নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
দেশে ডলার সংকটের মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমেছে। গত মে মাসে ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স সংগ্রহ হয়েছে। বর্তমান ডলারের বিনিময় হার হিসেবে (প্রতি ডলার ৮৯ টাকা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১৬ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। আর এর মধ্য দিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) মোট ১ হাজার ৯১৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯ শতাংশ কম।
এদিকে গত বছরের মে মাসে ২১৭ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এ হিসাবে চলতি বছরের মে মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া চলতি বছরের এপ্রিলে ২০১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। আর ২০২১ সালের এপ্রিলে এসেছিল ২০৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্সপ্রবাহের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য বলছে, টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বেড়েছিল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে ফের হোঁচট খায়। ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। তার আগে মার্চ মাসে এসেছিল ১৮৬ কোটি ডলার। গত বছরের ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৬৩ কোটি ৬ লাখ ও ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, মে মাসে যে রেমিট্যান্স এসেছে, তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৮ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৫৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। আর পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
আলোচিত সময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে ৩৪৫ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এরপর রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক (২৫৮ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার), অগ্রণী ব্যাংক (১২৫ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার), সাউথইস্ট ব্যাংক (১০৫ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার)। তবে এ সময় বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর রেমিট্যান্স প্রবাহেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ওই বছরের এপ্রিলে মাত্র ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। এর পর থেকে অবশ্য মহামারির মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরোটা সময়ে (২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন) রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়ে যায়। বিদায়ী অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। কিন্তু চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটার টান দেখা যায়। প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আগস্টে আসে ১৮১ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বরে আসে ১৭২ কোটি ৬২ লাখ ডলার। অক্টোবরে আসে ১৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। নভেম্বরে আসে আরও কম, ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিয়ে আসছিল সরকার। গত জানুয়ারি থেকে তা বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী এখন ১০০ টাকা দেশে পাঠালে যাঁর নামে পাঠাচ্ছেন তিনি ১০২ টাকা ৫০ পয়সা তুলতে পারছেন।
রেমিট্যান্স কমার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘সাধারণত ঈদের আগে প্রবাসীরা নিজ পরিবারের জন্য রেমিট্যান্স পাঠান কেনাকাটার জন্য। ঈদের আগে সবাই জমানো টাকা পাঠিয়েছেন, তাই ঈদ শেষে সদ্য মাসে কিছুটা কমেছে। আমরা উৎসাহ দিচ্ছি বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে। ঈদুল ফিতরের আগে রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছে। আগামী মাসে (ঈদুল আজহার আগে) আবারও রেকর্ড রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা করা যায়।’
দেশে ডলার সংকটের মধ্যে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স কমেছে। গত মে মাসে ১৮৮ কোটি ৫৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স সংগ্রহ হয়েছে। বর্তমান ডলারের বিনিময় হার হিসেবে (প্রতি ডলার ৮৯ টাকা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১৬ হাজার ৭৩২ কোটি টাকা। আর এর মধ্য দিয়ে ২০২১-২২ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই-মে) মোট ১ হাজার ৯১৯ কোটি ৪৪ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ১৯ শতাংশ কম।
এদিকে গত বছরের মে মাসে ২১৭ কোটি ১১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছিল। এ হিসাবে চলতি বছরের মে মাসে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ১৫ শতাংশ কমেছে। এ ছাড়া চলতি বছরের এপ্রিলে ২০১ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। আর ২০২১ সালের এপ্রিলে এসেছিল ২০৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। আজ বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের রেমিট্যান্সপ্রবাহের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য বলছে, টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বেড়েছিল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে ফের হোঁচট খায়। ফেব্রুয়ারি মাসে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। তার আগে মার্চ মাসে এসেছিল ১৮৬ কোটি ডলার। গত বছরের ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৬৩ কোটি ৬ লাখ ও ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, মে মাসে যে রেমিট্যান্স এসেছে, তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২৮ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ২ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৫৬ কোটি ৮৪ লাখ ডলার। আর পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ডলার।
আলোচিত সময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ইসলামী ব্যাংকের মাধ্যমে। এ ব্যাংকটির মাধ্যমে ৩৪৫ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এরপর রয়েছে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক (২৫৮ দশমিক ২৯ মিলিয়ন ডলার), অগ্রণী ব্যাংক (১২৫ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন ডলার), সাউথইস্ট ব্যাংক (১০৫ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন ডলার)। তবে এ সময় বিডিবিএল, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, কমিউনিটি ব্যাংক, বিদেশি ব্যাংক আল-ফালাহ, হাবিব ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, স্টেট ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার মাধ্যমে রেমিট্যান্স আসেনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর রেমিট্যান্স প্রবাহেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ওই বছরের এপ্রিলে মাত্র ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। এর পর থেকে অবশ্য মহামারির মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরোটা সময়ে (২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন) রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেড়ে যায়। বিদায়ী অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা, যা ছিল আগের অর্থবছরের চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি। কিন্তু চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটার টান দেখা যায়। প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আগস্টে আসে ১৮১ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বরে আসে ১৭২ কোটি ৬২ লাখ ডলার। অক্টোবরে আসে ১৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। নভেম্বরে আসে আরও কম, ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার। রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে ২ শতাংশ হারে নগদ প্রণোদনা দিয়ে আসছিল সরকার। গত জানুয়ারি থেকে তা বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫ শতাংশ করা হয়েছে। অর্থাৎ কোনো প্রবাসী এখন ১০০ টাকা দেশে পাঠালে যাঁর নামে পাঠাচ্ছেন তিনি ১০২ টাকা ৫০ পয়সা তুলতে পারছেন।
রেমিট্যান্স কমার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক বলেন, ‘সাধারণত ঈদের আগে প্রবাসীরা নিজ পরিবারের জন্য রেমিট্যান্স পাঠান কেনাকাটার জন্য। ঈদের আগে সবাই জমানো টাকা পাঠিয়েছেন, তাই ঈদ শেষে সদ্য মাসে কিছুটা কমেছে। আমরা উৎসাহ দিচ্ছি বৈধ পথে রেমিট্যান্স পাঠাতে। ঈদুল ফিতরের আগে রেকর্ড রেমিট্যান্স এসেছে। আগামী মাসে (ঈদুল আজহার আগে) আবারও রেকর্ড রেমিট্যান্স আসবে বলে আশা করা যায়।’
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের কিস্তি গ্রহণের জন্য অপেক্ষা না করে নিজেদের মতো বাজেট তৈরি করার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার। এমন তথ্য জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ। গতকাল মঙ্গলবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক...
১ ঘণ্টা আগেদেশের ভোজ্যতেলের বাজারে এখনো মানের ঘাটতি রয়েছে। ভিটামিন ‘এ’ ও ‘ডি’ সমৃদ্ধ তেল সরবরাহ বাধ্যতামূলক হলেও বাস্তবে তা অনেকটা উপেক্ষিত। সরকারি আইন অনুযায়ী তেলে ভিটামিন এ মেশানো আবশ্যক হলেও বাজারের বিশাল একটি অংশে তা অনুপস্থিত কিংবা থাকলেও প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল।
১ ঘণ্টা আগেঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) কৌশলগত অংশীদার চীনের শেনজেন স্টক এক্সচেঞ্জ ও সাংহাই স্টক এক্সচেঞ্জের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিএসইসি ভবনে কমিশন সভাকক্ষে এই বৈঠক...
১ ঘণ্টা আগেজনসংখ্যায় ক্ষুদ্র, কিন্তু প্রভাবের বিচারে বিশাল নর্ডিক দেশগুলো যেন এক অর্থনৈতিক বিস্ময়। সুইডেন, ডেনমার্ক, নরওয়ে ও ফিনল্যান্ড—এই চার দেশের জনসংখ্যা ও অর্থনৈতিক আকার যতই ছোট হোক না কেন, এখান থেকেই জন্ম নিয়েছে আইকিয়া, লেগো, স্পটিফাই, নোভো নর্ডিস্ক, নোকিয়া ও কার্লসবার্গের মতো বিশ্বখ্যাত কোম্পানিগুলো।
৯ ঘণ্টা আগে