আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপ আরও কঠোর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারত রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে যাচ্ছে এবং ব্রিটেন রাশিয়ার শীর্ষ তেল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগামীকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এতে তিনি সামরিক ও জ্বালানি সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানাবেন। ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের জ্বালানি অবকাঠামোয় ব্যাপক হামলাযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার সময় এই দুই নেতা বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।
একই সময়ে বাণিজ্য আলোচনার জন্য ভারতীয় কর্মকর্তারাও ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পণ্যে দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করে রেখেছে অনেক আগেই। আলোচকদের মতে, এই অবস্থায় রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমানোর বিষয়টিই হবে দুই পক্ষের মধ্যে বড় বাণিজ্য চুক্তির চাবিকাঠি।
তিনটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় শোধনাগারগুলো ডিসেম্বর থেকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তেল কেনা বন্ধের কোনো নির্দেশ এখনো দেওয়া হয়নি। ২০২২ সালে ইউরোপীয় বাজার হারানোর পর ভারত ও চীনের কাছে ছাড়ে তেল বিক্রি করছে রাশিয়া। দেশ দুটি বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল ক্রেতা।
গতকাল বুধবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়ার থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে আমি নাখোশ ছিলাম। আজ মোদি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁরা রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। এটা বড় পদক্ষেপ। এবার আমরা চাই চীনও একই কাজ করুক।’
তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করছে, কিন্তু ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে আগের দিন কোনো ফোনালাপের বিষয়ে তারা কিছু জানে না বলে জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার তেলের দাম স্থিতিশীল ছিল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে সময় নেবে। বর্তমানে ভারতের মোট তেল আমদানির ৩৬ শতাংশই আসে রাশিয়া থেকে, দৈনিক প্রায় ১৭ দশমিক ৫ লাখ ব্যারেল। ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় রাশিয়ার শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর অক্টোবর মাসে রাশিয়া তেল রপ্তানি আরও বাড়িয়েছে।
রাশিয়া–চীনের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা
বুধবার যুক্তরাজ্য রাশিয়ার শীর্ষ দুই তেল কোম্পানি লুকওইল ও রসনেফটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। এ ছাড়া চীনের শানডং ইয়ুলং পেট্রোকেমিক্যালসহ চারটি বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে সাতটি এলএনজি ট্যাংকারসহ ৫১টি জাহাজ এবং চীনের বেইহাই এলএনজি টার্মিনাল। এ ছাড়া ভারতের মুম্বাইয়ে রাশিয়ান মালিকানাধীন নয়ারা শোধনাগারকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। রসনেফটের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়ারা আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে।
চীনের সর্বশেষ ও বৃহত্তম শোধনাগার ইয়ুলং পেট্রোকেমিক্যাল প্রতিদিন ৪ লাখ ব্যারেল তেল প্রক্রিয়াজাত করার সক্ষম এবং রাশিয়ার বড় ক্রেতা।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে এবং যুক্তরাজ্যের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
রাশিয়ার আত্মবিশ্বাস অটুট
লন্ডনে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাস বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা বাজারকে অস্থিতিশীল করবে ও ব্রিটিশ ভোক্তাদের খরচ বাড়াবে কিন্তু রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
গত আগস্টে ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ার পর থেকে ইউক্রেন রাশিয়ার তেল শোধনাগারগুলোকে টার্গেট করে ড্রোন হামলা করছে। অন্যদিকে রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনজুড়ে বড় ধরনের বিদ্যুৎ-বিভ্রাট ঘটছে।
এক জ্বালানি সম্মেলনে পুতিন বলেন, চলতি বছর রাশিয়ার তেল উৎপাদন সামান্যই কমবে। রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন, রাশিয়া ও ভারতের জ্বালানি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপ আরও কঠোর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারত রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে যাচ্ছে এবং ব্রিটেন রাশিয়ার শীর্ষ তেল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আগামীকাল শুক্রবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এতে তিনি সামরিক ও জ্বালানি সহায়তা বাড়ানোর আহ্বান জানাবেন। ইউক্রেন ও রাশিয়া পরস্পরের জ্বালানি অবকাঠামোয় ব্যাপক হামলাযজ্ঞ চালিয়ে যাওয়ার সময় এই দুই নেতা বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন।
একই সময়ে বাণিজ্য আলোচনার জন্য ভারতীয় কর্মকর্তারাও ওয়াশিংটনে অবস্থান করছেন। যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পণ্যে দ্বিগুণ শুল্ক আরোপ করে রেখেছে অনেক আগেই। আলোচকদের মতে, এই অবস্থায় রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমানোর বিষয়টিই হবে দুই পক্ষের মধ্যে বড় বাণিজ্য চুক্তির চাবিকাঠি।
তিনটি সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় শোধনাগারগুলো ডিসেম্বর থেকে রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে তেল কেনা বন্ধের কোনো নির্দেশ এখনো দেওয়া হয়নি। ২০২২ সালে ইউরোপীয় বাজার হারানোর পর ভারত ও চীনের কাছে ছাড়ে তেল বিক্রি করছে রাশিয়া। দেশ দুটি বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় অপরিশোধিত তেল ক্রেতা।
গতকাল বুধবার ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘রাশিয়ার থেকে ভারতের তেল কেনা নিয়ে আমি নাখোশ ছিলাম। আজ মোদি আমাকে আশ্বাস দিয়েছেন, তাঁরা রাশিয়া থেকে তেল কিনবে না। এটা বড় পদক্ষেপ। এবার আমরা চাই চীনও একই কাজ করুক।’
তবে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে জ্বালানি সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করছে, কিন্তু ট্রাম্প ও মোদির মধ্যে আগের দিন কোনো ফোনালাপের বিষয়ে তারা কিছু জানে না বলে জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার তেলের দাম স্থিতিশীল ছিল। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল আমদানি কমাতে সময় নেবে। বর্তমানে ভারতের মোট তেল আমদানির ৩৬ শতাংশই আসে রাশিয়া থেকে, দৈনিক প্রায় ১৭ দশমিক ৫ লাখ ব্যারেল। ইউক্রেনীয় ড্রোন হামলায় রাশিয়ার শোধনাগার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পর অক্টোবর মাসে রাশিয়া তেল রপ্তানি আরও বাড়িয়েছে।
রাশিয়া–চীনের ওপর যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞা
বুধবার যুক্তরাজ্য রাশিয়ার শীর্ষ দুই তেল কোম্পানি লুকওইল ও রসনেফটের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাজ্য। এ ছাড়া চীনের শানডং ইয়ুলং পেট্রোকেমিক্যালসহ চারটি বন্দর পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানের ওপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটি।
নতুন নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে সাতটি এলএনজি ট্যাংকারসহ ৫১টি জাহাজ এবং চীনের বেইহাই এলএনজি টার্মিনাল। এ ছাড়া ভারতের মুম্বাইয়ে রাশিয়ান মালিকানাধীন নয়ারা শোধনাগারকেও নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। রসনেফটের নিয়ন্ত্রণাধীন নয়ারা আগেই ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে।
চীনের সর্বশেষ ও বৃহত্তম শোধনাগার ইয়ুলং পেট্রোকেমিক্যাল প্রতিদিন ৪ লাখ ব্যারেল তেল প্রক্রিয়াজাত করার সক্ষম এবং রাশিয়ার বড় ক্রেতা।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের অনুমোদন ছাড়া একতরফা নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করে এবং যুক্তরাজ্যের পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিবাদ জানিয়েছে।
রাশিয়ার আত্মবিশ্বাস অটুট
লন্ডনে অবস্থিত রাশিয়ার দূতাবাস বলেছে, এই নিষেধাজ্ঞা বাজারকে অস্থিতিশীল করবে ও ব্রিটিশ ভোক্তাদের খরচ বাড়াবে কিন্তু রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলবে না।
গত আগস্টে ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে কোনো অগ্রগতি না হওয়ার পর থেকে ইউক্রেন রাশিয়ার তেল শোধনাগারগুলোকে টার্গেট করে ড্রোন হামলা করছে। অন্যদিকে রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনজুড়ে বড় ধরনের বিদ্যুৎ-বিভ্রাট ঘটছে।
এক জ্বালানি সম্মেলনে পুতিন বলেন, চলতি বছর রাশিয়ার তেল উৎপাদন সামান্যই কমবে। রাশিয়ার উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক বলেছেন, রাশিয়া ও ভারতের জ্বালানি সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।
বাংলা ভাষায় প্রণীত ‘আয়কর আইন, ২০২৩’-এর অথেনটিক ইংলিশ টেক্সট বা ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার এই গেজেট প্রকাশিত হয় বলে গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে সংস্থাটি।
২৩ মিনিট আগেভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণবন্ত এলাকা লাজপৎ নগর। সেখানে গয়নার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দীপাবলির আগে গয়না কিনতে এসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রা। সোনার আকাশচুম্বী দাম, তবে অনেকে মনে করেন দীপাবলির আলোয় ঘর সাজানোর আগে একটুখানি সোনার গয়নার ঘরে আনা যেন সৌভাগ্য নিয়ে আসা।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাড়তি চাপের মুখে অপরিশোধিত তেলের নতুন উৎস খুঁজছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানায় অবস্থিত মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির শীর্ষ পরিশোধনাগারগুলো।
১ দিন আগেনাভরাতিল এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ব বদলে যাচ্ছে। নেসলেকেও আরও দ্রুত বদলাতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যার মধ্যে আগামী দুই বছরে কর্মীর সংখ্যা কমানো হবে।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
বাংলা ভাষায় প্রণীত ‘আয়কর আইন, ২০২৩’-এর অথেনটিক ইংলিশ টেক্সট বা ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার এই গেজেট প্রকাশিত হয় বলে গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে প্রণীত নতুন আয়কর আইনটির মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করা হয়। তবে শুরু থেকেই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দাবি ছিল আইনটির একটি নির্ভরযোগ্য ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের। কারণ, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কর ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা আনতে একটি সরকারি ইংরেজি সংস্করণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ইংরেজি সংস্করণ না থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এত দিন আইনটির ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন। এর ফলে কর-সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হতো, যা বিনিয়োগের পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলত।
এনবিআর জানায়, আইনটির সরকারি ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের ফলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে করব্যবস্থা নিয়ে আস্থা আরও বাড়বে। একই সঙ্গে আইন প্রয়োগে স্পষ্টতা ও নির্ভুলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এর ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এসব আইন সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হবে।
বাংলা ভাষায় প্রণীত ‘আয়কর আইন, ২০২৩’-এর অথেনটিক ইংলিশ টেক্সট বা ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার এই গেজেট প্রকাশিত হয় বলে গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে সংস্থাটি।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৩ সালে প্রণীত নতুন আয়কর আইনটির মাধ্যমে আয়কর অধ্যাদেশ, ১৯৮৪ বাতিল করা হয়। তবে শুরু থেকেই দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দাবি ছিল আইনটির একটি নির্ভরযোগ্য ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের। কারণ, আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে কর ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগ সিদ্ধান্তে স্বচ্ছতা আনতে একটি সরকারি ইংরেজি সংস্করণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
ইংরেজি সংস্করণ না থাকায় বিদেশি বিনিয়োগকারীরা এত দিন আইনটির ব্যাখ্যা ও প্রয়োগ নিয়ে অনিশ্চয়তায় ভুগছিলেন। এর ফলে কর-সংক্রান্ত জটিলতা তৈরি হতো, যা বিনিয়োগের পরিবেশে নেতিবাচক প্রভাব ফেলত।
এনবিআর জানায়, আইনটির সরকারি ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের ফলে দেশি ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মধ্যে করব্যবস্থা নিয়ে আস্থা আরও বাড়বে। একই সঙ্গে আইন প্রয়োগে স্পষ্টতা ও নির্ভুলতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
সংস্থাটি আরও জানিয়েছে, কাস্টমস আইন, ২০২৩ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২-এর ইংরেজি সংস্করণ প্রকাশের কাজও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এসব আইন সরকারি গেজেটে প্রকাশ করা হবে।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপ আরও কঠোর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারত রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে যাচ্ছে এবং ব্রিটেন রাশিয়ার শীর্ষ তেল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
২ দিন আগেভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণবন্ত এলাকা লাজপৎ নগর। সেখানে গয়নার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দীপাবলির আগে গয়না কিনতে এসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রা। সোনার আকাশচুম্বী দাম, তবে অনেকে মনে করেন দীপাবলির আলোয় ঘর সাজানোর আগে একটুখানি সোনার গয়নার ঘরে আনা যেন সৌভাগ্য নিয়ে আসা।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাড়তি চাপের মুখে অপরিশোধিত তেলের নতুন উৎস খুঁজছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানায় অবস্থিত মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির শীর্ষ পরিশোধনাগারগুলো।
১ দিন আগেনাভরাতিল এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ব বদলে যাচ্ছে। নেসলেকেও আরও দ্রুত বদলাতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যার মধ্যে আগামী দুই বছরে কর্মীর সংখ্যা কমানো হবে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণবন্ত এলাকা লাজপৎ নগর। সেখানে গয়নার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দীপাবলির আগে গয়না কিনতে এসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রা। সোনার আকাশচুম্বী দাম, তবে অনেকে মনে করেন দীপাবলির আলোয় ঘর সাজানোর আগে একটুখানি সোনার গয়নার ঘরে আনা যেন সৌভাগ্য নিয়ে আসা।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব ‘দীপাবলি’ এবং ‘ধনতেরাস’। এই দুই দিনই সোনা বা রূপার মতো মূল্যবান ধাতু কেনার জন্য খুবই শুভ বলে মনে করেন তাঁরা। তাই হাজার হাজার ভারতীয় এ সময়টাতে সোনা ও রূপার কয়েন, বার বা গয়না কিনতে ভিড় জমিয়েছেন বাজারে। তাদের বিশ্বাস, এগুলো ঘরে সম্পদ ও ভাগ্য নিয়ে আসে।
সোনার দাম আকাশ ছুঁলেও ভারতীয়রা এখনো সোনা কেনার প্রতি তাদের টান পুরোপুরি ছাড়তে রাজি নয়। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সোনার বাজারে গয়নার চাহিদা হয়তো এই বছর কিছুটা কমেছে তবে একদমই বন্ধ হয়নি।
দীপাবলিকে সামনে রেখে ছুটির দিনগুলোতেও দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। উৎসব উপলক্ষে ফুল আর আলোয় সাজানো দোকানগুলোর ঝলমলে সাইনবোর্ড ক্রেতাদের ডাকছে নতুন রূপে।
কুমার জুয়েলস নামে একটি পারিবারিক ব্যবসার স্বত্বাধিকারী প্রকাশ পাহলাজানি বিবিসিকে জানান, দাম অনেক বেড়েছে। তাই ক্রেতাদের মনে ফোমো (ফিয়ার অব মিসিং আউট বা কিছু হারানোর ভয়) তৈরি হয়েছে। তাঁরা চিন্তিত যে দাম হয়তো আরও বাড়বে। এ কারণে এই বছর গ্রাহক আরও বেড়েছে।
গত বছরের চেয়ে ৬০ ও ৭০ শতাংশ বেড়েছে সোনা ও রূপার দাম। এ অবস্থায় বিক্রেতারা গ্রাহকের বাজেট সামলাতে নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন।
গয়না ব্যবসায়ী তানিশক গুপ্তা বলেন, “মানুষ এসে বলছে না, আমি কিনব না’। বরং বলছে, ‘আমি একটু কম করে কিনব’।”
তিনি আরও জানান, তাঁকে নতুন ধাঁচে গয়না তৈরি করতে হচ্ছে। এমন গয়না বানাতে হয়েছে যেগুলো দেখতে বেশ জমকালো কিন্তু সোনার পরিমাণ কম। যেমন— ২৫০ মিলিগ্রাম সোনার কয়েন যার দাম মাত্র ৩৫ ডলার, সেটিকে এখন পাতলা করে তৈরি করা হচ্ছে যাতে ওজনে হালকা হলেও দেখতে বড় মনে হয়। বাজারে ২৫ মিলিগ্রামের মতো খুবই হালকা কয়েনও বিক্রি হচ্ছে।
এই এলাকার আরেক বিক্রেতা পুষ্পিন্দর চৌহান বলেন, দাম বাড়ার কারণে এই বছর হালকা গয়নার চাহিদা আরও বেড়েছে, বিশেষ করে তরুণ ক্রেতাদের মধ্যে। তারা শুধু উৎসবের জন্য নয়, রোজকার ব্যবহারের জন্যও হালকা গয়না চায়।
বিবিসিকে একাধিক গয়না ব্যবসায়ী জানান, এ বছর বেশি সংখ্যক গ্রাহক গয়নার বদলে বিনিয়োগের জন্য সোনা ও রূপা কিনছেন। বুলিয়ন (সোনার বার) বাজারের তথ্যেও এই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি)-এর মতে, ভারতের সোনার মোট চাহিদার বেশিরভাগটাই গয়না হলেও, বার ও কয়েনের মাধ্যমে বিনিয়োগের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
কাউন্সিলের গবেষণা প্রধান কবিতা চাকো বিবিসিকে জানান, ‘গত বছর এই সময়ের তুলনায় এ বছর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গয়নার অংশ ৮০ শতাংশ থেকে কমে ৬৪ শতাংশ হয়েছে, আর বিনিয়োগের চাহিদা ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫ শতাংশ হয়েছে।’
এর অনেকটা চাহিদা আসছে এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডস (ইটিএফস) বা ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমেও। সেপ্টেম্বরে এই খাতে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ ঢুকেছে। এই বছর ইটিএফস-এ মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৭০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুচরা চাহিদা ছাড়াও, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)-এর কারণেও সোনার দাম বাড়ছে। ডব্লিউজিসির মতে, ২০২৫ সালে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সোনার অংশ ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪ শতাংশ হয়েছে।
কোঠাক সিকিউরিটিজের পণ্য বিশেষজ্ঞ কায়নাত চেনওয়ালা বলেন, আরবিআই গত তিন বছর ধরে বিশ্বব্যাপী সোনার চাহিদার একটি ‘প্রধান ভিত্তি’ হয়ে উঠেছে। ব্যাংকটি তাদের বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রাখার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে, ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতা দিতে সোনা মজুত করছে।
উৎসব এবং বিয়ের মৌসুম শুরু হওয়ায় দাম রেকর্ড উচ্চতায় থাকলেও সোনা ও রূপার খুচরা চাহিদা কমবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক অব বরোদার মুখ্য অর্থনীতিবিদ মদন সবনবিশ বলেন, ‘ধনী শ্রেণি কেনা চালিয়ে যাবে, তবে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য এটি একটি ধাক্কা। পরিমাণে কমলেও, অর্থের দিক থেকে চাহিদা বজায় থাকবে।’
সোনার দোকানের সামনে ভাবনা নামে এক ক্রেতা জানান, ‘এখন কেনার আগে আমাকে অনেক ভাবতে হচ্ছে যে কিনব কি না।’ আপাতত তিনি কেনা বন্ধ রেখেছেন এবং দাম কমার অপেক্ষা করছেন, যাতে বিয়ের বাকি কেনাকাটা সারতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মধ্যে গয়না কেনার প্রবণতা অনেক বেশি। স্বল্প সময়ের জন্য কেনাকাটার পরিমাণ কমলেও দীর্ঘমেয়াদে এই মূল্যবান ধাতুর চাহিদা কমার সম্ভাবনা নেই।
এই প্রবণতা ভারতে বেশি কারণ সোনা সঞ্চয়ের অংশ হিসেবে সেখানে ভাবা হয়। অনেক ভারতীয়র কাছে এটি বিপদের উত্তম সঙ্গী।
মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক মরগান স্ট্যানলির তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় পরিবারগুলোর কাছে মোট ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা আছে, যা দেশের মোট জিডিপির প্রায় ৮৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদ উপাসনা চাকরা এবং বাণী গম্ভীরা জানান, স্বর্ণের দাম বাড়ায় এটি মানুষের সম্পদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মুদ্রানীতি শিথিল হওয়ার কারণে কম সুদের সুবিধা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর কমানোর মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির সুবিধা পাচ্ছে ভারতীয় পরিবারগুলো।
ভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণবন্ত এলাকা লাজপৎ নগর। সেখানে গয়নার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দীপাবলির আগে গয়না কিনতে এসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রা। সোনার আকাশচুম্বী দাম, তবে অনেকে মনে করেন দীপাবলির আলোয় ঘর সাজানোর আগে একটুখানি সোনার গয়নার ঘরে আনা যেন সৌভাগ্য নিয়ে আসা।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের উৎসব ‘দীপাবলি’ এবং ‘ধনতেরাস’। এই দুই দিনই সোনা বা রূপার মতো মূল্যবান ধাতু কেনার জন্য খুবই শুভ বলে মনে করেন তাঁরা। তাই হাজার হাজার ভারতীয় এ সময়টাতে সোনা ও রূপার কয়েন, বার বা গয়না কিনতে ভিড় জমিয়েছেন বাজারে। তাদের বিশ্বাস, এগুলো ঘরে সম্পদ ও ভাগ্য নিয়ে আসে।
সোনার দাম আকাশ ছুঁলেও ভারতীয়রা এখনো সোনা কেনার প্রতি তাদের টান পুরোপুরি ছাড়তে রাজি নয়। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই সোনার বাজারে গয়নার চাহিদা হয়তো এই বছর কিছুটা কমেছে তবে একদমই বন্ধ হয়নি।
দীপাবলিকে সামনে রেখে ছুটির দিনগুলোতেও দোকান খোলা রাখতে হচ্ছে বিক্রেতাদের। উৎসব উপলক্ষে ফুল আর আলোয় সাজানো দোকানগুলোর ঝলমলে সাইনবোর্ড ক্রেতাদের ডাকছে নতুন রূপে।
কুমার জুয়েলস নামে একটি পারিবারিক ব্যবসার স্বত্বাধিকারী প্রকাশ পাহলাজানি বিবিসিকে জানান, দাম অনেক বেড়েছে। তাই ক্রেতাদের মনে ফোমো (ফিয়ার অব মিসিং আউট বা কিছু হারানোর ভয়) তৈরি হয়েছে। তাঁরা চিন্তিত যে দাম হয়তো আরও বাড়বে। এ কারণে এই বছর গ্রাহক আরও বেড়েছে।
গত বছরের চেয়ে ৬০ ও ৭০ শতাংশ বেড়েছে সোনা ও রূপার দাম। এ অবস্থায় বিক্রেতারা গ্রাহকের বাজেট সামলাতে নতুন কৌশল অবলম্বন করছেন।
গয়না ব্যবসায়ী তানিশক গুপ্তা বলেন, “মানুষ এসে বলছে না, আমি কিনব না’। বরং বলছে, ‘আমি একটু কম করে কিনব’।”
তিনি আরও জানান, তাঁকে নতুন ধাঁচে গয়না তৈরি করতে হচ্ছে। এমন গয়না বানাতে হয়েছে যেগুলো দেখতে বেশ জমকালো কিন্তু সোনার পরিমাণ কম। যেমন— ২৫০ মিলিগ্রাম সোনার কয়েন যার দাম মাত্র ৩৫ ডলার, সেটিকে এখন পাতলা করে তৈরি করা হচ্ছে যাতে ওজনে হালকা হলেও দেখতে বড় মনে হয়। বাজারে ২৫ মিলিগ্রামের মতো খুবই হালকা কয়েনও বিক্রি হচ্ছে।
এই এলাকার আরেক বিক্রেতা পুষ্পিন্দর চৌহান বলেন, দাম বাড়ার কারণে এই বছর হালকা গয়নার চাহিদা আরও বেড়েছে, বিশেষ করে তরুণ ক্রেতাদের মধ্যে। তারা শুধু উৎসবের জন্য নয়, রোজকার ব্যবহারের জন্যও হালকা গয়না চায়।
বিবিসিকে একাধিক গয়না ব্যবসায়ী জানান, এ বছর বেশি সংখ্যক গ্রাহক গয়নার বদলে বিনিয়োগের জন্য সোনা ও রূপা কিনছেন। বুলিয়ন (সোনার বার) বাজারের তথ্যেও এই চিত্র দেখা যাচ্ছে।
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (ডব্লিউজিসি)-এর মতে, ভারতের সোনার মোট চাহিদার বেশিরভাগটাই গয়না হলেও, বার ও কয়েনের মাধ্যমে বিনিয়োগের চাহিদা ক্রমশ বাড়ছে।
কাউন্সিলের গবেষণা প্রধান কবিতা চাকো বিবিসিকে জানান, ‘গত বছর এই সময়ের তুলনায় এ বছর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে গয়নার অংশ ৮০ শতাংশ থেকে কমে ৬৪ শতাংশ হয়েছে, আর বিনিয়োগের চাহিদা ১৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৩৫ শতাংশ হয়েছে।’
এর অনেকটা চাহিদা আসছে এক্সচেঞ্জ-ট্রেডেড ফান্ডস (ইটিএফস) বা ডিজিটাল গোল্ডে বিনিয়োগের মাধ্যমেও। সেপ্টেম্বরে এই খাতে রেকর্ড পরিমাণ অর্থ ঢুকেছে। এই বছর ইটিএফস-এ মোট বিনিয়োগের পরিমাণ ৭০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুচরা চাহিদা ছাড়াও, ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া (আরবিআই)-এর কারণেও সোনার দাম বাড়ছে। ডব্লিউজিসির মতে, ২০২৫ সালে তাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে সোনার অংশ ৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৪ শতাংশ হয়েছে।
কোঠাক সিকিউরিটিজের পণ্য বিশেষজ্ঞ কায়নাত চেনওয়ালা বলেন, আরবিআই গত তিন বছর ধরে বিশ্বব্যাপী সোনার চাহিদার একটি ‘প্রধান ভিত্তি’ হয়ে উঠেছে। ব্যাংকটি তাদের বৈদেশিক মুদ্রা ধরে রাখার পরিমাণ বৃদ্ধি করতে, ডলারের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতার সময় অর্থনীতিকে স্থিতিশীলতা দিতে সোনা মজুত করছে।
উৎসব এবং বিয়ের মৌসুম শুরু হওয়ায় দাম রেকর্ড উচ্চতায় থাকলেও সোনা ও রূপার খুচরা চাহিদা কমবে না বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক অব বরোদার মুখ্য অর্থনীতিবিদ মদন সবনবিশ বলেন, ‘ধনী শ্রেণি কেনা চালিয়ে যাবে, তবে নিম্ন আয়ের পরিবারের জন্য এটি একটি ধাক্কা। পরিমাণে কমলেও, অর্থের দিক থেকে চাহিদা বজায় থাকবে।’
সোনার দোকানের সামনে ভাবনা নামে এক ক্রেতা জানান, ‘এখন কেনার আগে আমাকে অনেক ভাবতে হচ্ছে যে কিনব কি না।’ আপাতত তিনি কেনা বন্ধ রেখেছেন এবং দাম কমার অপেক্ষা করছেন, যাতে বিয়ের বাকি কেনাকাটা সারতে পারেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মানুষের মধ্যে গয়না কেনার প্রবণতা অনেক বেশি। স্বল্প সময়ের জন্য কেনাকাটার পরিমাণ কমলেও দীর্ঘমেয়াদে এই মূল্যবান ধাতুর চাহিদা কমার সম্ভাবনা নেই।
এই প্রবণতা ভারতে বেশি কারণ সোনা সঞ্চয়ের অংশ হিসেবে সেখানে ভাবা হয়। অনেক ভারতীয়র কাছে এটি বিপদের উত্তম সঙ্গী।
মার্কিন বিনিয়োগ ব্যাঙ্ক মরগান স্ট্যানলির তথ্য অনুযায়ী, ভারতীয় পরিবারগুলোর কাছে মোট ৩.৮ ট্রিলিয়ন ডলার মূল্যের সোনা আছে, যা দেশের মোট জিডিপির প্রায় ৮৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
অর্থনীতিবিদ উপাসনা চাকরা এবং বাণী গম্ভীরা জানান, স্বর্ণের দাম বাড়ায় এটি মানুষের সম্পদের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। মুদ্রানীতি শিথিল হওয়ার কারণে কম সুদের সুবিধা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর কমানোর মাধ্যমে আয় বৃদ্ধির সুবিধা পাচ্ছে ভারতীয় পরিবারগুলো।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপ আরও কঠোর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারত রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে যাচ্ছে এবং ব্রিটেন রাশিয়ার শীর্ষ তেল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
২ দিন আগেবাংলা ভাষায় প্রণীত ‘আয়কর আইন, ২০২৩’-এর অথেনটিক ইংলিশ টেক্সট বা ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার এই গেজেট প্রকাশিত হয় বলে গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে সংস্থাটি।
২৩ মিনিট আগেরাশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাড়তি চাপের মুখে অপরিশোধিত তেলের নতুন উৎস খুঁজছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানায় অবস্থিত মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির শীর্ষ পরিশোধনাগারগুলো।
১ দিন আগেনাভরাতিল এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ব বদলে যাচ্ছে। নেসলেকেও আরও দ্রুত বদলাতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যার মধ্যে আগামী দুই বছরে কর্মীর সংখ্যা কমানো হবে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
রাশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাড়তি চাপের মুখে অপরিশোধিত তেলের নতুন উৎস খুঁজছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানায় অবস্থিত মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির শীর্ষ পরিশোধনাগারগুলো।
বাণিজ্যিক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আজ শুক্রবার ভারতের দুটি পরিশোধনাগার মার্কিন জ্বালানি কোম্পানি এক্সন মবিলের কাছ থেকে ৪০ লাখ ব্যারেল গায়ানিজ অপরিশোধিত তেল কিনেছে। ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের শুরুতে এসব তেল সরবরাহ করা হবে।
ভারতের সবচেয়ে বড় রিফাইনারি ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) এই প্রথম ২০ লাখ ব্যারেল ‘গোল্ডেন অ্যারোহেড’ গ্রেডের তেল কিনল। একইভাবে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (এইচপিসিএল) ২০ লাখ ব্যারেল লাইজা ও ইউনিটি গোল্ড গ্রেডের তেল কিনেছে।
এই পদক্ষেপকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার ঘোষণা দিয়েছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে, যদিও দিল্লি তা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি। ভারতের কর্মকর্তারা বর্তমানে ওয়াশিংটনে শুল্ক হ্রাস নিয়ে বাণিজ্য আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শর্তগুলোর মধ্যে রাশিয়ার তেল আমদানি কমানো এই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ভারতের পণ্যে শুল্ক দ্বিগুণ করেছে এবং রাশিয়ান তেল আমদানি বন্ধকে বাণিজ্য চুক্তির কেন্দ্রীয় শর্ত হিসেবে তুলে ধরেছে।
ভারত ও চীন বর্তমানে রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপের বাজার হারিয়ে মস্কো কম দামে ভারত ও চীনের কাছে তেল বিক্রি করে আসছে। বর্তমানে ভারতের মোট তেল আমদানির ৩৬ শতাংশ রাশিয়া থেকে আসে, দৈনিক প্রায় ১৭ দশমিক ৫ লাখ ব্যারেল। তবে ডিসেম্বর থেকে ক্রয়ে বড় ধরনের হ্রাস আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকেরা।
এই অবস্থায় গায়ানার মতো নতুন সরবরাহ উৎসে ঝুঁকে রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমাতে চায় দিল্লি। এক্সন মবিল নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের উৎপাদন বাড়ার ফলে গায়ানা দ্রুত বৈশ্বিক তেল রপ্তানিকারক হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। বর্তমানে দেশটির দৈনিক উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেলে। জুলাইয়ে নতুন ‘গোল্ডেন অ্যারোহেড’ গ্রেড চালুর পর অক্টোবর মাসে গায়ানার তেল রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে দৈনিক ৯ লাখ ৩৮ হাজার ব্যারেল, যা দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
রাশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাড়তি চাপের মুখে অপরিশোধিত তেলের নতুন উৎস খুঁজছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানায় অবস্থিত মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির শীর্ষ পরিশোধনাগারগুলো।
বাণিজ্যিক সূত্রের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আজ শুক্রবার ভারতের দুটি পরিশোধনাগার মার্কিন জ্বালানি কোম্পানি এক্সন মবিলের কাছ থেকে ৪০ লাখ ব্যারেল গায়ানিজ অপরিশোধিত তেল কিনেছে। ২০২৫ সালের শেষ বা ২০২৬ সালের শুরুতে এসব তেল সরবরাহ করা হবে।
ভারতের সবচেয়ে বড় রিফাইনারি ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন (আইওসি) এই প্রথম ২০ লাখ ব্যারেল ‘গোল্ডেন অ্যারোহেড’ গ্রেডের তেল কিনল। একইভাবে হিন্দুস্তান পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (এইচপিসিএল) ২০ লাখ ব্যারেল লাইজা ও ইউনিটি গোল্ড গ্রেডের তেল কিনেছে।
এই পদক্ষেপকে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হচ্ছে, কারণ যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর কড়াকড়ি আরোপ করেছে। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত বুধবার ঘোষণা দিয়েছেন, ভারত রাশিয়া থেকে তেল কেনা বন্ধ করবে, যদিও দিল্লি তা আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেনি। ভারতের কর্মকর্তারা বর্তমানে ওয়াশিংটনে শুল্ক হ্রাস নিয়ে বাণিজ্য আলোচনায় অংশ নিচ্ছেন। যুক্তরাষ্ট্রের শর্তগুলোর মধ্যে রাশিয়ার তেল আমদানি কমানো এই আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি ভারতের পণ্যে শুল্ক দ্বিগুণ করেছে এবং রাশিয়ান তেল আমদানি বন্ধকে বাণিজ্য চুক্তির কেন্দ্রীয় শর্ত হিসেবে তুলে ধরেছে।
ভারত ও চীন বর্তমানে রাশিয়ার তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর ইউরোপের বাজার হারিয়ে মস্কো কম দামে ভারত ও চীনের কাছে তেল বিক্রি করে আসছে। বর্তমানে ভারতের মোট তেল আমদানির ৩৬ শতাংশ রাশিয়া থেকে আসে, দৈনিক প্রায় ১৭ দশমিক ৫ লাখ ব্যারেল। তবে ডিসেম্বর থেকে ক্রয়ে বড় ধরনের হ্রাস আসতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও নীতিনির্ধারকেরা।
এই অবস্থায় গায়ানার মতো নতুন সরবরাহ উৎসে ঝুঁকে রাশিয়ার ওপর নির্ভরতা কমাতে চায় দিল্লি। এক্সন মবিল নেতৃত্বাধীন কনসোর্টিয়ামের উৎপাদন বাড়ার ফলে গায়ানা দ্রুত বৈশ্বিক তেল রপ্তানিকারক হিসেবে গুরুত্ব পাচ্ছে। বর্তমানে দেশটির দৈনিক উৎপাদন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭০ হাজার ব্যারেলে। জুলাইয়ে নতুন ‘গোল্ডেন অ্যারোহেড’ গ্রেড চালুর পর অক্টোবর মাসে গায়ানার তেল রপ্তানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে দৈনিক ৯ লাখ ৩৮ হাজার ব্যারেল, যা দেশটির ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপ আরও কঠোর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারত রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে যাচ্ছে এবং ব্রিটেন রাশিয়ার শীর্ষ তেল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
২ দিন আগেবাংলা ভাষায় প্রণীত ‘আয়কর আইন, ২০২৩’-এর অথেনটিক ইংলিশ টেক্সট বা ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার এই গেজেট প্রকাশিত হয় বলে গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে সংস্থাটি।
২৩ মিনিট আগেভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণবন্ত এলাকা লাজপৎ নগর। সেখানে গয়নার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দীপাবলির আগে গয়না কিনতে এসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রা। সোনার আকাশচুম্বী দাম, তবে অনেকে মনে করেন দীপাবলির আলোয় ঘর সাজানোর আগে একটুখানি সোনার গয়নার ঘরে আনা যেন সৌভাগ্য নিয়ে আসা।
৪ ঘণ্টা আগেনাভরাতিল এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ব বদলে যাচ্ছে। নেসলেকেও আরও দ্রুত বদলাতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যার মধ্যে আগামী দুই বছরে কর্মীর সংখ্যা কমানো হবে।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
বিশ্বের বৃহত্তম প্যাকেটজাত খাদ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি নেসলের শেয়ারের দাম গতকাল বৃহস্পতিবার অনেক বেড়ে যায়। এর কারণ দুটি। প্রথমত, তাদের বিক্রি বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হয়েছে। দ্বিতীয়ত, কোম্পানিটি হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে খরচ কমানোর বড় পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এর ফলে নেসলের শেয়ারের দাম ২০০৮ সালের পর গতকাল এক দিনে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়।
মার্কেটওয়াচ জানিয়েছে, নেসপ্রেসো ও কিটক্যাটের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর মালিক এই কোম্পানির নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফিলিপ নাভরাতিলের নেতৃত্বে সম্প্রতি ব্যাপক ব্যয় সংকোচন কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
নাভরাতিল এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ব বদলে যাচ্ছে। নেসলেকেও আরও দ্রুত বদলাতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যার মধ্যে আগামী দুই বছরে কর্মীর সংখ্যা কমানো হবে।
সুইজারল্যান্ডের ভেভেতে অবস্থিত নেসলে তৃতীয় প্রান্তিকে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ অর্গানিক সেলস গ্রোথ (জৈব বিক্রয় বৃদ্ধি) রিপোর্ট করেছে, যা কোম্পানি সংকলিত ৩ দশমিক ৭ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি।
ইউবিএসের বিশ্লেষক গুইলাউম ডেলমাস বলেন, গুরুত্বপূর্ণভাবে এই প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়া সম্পূর্ণরূপে আরআইজির কারণে হয়েছে।
নাভরাতিল গত ১ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেন, তাঁর পূর্বসূরি এক কর্মীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ঘটনায় বরখাস্ত হওয়ার পর।
দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই নাটকীয়ভাবে কৌশল পরিবর্তনের ঘোষণা দেন নাভরাতিল। তিনি আগের ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ফ্রাঁ ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্য বাড়িয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে ৩ বিলিয়ন ফ্রাঁ করার পরিকল্পনা করেন।
এর অংশ হিসেবে কোম্পানিটি মোট কর্মীর ৬ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ১৬ হাজার পদ বাতিল করবে, যার দুই-তৃতীয়াংশ অফিসভিত্তিক কর্মী।
নাভরাতিল বলেন, প্রতিষ্ঠানটি আরও দ্রুতগতিতে প্রবৃদ্ধির গতি বাড়াতে চায়। আর এর জন্য পারফরম্যান্সভিত্তিক মানসিকতা তৈরি করা জরুরি।
বিশ্বের বৃহত্তম প্যাকেটজাত খাদ্য প্রস্তুতকারী কোম্পানি নেসলের শেয়ারের দাম গতকাল বৃহস্পতিবার অনেক বেড়ে যায়। এর কারণ দুটি। প্রথমত, তাদের বিক্রি বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়েও ভালো হয়েছে। দ্বিতীয়ত, কোম্পানিটি হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের মাধ্যমে খরচ কমানোর বড় পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে। এর ফলে নেসলের শেয়ারের দাম ২০০৮ সালের পর গতকাল এক দিনে সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায়।
মার্কেটওয়াচ জানিয়েছে, নেসপ্রেসো ও কিটক্যাটের মতো জনপ্রিয় ব্র্যান্ডগুলোর মালিক এই কোম্পানির নতুন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ফিলিপ নাভরাতিলের নেতৃত্বে সম্প্রতি ব্যাপক ব্যয় সংকোচন কর্মসূচি শুরু হয়েছে।
নাভরাতিল এক বিবৃতিতে বলেন, বিশ্ব বদলে যাচ্ছে। নেসলেকেও আরও দ্রুত বদলাতে হবে। এই প্রক্রিয়ায় কঠিন কিন্তু প্রয়োজনীয় কিছু সিদ্ধান্ত নিতে হবে, যার মধ্যে আগামী দুই বছরে কর্মীর সংখ্যা কমানো হবে।
সুইজারল্যান্ডের ভেভেতে অবস্থিত নেসলে তৃতীয় প্রান্তিকে ৪ দশমিক ৩ শতাংশ অর্গানিক সেলস গ্রোথ (জৈব বিক্রয় বৃদ্ধি) রিপোর্ট করেছে, যা কোম্পানি সংকলিত ৩ দশমিক ৭ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি।
ইউবিএসের বিশ্লেষক গুইলাউম ডেলমাস বলেন, গুরুত্বপূর্ণভাবে এই প্রত্যাশা ছাড়িয়ে যাওয়া সম্পূর্ণরূপে আরআইজির কারণে হয়েছে।
নাভরাতিল গত ১ সেপ্টেম্বর দায়িত্ব নেন, তাঁর পূর্বসূরি এক কর্মীর সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের ঘটনায় বরখাস্ত হওয়ার পর।
দায়িত্ব নেওয়ার পরপরই নাটকীয়ভাবে কৌশল পরিবর্তনের ঘোষণা দেন নাভরাতিল। তিনি আগের ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ফ্রাঁ ব্যয় সংকোচনের লক্ষ্য বাড়িয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে ৩ বিলিয়ন ফ্রাঁ করার পরিকল্পনা করেন।
এর অংশ হিসেবে কোম্পানিটি মোট কর্মীর ৬ শতাংশ, অর্থাৎ প্রায় ১৬ হাজার পদ বাতিল করবে, যার দুই-তৃতীয়াংশ অফিসভিত্তিক কর্মী।
নাভরাতিল বলেন, প্রতিষ্ঠানটি আরও দ্রুতগতিতে প্রবৃদ্ধির গতি বাড়াতে চায়। আর এর জন্য পারফরম্যান্সভিত্তিক মানসিকতা তৈরি করা জরুরি।
ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর পশ্চিমা বিশ্বের চাপ আরও কঠোর হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, ভারত রাশিয়ার তেল কেনা বন্ধ করতে যাচ্ছে এবং ব্রিটেন রাশিয়ার শীর্ষ তেল কোম্পানিগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।
২ দিন আগেবাংলা ভাষায় প্রণীত ‘আয়কর আইন, ২০২৩’-এর অথেনটিক ইংলিশ টেক্সট বা ইংরেজি সংস্করণ সরকারি গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। গত বৃহস্পতিবার এই গেজেট প্রকাশিত হয় বলে গতকাল শনিবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানিয়েছে সংস্থাটি।
২৩ মিনিট আগেভারতের রাজধানী দিল্লির প্রাণবন্ত এলাকা লাজপৎ নগর। সেখানে গয়নার দোকানগুলোতে উপচেপড়া ভিড়। দীপাবলির আগে গয়না কিনতে এসেছেন হিন্দু ধর্মাবলম্বী ভারতীয়রা। সোনার আকাশচুম্বী দাম, তবে অনেকে মনে করেন দীপাবলির আলোয় ঘর সাজানোর আগে একটুখানি সোনার গয়নার ঘরে আনা যেন সৌভাগ্য নিয়ে আসা।
৪ ঘণ্টা আগেরাশিয়ার জ্বালানি তেল আমদানি কমাতে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বাড়তি চাপের মুখে অপরিশোধিত তেলের নতুন উৎস খুঁজছে ভারত। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ গায়ানায় অবস্থিত মার্কিন কোম্পানির কাছ থেকে তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির শীর্ষ পরিশোধনাগারগুলো।
১ দিন আগে