নিজস্ব প্রতিবেদক
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইসি) দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী (সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী) ও তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরীর নামে আপনার ব্যাংকে পরিচালিত সব হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন বা স্থানান্তর স্থগিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১১৬-এ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অনুরোধ করা হলো।
চিঠিতে স্থগিতাদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর এবং এ সংক্রান্ত একটি পরিপালন প্রতিবেদন (হিসাবসমূহের সর্বশেষ স্থিতি উল্লেখসহ) জরুরি ভিত্তিতে জানানোরও অনুরোধ করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের ২০১৩ সাল থেকে সব ধরনের লেনদেনের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে এসকে সুর চৌধুরীর ঠিকানা দেওয়া হয়েছে দুটি। একটি হচ্ছে–ফ্ল্যাট নং ২ / ৬০২, ইস্টার্ন উলানিয়া, ২, সেগুনবাগিচা, ঢাকা। অন্যটি–৩০ / ২, ওয়েস্ট রামপুরা, ঢাকা-১২১৯। যদিও সুর চৌধুরী বর্তমানে ধানমন্ডির বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এই দুজনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলম ও তার দুই স্ত্রী শাহীন আক্তার শেলী ও নাসরিন বেগম এবং তাদের সন্তানদের ব্যাংক লেনদেনের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি এসকে সুর চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলমসহ পাঁচজনের ব্যাংক হিসাব তলব করে এনবিআর। এর আগে এসকে সুরসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই কমিটি সম্প্রতি এসকে সুর চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে।
জানা গেছে, বিদেশে পলাতক দুর্নীতি মামলার আসামি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী ও নির্বাহী পরিচালক (ইডি) শাহ আলমের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। কয়েক কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লোপাটের তথ্য চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই দুজনসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম চাপা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের পাঁচ থেকে সাত লাখ করে টাকা দিত রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক শাহ আলমকে প্রতি মাসে দেওয়া হতো দুই লাখ টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি ‘ম্যানেজ’ করতেন সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী।
এসকে সুর চৌধুরী ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান। এরপর তাঁকে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টা করা হয়। বর্তমানে তিনি অবসরে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব স্থগিত করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইসি) দেশের সব বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে এ সংক্রান্ত চিঠি দিয়েছে।
বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী (সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরী) ও তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা সুর চৌধুরীর নামে আপনার ব্যাংকে পরিচালিত সব হিসাব থেকে অর্থ উত্তোলন বা স্থানান্তর স্থগিত করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১১৬-এ ধারায় প্রদত্ত ক্ষমতাবলে অনুরোধ করা হলো।
চিঠিতে স্থগিতাদেশ তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর এবং এ সংক্রান্ত একটি পরিপালন প্রতিবেদন (হিসাবসমূহের সর্বশেষ স্থিতি উল্লেখসহ) জরুরি ভিত্তিতে জানানোরও অনুরোধ করা হয়েছে। আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তাঁদের ২০১৩ সাল থেকে সব ধরনের লেনদেনের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে এসকে সুর চৌধুরীর ঠিকানা দেওয়া হয়েছে দুটি। একটি হচ্ছে–ফ্ল্যাট নং ২ / ৬০২, ইস্টার্ন উলানিয়া, ২, সেগুনবাগিচা, ঢাকা। অন্যটি–৩০ / ২, ওয়েস্ট রামপুরা, ঢাকা-১২১৯। যদিও সুর চৌধুরী বর্তমানে ধানমন্ডির বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এই দুজনের পাশাপাশি বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলম ও তার দুই স্ত্রী শাহীন আক্তার শেলী ও নাসরিন বেগম এবং তাদের সন্তানদের ব্যাংক লেনদেনের তথ্যও চাওয়া হয়েছে।
এ বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি এসকে সুর চৌধুরী ও তাঁর স্ত্রী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের বর্তমান নির্বাহী পরিচালক মো. শাহ আলমসহ পাঁচজনের ব্যাংক হিসাব তলব করে এনবিআর। এর আগে এসকে সুরসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের অনিয়ম-দুর্নীতি খতিয়ে দেখতে উচ্চ পর্যায়ের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই কমিটি সম্প্রতি এসকে সুর চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদও করেছে।
জানা গেছে, বিদেশে পলাতক দুর্নীতি মামলার আসামি প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারের সহযোগী হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী ও নির্বাহী পরিচালক (ইডি) শাহ আলমের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে। কয়েক কোটি টাকা ঘুষের বিনিময়ে প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা লোপাটের তথ্য চাপা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে এই দুজনসহ পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে।
ইন্টারন্যাশনাল লিজিংয়ের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রাশেদুল হক ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে বলেন, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম চাপা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কর্মকর্তাদের পাঁচ থেকে সাত লাখ করে টাকা দিত রিলায়েন্স ফাইন্যান্স ও ইন্টারন্যাশনাল লিজিং। আর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের তৎকালীন মহাব্যবস্থাপক শাহ আলমকে প্রতি মাসে দেওয়া হতো দুই লাখ টাকা। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অনিয়ম-দুর্নীতি ‘ম্যানেজ’ করতেন সাবেক ডেপুটি গভর্নর এসকে সুর চৌধুরী।
এসকে সুর চৌধুরী ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নরের পদ থেকে অবসরে যান। এরপর তাঁকে বাংলাদেশ ব্যাংকের উপদেষ্টা করা হয়। বর্তমানে তিনি অবসরে।
পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার জবাব কী দেবে ইরান, এই প্রশ্ন পুরো বিশ্বের। তবে প্রথম প্রতিক্রিয়া হিসেবে হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এদিকে যুক্তরাষ্ট্র হুঁশিয়ারি দিয়েছে, বিশ্বের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই বাণিজ্যিক পথটি বন্ধ করা হবে ইরানের ‘অর্থনৈতিক...
৪৩ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলার পর বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। যুদ্ধের আশঙ্কা এবং জ্বালানির সরবরাহে সম্ভাব্য বিঘ্ন ঘটতে পারে—এই আতঙ্কে আজ দিনের শুরুতেই বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম হঠাৎ করেই ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠে।
৪ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৯৮১ টাকা ব্যয় করেন শুধু হাত ধোয়ার পেছনে। এ খরচ শহরে ১৩১১ টাকা হলেও গ্রামে ৮৩১ টাকা। পানি ব্যবহারের দিক থেকেও পার্থক্য লক্ষণীয়—একজন গ্রামীণ নাগরিক বছরে গড়ে ৩১ হাজার ১৮৪ লিটার পানি ব্যবহার করেন হাত ধোয়ার জন্য, আর শহরে এ পরিমাণ ৩০ হাজার ৬৮৩ লিটার। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে
৯ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানসাট আমবাজারে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দেশের বৃহৎতম এই মৌসুমি বাজারটি এখন হাঁকডাকে মুখর, নানা জাতের আমে ভরে উঠেছে প্রতিটি আড়ত। ঈদুল আজহার ছুটি, অতিবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরায় সাময়িক ধাক্কা খেলেও গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক লেনদেন চালু হওয়
৯ ঘণ্টা আগে