর ১৯৪৮
কার্যকর হওয়ার তারিখ: ১২ জানুয়ারি ১৯৫১
সদস্য রাষ্ট্রসমূহের সংখ্যা: ১৫০ (জানুয়ারি ২০১৯ পর্যন্ত)
গণহত্যার সনদে স্বাক্ষর করেছে যারা
বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ১৫০টি রাষ্ট্র এই সনদ অনুমোদন করেছে। জাতিসংঘের গণহত্যা প্রতিরোধ বিষয়ক বিশেষ উপদেষ্টা সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে এই সনদ অনুমোদন বা এতে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, যাতে এটি একটি সর্বজনীন চুক্তি হয়ে ওঠে।
৪৪টি রাষ্ট্র এখনো সনদটি অনুমোদন করেনি, যার মধ্যে রয়েছে—
আমেরিকা: ডোমিনিকা, ডোমিনিকান প্রজাতন্ত্র, গ্রেনাডা, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট কিটস ও নেভিস, সুরিনাম।
আফ্রিকা: অ্যাঙ্গোলা, বোতসোয়ানা, ক্যামেরুন, চাদ, কঙ্গো, জিবুতি, কেনিয়া, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, জাম্বিয়া প্রভৃতি।
এশিয়া: ভুটান, ব্রুনাই, ইন্দোনেশিয়া, জাপান, কিরিবাতি, মালদ্বীপ, কাতার, থাইল্যান্ড, টুভালু, ভানুয়াতু ইত্যাদি।
গণহত্যা প্রতিরোধের জন্য সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, যাতে আর কখনো মানবজাতিকে এই নৃশংসতার শিকার হতে না হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
২০ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

গণহত্যার সংজ্ঞা ও বিচার নিয়ে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত সনদ হলো Genocide Convention বা গণহত্যা সনদ, যা ১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক গৃহীত হয়। এই সনদের আওতায় একটি জাতি, নৃগোষ্ঠী, বর্ণ বা ধর্মীয় গোষ্ঠীকে সম্পূর্ণ বা আংশিক ধ্বংস করার লক্ষ্যে সংঘটিত অপরাধকেই গণহত্যা বলা হয়। এর মধ্যে হত্যা, শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি,
০২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৭ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৭ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
২০ দিন আগে