অনলাইন ডেস্ক
সুইজারল্যান্ডের বেসরকারি ব্যাংক ইএফজি লন্ডনে একটি নতুন একটি টিম গঠন করছে। এই টিম গঠনের লক্ষ্য এশিয়ার ধনকুবেরদের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা। এই উদ্যোগ এমন এক সময়ে নেওয়া হলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কারণে বাণিজ্য যুদ্ধ ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। এর ফলে, এশিয়ার গ্রাহকেরাও তাদের সম্পদ ব্যবস্থাপনার স্থান বৈচিত্র্যময় করতে চাইছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইএফজি চলতি গ্রীষ্মেই কাজ শুরু করবে। এই পদক্ষেপ আবারও প্রমাণ করল যে, লন্ডন অতি ধনী ব্যক্তিদের অর্থ ব্যবস্থাপনার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে এখনো অবস্থান ধরে রেখেছে।
ইএফজি-র প্রধান নির্বাহী জর্জিও প্রাডেলি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। এতে বাজারে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ফলে গ্রাহকেরা তাদের অর্থ ব্যবস্থাপনার স্থান বদলাতে চাইছেন।’
প্রাডেলি আরও বলেন, ‘এশিয়ার গ্রাহকেরা আগে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করতেন। এখন তাঁরা ইউরোপে আরও বেশি বৈচিত্র্য আনতে চাইছেন।’ তিনি যোগ করেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকিং মানেই ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি কমানো। গ্রাহকেরা সব সময় নিরাপদ আশ্রয় খোঁজেন।’
অডিট ও অর্থনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডেলোয়েটের র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সম্পদ ধারণের ক্ষেত্রে লন্ডন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র। সুইজারল্যান্ডের পরেই এর স্থান। লন্ডনে মোট ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে।
ইএফজি—এর লন্ডনের নতুন টিমটির নেতৃত্ব দেবেন অলিভার ব্যালমেলি। তিনি বর্তমানে ব্যাংকটির সিঙ্গাপুর অফিসের ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ। এই টিম কর্মী সংখ্যা ১০ জন পর্যন্ত হতে পারে। অভ্যন্তরীণ ও বাইরের কর্মী নিয়োগ করা হবে। প্রাডেলি এই ব্যবসার নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা জানাননি। তবে অতীতে ব্যাংকটি এই আকারের দল গঠন করে তিন বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক (৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) সম্পদ আকৃষ্ট করার লক্ষ্য রেখেছিল।
ইএফজি—এর এই পদক্ষেপ ব্যাংক অব সিঙ্গাপুরের এক সিদ্ধান্তের পরে এল। ব্যাংক অব সিঙ্গাপুর গত বছর তাদের লুক্সেমবার্গ অফিস বন্ধ করে দেয়। ব্রেক্সিটের পর ইউরোপীয় গ্রাহকদের সেবা দিতে এটি খোলা হয়েছিল। এখন তারা লন্ডন অফিসের ওপর জোর দিচ্ছে।
এর আগে, ২০২০ সালে ব্রেক্সিটের আগে কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লন্ডনকে ইউরোপীয় সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করত। তারা প্যারিস, ফ্রাঙ্কফুর্ট, আমস্টারডাম, লুক্সেমবার্গের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক কেন্দ্রগুলোতে নতুন শাখা খুলেছিল।
ব্যাংক অব সিঙ্গাপুর সিঙ্গাপুরের ওসিবিসি ব্যাংকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখা। তারা ৬ বছর পর লুক্সেমবার্গের শাখাটি বন্ধ করে দেয়। তাদের মনে হয়েছে, লন্ডন থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্রাহকদের সেবা দেওয়া সম্ভব। যদিও ইউরোপে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে প্রস্তাব দেওয়া কঠিন।
প্রাডেলি বলেন, ‘ব্রেক্সিট কিছু সমস্যা তৈরি করেছে। কিন্তু সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য লন্ডন সব সময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ স্থান।’ তিনি আরও বলেন, ‘লন্ডন হাতে গোনা কয়েকটি শহরের মধ্যে অন্যতম। এটি মধ্যপ্রাচ্য, দূরপ্রাচ্য, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকদের কাছে সব সময়ই আকর্ষণীয়। সাম্প্রতিক সময়ে লাতিন আমেরিকার গ্রাহকরাও আকৃষ্ট হচ্ছেন।’
কিছু ব্যাংক আবার সুইজারল্যান্ডে তাদের দল বড় করেছে। তারা ভূ-রাজনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এশিয়ার ধনী গ্রাহকদের লক্ষ্য করছে। জুলিয়াস বেয়ার, ইউবিএস, এলজিটি ও পিকটেটের মতো ব্যাংকগুলোর সুইজারল্যান্ডে এশিয়ার জন্য আলাদা ডেস্ক আছে।
সুইজারল্যান্ডের বেসরকারি ব্যাংক ইএফজি লন্ডনে একটি নতুন একটি টিম গঠন করছে। এই টিম গঠনের লক্ষ্য এশিয়ার ধনকুবেরদের বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা। এই উদ্যোগ এমন এক সময়ে নেওয়া হলো, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সিদ্ধান্তের কারণে বাণিজ্য যুদ্ধ ও ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে। এর ফলে, এশিয়ার গ্রাহকেরাও তাদের সম্পদ ব্যবস্থাপনার স্থান বৈচিত্র্যময় করতে চাইছেন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইএফজি চলতি গ্রীষ্মেই কাজ শুরু করবে। এই পদক্ষেপ আবারও প্রমাণ করল যে, লন্ডন অতি ধনী ব্যক্তিদের অর্থ ব্যবস্থাপনার প্রধান কেন্দ্র হিসেবে এখনো অবস্থান ধরে রেখেছে।
ইএফজি-র প্রধান নির্বাহী জর্জিও প্রাডেলি ফিন্যান্সিয়াল টাইমসকে এ কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়েছে। মার্কিন বাণিজ্য যুদ্ধ পরিস্থিতি আরও খারাপ করেছে। এতে বাজারে অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ফলে গ্রাহকেরা তাদের অর্থ ব্যবস্থাপনার স্থান বদলাতে চাইছেন।’
প্রাডেলি আরও বলেন, ‘এশিয়ার গ্রাহকেরা আগে যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগ করতেন। এখন তাঁরা ইউরোপে আরও বেশি বৈচিত্র্য আনতে চাইছেন।’ তিনি যোগ করেন, ‘বেসরকারি ব্যাংকিং মানেই ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি কমানো। গ্রাহকেরা সব সময় নিরাপদ আশ্রয় খোঁজেন।’
অডিট ও অর্থনৈতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডেলোয়েটের র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক সম্পদ ধারণের ক্ষেত্রে লন্ডন বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কেন্দ্র। সুইজারল্যান্ডের পরেই এর স্থান। লন্ডনে মোট ২ দশমিক ২ ট্রিলিয়ন ডলারের সম্পদ রয়েছে।
ইএফজি—এর লন্ডনের নতুন টিমটির নেতৃত্ব দেবেন অলিভার ব্যালমেলি। তিনি বর্তমানে ব্যাংকটির সিঙ্গাপুর অফিসের ডেপুটি চিফ এক্সিকিউটিভ। এই টিম কর্মী সংখ্যা ১০ জন পর্যন্ত হতে পারে। অভ্যন্তরীণ ও বাইরের কর্মী নিয়োগ করা হবে। প্রাডেলি এই ব্যবসার নির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা জানাননি। তবে অতীতে ব্যাংকটি এই আকারের দল গঠন করে তিন বছরে প্রায় ৩ বিলিয়ন সুইস ফ্রাঙ্ক (৩ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) সম্পদ আকৃষ্ট করার লক্ষ্য রেখেছিল।
ইএফজি—এর এই পদক্ষেপ ব্যাংক অব সিঙ্গাপুরের এক সিদ্ধান্তের পরে এল। ব্যাংক অব সিঙ্গাপুর গত বছর তাদের লুক্সেমবার্গ অফিস বন্ধ করে দেয়। ব্রেক্সিটের পর ইউরোপীয় গ্রাহকদের সেবা দিতে এটি খোলা হয়েছিল। এখন তারা লন্ডন অফিসের ওপর জোর দিচ্ছে।
এর আগে, ২০২০ সালে ব্রেক্সিটের আগে কয়েক বছর ধরে আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো লন্ডনকে ইউরোপীয় সদর দপ্তর হিসেবে ব্যবহার করত। তারা প্যারিস, ফ্রাঙ্কফুর্ট, আমস্টারডাম, লুক্সেমবার্গের মতো ইউরোপীয় ইউনিয়নের আর্থিক কেন্দ্রগুলোতে নতুন শাখা খুলেছিল।
ব্যাংক অব সিঙ্গাপুর সিঙ্গাপুরের ওসিবিসি ব্যাংকের সম্পদ ব্যবস্থাপনা শাখা। তারা ৬ বছর পর লুক্সেমবার্গের শাখাটি বন্ধ করে দেয়। তাদের মনে হয়েছে, লন্ডন থেকেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের গ্রাহকদের সেবা দেওয়া সম্ভব। যদিও ইউরোপে সরাসরি গ্রাহকদের কাছে প্রস্তাব দেওয়া কঠিন।
প্রাডেলি বলেন, ‘ব্রেক্সিট কিছু সমস্যা তৈরি করেছে। কিন্তু সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য লন্ডন সব সময়ই খুব গুরুত্বপূর্ণ স্থান।’ তিনি আরও বলেন, ‘লন্ডন হাতে গোনা কয়েকটি শহরের মধ্যে অন্যতম। এটি মধ্যপ্রাচ্য, দূরপ্রাচ্য, ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের গ্রাহকদের কাছে সব সময়ই আকর্ষণীয়। সাম্প্রতিক সময়ে লাতিন আমেরিকার গ্রাহকরাও আকৃষ্ট হচ্ছেন।’
কিছু ব্যাংক আবার সুইজারল্যান্ডে তাদের দল বড় করেছে। তারা ভূ-রাজনীতি নিয়ে উদ্বিগ্ন এশিয়ার ধনী গ্রাহকদের লক্ষ্য করছে। জুলিয়াস বেয়ার, ইউবিএস, এলজিটি ও পিকটেটের মতো ব্যাংকগুলোর সুইজারল্যান্ডে এশিয়ার জন্য আলাদা ডেস্ক আছে।
বেনাপোল স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রমে ব্যবসায়ীদের খরচ বাড়ছে। হ্যান্ডলিংয়ের আগে পণ্য চালান পরীক্ষার নামে এই অতিরিক্ত খরচ চাপ দিচ্ছে। প্রতিটি চালানে ১৫-২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত ব্যয় হচ্ছে। কখনো কখনো রিপোর্ট পেতে সময় লাগছে এক মাসেরও বেশি, আর ওই সময় পণ্য বন্দরে আটকা পড়ে।
৩ ঘণ্টা আগে২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট ঘিরে নানা প্রশ্ন আর আলোচনা চলছে। কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকবে কি না, এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য দেশ কতটা প্রস্তুত, বিদেশি বাজার ধরে রাখতে কী উদ্যোগ দরকার—এসব নিয়েই মুখোমুখি হলেন অর্থনীতিবিদ, নীতিনির্ধারক ও ব্যবসায়ী নেতারা।
৩ ঘণ্টা আগেএ পরিস্থিতিতে আমাদের দাবি, অবিলম্বে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার মাধ্যমে রাজস্ব সংস্কার বিষয়ক কার্যক্রম সময়ক্ষেপণ বই কিছু নয় বলে মনে করে ঐক্য পরিষদ।
৬ ঘণ্টা আগেচতুর্থ প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক ‘ইউনিয়ন ব্যাংক পিএলসি’। ২০১৩ সালে লাইসেন্স পাওয়া এই ব্যাংকের বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা। এই ঋণের প্রায় ৬২ শতাংশ অর্থাৎ ১৭ হাজার ২২৯ কোটি টাকাই নামে-বেনামে হাতিয়ে নিয়েছে বিতর্কিত শিল্পগ্রুপ এস আলম। ঋণের নামে লুট করা এই টাকা সবচেয়ে বেশি নেওয়া হয়েছে
১ দিন আগে