শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

দেশে মাদক কারবারে জড়িত ৬৬ হাজার ১৮ জন। তাদের কেউ মাদকের কারবারি, কেউবা পৃষ্ঠপোষক। নিষিদ্ধ এই কারবারে জড়িত ব্যক্তিরা বছরে পাচার করছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এসব ব্যক্তির তালিকা ধরে সমন্বিত অভিযানের পরিকল্পনা করছে সরকার। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হবে তাদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। মাদক নির্মূল করতে প্রয়োজনে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।
গত জুনে আঙ্কটাডের (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) ওয়েবসাইটে অবৈধ অর্থপ্রবাহ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মাদক কেনাবেচার অর্থ পাচারের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম আর এশিয়ায় শীর্ষে। মাদকের কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর পাচার হয় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।
ওই তথ্য প্রকাশের পর হাইকোর্ট অভিযোগটি অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতি এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী টাকা পাচারকারী মাদক কারবারিদের তালিকা করে মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা সংস্থাগুলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ, ৩০তম বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে তালিকাভুক্ত এই মাদক কারবারিদের ‘মাদক মাফিয়া’ আখ্যায়িত করা হয়।
সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করছে। পাশাপাশি মাদক কারবারে অর্থলগ্নিকারী ও পৃষ্ঠপোষকদেরও তালিকা করা হচ্ছে। মাদক কারবারের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা করতে গত ১৯ জুলাই মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি কমিটিকে জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে মাদক কারবারি ও মাদকের অর্থ পাচারকারী ৬৬ হাজার ১৮ জনের তালিকা রয়েছে।
সংস্থাটির নিজস্ব তালিকায় মাদক কারবারির সংখ্যা ১৭ হাজার ৬০৩ জন। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তালিকায় ১১ হাজার ১৭৬ জন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তালিকায় ৩ হাজার ৮৯২ জন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) তালিকায় ৫ হাজার ৯১, র্যাবের তালিকায় ৩ হাজার ২৫, কোস্ট গার্ডের তালিকায় ২ হাজার ৩১ এবং বাংলাদেশ পুলিশের তালিকায় ২৫ হাজার জন রয়েছে। এরাই মাদক কারবার করছে। এই কারবার থেকে পাওয়া অর্থ পাচার করছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনার কপি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোতে পৌঁছে গেছে। দুই মাস সময় দেওয়া হলেও এখনো কোনো সংস্থা প্রতিবেদন দেয়নি।
এদিকে মাদক কারবারি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটি। কমিটির অভিযোগ, আলাদা আলাদা তালিকা করতে গিয়ে আসল কারবারিদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে তথ্যের ভুলে সাধারণ মানুষের নামও এই তালিকায় ঢুকে গেছে। কমিটির সদস্যদের ধারণা, সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণেই এমন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মামলার তদন্তের দুর্বলতার কারণে মাদক কারবারের হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। মূলত মাদকসহ যারা ধরা পড়ে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু মাদকের উৎস, গন্তব্য এবং মূল কারবারিরা আড়ালেই থেকে যায়।
জানতে চাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, পৃষ্ঠপোষকদের না ধরতে পারলে মাদক কারবার বন্ধ করা কঠিন। হাজার হাজার কোটি টাকার এই কারবার চুনোপুঁটি দিয়ে হয় না। পেছনে থাকে রাঘববোয়াল। তাদের তালিকাভুক্ত করে আইনের আওতায় আনা দরকার। তালিকা করাই সমাধান নয়।

দেশে মাদক কারবারে জড়িত ৬৬ হাজার ১৮ জন। তাদের কেউ মাদকের কারবারি, কেউবা পৃষ্ঠপোষক। নিষিদ্ধ এই কারবারে জড়িত ব্যক্তিরা বছরে পাচার করছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এসব ব্যক্তির তালিকা ধরে সমন্বিত অভিযানের পরিকল্পনা করছে সরকার। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হবে তাদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। মাদক নির্মূল করতে প্রয়োজনে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।
গত জুনে আঙ্কটাডের (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) ওয়েবসাইটে অবৈধ অর্থপ্রবাহ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মাদক কেনাবেচার অর্থ পাচারের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম আর এশিয়ায় শীর্ষে। মাদকের কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর পাচার হয় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।
ওই তথ্য প্রকাশের পর হাইকোর্ট অভিযোগটি অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতি এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী টাকা পাচারকারী মাদক কারবারিদের তালিকা করে মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা সংস্থাগুলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ, ৩০তম বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে তালিকাভুক্ত এই মাদক কারবারিদের ‘মাদক মাফিয়া’ আখ্যায়িত করা হয়।
সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করছে। পাশাপাশি মাদক কারবারে অর্থলগ্নিকারী ও পৃষ্ঠপোষকদেরও তালিকা করা হচ্ছে। মাদক কারবারের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা করতে গত ১৯ জুলাই মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি কমিটিকে জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে মাদক কারবারি ও মাদকের অর্থ পাচারকারী ৬৬ হাজার ১৮ জনের তালিকা রয়েছে।
সংস্থাটির নিজস্ব তালিকায় মাদক কারবারির সংখ্যা ১৭ হাজার ৬০৩ জন। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তালিকায় ১১ হাজার ১৭৬ জন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তালিকায় ৩ হাজার ৮৯২ জন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) তালিকায় ৫ হাজার ৯১, র্যাবের তালিকায় ৩ হাজার ২৫, কোস্ট গার্ডের তালিকায় ২ হাজার ৩১ এবং বাংলাদেশ পুলিশের তালিকায় ২৫ হাজার জন রয়েছে। এরাই মাদক কারবার করছে। এই কারবার থেকে পাওয়া অর্থ পাচার করছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনার কপি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোতে পৌঁছে গেছে। দুই মাস সময় দেওয়া হলেও এখনো কোনো সংস্থা প্রতিবেদন দেয়নি।
এদিকে মাদক কারবারি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটি। কমিটির অভিযোগ, আলাদা আলাদা তালিকা করতে গিয়ে আসল কারবারিদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে তথ্যের ভুলে সাধারণ মানুষের নামও এই তালিকায় ঢুকে গেছে। কমিটির সদস্যদের ধারণা, সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণেই এমন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মামলার তদন্তের দুর্বলতার কারণে মাদক কারবারের হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। মূলত মাদকসহ যারা ধরা পড়ে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু মাদকের উৎস, গন্তব্য এবং মূল কারবারিরা আড়ালেই থেকে যায়।
জানতে চাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, পৃষ্ঠপোষকদের না ধরতে পারলে মাদক কারবার বন্ধ করা কঠিন। হাজার হাজার কোটি টাকার এই কারবার চুনোপুঁটি দিয়ে হয় না। পেছনে থাকে রাঘববোয়াল। তাদের তালিকাভুক্ত করে আইনের আওতায় আনা দরকার। তালিকা করাই সমাধান নয়।
শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

দেশে মাদক কারবারে জড়িত ৬৬ হাজার ১৮ জন। তাদের কেউ মাদকের কারবারি, কেউবা পৃষ্ঠপোষক। নিষিদ্ধ এই কারবারে জড়িত ব্যক্তিরা বছরে পাচার করছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এসব ব্যক্তির তালিকা ধরে সমন্বিত অভিযানের পরিকল্পনা করছে সরকার। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হবে তাদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। মাদক নির্মূল করতে প্রয়োজনে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।
গত জুনে আঙ্কটাডের (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) ওয়েবসাইটে অবৈধ অর্থপ্রবাহ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মাদক কেনাবেচার অর্থ পাচারের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম আর এশিয়ায় শীর্ষে। মাদকের কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর পাচার হয় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।
ওই তথ্য প্রকাশের পর হাইকোর্ট অভিযোগটি অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতি এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী টাকা পাচারকারী মাদক কারবারিদের তালিকা করে মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা সংস্থাগুলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ, ৩০তম বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে তালিকাভুক্ত এই মাদক কারবারিদের ‘মাদক মাফিয়া’ আখ্যায়িত করা হয়।
সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করছে। পাশাপাশি মাদক কারবারে অর্থলগ্নিকারী ও পৃষ্ঠপোষকদেরও তালিকা করা হচ্ছে। মাদক কারবারের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা করতে গত ১৯ জুলাই মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি কমিটিকে জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে মাদক কারবারি ও মাদকের অর্থ পাচারকারী ৬৬ হাজার ১৮ জনের তালিকা রয়েছে।
সংস্থাটির নিজস্ব তালিকায় মাদক কারবারির সংখ্যা ১৭ হাজার ৬০৩ জন। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তালিকায় ১১ হাজার ১৭৬ জন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তালিকায় ৩ হাজার ৮৯২ জন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) তালিকায় ৫ হাজার ৯১, র্যাবের তালিকায় ৩ হাজার ২৫, কোস্ট গার্ডের তালিকায় ২ হাজার ৩১ এবং বাংলাদেশ পুলিশের তালিকায় ২৫ হাজার জন রয়েছে। এরাই মাদক কারবার করছে। এই কারবার থেকে পাওয়া অর্থ পাচার করছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনার কপি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোতে পৌঁছে গেছে। দুই মাস সময় দেওয়া হলেও এখনো কোনো সংস্থা প্রতিবেদন দেয়নি।
এদিকে মাদক কারবারি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটি। কমিটির অভিযোগ, আলাদা আলাদা তালিকা করতে গিয়ে আসল কারবারিদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে তথ্যের ভুলে সাধারণ মানুষের নামও এই তালিকায় ঢুকে গেছে। কমিটির সদস্যদের ধারণা, সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণেই এমন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মামলার তদন্তের দুর্বলতার কারণে মাদক কারবারের হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। মূলত মাদকসহ যারা ধরা পড়ে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু মাদকের উৎস, গন্তব্য এবং মূল কারবারিরা আড়ালেই থেকে যায়।
জানতে চাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, পৃষ্ঠপোষকদের না ধরতে পারলে মাদক কারবার বন্ধ করা কঠিন। হাজার হাজার কোটি টাকার এই কারবার চুনোপুঁটি দিয়ে হয় না। পেছনে থাকে রাঘববোয়াল। তাদের তালিকাভুক্ত করে আইনের আওতায় আনা দরকার। তালিকা করাই সমাধান নয়।

দেশে মাদক কারবারে জড়িত ৬৬ হাজার ১৮ জন। তাদের কেউ মাদকের কারবারি, কেউবা পৃষ্ঠপোষক। নিষিদ্ধ এই কারবারে জড়িত ব্যক্তিরা বছরে পাচার করছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এসব ব্যক্তির তালিকা ধরে সমন্বিত অভিযানের পরিকল্পনা করছে সরকার। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হবে তাদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছে। মাদক নির্মূল করতে প্রয়োজনে আরও কঠোর অবস্থান নেওয়া হবে।
গত জুনে আঙ্কটাডের (ইউনাইটেড নেশনস কনফারেন্স অন ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট) ওয়েবসাইটে অবৈধ অর্থপ্রবাহ-সংক্রান্ত প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, মাদক কেনাবেচার অর্থ পাচারের দিক থেকে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান পঞ্চম আর এশিয়ায় শীর্ষে। মাদকের কারণে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর পাচার হয় ৫ হাজার ১৪৭ কোটি টাকা।
ওই তথ্য প্রকাশের পর হাইকোর্ট অভিযোগটি অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ), পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি), জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের প্রতি এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। ওই নির্দেশনা অনুযায়ী টাকা পাচারকারী মাদক কারবারিদের তালিকা করে মাদক নিয়ন্ত্রণে কাজ করা সংস্থাগুলো। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সর্বশেষ, ৩০তম বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে তালিকাভুক্ত এই মাদক কারবারিদের ‘মাদক মাফিয়া’ আখ্যায়িত করা হয়।
সূত্র জানায়, ওই বৈঠকে সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরী জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা নিয়মিত হালনাগাদ করছে। পাশাপাশি মাদক কারবারে অর্থলগ্নিকারী ও পৃষ্ঠপোষকদেরও তালিকা করা হচ্ছে। মাদক কারবারের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারীদের তালিকা করতে গত ১৯ জুলাই মাঠপর্যায়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তিনি কমিটিকে জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কাছে মাদক কারবারি ও মাদকের অর্থ পাচারকারী ৬৬ হাজার ১৮ জনের তালিকা রয়েছে।
সংস্থাটির নিজস্ব তালিকায় মাদক কারবারির সংখ্যা ১৭ হাজার ৬০৩ জন। এ ছাড়া জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থার (এনএসআই) তালিকায় ১১ হাজার ১৭৬ জন, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) তালিকায় ৩ হাজার ৮৯২ জন, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা মহাপরিদপ্তরের (ডিজিএফআই) তালিকায় ৫ হাজার ৯১, র্যাবের তালিকায় ৩ হাজার ২৫, কোস্ট গার্ডের তালিকায় ২ হাজার ৩১ এবং বাংলাদেশ পুলিশের তালিকায় ২৫ হাজার জন রয়েছে। এরাই মাদক কারবার করছে। এই কারবার থেকে পাওয়া অর্থ পাচার করছে।
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশনার কপি সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোতে পৌঁছে গেছে। দুই মাস সময় দেওয়া হলেও এখনো কোনো সংস্থা প্রতিবেদন দেয়নি।
এদিকে মাদক কারবারি ও তাদের পৃষ্ঠপোষকদের তালিকার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে জাতীয় মাদকবিরোধী কমিটি। কমিটির অভিযোগ, আলাদা আলাদা তালিকা করতে গিয়ে আসল কারবারিদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। একই সঙ্গে তথ্যের ভুলে সাধারণ মানুষের নামও এই তালিকায় ঢুকে গেছে। কমিটির সদস্যদের ধারণা, সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয়হীনতার কারণেই এমন হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, মামলার তদন্তের দুর্বলতার কারণে মাদক কারবারের হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়। মূলত মাদকসহ যারা ধরা পড়ে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। কিন্তু মাদকের উৎস, গন্তব্য এবং মূল কারবারিরা আড়ালেই থেকে যায়।
জানতে চাইলে মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাধ ও পুলিশ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ উমর ফারুক বলেন, পৃষ্ঠপোষকদের না ধরতে পারলে মাদক কারবার বন্ধ করা কঠিন। হাজার হাজার কোটি টাকার এই কারবার চুনোপুঁটি দিয়ে হয় না। পেছনে থাকে রাঘববোয়াল। তাদের তালিকাভুক্ত করে আইনের আওতায় আনা দরকার। তালিকা করাই সমাধান নয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ওই মামলায় সেলিম প্রধানকে আজ কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মোজাম্মেল হক মামুন ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর বারিধারার একটি রেস্তোরাঁ থেকে সেলিম প্রধানসহ ৯ জনকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ৬ দশমিক ৭ কেজি ওজনের সিসা জব্দ করা হয়। এ ছাড়া সাতটি সিসা স্ট্যান্ড ও অন্যান্য সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মাদক আইনে মামলা করা হয়। পরে সেলিম প্রধানকে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের আরেক মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

দেশে মাদক কারবারে জড়িত ৬৬ হাজার ১৮ জন। তাদের কেউ মাদকের কারবারি, কেউবা পৃষ্ঠপোষক। নিষিদ্ধ এই কারবারে জড়িত ব্যক্তিরা বছরে পাচার করছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এসব ব্যক্তির তালিকা ধরে সমন্বিত অভিযানের পরিকল্পনা করছে সরকার। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হবে তাদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও। স্বরাষ্ট্র মন্
১১ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত বুধবার ভোররাতে দুই গ্রুপ মাদক কারবারির সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ (২০)। পরিবারের দাবি, দুপক্ষের সংঘর্ষ চলাকালে জাহিদের পায়ের কাছে ককটেল বিস্ফোরণ হয়। এ সময় স্প্লিন্টার তাঁর ঘাড় ও পিঠে বিদ্ধ হয়। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা হয়েছে। সংঘর্ষের পর ঘটনাস্থলে অভিযান পরিচালনা করে র্যাব, পুলিশ ও সেনাবাহিনী। অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও তিনটি তাজা গুলিসহ বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র ও পেট্রলবোমা উদ্ধার করা হয়।
জাহিদের ভগ্নিপতি মো. উজ্জ্বল জানান, রাজধানীর কল্যাণপুরে মিজান টাওয়ারে একটি মোবাইল ফোন সার্ভিসিংয়ের দোকানে কাজ করতেন জাহিদ। বুধবার রাতে বন্ধুদের সঙ্গে রেস্তোরাঁয় খেতে যাওয়ার সময় তাঁরা সংঘর্ষের মধ্যে পড়েন। পরে হাসপাতালে জাহিদের মৃত্যু হয়।
তবে পুলিশ বলছে, ককটেল তৈরির সময় বিস্ফোরণে নিহত হন জাহিদ।

দেশে মাদক কারবারে জড়িত ৬৬ হাজার ১৮ জন। তাদের কেউ মাদকের কারবারি, কেউবা পৃষ্ঠপোষক। নিষিদ্ধ এই কারবারে জড়িত ব্যক্তিরা বছরে পাচার করছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এসব ব্যক্তির তালিকা ধরে সমন্বিত অভিযানের পরিকল্পনা করছে সরকার। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হবে তাদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও। স্বরাষ্ট্র মন্
১১ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৭ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

বিদেশ থেকে পার্সেল এসেছে—এমন দাবি করে কাস্টমস থেকে তা ছাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
গতকাল সোমবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চলের কুনিপাড়া এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার ওই তরুণের নাম মো. নূরে আলম ওরফে তুহিন (২৪)।
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
পরে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন অজুহাতে ভুক্তভোগীর কাছ থেকে বিকাশ ও ব্যাংকের মাধ্যমে ১১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা আদায় করেন নূরে আলম। টাকা পাওয়ার পর নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেন তিনি।
ভুক্তভোগী আদালতের শরণাপন্ন হলে রামপুরা থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পায় সিআইডির সাইবার পুলিশ সেন্টার। পরে নূরে আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সিআইডি জানায়, প্রতারক চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

দেশে মাদক কারবারে জড়িত ৬৬ হাজার ১৮ জন। তাদের কেউ মাদকের কারবারি, কেউবা পৃষ্ঠপোষক। নিষিদ্ধ এই কারবারে জড়িত ব্যক্তিরা বছরে পাচার করছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এসব ব্যক্তির তালিকা ধরে সমন্বিত অভিযানের পরিকল্পনা করছে সরকার। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হবে তাদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও। স্বরাষ্ট্র মন্
১১ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ দিন আগে
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত)
১৭ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

জুয়া ও প্রতারণায় জড়িত থাকায় ৫০ হাজারের বেশি এমএফএস (মোবাইলভিত্তিক আর্থিক লেনদেন সেবা) অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ (স্থগিত) করেছে বিএফআইইউ (বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট)। ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে চলতি মাস পর্যন্ত এই নম্বরগুলো স্থগিত করা হয়।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে ‘অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে করণীয়’ শীর্ষক এক সভায় বিএফআইইউর প্রতিনিধি এ তথ্য জানান।
সভায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়, ডিজিএফআই (ডিরেক্টরেট জেনারেল অব ফোর্সেস ইন্টেলিজেন্স), এনএসআই (ন্যাশনাল সিকিউরিটি ইন্টেলিজেন্স), এনটিএমসি (ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টার), সিআইডি (ক্রিমিনাল ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্ট), বিএফআইইউ, এমএফএস ও মোবাইল অপারেটরদের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে সভায় উপস্থিত বিএফআইইউ প্রতিনিধি বলেন, এমএফএস অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে জুয়া ও প্রতারণা বন্ধে বিটিআরসির (বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন) মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এমএফএস প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে বৈঠক করে তাদের কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হবে। যেসব অ্যাকাউন্ট ব্লক (স্থগিত) করা হয়েছে, সেগুলো থেকে কোথায় কোথায় টাকা লেনদেন করা হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে প্রতিবেদন দেওয়া হবে।
ডিজিএফআই প্রতিনিধি জানান, অনলাইন জুয়ার মতো আর্থিক নানা প্রতারণায় বেনামি সিম ব্যবহার করা হচ্ছে। সংঘবদ্ধ চক্র ভুয়া সিম বিক্রি করছে। মানুষের আঙুলের ছাপ ব্যবহার করা হচ্ছে। বিকাশের অ্যাপ নকল করা হয়েছে। নাগরিকদের ডেটাবেইস ডার্ক ওয়েবে পাওয়া যাচ্ছে। এটা নিয়ে নানা অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে।
সভায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, সরকার সতর্ক করার পরও অনেক গণমাধ্যমের অনলাইন পোর্টালে এখনো জুয়ার বিজ্ঞাপন প্রচার করা হচ্ছে। এ ধরনের বিজ্ঞাপন প্রচার করলে যেকোনো মুহূর্তে বিনা নোটিশে সংশ্লিষ্ট গণমাধ্যমের পোর্টাল বন্ধ করে দেওয়া হবে। প্রায় সব কটি মিডিয়ার পোর্টালে এখনো অনিরাপদ কনটেন্ট আসে। জুয়ার বিজ্ঞাপন আসে। এখান থেকে তারা টাকা পায়।
১৯ অক্টোবর পর্যন্ত জুয়ার বিজ্ঞাপন বন্ধে সময় দেওয়া হয়েছিল। তবে গণমাধ্যমগুলো তা মানছে না বলে অভিযোগ করেন বিশেষ সহকারী। তিনি বলেন, বেশ কিছু অনলাইন পোর্টাল জুয়ার বিজ্ঞাপন ও অনিরাপদ কনটেন্ট বিজ্ঞাপন প্রচার করছে। ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, ‘আমরা যেকোনো মুহূর্তে বন্ধ করে দেব। যেহেতু একাধিক নোটিশ দেওয়া হয়েছে। আমরা পাবলিকলি কোনো নোটিশ দেব না।’
অনলাইন জুয়া বন্ধে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরেন ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব। তিনি জানান, সরকারের হিসাবে গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮২০টি এমএফএস নম্বর পাওয়া গেছে। এ ছাড়া ১ হাজার ৩৩১টি ওয়েব পোর্টালের লিংক পাওয়া গেছে।
সরকারের চ্যালেঞ্জ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, যখনই একটা নম্বর ব্লক করা হয়, তখন এর চেয়ে বেশিসংখ্যক বা সমসংখ্যক নম্বর ব্যবহার করে সিগন্যাল-হোয়াটসঅ্যাপের মতো গ্রুপগুলোয় ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আইপি পরিবর্তন করে ওয়েবসাইটের নাম একটু পরিবর্তন করা হয়। এভাবে নতুন ওয়েবসাইট বানিয়ে আবার শুরু করা হয়। এমএফএস, ওয়েব লিংক বন্ধ করার পর এ চক্রগুলো আবার অ্যাপ তৈরি ফেলে। অ্যাপগুলো অনেক ক্ষেত্রেই পাবলিশড নয়, এপিকে হিসেবে ব্যবহার করে।

দেশে মাদক কারবারে জড়িত ৬৬ হাজার ১৮ জন। তাদের কেউ মাদকের কারবারি, কেউবা পৃষ্ঠপোষক। নিষিদ্ধ এই কারবারে জড়িত ব্যক্তিরা বছরে পাচার করছে ৫ হাজার কোটি টাকার বেশি। এসব ব্যক্তির তালিকা ধরে সমন্বিত অভিযানের পরিকল্পনা করছে সরকার। গ্রেপ্তারের পাশাপাশি খতিয়ে দেখা হবে তাদের ব্যাংক হিসাবের লেনদেনও। স্বরাষ্ট্র মন্
১১ ডিসেম্বর ২০২৩
রাজধানীর গুলশান থানায় করা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের একটি মামলায় ক্যাসিনো-কাণ্ডে আলোচিত সেলিম প্রধানকে তিন দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াদুর রহমান এ নির্দেশ দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. হারুনুর রশিদ।
৪ দিন আগে
রাজধানীর মোহাম্মদপুরে জেনেভা ক্যাম্পে ‘মাদক কারবারিদের’ দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ককটেল বিস্ফোরণে জাহিদ নিহতের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শুক্রবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. ইবনে মিজান আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
১৪ দিন আগে
এক বিজ্ঞপ্তিতে সিআইডি জানিয়েছে, নূরে আলম একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সদস্য। তিনি ফেসবুকে এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানান, তাঁর নামে বিদেশ থেকে একটি পার্সেল এসেছে, যা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাস্টম হাউসে জমা আছে। পার্সেল ছাড়াতে টাকা লাগবে—এ দাবি করে পার্সেলের ছবিও পাঠান তিনি।
১৭ দিন আগে