মিলন উল্লাহ, কুষ্টিয়া
হাইকোর্টের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। কুষ্টিয়ায় পদ্মা-গড়াইয়ের মোহনা থেকে শুরু করে পাবনার পাকশী এলাকার সাড়াঘাট পর্যন্ত ১১টি স্থানে অবাদে এই বালু লুট করা হচ্ছে। নদীতে বসানো হয়েছে অসংখ্য ছোটবড় ড্রেজার।
বালু তোলা বন্ধে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হয়েছে অভিযান। তারপরও কখনো রাতে আবার কখনো দিনে এই উত্তোলন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। নদ-নদী থেকে সংগ্রহ করা বালু পাঠানো হচ্ছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। কুষ্টিয়া, পাবনা ও রাজশাহীর অন্তত ৯ প্রভাবশালী ব্যক্তি সিন্ডিকেট করে বালুর ব্যবসা করছেন। তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিও রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লালন শাহ সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ—এমনকি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকা থেকেও বালু তোলা হচ্ছে। এতে এসব স্থাপনার পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কও ঝুঁকিতে আছে। এগুলোর রক্ষার জন্য উচ্চ আদালত পদ্মায় বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করেছেন। তা বাস্তবায়নে হাইকোর্টের নির্দেশে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন মনিটরিং টিম গঠন করেছে। ১৮ এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাসরিন বানু স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি জানা গেছে। তারপরও বালু উত্তোলন থামছে না।
ভেড়ামারার বারোমাইল টিকটিকিপাড়ার বাসিন্দা ইনো সর্দার জানান, বালু উত্তোলনের কারণে তাঁরা হুমকির মুখে। পদ্মার তীরে তাঁর ৩০ বিঘা জমি ছিল। ভাঙতে ভাঙতে এখন ১৫ বিঘা অবশিষ্ট রয়েছে। তাও যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
পাশের মুন্সিপাড়া এলাকার মিজানুর রহমান জানান, তাঁর ৫০ বিঘা জমির মধ্যে অবশিষ্ট রয়েছে ১০ বিঘা। তিনি অবিলম্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান।
তবে বালু উত্তোলনকারীদের একজন সাঈদ খান দাবি করেন, তাঁদের কাছে এ-সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তাঁরা স্পর্শকাতর এলাকায় বালু উত্তোলন করছেন না।
যোগাযোগ করা হলে মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকাশ কুমার কুণ্ডু জানান, তাঁরা গত সপ্তাহে এ-সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছেন। কমিটি গত ২৬ জুন প্রথম বৈঠক করেছে। তাঁরা এখন কীভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা যায়, সে বিষয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন। যদিও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ২৪ জুন অভিযান চালিয়ে তিনজনকে জেলে পাঠানোর পাশাপাশি সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ নিয়ে কথা হলে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান জানান, পদ্মায় ড্রেজিং মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছে।
সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি রফিকুল আলম টুকু অভিযোগ করেন, পদ্মা নদীতে রীতিমতো বালু লোপাটের মহোৎসব চলছে। এটি রোধে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, পদ্মার বালু উত্তোলন সম্পর্কে একটি নির্দেশনা রয়েছে, যা কঠোর। ড্রেজার কিংবা অন্য কোনো উপায়ে বালু তোলা যাবে না। কেউ যদি তোলেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হাইকোর্টের স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলা হচ্ছে। কুষ্টিয়ায় পদ্মা-গড়াইয়ের মোহনা থেকে শুরু করে পাবনার পাকশী এলাকার সাড়াঘাট পর্যন্ত ১১টি স্থানে অবাদে এই বালু লুট করা হচ্ছে। নদীতে বসানো হয়েছে অসংখ্য ছোটবড় ড্রেজার।
বালু তোলা বন্ধে এলাকাবাসী মানববন্ধন করেছেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে চালানো হয়েছে অভিযান। তারপরও কখনো রাতে আবার কখনো দিনে এই উত্তোলন কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। নদ-নদী থেকে সংগ্রহ করা বালু পাঠানো হচ্ছে জেলার বিভিন্ন এলাকায়। কুষ্টিয়া, পাবনা ও রাজশাহীর অন্তত ৯ প্রভাবশালী ব্যক্তি সিন্ডিকেট করে বালুর ব্যবসা করছেন। তাঁদের মধ্যে রাজনৈতিক দলের নেতা ও জনপ্রতিনিধিও রয়েছেন।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, লালন শাহ সেতু ও হার্ডিঞ্জ ব্রিজ—এমনকি রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাছাকাছি এলাকা থেকেও বালু তোলা হচ্ছে। এতে এসব স্থাপনার পাশাপাশি হুমকির মুখে পড়েছেন নদী তীরবর্তী এলাকার বাসিন্দারা। কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কও ঝুঁকিতে আছে। এগুলোর রক্ষার জন্য উচ্চ আদালত পদ্মায় বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করেছেন। তা বাস্তবায়নে হাইকোর্টের নির্দেশে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন মনিটরিং টিম গঠন করেছে। ১৮ এপ্রিল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) নাসরিন বানু স্বাক্ষরিত এক পত্রে বিষয়টি জানা গেছে। তারপরও বালু উত্তোলন থামছে না।
ভেড়ামারার বারোমাইল টিকটিকিপাড়ার বাসিন্দা ইনো সর্দার জানান, বালু উত্তোলনের কারণে তাঁরা হুমকির মুখে। পদ্মার তীরে তাঁর ৩০ বিঘা জমি ছিল। ভাঙতে ভাঙতে এখন ১৫ বিঘা অবশিষ্ট রয়েছে। তাও যেকোনো মুহূর্তে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যেতে পারে।
পাশের মুন্সিপাড়া এলাকার মিজানুর রহমান জানান, তাঁর ৫০ বিঘা জমির মধ্যে অবশিষ্ট রয়েছে ১০ বিঘা। তিনি অবিলম্বে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবি জানান।
তবে বালু উত্তোলনকারীদের একজন সাঈদ খান দাবি করেন, তাঁদের কাছে এ-সংক্রান্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। তাঁরা স্পর্শকাতর এলাকায় বালু উত্তোলন করছেন না।
যোগাযোগ করা হলে মনিটরিং টিমের আহ্বায়ক ভেড়ামারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আকাশ কুমার কুণ্ডু জানান, তাঁরা গত সপ্তাহে এ-সংক্রান্ত চিঠি পেয়েছেন। কমিটি গত ২৬ জুন প্রথম বৈঠক করেছে। তাঁরা এখন কীভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা যায়, সে বিষয়ে কর্মপন্থা নির্ধারণ করবেন। যদিও বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ২৪ জুন অভিযান চালিয়ে তিনজনকে জেলে পাঠানোর পাশাপাশি সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
এ নিয়ে কথা হলে কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুর রহমান জানান, পদ্মায় ড্রেজিং মেশিনের মাধ্যমে বালু উত্তোলনের বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানানো হয়েছে। তারা ব্যবস্থা নেবে বলেও জানিয়েছে।
সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) কুষ্টিয়া জেলা শাখার সভাপতি রফিকুল আলম টুকু অভিযোগ করেন, পদ্মা নদীতে রীতিমতো বালু লোপাটের মহোৎসব চলছে। এটি রোধে প্রশাসনকে উদ্যোগ নিতে হবে।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, পদ্মার বালু উত্তোলন সম্পর্কে একটি নির্দেশনা রয়েছে, যা কঠোর। ড্রেজার কিংবা অন্য কোনো উপায়ে বালু তোলা যাবে না। কেউ যদি তোলেন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ফোনে ওই ব্যক্তি নিজেকে সেনাবাহিনীর মেজর সোহেল পরিচয় দিয়ে জানায়, কিছু শারীরিক সমস্যার কারণে তার ভাই বাদ পড়েছে, তবে চাইলে টাকা দিলে চাকরি নিশ্চিত করে দিতে পারবে। এর পর ঢাকার শাহ আলী থানার একটি হোটেলে ভুক্তভোগীর সঙ্গে দেখা করে ওই ভুয়া মেজর সোহেল রানা। সঙ্গে ছিল আরেক প্রতারক তৈয়বুর রহমান, যাকে ভুক্তভোগী
৬ দিন আগেচাঁদাবাজি ও অবৈধ দখলের অভিযোগে সাম্প্রতিক সময়ে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ৫৭ শতাংশের বেশি নতুন মুখ। অর্থাৎ পুলিশের হাতে ধরা পড়া ব্যক্তিদের অর্ধেকের কিছু বেশির বিরুদ্ধে অতীতে এ ধরনের অপরাধের কোনো অভিযোগ ছিল না। পুলিশ কর্তৃপক্ষের দেওয়া হিসাবে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
৯ দিন আগেআন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
২০ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
০১ সেপ্টেম্বর ২০২৫