অনলাইন ডেস্ক
ভারত ও যুক্তরাজ্য একটি যুগান্তকারী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির ফলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বার্ষিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি ২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ) থেকে বেরিয়ে আসার পর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কোনো দেশের স্বাক্ষরিত সবচেয়ে বড় চুক্তি। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
চুক্তিটি ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং যুক্তরাজ্যের ব্যবসা ও বাণিজ্যবিষয়ক সেক্রেটারি অব স্টেট জোনাথন রেনল্ডসের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মধ্যে লন্ডনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পরেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
যুক্তরাজ্যে দুই দিনের সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চুক্তির পর স্টারমারকে পাশে রেখে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে করেছেন। সেখানে তিনি জানান, এই চুক্তি ভারত ও যুক্তরাজ্যের সম্মিলিত সমৃদ্ধির জন্য একটি নীলনকশা। তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের সম্পর্কের একটি ঐতিহাসিক দিন। আমি আনন্দিত যে কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর আজ আমাদের দুই দেশ একটি যুগান্তকারী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’
তিনি আরও বলেন, এই চুক্তির ফলে ভারতীয় টেক্সটাইল, পাদুকা, রত্ন ও গয়না, সামুদ্রিক খাবার ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে প্রবেশাধিকার পাবে। ভারতের কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যশিল্পের জন্যও যুক্তরাজ্যের বাজারে নতুন সুযোগ তৈরি হবে। এই চুক্তি বিশেষত ভারতীয় যুবক, কৃষক, জেলে এবং ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা খাতকে উপকৃত করবে।
অন্যদিকে স্টারমার বলেন, এই চুক্তি ভারত ও যুক্তরাজ্যের জন্য ‘ব্যাপক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি’ নিয়ে আসবে। তিনি বলেন, ‘এটি এমন একটি চুক্তি, যা আমাদের উভয় দেশের জন্য প্রয়োজন। এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিকদের মজুরি ও জীবনযাত্রার মান বাড়াবে। এটি কর্মসংস্থানের জন্য ভালো, ব্যবসার জন্য ভালো, শুল্ক হ্রাস করবে এবং বাণিজ্যকে সস্তা, দ্রুত ও সহজ করবে।’
স্টারমার আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর এটি যুক্তরাজ্যের করা সবচেয়ে বড় ও অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি। এটি ভারতের করা সবচেয়ে বড় বাণিজ্য চুক্তিগুলোরও মধ্যে একটি।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা বিশ্বকে একটি শক্তিশালী বার্তা দিচ্ছি—প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক নিয়ে বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও যুক্তরাজ্য ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত।’
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চুক্তির অধীনে ৯৯ শতাংশ ভারতীয় পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে।
যুক্তরাজ্য ভারতের ষষ্ঠ বৃহত্তম বিনিয়োগকারী, যেখানে মোট বিনিয়োগ প্রায় ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রায় ১ হাজার ভারতীয় প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্যে কাজ করে। ২০২৪-২৫ সালে যুক্তরাজ্যে ভারতের রপ্তানি ১২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ১৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে আমদানি ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ২০২৩-২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ২০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি।
চুক্তিটি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো উন্নত দেশের সঙ্গে ভারতের প্রথম বড় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের জন্য ব্রেক্সিট থেকে বেরিয়ে আসার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তিগুলোর মধ্যে একটি। যুক্তরাজ্য ২০১৬ সালে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২০ সালে এই জোট ত্যাগ করে।
ভারত ও যুক্তরাজ্য একটি যুগান্তকারী মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষর করেছে। এই চুক্তির ফলে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বার্ষিক ১১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে। এটি ২০২০ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইউ) থেকে বেরিয়ে আসার পর যুক্তরাজ্যের সঙ্গে কোনো দেশের স্বাক্ষরিত সবচেয়ে বড় চুক্তি। ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।
চুক্তিটি ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েল এবং যুক্তরাজ্যের ব্যবসা ও বাণিজ্যবিষয়ক সেক্রেটারি অব স্টেট জোনাথন রেনল্ডসের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের মধ্যে লন্ডনে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের পরেই এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
যুক্তরাজ্যে দুই দিনের সফরে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চুক্তির পর স্টারমারকে পাশে রেখে একটি যৌথ সংবাদ সম্মেলনে করেছেন। সেখানে তিনি জানান, এই চুক্তি ভারত ও যুক্তরাজ্যের সম্মিলিত সমৃদ্ধির জন্য একটি নীলনকশা। তিনি বলেন, ‘আজ আমাদের সম্পর্কের একটি ঐতিহাসিক দিন। আমি আনন্দিত যে কয়েক বছরের কঠোর পরিশ্রমের পর আজ আমাদের দুই দেশ একটি যুগান্তকারী অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।’
তিনি আরও বলেন, এই চুক্তির ফলে ভারতীয় টেক্সটাইল, পাদুকা, রত্ন ও গয়না, সামুদ্রিক খাবার ও ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে প্রবেশাধিকার পাবে। ভারতের কৃষিপণ্য ও প্রক্রিয়াজাত খাদ্যশিল্পের জন্যও যুক্তরাজ্যের বাজারে নতুন সুযোগ তৈরি হবে। এই চুক্তি বিশেষত ভারতীয় যুবক, কৃষক, জেলে এবং ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোক্তা খাতকে উপকৃত করবে।
অন্যদিকে স্টারমার বলেন, এই চুক্তি ভারত ও যুক্তরাজ্যের জন্য ‘ব্যাপক অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি’ নিয়ে আসবে। তিনি বলেন, ‘এটি এমন একটি চুক্তি, যা আমাদের উভয় দেশের জন্য প্রয়োজন। এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পাশাপাশি শ্রমিকদের মজুরি ও জীবনযাত্রার মান বাড়াবে। এটি কর্মসংস্থানের জন্য ভালো, ব্যবসার জন্য ভালো, শুল্ক হ্রাস করবে এবং বাণিজ্যকে সস্তা, দ্রুত ও সহজ করবে।’
স্টারমার আরও বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার পর এটি যুক্তরাজ্যের করা সবচেয়ে বড় ও অর্থনৈতিকভাবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তি। এটি ভারতের করা সবচেয়ে বড় বাণিজ্য চুক্তিগুলোরও মধ্যে একটি।
তিনি বলেন, ‘ভারতের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে আমরা বিশ্বকে একটি শক্তিশালী বার্তা দিচ্ছি—প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের আরোপিত পারস্পরিক শুল্ক নিয়ে বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মধ্যেও যুক্তরাজ্য ব্যবসার জন্য উন্মুক্ত।’
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই চুক্তির অধীনে ৯৯ শতাংশ ভারতীয় পণ্য যুক্তরাজ্যের বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে।
যুক্তরাজ্য ভারতের ষষ্ঠ বৃহত্তম বিনিয়োগকারী, যেখানে মোট বিনিয়োগ প্রায় ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। প্রায় ১ হাজার ভারতীয় প্রতিষ্ঠান যুক্তরাজ্যে কাজ করে। ২০২৪-২৫ সালে যুক্তরাজ্যে ভারতের রপ্তানি ১২ দশমিক ৬ শতাংশ বেড়ে ১৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে। অন্যদিকে আমদানি ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। ২০২৩-২৪ সালে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ২১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হয়েছে, যা পূর্ববর্তী বছরের চেয়ে ২০ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বেশি।
চুক্তিটি ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে কোনো উন্নত দেশের সঙ্গে ভারতের প্রথম বড় দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য চুক্তি। অন্যদিকে যুক্তরাজ্যের জন্য ব্রেক্সিট থেকে বেরিয়ে আসার পর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্য চুক্তিগুলোর মধ্যে একটি। যুক্তরাজ্য ২০১৬ সালে ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পক্ষে ভোট দেয় এবং আনুষ্ঠানিকভাবে ২০২০ সালে এই জোট ত্যাগ করে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত শুল্কের ধাক্কায় টালমাটাল বিশ্ববাণিজ্য, বিশেষ করে এশিয়ার দেশগুলো। এশিয়ার অধিকাংশ দেশ থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পোশাক রপ্তানি হয়ে থাকে। আর শুল্কের কারণে এ খাতে শঙ্কার জন্ম হয়েছে। গত ২০ এপ্রিল লিবারেশন ডে ঘোষণা করে যে শুল্ক আরোপ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, তার প্রভাবের
১৫ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যে ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। আর এর বড় ধাক্কা লেগেছে ভারতের তৈরি পোশাক খাতে। ট্রাম্পের এই শুল্ক ঘোষণার পর থেকে প্রতিদিন আতঙ্কে কাটছে এই খাতের উদ্যোক্তাদের।
১৭ ঘণ্টা আগেব্যাংক খাতে লুণ্ঠন, অর্থ পাচার, শেয়ারবাজার ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নড়বড়ে করে ফেলা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে চাপ ইত্যাদি কারণে আওয়ামী লীগ আমলের শেষের দিকে অর্থনীতি মহাসংকটে পড়েছিল। এর সরাসরি প্রভাব পড়ে জনজীবনেও। মূল্যস্ফীতিতে দেশবাসীর নাভিশ্বাস ওঠে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার স্বৈরশাসনের...
১ দিন আগেচীনা প্রতিষ্ঠান চুয়ানচিং ড্রিলিং ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের (সিসিডিসি) সঙ্গে দুটি কূপ খননের চুক্তি করেছে বাংলাদেশ গ্যাস ফিল্ডস কোম্পানি লিমিটেড (বিজিএফসিএল)। ৫৯৪ কোটি টাকা ব্যয়ে বাখরাবাদ ও তিতাস এলাকায় গভীর অনুসন্ধানে এ দুটি কূপ খনন করা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে...
১ দিন আগে