বাংলাদেশে পুঁজিবাজারের চলমান মন্দা পরিস্থিতির মধ্যে ব্যাংক খাতকে বড় ছাড় দিয়ে সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে আরও এক বছর সময় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল সোমবার যে নির্দেশনা জারি করেছে, তাতে বিনিয়োগ কমিয়ে সীমার নিচে আনতে ব্যাংকগুলো আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, গত ৩১ আগস্টভিত্তিক হিসাবে যেসব ব্যাংকের পুঁজিবাজারে সীমার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে, সেসব ব্যাংককে এই বিনিয়োগ সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী সাধারণত কোনো ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। এক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে আরও কিছু হিসাব যুক্ত করা হয়। এ নিময় ভাঙলে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। একাধিকবার নিয়ম লঙ্ঘনে প্রতিদিনের জন্য অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার সুযোগ রয়েছে।
এই বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজারের ক্ষেত্রে আগে সিকিউরিটিজ অর্থাৎ কোম্পানির শেয়ার, করপোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড ও পুঁজিবাজারের অন্যান্য নিদর্শনপত্রের বাজারমূল্যে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হিসাব করা হতো। পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দাবির মুখে সেই নীতি পাল্টে গত আগস্টে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিটের হিসাব শেয়ারের ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
তখনকার নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ধারণকৃত শেয়ারের ক্রয়মূল্যকে ‘বাজারমূল্য’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। পুঁজিবাজারের যেকোনো নিদর্শনপত্রের বাজারমূল্য হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে বেশ কিছুদিন ধরে মন্দাভাব চলছে। বেশির ভাগ শেয়ারের দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে নেমে এসেছে। ফলে অনেক কোম্পানির লেনদেন বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বাজারে বড় ধরনের ক্রেতাসংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শেয়ার বিক্রি করলে বাজারে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আবার ক্রেতা না থাকায় চাইলেও অধিক পরিমাণ শেয়ার বিক্রির সুযোগ নেই। এ কারণে পুঁজিবাজারের স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক সীমার অতিরিক্ত শেয়ার সমন্বয়ের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগামী বছরের শেষে বা ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর মধ্যেই সেরকম ঘোষণা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সমাবেশে তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোটও চাইছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ডলারের দরবৃদ্ধির যৌথ প্রভাবে মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে জর্জরিত মানুষ। এর সঙ্গে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগসহ আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার পুঁজিবাজার নিয়ে কড়াকড়ির ঝুঁকি না নিয়ে বিশেষ এই ছাড় দিল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশে পুঁজিবাজারের চলমান মন্দা পরিস্থিতির মধ্যে ব্যাংক খাতকে বড় ছাড় দিয়ে সীমার অতিরিক্ত বিনিয়োগ সমন্বয়ে আরও এক বছর সময় দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বাংলাদেশ ব্যাংক গতকাল সোমবার যে নির্দেশনা জারি করেছে, তাতে বিনিয়োগ কমিয়ে সীমার নিচে আনতে ব্যাংকগুলো আগামী বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় পাবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনায় বলা হয়, গত ৩১ আগস্টভিত্তিক হিসাবে যেসব ব্যাংকের পুঁজিবাজারে সীমার বেশি বিনিয়োগ রয়েছে, সেসব ব্যাংককে এই বিনিয়োগ সীমার মধ্যে নামিয়ে আনতে ২০২৩ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন অনুযায়ী সাধারণত কোনো ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করতে পারে। এক্ষেত্রে শর্ত হিসেবে আরও কিছু হিসাব যুক্ত করা হয়। এ নিময় ভাঙলে ২০ লাখ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করতে পারে বাংলাদেশ ব্যাংক। একাধিকবার নিয়ম লঙ্ঘনে প্রতিদিনের জন্য অতিরিক্ত ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা করার সুযোগ রয়েছে।
এই বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজারের ক্ষেত্রে আগে সিকিউরিটিজ অর্থাৎ কোম্পানির শেয়ার, করপোরেট বন্ড, ডিবেঞ্চার, মিউচুয়াল ফান্ড ও পুঁজিবাজারের অন্যান্য নিদর্শনপত্রের বাজারমূল্যে মোট বিনিয়োগের পরিমাণ হিসাব করা হতো। পুঁজিবাজারের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের দাবির মুখে সেই নীতি পাল্টে গত আগস্টে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগসীমা বা এক্সপোজার লিমিটের হিসাব শেয়ারের ক্রয়মূল্যের ভিত্তিতে করার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক।
তখনকার নির্দেশনায় বলা হয়, এখন থেকে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বিনিয়োগের ঊর্ধ্বসীমা নির্ধারণের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ধারণকৃত শেয়ারের ক্রয়মূল্যকে ‘বাজারমূল্য’ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে। পুঁজিবাজারের যেকোনো নিদর্শনপত্রের বাজারমূল্য হিসাবায়নের ক্ষেত্রে এই নির্দেশনা কার্যকর হবে।
বাজারসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পুঁজিবাজারে বেশ কিছুদিন ধরে মন্দাভাব চলছে। বেশির ভাগ শেয়ারের দাম নিয়ন্ত্রক সংস্থার বেঁধে দেওয়া সর্বনিম্ন মূল্যস্তর বা ফ্লোর প্রাইসে নেমে এসেছে। ফলে অনেক কোম্পানির লেনদেন বন্ধ হয়ে গেছে। এ অবস্থায় বাজারে বড় ধরনের ক্রেতাসংকট দেখা দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে শেয়ার বিক্রি করলে বাজারে আরও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে। আবার ক্রেতা না থাকায় চাইলেও অধিক পরিমাণ শেয়ার বিক্রির সুযোগ নেই। এ কারণে পুঁজিবাজারের স্বার্থে বাংলাদেশ ব্যাংক সীমার অতিরিক্ত শেয়ার সমন্বয়ের সময় বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
আগামী বছরের শেষে বা ২০২৪ সালের শুরুতে বাংলাদেশে আগামী সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর মধ্যেই সেরকম ঘোষণা দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের সমাবেশে তিনি আগামী নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোটও চাইছেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ও ডলারের দরবৃদ্ধির যৌথ প্রভাবে মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে জর্জরিত মানুষ। এর সঙ্গে অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের অভিযোগসহ আর্থিক খাতের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি বিরাজ করছে। এই পরিস্থিতিতে সরকার পুঁজিবাজার নিয়ে কড়াকড়ির ঝুঁকি না নিয়ে বিশেষ এই ছাড় দিল বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সভায় স্বাগত বক্তব্যে ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী বলেন, অর্থনীতির দ্রুতবর্ধনশীল ও সম্ভাবনাময় হালাল খাতের বৈশ্বিক বাজার আগামী ২০৩৪ সালের মধ্যে ৯ দশমিক ৪৫ ট্রিলিয়ন ডলারে উন্নীত হতে পারে। অথচ বাংলাদেশ মাত্র ৮৫০ মিলিয়ন ডলারের হালাল পণ্য রপ্তানি করে, যার বেশির ভাগ কৃষিভিত্তিক। হালাল
৯ ঘণ্টা আগেরপ্তানি করে না—এমন প্রতিষ্ঠান পাঁচটি শর্ত পূরণের মাধ্যমে প্রকৃত রপ্তানিকারকের কাছে পণ্য বা সেবা সরবরাহ করলে তা ‘প্রচ্ছন্ন রপ্তানি’ হিসেবে গণ্য হবে। সে ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাট প্রযোজ্য হবে না বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
১০ ঘণ্টা আগেরিলায়েন্স গ্রুপের চেয়ারম্যান অনিল আম্বানির ঘনিষ্ঠ সহযোগী এবং রিলায়েন্স পাওয়ার লিমিটেডের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা অশোক কুমার পাল গ্রেপ্তার হয়েছেন। ১৭ হাজার কোটি রুপির বেশি ব্যাংকঋণ জালিয়াতি এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে আজ শনিবার তাঁকে গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
১৮ ঘণ্টা আগেচীনের পণ্য আমদানিতে অতিরিক্ত ১০০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বর্তমানে কার্যকর থাকা ৩০ শতাংশ শুল্কের ওপর এটি যোগ হবে। এর ফলে চীনা পণ্যের ওপর কার্যকর শুল্কের হার প্রায় ১৩০ শতাংশে পৌঁছাতে পারে। আগামী ১ নভেম্বর বা তার আগেই এই নতুন শুল্ক কার্যকর হতে পারে।
১৯ ঘণ্টা আগে