প্রতিনিধি, মানিকগঞ্জ:
খাদ্য চাহিদা পূরণে পাবনা মানিকগঞ্জ জেলার বেড়াহাট থেকে আমদানিকৃত তিন হাজার বস্তা (১৫ টন) চাউল নৌকা থেকে আরিচা ঘাটে নামাতে অতিরিক্ত চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছে জেলা চাউল ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের অভিযোগ- আরিচা ঘাট পয়েন্ট লেবার হ্যান্ডলিং চার্জ আদায়কারী আব্দুর রহিম খান অতিরিক্ত চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তার ম্যানেজার শম্ভু সাহাকে দিয়ে চাউল খালাশে বাঁধা দিচ্ছেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন, বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের পোর্ট কর্মকর্তা মো. মাসুদ পারভেজ।
তিনি বলেন, বিষয়টি মিমাংসার জন্য দুইপক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে বসা হয়েছে। খুব দ্রুত সুষ্ঠু সমাধান হবে।
মানিকগঞ্জ জেলা চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফরহাদ হোসেন জানান, মানিকগঞ্জের খাদ্য চাহিদ পূরণে দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী জেলা পাবনার বেড়াহাট থেকে আমন, বিআর-২৯, নাজিরশাহ, মিনিকেট সহ বিভিন্ন ধরনের চাউল বিক্রির জন্য আমদানি করা হয়। এর জন্য ৫০ কেজির বস্তার জন্য ইজারাদারকে দেওয়া হত ১২ টাকা আর ২৫ কেজির বস্তার জন্য দেওয়া হত ৬ টাকা। গত রোববার নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু আজ বুধবার সকালে নৌকা থেকে চাউল খালাশ করতে গেলে ইজারাদারের লোকজন ছোট-বড় প্রতিবস্তা চাল ১২ টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় চাল খালাশ করতে বাঁধা দেন। পরে বিষয়টি আমরা বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের পোর্ট কর্মকর্তাকে জানানো হয়।
মানিকগঞ্জ জেলা চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আজমত আলী (হাবু) জানান, আরিচাঘাটে এতদিন চাউল খালাশ করতে ৫০ কেজির বড় বস্তা ১২ টাকা ও ২৫ কেজির ছোট বস্তা ৬ টাকা হারে দেওয়া হয়েছে। কোন ধরনের নোটিশ না দিয়ে আজ বুধবার হঠাৎ করে ছোট-বড় প্রতি বস্তা থেকে তারা ১২ টাকা দাবি করে চাউল খালাশ করতে বাঁধা দিচ্ছে।
তিনি আর বলেন, আগামী অর্থবছর পর্যন্ত পূর্বের নিধারিত টাকা পরিশোধ করা হবে। আমাদের কাছ থেকে জোড় করে বস্তাপ্রতি অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় তাহলে চাউলের দাম না বারিয়ে উপায় থাকবে না।
এ ব্যাপারে আরিচাঘাট পয়েন্ট লেবার হ্যান্ডলিং চার্জ আদায় ইজারাদার মেসার্স মোস্তফা খানের সত্বাধিকারী মোস্তফা খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ব্যবসা দেখাশোনা করা জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম খান অতিরিক্ত চাঁদা দাবির কথা অস্বীকার করে বলেন, চলতি অর্থবছরে এক কেজি থেকে ১০০ কেজি পর্যন্ত প্রতিবস্তা চাউলের মূল্য সরকারি রেট ১৫ টাকা ধরা হয়েছে। কিন্তু করোনাকালীন সময়ে তাদের কাছ থেকে ৫০ কেজির বড় বস্তা ১২ টাকা ও ২৫ কেজির ছোট বস্তা ৬ টাকা রাখা হয়। এতে আমাদের লাভের চেয়ে ক্ষতির পাল্লা ভারি হতে থাকে। এ কারণে এখন থেকে সরকারি যে রেট ধরা হয়েছে তাই রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে অতিরিক্ত চাঁদা দাবির বিষয়টি সত্য নয়।
মানিকগঞ্জের বাসিন্দারা বিষয়টি দ্রুত সুষ্ঠু সমাধানের দাবি করে বলেন, সামনে পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তার মধ্যে ব্যবসায়ীরা চাউলের দাম বাড়িয়ে দিলে তা হবে ‘মরার উপর খারা ঘা’। তাই প্রশাসনের উচিত আর দেরি না করে এখনি ঘাট ইজারাদার ও চাউল ব্যবসায়ীদের নিয়ে সমস্যার সমাধান করা।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের পোর্ট অফিসার মো. মাসুদ পারভেজ জানান, বিষয়টি দুই পক্ষ থেকে আমাদের অবগত করা হয়েছে। আমরা দুইপক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে বসে আগামী জুলাই পর্যন্ত ৫০ কেজির বড় বস্তা ১১ টাকা ও ২৫ কেজির ছোট বস্তা ৮ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ইাজারাদারের প্রতিনিধি মানলেও মানতে চাচ্ছে না জেলা চাউল মালিক সমিতি।
তিনি লেবার হ্যান্ডলিং চার্জকেন্দ্রের শুল্ক হারের তালিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে স্পষ্ট বলা আছে ট্রার্মিনাল ভবনে যাত্রী সাধারণের ব্যাগেজ/পার্সেল লঞ্চ/স্টীমার/ভেসেল/নৌকা হতে রাস্তার প্রান্তর অথবা রাস্তায় থাকা যানবাহন ইত্যাদি থেকে নৌযান পর্যন্ত মাথায় বয়ে নেওয়া অথবা বিপরীতক্রমে বয়ে আনার জন্য কুলি চার্জ বাবদ প্রতি কুইন্টাল শুল্কের হার ভ্যাট সহ ১৫ টাকা।
এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম রুহুল আমিন জানান, এরমধ্যে বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। ঘাট ইজারাদার ও জেলা চাউল মালিক সমিতির নেতাদের সাথে কথা বলে সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুত চাউল খালাশের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
খাদ্য চাহিদা পূরণে পাবনা মানিকগঞ্জ জেলার বেড়াহাট থেকে আমদানিকৃত তিন হাজার বস্তা (১৫ টন) চাউল নৌকা থেকে আরিচা ঘাটে নামাতে অতিরিক্ত চাঁদা দাবির অভিযোগ করেছে জেলা চাউল ব্যবসায়ী সমিতি। তাদের অভিযোগ- আরিচা ঘাট পয়েন্ট লেবার হ্যান্ডলিং চার্জ আদায়কারী আব্দুর রহিম খান অতিরিক্ত চাঁদা দাবি করে। চাঁদা না দেওয়ায় তার ম্যানেজার শম্ভু সাহাকে দিয়ে চাউল খালাশে বাঁধা দিচ্ছেন। বিষয়টি স্বীকার করেছেন, বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের পোর্ট কর্মকর্তা মো. মাসুদ পারভেজ।
তিনি বলেন, বিষয়টি মিমাংসার জন্য দুইপক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে বসা হয়েছে। খুব দ্রুত সুষ্ঠু সমাধান হবে।
মানিকগঞ্জ জেলা চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ফরহাদ হোসেন জানান, মানিকগঞ্জের খাদ্য চাহিদ পূরণে দীর্ঘদিন ধরে পার্শ্ববর্তী জেলা পাবনার বেড়াহাট থেকে আমন, বিআর-২৯, নাজিরশাহ, মিনিকেট সহ বিভিন্ন ধরনের চাউল বিক্রির জন্য আমদানি করা হয়। এর জন্য ৫০ কেজির বস্তার জন্য ইজারাদারকে দেওয়া হত ১২ টাকা আর ২৫ কেজির বস্তার জন্য দেওয়া হত ৬ টাকা। গত রোববার নির্ধারিত টাকা পরিশোধ করা হয়েছে। কিন্তু আজ বুধবার সকালে নৌকা থেকে চাউল খালাশ করতে গেলে ইজারাদারের লোকজন ছোট-বড় প্রতিবস্তা চাল ১২ টাকা দাবি করে। টাকা না দেওয়ায় চাল খালাশ করতে বাঁধা দেন। পরে বিষয়টি আমরা বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের পোর্ট কর্মকর্তাকে জানানো হয়।
মানিকগঞ্জ জেলা চাউল ব্যবসায়ী সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক আজমত আলী (হাবু) জানান, আরিচাঘাটে এতদিন চাউল খালাশ করতে ৫০ কেজির বড় বস্তা ১২ টাকা ও ২৫ কেজির ছোট বস্তা ৬ টাকা হারে দেওয়া হয়েছে। কোন ধরনের নোটিশ না দিয়ে আজ বুধবার হঠাৎ করে ছোট-বড় প্রতি বস্তা থেকে তারা ১২ টাকা দাবি করে চাউল খালাশ করতে বাঁধা দিচ্ছে।
তিনি আর বলেন, আগামী অর্থবছর পর্যন্ত পূর্বের নিধারিত টাকা পরিশোধ করা হবে। আমাদের কাছ থেকে জোড় করে বস্তাপ্রতি অতিরিক্ত টাকা নেওয়া হয় তাহলে চাউলের দাম না বারিয়ে উপায় থাকবে না।
এ ব্যাপারে আরিচাঘাট পয়েন্ট লেবার হ্যান্ডলিং চার্জ আদায় ইজারাদার মেসার্স মোস্তফা খানের সত্বাধিকারী মোস্তফা খানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মুঠোফোন নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ব্যবসা দেখাশোনা করা জেলা আওয়ামী লীগের অর্থ বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক শিবালয় উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রহিম খান অতিরিক্ত চাঁদা দাবির কথা অস্বীকার করে বলেন, চলতি অর্থবছরে এক কেজি থেকে ১০০ কেজি পর্যন্ত প্রতিবস্তা চাউলের মূল্য সরকারি রেট ১৫ টাকা ধরা হয়েছে। কিন্তু করোনাকালীন সময়ে তাদের কাছ থেকে ৫০ কেজির বড় বস্তা ১২ টাকা ও ২৫ কেজির ছোট বস্তা ৬ টাকা রাখা হয়। এতে আমাদের লাভের চেয়ে ক্ষতির পাল্লা ভারি হতে থাকে। এ কারণে এখন থেকে সরকারি যে রেট ধরা হয়েছে তাই রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এখানে অতিরিক্ত চাঁদা দাবির বিষয়টি সত্য নয়।
মানিকগঞ্জের বাসিন্দারা বিষয়টি দ্রুত সুষ্ঠু সমাধানের দাবি করে বলেন, সামনে পবিত্র রমজান। এরই মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে। তার মধ্যে ব্যবসায়ীরা চাউলের দাম বাড়িয়ে দিলে তা হবে ‘মরার উপর খারা ঘা’। তাই প্রশাসনের উচিত আর দেরি না করে এখনি ঘাট ইজারাদার ও চাউল ব্যবসায়ীদের নিয়ে সমস্যার সমাধান করা।
বিআইডব্লিউটিএ আরিচা কার্যালয়ের পোর্ট অফিসার মো. মাসুদ পারভেজ জানান, বিষয়টি দুই পক্ষ থেকে আমাদের অবগত করা হয়েছে। আমরা দুইপক্ষের প্রতিনিধি নিয়ে বসে আগামী জুলাই পর্যন্ত ৫০ কেজির বড় বস্তা ১১ টাকা ও ২৫ কেজির ছোট বস্তা ৮ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত ইাজারাদারের প্রতিনিধি মানলেও মানতে চাচ্ছে না জেলা চাউল মালিক সমিতি।
তিনি লেবার হ্যান্ডলিং চার্জকেন্দ্রের শুল্ক হারের তালিকার কথা উল্লেখ করে বলেন, সেখানে স্পষ্ট বলা আছে ট্রার্মিনাল ভবনে যাত্রী সাধারণের ব্যাগেজ/পার্সেল লঞ্চ/স্টীমার/ভেসেল/নৌকা হতে রাস্তার প্রান্তর অথবা রাস্তায় থাকা যানবাহন ইত্যাদি থেকে নৌযান পর্যন্ত মাথায় বয়ে নেওয়া অথবা বিপরীতক্রমে বয়ে আনার জন্য কুলি চার্জ বাবদ প্রতি কুইন্টাল শুল্কের হার ভ্যাট সহ ১৫ টাকা।
এ ব্যাপারে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বি এম রুহুল আমিন জানান, এরমধ্যে বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। ঘাট ইজারাদার ও জেলা চাউল মালিক সমিতির নেতাদের সাথে কথা বলে সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা চলছে। খুব দ্রুত চাউল খালাশের উদ্যোগ নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
আন্তর্জাতিক মানবপাচার চক্রের হোতা আমিনুল ইসলাম (৪৬) ও তার চার সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-২। জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই) থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-২ ও হাজারীবাগ থানা পুলিশের যৌথ অভিযানে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানার ১১ নম্বর সেক্টর থেকে তাদের
৫ দিন আগেমেয়ে ঘুমাচ্ছিলেন। রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে ঘুম থেকে তুলে ধর্ষণ করেন বাবা। ৮ বছর আগের ওই ঘটনায় মামলা হয়েছিল। ওই ঘটনার আগেও আসামি একাধিকবার মেয়েকে ধর্ষণ করেন। ফলে মেয়েটি গর্ভবতী হয়ে যায়। ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানা এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছিল।
১২ দিন আগেমুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় পুলিশ ক্যাম্পে ডাকাতদের হামলার ঘটনায় ডাকাত দলের প্রধান রিপনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ঢাকা ও গাজীপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।
১৬ দিন আগেনরসিংদীর শিবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ খান হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মহসিন মিয়াকে (৪৬) দুবাই থেকে দেশে ফিরিয়ে এনেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ইন্টারপোলের রেড নোটিশের ভিত্তিতে দুবাই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে এবং বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
২৪ জুলাই ২০২৫