অনলাইন ডেস্ক
মার্কিন শেয়ারবাজার নাসডাকে তালিকাভুক্ত হংকংভিত্তিক রিজেনসেল বায়োসায়েন্স হোল্ডিংসের শেয়ারের অস্বাভাবিক উল্লম্ফনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮২ হাজার শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াত-গাই আউ কাগজে-কলমে হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। যদিও এরপরই তাঁর সম্পদের পরিমাণ কমে যায় উল্লেখযোগ্যভাবে। কোম্পানিটি মূলত চীনের ঐতিহ্যবাহী ইউনানি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে বিভিন্ন পণ্য তৈরির ব্যবসা করে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, সম্পদের এই ওঠানামার সময় আউ অফিসে ছিলেন না। হংকংয়ের কজওয়ে বেতে রিজেনসেলের সদর দপ্তরে কর্মীরা জানান, দুই সময়ই আউ অফিসে খুব অল্প সময়ের জন্য এসেছিলেন। এরপর সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলে যান। প্রতিষ্ঠানটির নবম তলাজুড়ে অফিস রয়েছে। সেখানে বড় একটি টেবিল টেনিসের টেবিলও দেখা যায়।
রিজেনসেল মূলত ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে মনোযোগ ঘাটতি ও অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের চিকিৎসা পণ্যের ব্যবসা করে। প্রতিষ্ঠাতা আউয়ের বাবা সিক-কি আউ উদ্ভাবিত ফর্মুলা ‘ব্রেন থিওরি’র একচেটিয়া মালিকানা প্রতিষ্ঠানটির হাতে।
ছোট আকারের এই লোকসানি কোম্পানিটি হঠাৎ করে শেয়ারবাজারে আলোচনায় আসে। আউয়ের হাতে কোম্পানিটির ৮৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। শেয়ারের দামের এই রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি তাঁকে কাগজে-কলমে হংকংয়ের অন্যতম শীর্ষ ধনী বানিয়ে দেয়। তবে শেয়ারদরের এই উল্লম্ফন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
জনপ্রিয় ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম মর্নিং ব্রিউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মন্তব্য করেছে, ‘আমি তাহলে কোনো কিছু মিস করে গেলাম (যার কারণে এমনটা ঘটেছে)?’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিনরা এবং এসইসি এই ঘটনায় দ্রুত নজর দিতে পারে। ছোট আকারের এবং কম মূল্যের কোম্পানির শেয়ার বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। এ ধরনের শেয়ার ‘পাম্প অ্যান্ড ডাম্প’ স্ক্যামের শিকার হতে পারে, যেখানে প্রতারকেরা দাম বাড়িয়ে দ্রুত শেয়ার বিক্রি করে দেন।
হংকংভিত্তিক পোর্ট শেল্টার ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রিচার্ড হ্যারিস বলেন, ‘এটি শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির এক উদাহরণ। এ ধরনের ঘটনা নিশ্চিতভাবেই তদন্তকারীদের নজর কাড়ে।’
এদিকে, মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ৪ জুন বিদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংজ্ঞা পরিবর্তনের বিষয়ে জনমত নিতে আহ্বান জানিয়েছে। এতে বিশেষ কিছু সুবিধা সীমিত হতে পারে, যেমন ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদন বা শীর্ষ নির্বাহীদের শেয়ার লেনদেনের তথ্য প্রকাশ না করার সুযোগ।
রিজেনসেল ২০২৩ ও ২০২৪ অর্থবছরে যথাক্রমে ৬ দশমিক ১ মিলিয়ন ও ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার লোকসান করেছে। কোম্পানির চিফ মেডিকেল অফিসার পদ দুই বছর ধরে ফাঁকা।
আউ যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের হাস স্কুল অব বিজনেস থেকে পড়াশোনা করেছেন। ’৯০-এর দশকের শেষ দিকে ডয়েচে ব্যাংকে কাজ করেন তিনি। ছোটবেলায় তিনি পড়াশোনায় দুর্বল ছিলেন, কথা বলায় সমস্যা ছিল এবং সহজে রাগ করতেন বলে কোম্পানির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়েছে। ভিডিওটিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য, ‘প্রাকৃতিক ও সামগ্রিক (হোলিস্টিক) চীনা ওষুধ দিয়ে মনোযোগ ঘাটতি ও অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের চিকিৎসা করে মানুষের জীবন উন্নত করা।’
রিজেনসেলের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অর্ধ মিলিয়নের বেশি অনুসারী রয়েছে। অন্যদিকে, হংকংয়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বিওয়ান মেডিসিনসের অনুসারী মাত্র আড়াই হাজার। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ায় টেলর সুইফটের কনসার্টের ফ্রি টিকিট অফারের মাধ্যমে রিজেনসেল এই অনুসারী সংখ্যা বাড়িয়েছে।
রিজেনসেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার ডিজিটাল মোবাইল ভেঞ্চার। এটি তাইওয়ানের স্যামুয়েল চেন ও তাঁর স্ত্রী ফিওনা চ্যাংয়ের মালিকানাধীন। চেন জুম ভিডিও কমিউনিকেশনে প্রাথমিক বিনিয়োগ করেছিলেন। মহামারির সময় কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য ১ হাজার ৫০০ শতাংশ বাড়লে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হন।
চেন ও তাঁর পরিবার তাইপেভিত্তিক পোলারিস গ্রুপের ৫৫ শতাংশ মালিক। প্রতিষ্ঠানটি ক্যানসার চিকিৎসার ওষুধ তৈরির কাজ করছে। এ ছাড়া তিনি তাইপেভিত্তিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট প্রস্তুতকারক সোনিক্স টেকনোলজিরও সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগে বাজারে অস্বাভাবিক লেনদেন নজরদারি ম্যানুয়ালি করা হতো। এখন স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম এসব বিষয় দ্রুত শনাক্ত করতে পারে। কোম্পানিগুলোকে ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য করা যায়, কেন শেয়ারের দাম বাড়ছে বা কমছে, কিংবা অভ্যন্তরীণ কেউ শেয়ার বিক্রি করেছে কি না।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের রস স্কুল অব বিজনেসের অধ্যাপক এরিক গর্ডন বলেন, ‘আগে বাজারে অস্বাভাবিক লেনদেন নজরদারি ম্যানুয়ালি করা হতো। এখন এসইসি ও ফিনরার স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম রয়েছে, যা এসব বিষয় ধরতে পারে। তারা কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে পারে জানাতে যে তাদের শেয়ার কেন বাড়ছে বা কমছে, বা অভ্যন্তরীণ কেউ শেয়ার বিক্রি করেছে কি না।’ তবে লোকসান বা আয়ের ঘাটতি থাকা কোনো কোম্পানির জন্য আলাদা সন্দেহের কারণ নয় বলে জানান গর্ডন।
রিজেনসেল এখন পর্যন্ত শেয়ারের দাম কিংবা প্রতিষ্ঠাতা আউয়ের সম্পদ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বাজারে এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেকেই মনে করছেন, কর্তৃপক্ষের তদন্তেই এর প্রকৃত কারণ পরিষ্কার হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:
মার্কিন শেয়ারবাজার নাসডাকে তালিকাভুক্ত হংকংভিত্তিক রিজেনসেল বায়োসায়েন্স হোল্ডিংসের শেয়ারের অস্বাভাবিক উল্লম্ফনে তোলপাড় শুরু হয়েছে। মাত্র কয়েক দিনের ব্যবধানে কোম্পানিটির শেয়ারদর ৮২ হাজার শতাংশ বেড়ে গিয়েছিল। এতে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী ইয়াত-গাই আউ কাগজে-কলমে হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি। যদিও এরপরই তাঁর সম্পদের পরিমাণ কমে যায় উল্লেখযোগ্যভাবে। কোম্পানিটি মূলত চীনের ঐতিহ্যবাহী ইউনানি চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করে বিভিন্ন পণ্য তৈরির ব্যবসা করে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গের খবরে বলা হয়েছে, সম্পদের এই ওঠানামার সময় আউ অফিসে ছিলেন না। হংকংয়ের কজওয়ে বেতে রিজেনসেলের সদর দপ্তরে কর্মীরা জানান, দুই সময়ই আউ অফিসে খুব অল্প সময়ের জন্য এসেছিলেন। এরপর সাংবাদিকদের এড়িয়ে চলে যান। প্রতিষ্ঠানটির নবম তলাজুড়ে অফিস রয়েছে। সেখানে বড় একটি টেবিল টেনিসের টেবিলও দেখা যায়।
রিজেনসেল মূলত ঐতিহ্যবাহী চীনা চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে মনোযোগ ঘাটতি ও অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের চিকিৎসা পণ্যের ব্যবসা করে। প্রতিষ্ঠাতা আউয়ের বাবা সিক-কি আউ উদ্ভাবিত ফর্মুলা ‘ব্রেন থিওরি’র একচেটিয়া মালিকানা প্রতিষ্ঠানটির হাতে।
ছোট আকারের এই লোকসানি কোম্পানিটি হঠাৎ করে শেয়ারবাজারে আলোচনায় আসে। আউয়ের হাতে কোম্পানিটির ৮৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। শেয়ারের দামের এই রেকর্ড পরিমাণ বৃদ্ধি তাঁকে কাগজে-কলমে হংকংয়ের অন্যতম শীর্ষ ধনী বানিয়ে দেয়। তবে শেয়ারদরের এই উল্লম্ফন বিশেষজ্ঞদের মধ্যে নানা প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
জনপ্রিয় ব্যবসায়িক প্ল্যাটফর্ম মর্নিং ব্রিউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে মন্তব্য করেছে, ‘আমি তাহলে কোনো কিছু মিস করে গেলাম (যার কারণে এমনটা ঘটেছে)?’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যুক্তরাষ্ট্রের বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিনরা এবং এসইসি এই ঘটনায় দ্রুত নজর দিতে পারে। ছোট আকারের এবং কম মূল্যের কোম্পানির শেয়ার বেশি ঝুঁকিপূর্ণ থাকে। এ ধরনের শেয়ার ‘পাম্প অ্যান্ড ডাম্প’ স্ক্যামের শিকার হতে পারে, যেখানে প্রতারকেরা দাম বাড়িয়ে দ্রুত শেয়ার বিক্রি করে দেন।
হংকংভিত্তিক পোর্ট শেল্টার ইনভেস্টমেন্ট ম্যানেজমেন্টের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী রিচার্ড হ্যারিস বলেন, ‘এটি শেয়ারের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির এক উদাহরণ। এ ধরনের ঘটনা নিশ্চিতভাবেই তদন্তকারীদের নজর কাড়ে।’
এদিকে, মার্কিন সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (এসইসি) ৪ জুন বিদেশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সংজ্ঞা পরিবর্তনের বিষয়ে জনমত নিতে আহ্বান জানিয়েছে। এতে বিশেষ কিছু সুবিধা সীমিত হতে পারে, যেমন ত্রৈমাসিক আর্থিক প্রতিবেদন বা শীর্ষ নির্বাহীদের শেয়ার লেনদেনের তথ্য প্রকাশ না করার সুযোগ।
রিজেনসেল ২০২৩ ও ২০২৪ অর্থবছরে যথাক্রমে ৬ দশমিক ১ মিলিয়ন ও ৪ দশমিক ৪ মিলিয়ন ডলার লোকসান করেছে। কোম্পানির চিফ মেডিকেল অফিসার পদ দুই বছর ধরে ফাঁকা।
আউ যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলের হাস স্কুল অব বিজনেস থেকে পড়াশোনা করেছেন। ’৯০-এর দশকের শেষ দিকে ডয়েচে ব্যাংকে কাজ করেন তিনি। ছোটবেলায় তিনি পড়াশোনায় দুর্বল ছিলেন, কথা বলায় সমস্যা ছিল এবং সহজে রাগ করতেন বলে কোম্পানির ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে প্রকাশিত এক ভিডিওতে উল্লেখ করা হয়েছে। ভিডিওটিতে বলা হয়, প্রতিষ্ঠানটির লক্ষ্য, ‘প্রাকৃতিক ও সামগ্রিক (হোলিস্টিক) চীনা ওষুধ দিয়ে মনোযোগ ঘাটতি ও অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডারের চিকিৎসা করে মানুষের জীবন উন্নত করা।’
রিজেনসেলের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে অর্ধ মিলিয়নের বেশি অনুসারী রয়েছে। অন্যদিকে, হংকংয়ের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান বিওয়ান মেডিসিনসের অনুসারী মাত্র আড়াই হাজার। জানা গেছে, ইনস্টাগ্রামসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক প্রচারণার পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্র ও এশিয়ায় টেলর সুইফটের কনসার্টের ফ্রি টিকিট অফারের মাধ্যমে রিজেনসেল এই অনুসারী সংখ্যা বাড়িয়েছে।
রিজেনসেলের দ্বিতীয় বৃহত্তম শেয়ারহোল্ডার ডিজিটাল মোবাইল ভেঞ্চার। এটি তাইওয়ানের স্যামুয়েল চেন ও তাঁর স্ত্রী ফিওনা চ্যাংয়ের মালিকানাধীন। চেন জুম ভিডিও কমিউনিকেশনে প্রাথমিক বিনিয়োগ করেছিলেন। মহামারির সময় কোম্পানিটির শেয়ারমূল্য ১ হাজার ৫০০ শতাংশ বাড়লে তিনি বিপুল সম্পদের মালিক হন।
চেন ও তাঁর পরিবার তাইপেভিত্তিক পোলারিস গ্রুপের ৫৫ শতাংশ মালিক। প্রতিষ্ঠানটি ক্যানসার চিকিৎসার ওষুধ তৈরির কাজ করছে। এ ছাড়া তিনি তাইপেভিত্তিক ইন্টিগ্রেটেড সার্কিট প্রস্তুতকারক সোনিক্স টেকনোলজিরও সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগে বাজারে অস্বাভাবিক লেনদেন নজরদারি ম্যানুয়ালি করা হতো। এখন স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম এসব বিষয় দ্রুত শনাক্ত করতে পারে। কোম্পানিগুলোকে ব্যাখ্যা দিতে বাধ্য করা যায়, কেন শেয়ারের দাম বাড়ছে বা কমছে, কিংবা অভ্যন্তরীণ কেউ শেয়ার বিক্রি করেছে কি না।
মিশিগান বিশ্ববিদ্যালয়ের রস স্কুল অব বিজনেসের অধ্যাপক এরিক গর্ডন বলেন, ‘আগে বাজারে অস্বাভাবিক লেনদেন নজরদারি ম্যানুয়ালি করা হতো। এখন এসইসি ও ফিনরার স্বয়ংক্রিয় প্রোগ্রাম রয়েছে, যা এসব বিষয় ধরতে পারে। তারা কোম্পানিগুলোকে বাধ্য করতে পারে জানাতে যে তাদের শেয়ার কেন বাড়ছে বা কমছে, বা অভ্যন্তরীণ কেউ শেয়ার বিক্রি করেছে কি না।’ তবে লোকসান বা আয়ের ঘাটতি থাকা কোনো কোম্পানির জন্য আলাদা সন্দেহের কারণ নয় বলে জানান গর্ডন।
রিজেনসেল এখন পর্যন্ত শেয়ারের দাম কিংবা প্রতিষ্ঠাতা আউয়ের সম্পদ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বাজারে এ নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। অনেকেই মনে করছেন, কর্তৃপক্ষের তদন্তেই এর প্রকৃত কারণ পরিষ্কার হতে পারে।
আরও খবর পড়ুন:
বাংলাদেশ শুল্কমুক্ত আমদানির ঘোষণার দেওয়ার পরপরই ভারতে হু হু করে বাড়ছে চালের দাম। গত দু’দিনে ভারতের বাজারে চালের দাম প্রায় ১৪ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে এবং মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ করতে ৫ লাখ টন চাল আমদানির ওপর থেকে শুল্ক প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
১৫ ঘণ্টা আগেনিষেধাজ্ঞা শেষে গত ১ জুলাই থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়েছে ইলিশ ধরার মৌসুম, যা চলবে আগস্টের শেষ পর্যন্ত। কিন্তু অবাক করার মতো বিষয় হলো—ভরা মৌসুমেও সাগর-নদী থেকে জেলেরা প্রত্যাশিত ইলিশ পাচ্ছেন না। প্রতিবছর এই সময় দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার জেলেরা রুপালি ইলিশ শিকারে ব্যস্ত সময়...
১ দিন আগেটেকসই কৃষি উন্নয়নের অংশ হিসেবে রংপুর অঞ্চলে ‘আধুনিক প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে টেকসই কৃষি উন্নয়ন’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। পাঁচ বছর মেয়াদি এই প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছে ১৪২ কোটি ৯৯ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে রংপুর বিভাগের ৫ জেলার গ্রামীণ দারিদ্র্য কমবে, টেকসই কৃষি...
১ দিন আগেব্র্যাক ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ সম্প্রতি ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন করেছে। একই সঙ্গে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে এই অ্যাপের মাধ্যমে ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে, যা বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মাসিক অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেনের একটি নতুন রেকর্ড।
১ দিন আগে