সাজ্জাদ হোসেন

কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পশ্চিমা বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোতে সংকট সহসা কাটছে না। মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়ানোর পাশাপাশি সংকোচনমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে তারা। এতে ভোক্তার হাতে কমেছে নগদ অর্থের প্রবাহ। কমে যাচ্ছে ক্রয়ক্ষমতা। এর জেরে চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি গত বছরের তুলনায় কমেছে ২৮ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে ইউরোপের বাজারে কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ।
স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশে জিএসপি সুবিধার আওতায় বিনা শুল্কে ইউরোপের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে আসছে। মানবাধিকার ইস্যুর সমাধান ও আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক না হলে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্মূল্যায়ন করতে বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সদস্যরা। ব্যবসায়ীদের শঙ্কা, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
গুঞ্জন আছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অস্বস্তি তৈরি করেছে ব্যবসায়ী মহলে। অন্যদিকে ইউরোপ তৈরি পোশাকে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করতে পারে—এমন কথা চাউর হয়েছে বিভিন্ন মহলে। রাজনৈতিক কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ ও শুল্কারোপের মতো ঘটনা ঘটলে সেটির প্রভাব কেমন হবে জানতে আজকের পত্রিকার সাজ্জাদ হোসেন গতকাল শনিবার কথা বলেছেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হোসেনের সঙ্গে।
আজকের পত্রিকা: কেমন আছেন?
ফারুক হাসান: দেশের যা পরিস্থিতি তাতে ভালো থাকার কথা না! প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছি। চারদিক থেকে চাপে আছি। মালিকদের চাপ, ক্রেতাদের চাপ। বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে এটা-ওটা জানতে চাচ্ছে। ফোনের পর ফোন আসছে। এইগুলো নিয়ে চাপে আছি।
আজকের পত্রিকা: ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্র আরও পদক্ষেপ নিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। আপনারা ব্যবসায়ীরা কী ভাবছেন?
ফারুক হাসান: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে আমাদের তৈরি পোশাক খাতে এখনো কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে এরপর যদি আরও নিষেধাজ্ঞা আসে তাহলে আমাদের রপ্তানি খাতে অনেক সমস্যা হবে। এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে এত বেশি লেখালেখি হচ্ছে, তাতে তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা আসছে—এই খবরে আমাদের মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তৈরি পোশাকের ক্রেতারা কী ভাবছে?
ফারুক হাসান: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ক্রেতারা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। সামনে নির্বাচনকে ঘিরে কী হয়। বায়ারদের চিন্তা হচ্ছে, সামনের যে নির্বাচন আসছে, সেখানে কী হতে যাচ্ছে। তাদের মনে হচ্ছে, যদি নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয় তাহলে ক্রয়াদেশ দিলেও ঠিকমতো পণ্য ডেলিভারি দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া বায়ারদের মধ্যে আরও একটি ব্যাপার কাজ করছে তা হলো—বাংলাদেশ সম্ভবত বিভিন্ন বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে। আজকেও (শনিবার) আমাকে দুজন বায়ার তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। আমি তাদের এই ব্যাপারে তেমন কিছু বলতে পারছি না। সবকিছু মিলিয়ে আমি বেশ চাপে আছি।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি ও আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয় তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তৈরি পোশাকে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে। ইউরোপ তৈরি পোশাকের ওপর শুল্ক বসালে আমাদের পোশাক রপ্তানিতে কেমন প্রভাব পড়বে?
ফারুক হাসান: ইউরোপ যদি তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করে, তাহলে আমাদের রপ্তানি ধসে পড়বে। আমাদের পোশাক রপ্তানি আর টিকবে না। তৈরি পোশাক খাত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা কোনোভাবে ইউরোপের বাজারে শুল্ক দিয়ে পোশাক রপ্তানি করতে পারব না। ইউরোপের শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের পোশাকের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে যাবে। শুল্ক আরোপ হলে আমাদের খুবই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। আমরা এই শুল্কারোপ চাই না। এই শুল্কারোপ যাতে না হয় এই জন্য রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা হলে আমি তাঁদের এই ব্যাপারে বলছি। শুল্কারোপ হলে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সে ব্যাপারে সরকারের উচিত অবগত থাকা।
আজকের পত্রিকা: আপনারা সরকারকে এই উদ্বেগগুলো জানিয়েছেন কি না?
ফারুক হাসান: ইউরোপের বাজারে এখন শুল্কারোপের যে কথা উঠছে, নির্বাচনকে ঘিরে সেটা নিয়ে আমরা সরকারকে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। আমরা বারবার বলছি, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি, সরকার আমাদের এই উদ্বেগের বিষয়গুলো আমলে নেবে। আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকেও (শনিবার) একটা অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি।
আজকের পত্রিকা: শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কিছু ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।
ফারুক হাসান: আমার মনে হয় না যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেবে। তবে কিছু ব্যবসায়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর স্যাংশন দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র যদি সেটিও করে, তাহলেও আমাদের ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা অনেক দিন ধরে কথাবার্তা বলছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা শ্রম আইন ও শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে কথা বলছে।
ফারুক হাসান: যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো শ্রম আইন সংশোধনের জন্য বলছে বেশ আগে থেকে। শ্রম আইন নিয়ে আমি যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে উদ্বেগ আছে, সেটা সরকারকে জানাচ্ছি প্রতিনিয়ত। সরকারকে বলেছি, আইএলওর সর্বজনীন শ্রমিক অধিকারের আলোকে তারা (ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশে শ্রম আইনের সংশোধন চাচ্ছে। সরকার থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, সংশোধিত শ্রম আইন কেবিনেটে আছে। শিগগিরই নতুন সংশোধিত শ্রম আইন পাস হয়ে যাবে। আমি এই ব্যাপারে যথেষ্ট চাপ দিচ্ছি যাতে সরকার শ্রম আইন তাড়াতাড়ি পাস করে। আমি আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ সরকারকে বলতে পারি। এটা শেষমেশ সরকারকেই করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ইপিজেডে শ্রমিকদের সংগঠন করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সরকারের ভাবনা কী এই ব্যাপারে?
ফারুক হাসান: ইপিজেডে শ্রমিকদের সংগঠন (ট্রেড ইউনিয়ন) করার সুযোগ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি অনেক দিনের। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাকে বলেছে, ইপিজেড এলাকায় যদি শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকার দেওয়া না হয়, তাহলে তোমরা সমস্যায় পড়বে। আমরা সরকারকে বলেছি তাদের দাবিগুলো আমলে নিতে।
কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পশ্চিমা বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোতে সংকট সহসা কাটছে না। মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়ানোর পাশাপাশি সংকোচনমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে তারা। এতে ভোক্তার হাতে কমেছে নগদ অর্থের প্রবাহ। কমে যাচ্ছে ক্রয়ক্ষমতা। এর জেরে চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি গত বছরের তুলনায় কমেছে ২৮ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে ইউরোপের বাজারে কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ।
স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশে জিএসপি সুবিধার আওতায় বিনা শুল্কে ইউরোপের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে আসছে। মানবাধিকার ইস্যুর সমাধান ও আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক না হলে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্মূল্যায়ন করতে বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সদস্যরা। ব্যবসায়ীদের শঙ্কা, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
গুঞ্জন আছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অস্বস্তি তৈরি করেছে ব্যবসায়ী মহলে। অন্যদিকে ইউরোপ তৈরি পোশাকে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করতে পারে—এমন কথা চাউর হয়েছে বিভিন্ন মহলে। রাজনৈতিক কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ ও শুল্কারোপের মতো ঘটনা ঘটলে সেটির প্রভাব কেমন হবে জানতে আজকের পত্রিকার সাজ্জাদ হোসেন গতকাল শনিবার কথা বলেছেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হোসেনের সঙ্গে।
আজকের পত্রিকা: কেমন আছেন?
ফারুক হাসান: দেশের যা পরিস্থিতি তাতে ভালো থাকার কথা না! প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছি। চারদিক থেকে চাপে আছি। মালিকদের চাপ, ক্রেতাদের চাপ। বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে এটা-ওটা জানতে চাচ্ছে। ফোনের পর ফোন আসছে। এইগুলো নিয়ে চাপে আছি।
আজকের পত্রিকা: ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্র আরও পদক্ষেপ নিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। আপনারা ব্যবসায়ীরা কী ভাবছেন?
ফারুক হাসান: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে আমাদের তৈরি পোশাক খাতে এখনো কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে এরপর যদি আরও নিষেধাজ্ঞা আসে তাহলে আমাদের রপ্তানি খাতে অনেক সমস্যা হবে। এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে এত বেশি লেখালেখি হচ্ছে, তাতে তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা আসছে—এই খবরে আমাদের মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তৈরি পোশাকের ক্রেতারা কী ভাবছে?
ফারুক হাসান: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ক্রেতারা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। সামনে নির্বাচনকে ঘিরে কী হয়। বায়ারদের চিন্তা হচ্ছে, সামনের যে নির্বাচন আসছে, সেখানে কী হতে যাচ্ছে। তাদের মনে হচ্ছে, যদি নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয় তাহলে ক্রয়াদেশ দিলেও ঠিকমতো পণ্য ডেলিভারি দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া বায়ারদের মধ্যে আরও একটি ব্যাপার কাজ করছে তা হলো—বাংলাদেশ সম্ভবত বিভিন্ন বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে। আজকেও (শনিবার) আমাকে দুজন বায়ার তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। আমি তাদের এই ব্যাপারে তেমন কিছু বলতে পারছি না। সবকিছু মিলিয়ে আমি বেশ চাপে আছি।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি ও আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয় তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তৈরি পোশাকে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে। ইউরোপ তৈরি পোশাকের ওপর শুল্ক বসালে আমাদের পোশাক রপ্তানিতে কেমন প্রভাব পড়বে?
ফারুক হাসান: ইউরোপ যদি তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করে, তাহলে আমাদের রপ্তানি ধসে পড়বে। আমাদের পোশাক রপ্তানি আর টিকবে না। তৈরি পোশাক খাত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা কোনোভাবে ইউরোপের বাজারে শুল্ক দিয়ে পোশাক রপ্তানি করতে পারব না। ইউরোপের শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের পোশাকের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে যাবে। শুল্ক আরোপ হলে আমাদের খুবই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। আমরা এই শুল্কারোপ চাই না। এই শুল্কারোপ যাতে না হয় এই জন্য রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা হলে আমি তাঁদের এই ব্যাপারে বলছি। শুল্কারোপ হলে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সে ব্যাপারে সরকারের উচিত অবগত থাকা।
আজকের পত্রিকা: আপনারা সরকারকে এই উদ্বেগগুলো জানিয়েছেন কি না?
ফারুক হাসান: ইউরোপের বাজারে এখন শুল্কারোপের যে কথা উঠছে, নির্বাচনকে ঘিরে সেটা নিয়ে আমরা সরকারকে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। আমরা বারবার বলছি, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি, সরকার আমাদের এই উদ্বেগের বিষয়গুলো আমলে নেবে। আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকেও (শনিবার) একটা অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি।
আজকের পত্রিকা: শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কিছু ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।
ফারুক হাসান: আমার মনে হয় না যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেবে। তবে কিছু ব্যবসায়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর স্যাংশন দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র যদি সেটিও করে, তাহলেও আমাদের ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা অনেক দিন ধরে কথাবার্তা বলছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা শ্রম আইন ও শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে কথা বলছে।
ফারুক হাসান: যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো শ্রম আইন সংশোধনের জন্য বলছে বেশ আগে থেকে। শ্রম আইন নিয়ে আমি যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে উদ্বেগ আছে, সেটা সরকারকে জানাচ্ছি প্রতিনিয়ত। সরকারকে বলেছি, আইএলওর সর্বজনীন শ্রমিক অধিকারের আলোকে তারা (ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশে শ্রম আইনের সংশোধন চাচ্ছে। সরকার থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, সংশোধিত শ্রম আইন কেবিনেটে আছে। শিগগিরই নতুন সংশোধিত শ্রম আইন পাস হয়ে যাবে। আমি এই ব্যাপারে যথেষ্ট চাপ দিচ্ছি যাতে সরকার শ্রম আইন তাড়াতাড়ি পাস করে। আমি আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ সরকারকে বলতে পারি। এটা শেষমেশ সরকারকেই করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ইপিজেডে শ্রমিকদের সংগঠন করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সরকারের ভাবনা কী এই ব্যাপারে?
ফারুক হাসান: ইপিজেডে শ্রমিকদের সংগঠন (ট্রেড ইউনিয়ন) করার সুযোগ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি অনেক দিনের। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাকে বলেছে, ইপিজেড এলাকায় যদি শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকার দেওয়া না হয়, তাহলে তোমরা সমস্যায় পড়বে। আমরা সরকারকে বলেছি তাদের দাবিগুলো আমলে নিতে।
সাজ্জাদ হোসেন

কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পশ্চিমা বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোতে সংকট সহসা কাটছে না। মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়ানোর পাশাপাশি সংকোচনমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে তারা। এতে ভোক্তার হাতে কমেছে নগদ অর্থের প্রবাহ। কমে যাচ্ছে ক্রয়ক্ষমতা। এর জেরে চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি গত বছরের তুলনায় কমেছে ২৮ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে ইউরোপের বাজারে কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ।
স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশে জিএসপি সুবিধার আওতায় বিনা শুল্কে ইউরোপের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে আসছে। মানবাধিকার ইস্যুর সমাধান ও আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক না হলে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্মূল্যায়ন করতে বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সদস্যরা। ব্যবসায়ীদের শঙ্কা, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
গুঞ্জন আছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অস্বস্তি তৈরি করেছে ব্যবসায়ী মহলে। অন্যদিকে ইউরোপ তৈরি পোশাকে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করতে পারে—এমন কথা চাউর হয়েছে বিভিন্ন মহলে। রাজনৈতিক কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ ও শুল্কারোপের মতো ঘটনা ঘটলে সেটির প্রভাব কেমন হবে জানতে আজকের পত্রিকার সাজ্জাদ হোসেন গতকাল শনিবার কথা বলেছেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হোসেনের সঙ্গে।
আজকের পত্রিকা: কেমন আছেন?
ফারুক হাসান: দেশের যা পরিস্থিতি তাতে ভালো থাকার কথা না! প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছি। চারদিক থেকে চাপে আছি। মালিকদের চাপ, ক্রেতাদের চাপ। বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে এটা-ওটা জানতে চাচ্ছে। ফোনের পর ফোন আসছে। এইগুলো নিয়ে চাপে আছি।
আজকের পত্রিকা: ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্র আরও পদক্ষেপ নিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। আপনারা ব্যবসায়ীরা কী ভাবছেন?
ফারুক হাসান: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে আমাদের তৈরি পোশাক খাতে এখনো কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে এরপর যদি আরও নিষেধাজ্ঞা আসে তাহলে আমাদের রপ্তানি খাতে অনেক সমস্যা হবে। এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে এত বেশি লেখালেখি হচ্ছে, তাতে তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা আসছে—এই খবরে আমাদের মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তৈরি পোশাকের ক্রেতারা কী ভাবছে?
ফারুক হাসান: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ক্রেতারা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। সামনে নির্বাচনকে ঘিরে কী হয়। বায়ারদের চিন্তা হচ্ছে, সামনের যে নির্বাচন আসছে, সেখানে কী হতে যাচ্ছে। তাদের মনে হচ্ছে, যদি নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয় তাহলে ক্রয়াদেশ দিলেও ঠিকমতো পণ্য ডেলিভারি দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া বায়ারদের মধ্যে আরও একটি ব্যাপার কাজ করছে তা হলো—বাংলাদেশ সম্ভবত বিভিন্ন বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে। আজকেও (শনিবার) আমাকে দুজন বায়ার তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। আমি তাদের এই ব্যাপারে তেমন কিছু বলতে পারছি না। সবকিছু মিলিয়ে আমি বেশ চাপে আছি।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি ও আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয় তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তৈরি পোশাকে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে। ইউরোপ তৈরি পোশাকের ওপর শুল্ক বসালে আমাদের পোশাক রপ্তানিতে কেমন প্রভাব পড়বে?
ফারুক হাসান: ইউরোপ যদি তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করে, তাহলে আমাদের রপ্তানি ধসে পড়বে। আমাদের পোশাক রপ্তানি আর টিকবে না। তৈরি পোশাক খাত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা কোনোভাবে ইউরোপের বাজারে শুল্ক দিয়ে পোশাক রপ্তানি করতে পারব না। ইউরোপের শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের পোশাকের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে যাবে। শুল্ক আরোপ হলে আমাদের খুবই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। আমরা এই শুল্কারোপ চাই না। এই শুল্কারোপ যাতে না হয় এই জন্য রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা হলে আমি তাঁদের এই ব্যাপারে বলছি। শুল্কারোপ হলে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সে ব্যাপারে সরকারের উচিত অবগত থাকা।
আজকের পত্রিকা: আপনারা সরকারকে এই উদ্বেগগুলো জানিয়েছেন কি না?
ফারুক হাসান: ইউরোপের বাজারে এখন শুল্কারোপের যে কথা উঠছে, নির্বাচনকে ঘিরে সেটা নিয়ে আমরা সরকারকে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। আমরা বারবার বলছি, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি, সরকার আমাদের এই উদ্বেগের বিষয়গুলো আমলে নেবে। আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকেও (শনিবার) একটা অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি।
আজকের পত্রিকা: শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কিছু ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।
ফারুক হাসান: আমার মনে হয় না যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেবে। তবে কিছু ব্যবসায়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর স্যাংশন দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র যদি সেটিও করে, তাহলেও আমাদের ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা অনেক দিন ধরে কথাবার্তা বলছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা শ্রম আইন ও শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে কথা বলছে।
ফারুক হাসান: যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো শ্রম আইন সংশোধনের জন্য বলছে বেশ আগে থেকে। শ্রম আইন নিয়ে আমি যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে উদ্বেগ আছে, সেটা সরকারকে জানাচ্ছি প্রতিনিয়ত। সরকারকে বলেছি, আইএলওর সর্বজনীন শ্রমিক অধিকারের আলোকে তারা (ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশে শ্রম আইনের সংশোধন চাচ্ছে। সরকার থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, সংশোধিত শ্রম আইন কেবিনেটে আছে। শিগগিরই নতুন সংশোধিত শ্রম আইন পাস হয়ে যাবে। আমি এই ব্যাপারে যথেষ্ট চাপ দিচ্ছি যাতে সরকার শ্রম আইন তাড়াতাড়ি পাস করে। আমি আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ সরকারকে বলতে পারি। এটা শেষমেশ সরকারকেই করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ইপিজেডে শ্রমিকদের সংগঠন করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সরকারের ভাবনা কী এই ব্যাপারে?
ফারুক হাসান: ইপিজেডে শ্রমিকদের সংগঠন (ট্রেড ইউনিয়ন) করার সুযোগ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি অনেক দিনের। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাকে বলেছে, ইপিজেড এলাকায় যদি শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকার দেওয়া না হয়, তাহলে তোমরা সমস্যায় পড়বে। আমরা সরকারকে বলেছি তাদের দাবিগুলো আমলে নিতে।
কোভিড ও ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে পশ্চিমা বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশগুলোতে সংকট সহসা কাটছে না। মুদ্রাস্ফীতির লাগাম টানতে ব্যাংক ঋণের সুদের হার বাড়ানোর পাশাপাশি সংকোচনমূলক অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগোচ্ছে তারা। এতে ভোক্তার হাতে কমেছে নগদ অর্থের প্রবাহ। কমে যাচ্ছে ক্রয়ক্ষমতা। এর জেরে চলতি বছরে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকের রপ্তানি গত বছরের তুলনায় কমেছে ২৮ শতাংশের বেশি। এর মধ্যে ইউরোপের বাজারে কমেছে প্রায় ১৪ শতাংশ।
স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশে জিএসপি সুবিধার আওতায় বিনা শুল্কে ইউরোপের বাজারে তৈরি পোশাক রপ্তানি করে আসছে। মানবাধিকার ইস্যুর সমাধান ও আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক না হলে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্মূল্যায়ন করতে বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সদস্যরা। ব্যবসায়ীদের শঙ্কা, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
গুঞ্জন আছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যবসায়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে যুক্তরাষ্ট্র। এতে অস্বস্তি তৈরি করেছে ব্যবসায়ী মহলে। অন্যদিকে ইউরোপ তৈরি পোশাকে জিএসপি সুবিধা স্থগিত করতে পারে—এমন কথা চাউর হয়েছে বিভিন্ন মহলে। রাজনৈতিক কারণে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর বিধিনিষেধ ও শুল্কারোপের মতো ঘটনা ঘটলে সেটির প্রভাব কেমন হবে জানতে আজকের পত্রিকার সাজ্জাদ হোসেন গতকাল শনিবার কথা বলেছেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হোসেনের সঙ্গে।
আজকের পত্রিকা: কেমন আছেন?
ফারুক হাসান: দেশের যা পরিস্থিতি তাতে ভালো থাকার কথা না! প্রচণ্ড চাপের মধ্যে আছি। চারদিক থেকে চাপে আছি। মালিকদের চাপ, ক্রেতাদের চাপ। বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গা থেকে ফোন করে এটা-ওটা জানতে চাচ্ছে। ফোনের পর ফোন আসছে। এইগুলো নিয়ে চাপে আছি।
আজকের পত্রিকা: ভিসা নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্র আরও পদক্ষেপ নিতে পারে বলে শোনা যাচ্ছে। আপনারা ব্যবসায়ীরা কী ভাবছেন?
ফারুক হাসান: যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতির কারণে আমাদের তৈরি পোশাক খাতে এখনো কোনো প্রভাব পড়েনি। তবে এরপর যদি আরও নিষেধাজ্ঞা আসে তাহলে আমাদের রপ্তানি খাতে অনেক সমস্যা হবে। এখন সোশ্যাল মিডিয়াতে এত বেশি লেখালেখি হচ্ছে, তাতে তৈরি পোশাক খাতের মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক দেখা দিচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা আসছে—এই খবরে আমাদের মালিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে তৈরি পোশাকের ক্রেতারা কী ভাবছে?
ফারুক হাসান: বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থা নিয়ে ক্রেতারা চিন্তিত হয়ে পড়েছে। সামনে নির্বাচনকে ঘিরে কী হয়। বায়ারদের চিন্তা হচ্ছে, সামনের যে নির্বাচন আসছে, সেখানে কী হতে যাচ্ছে। তাদের মনে হচ্ছে, যদি নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা তৈরি হয় তাহলে ক্রয়াদেশ দিলেও ঠিকমতো পণ্য ডেলিভারি দেওয়া যাবে না। তা ছাড়া বায়ারদের মধ্যে আরও একটি ব্যাপার কাজ করছে তা হলো—বাংলাদেশ সম্ভবত বিভিন্ন বাণিজ্যিক নিষেধাজ্ঞায় পড়তে যাচ্ছে। আজকেও (শনিবার) আমাকে দুজন বায়ার তাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। আমি তাদের এই ব্যাপারে তেমন কিছু বলতে পারছি না। সবকিছু মিলিয়ে আমি বেশ চাপে আছি।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতি ও আগামী নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হয় তাহলে ইউরোপীয় ইউনিয়ন তৈরি পোশাকে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্বিবেচনা করতে বলেছে। ইউরোপ তৈরি পোশাকের ওপর শুল্ক বসালে আমাদের পোশাক রপ্তানিতে কেমন প্রভাব পড়বে?
ফারুক হাসান: ইউরোপ যদি তৈরি পোশাক রপ্তানিতে শুল্ক আরোপ করে, তাহলে আমাদের রপ্তানি ধসে পড়বে। আমাদের পোশাক রপ্তানি আর টিকবে না। তৈরি পোশাক খাত মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আমরা কোনোভাবে ইউরোপের বাজারে শুল্ক দিয়ে পোশাক রপ্তানি করতে পারব না। ইউরোপের শুল্ক আরোপের ফলে বাংলাদেশের পোশাকের প্রতিযোগিতার সক্ষমতা কমে যাবে। শুল্ক আরোপ হলে আমাদের খুবই কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। আমরা এই শুল্কারোপ চাই না। এই শুল্কারোপ যাতে না হয় এই জন্য রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা হলে আমি তাঁদের এই ব্যাপারে বলছি। শুল্কারোপ হলে আমাদের তৈরি পোশাক রপ্তানিতে যে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে সে ব্যাপারে সরকারের উচিত অবগত থাকা।
আজকের পত্রিকা: আপনারা সরকারকে এই উদ্বেগগুলো জানিয়েছেন কি না?
ফারুক হাসান: ইউরোপের বাজারে এখন শুল্কারোপের যে কথা উঠছে, নির্বাচনকে ঘিরে সেটা নিয়ে আমরা সরকারকে আমাদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছি। আমরা বারবার বলছি, এই বিষয়গুলো নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। আমি মনে করি, সরকার আমাদের এই উদ্বেগের বিষয়গুলো আমলে নেবে। আমি এই বিষয়গুলো নিয়ে আজকেও (শনিবার) একটা অনুষ্ঠানে ইউরোপীয় ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর ও অস্ট্রেলিয়ার রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে কথা বলেছি।
আজকের পত্রিকা: শোনা যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র কিছু ব্যবসায়ী ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে।
ফারুক হাসান: আমার মনে হয় না যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা দেবে। তবে কিছু ব্যবসায়ী ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের ওপর স্যাংশন দিতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র যদি সেটিও করে, তাহলেও আমাদের ব্যবসার ওপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে।
আজকের পত্রিকা: বাংলাদেশে শ্রম আইন সংশোধন করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা অনেক দিন ধরে কথাবার্তা বলছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা শ্রম আইন ও শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে কথা বলছে।
ফারুক হাসান: যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো শ্রম আইন সংশোধনের জন্য বলছে বেশ আগে থেকে। শ্রম আইন নিয়ে আমি যুক্তরাষ্ট্রসহ ইউরোপীয় ইউনিয়নের যে উদ্বেগ আছে, সেটা সরকারকে জানাচ্ছি প্রতিনিয়ত। সরকারকে বলেছি, আইএলওর সর্বজনীন শ্রমিক অধিকারের আলোকে তারা (ইইউ-যুক্তরাষ্ট্র) বাংলাদেশে শ্রম আইনের সংশোধন চাচ্ছে। সরকার থেকে আমাকে জানানো হয়েছে, সংশোধিত শ্রম আইন কেবিনেটে আছে। শিগগিরই নতুন সংশোধিত শ্রম আইন পাস হয়ে যাবে। আমি এই ব্যাপারে যথেষ্ট চাপ দিচ্ছি যাতে সরকার শ্রম আইন তাড়াতাড়ি পাস করে। আমি আমার দিক থেকে সর্বোচ্চ সরকারকে বলতে পারি। এটা শেষমেশ সরকারকেই করতে হবে।
আজকের পত্রিকা: ইপিজেডে শ্রমিকদের সংগঠন করার সুযোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সরকারের ভাবনা কী এই ব্যাপারে?
ফারুক হাসান: ইপিজেডে শ্রমিকদের সংগঠন (ট্রেড ইউনিয়ন) করার সুযোগ দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের দাবি অনেক দিনের। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন আমাকে বলেছে, ইপিজেড এলাকায় যদি শ্রমিকদের সংগঠন করার অধিকার দেওয়া না হয়, তাহলে তোমরা সমস্যায় পড়বে। আমরা সরকারকে বলেছি তাদের দাবিগুলো আমলে নিতে।

‘দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ-প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল’ নির্ধারণ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) ৩টায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক) সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিবেচনার সুযোগ নেই। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, টাকা ছাপানো, পরিবহন, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থায় গেলে এই বিশাল খরচ কমবে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত হবে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও সময়োপযোগী।
৭ ঘণ্টা আগে
একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংক একীভূতকরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবির পাশাপাশি আগামী শনিবারের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

‘দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ-প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল’ নির্ধারণ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ৩টায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন। সভায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দও অংশ নেন।
দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানীরা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগের সম্ভাবনা ও কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের ভবিষ্যৎ পরমাণু কৌশল ও নীতিনির্ধারণে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. মো. মজিবুর রহমান, বর্তমান সদস্য (ভৌত বিজ্ঞান) ড. দেবাশীষ পাল।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন মতবিনিময় সভায় দেশে জনকল্যাণে পরমাণু প্রযুক্তির প্রসার এবং একটি টেকসই পরমাণু কৌশল ও নীতিনির্ধারণে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মজিবুর রহমান মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ ও দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের কৌশল নির্ধারণে দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

‘দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ-প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল’ নির্ধারণ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) বেলা ৩টায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন। সভায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান ও সদস্যবৃন্দও অংশ নেন।
দেশবরেণ্য পরমাণু বিজ্ঞানীরা দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগের সম্ভাবনা ও কৌশল নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন। তাঁরা দেশের ভবিষ্যৎ পরমাণু কৌশল ও নীতিনির্ধারণে দিকনির্দেশনামূলক আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান ড. মো. মজিবুর রহমান, বর্তমান সদস্য (ভৌত বিজ্ঞান) ড. দেবাশীষ পাল।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন মতবিনিময় সভায় দেশে জনকল্যাণে পরমাণু প্রযুক্তির প্রসার এবং একটি টেকসই পরমাণু কৌশল ও নীতিনির্ধারণে সার্বিক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন।
কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মো. মজিবুর রহমান মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যানসহ সদস্যদের প্রাণবন্ত আলোচনায় অংশগ্রহণ ও দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু প্রযুক্তি ব্যবহারের কৌশল নির্ধারণে দিকনির্দেশনা প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।

মানবাধিকার ইস্যুর সমাধান ও আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক না হলে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্মূল্যায়ন করতে বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সদস্যরা। ব্যবসায়ীদের শঙ্কা, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
০৮ অক্টোবর ২০২৩
একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক) সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিবেচনার সুযোগ নেই। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, টাকা ছাপানো, পরিবহন, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থায় গেলে এই বিশাল খরচ কমবে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত হবে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও সময়োপযোগী।
৭ ঘণ্টা আগে
একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংক একীভূতকরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবির পাশাপাশি আগামী শনিবারের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক) সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিবেচনার সুযোগ নেই। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এফসিডিওর কারিগরি সহায়তা ও মতামত নিয়ে ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনে রেজল্যুশনপ্রক্রিয়ায় আমানতকারী, শেয়ারহোল্ডারসহ পাওনাদারদের অধিকার স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা আছে।
অধ্যাদেশের ধারা ১৬(২)(ট), ২৮(৫), ৩৭(২)(গ) ও ৩৮(২) অনুসারে, রেজল্যুশনের আওতাধীন ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার, দায়ী ব্যক্তি, অ্যাডিশনাল টিয়ার-১ ও টিয়ার-২ মূলধনধারকদের ওপর লোকসান আরোপের ক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
ধারা ৪০ অনুযায়ী, রেজল্যুশনের বদলে অবসায়ন হলে শেয়ারহোল্ডাররা যে ক্ষতির মুখে পড়তেন, তারচেয়ে বেশি ক্ষতি হলে সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, পাঁচ ব্যাংক বিশাল লোকসানে রয়েছে এবং তাদের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ঋণাত্মক। এসব বিবেচনায় চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংকিং সেক্টর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর সমস্ত লোকসানের দায়ভার শেয়ারহোল্ডারদের বহন করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক) সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিবেচনার সুযোগ নেই। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে। আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংক এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, আন্তর্জাতিক উত্তম চর্চার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক ও এফসিডিওর কারিগরি সহায়তা ও মতামত নিয়ে ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই আইনে রেজল্যুশনপ্রক্রিয়ায় আমানতকারী, শেয়ারহোল্ডারসহ পাওনাদারদের অধিকার স্পষ্টভাবে নির্ধারণ করা আছে।
অধ্যাদেশের ধারা ১৬(২)(ট), ২৮(৫), ৩৭(২)(গ) ও ৩৮(২) অনুসারে, রেজল্যুশনের আওতাধীন ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডার, দায়ী ব্যক্তি, অ্যাডিশনাল টিয়ার-১ ও টিয়ার-২ মূলধনধারকদের ওপর লোকসান আরোপের ক্ষমতা রয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংকের।
ধারা ৪০ অনুযায়ী, রেজল্যুশনের বদলে অবসায়ন হলে শেয়ারহোল্ডাররা যে ক্ষতির মুখে পড়তেন, তারচেয়ে বেশি ক্ষতি হলে সেই ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিধান রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, পাঁচ ব্যাংক বিশাল লোকসানে রয়েছে এবং তাদের শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) ঋণাত্মক। এসব বিবেচনায় চলতি বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর ব্যাংকিং সেক্টর ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির বৈঠকে সংকটাপন্ন ব্যাংকগুলোর সমস্ত লোকসানের দায়ভার শেয়ারহোল্ডারদের বহন করতে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।

মানবাধিকার ইস্যুর সমাধান ও আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক না হলে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্মূল্যায়ন করতে বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সদস্যরা। ব্যবসায়ীদের শঙ্কা, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
০৮ অক্টোবর ২০২৩
‘দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ-প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল’ নির্ধারণ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) ৩টায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, টাকা ছাপানো, পরিবহন, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থায় গেলে এই বিশাল খরচ কমবে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত হবে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও সময়োপযোগী।
৭ ঘণ্টা আগে
একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংক একীভূতকরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবির পাশাপাশি আগামী শনিবারের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেবাকৃবি সংবাদদাতা

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, টাকা ছাপানো, পরিবহন, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থায় গেলে এই বিশাল খরচ কমবে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত হবে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও সময়োপযোগী।
আজ বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আয়োজিত ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ’ শীর্ষক সেমিনারে ভিডিওবার্তায় গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, ‘অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখনো দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পুরোপুরি পৌঁছায়নি। আমরা চাই, নগদ টাকা না তুলে সেই অর্থ মোবাইল বা অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যম রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের মানুষ ব্যবহার করবেন। তখনই সত্যিকারের ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’
গভর্নর আরও বলেন, ‘আমরা নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যেখানে ডিজিটাল ও স্মার্ট লেনদেনের মাধ্যমে অর্থনীতি হবে গতিশীল ও স্বচ্ছ। মানুষকে ছোট ছোট কাজে ব্যাংকে যেতে হবে না, ফলে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক রাফেজা আক্তার কান্তা। ‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—স্লোগান নিয়ে সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সহযোগিতায় ছিল ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক জি এম মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক ময়মনসিংহ কার্যালয়ের পরিচালক জয়দেব চন্দ্র বণিক এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অপারেটিং অফিসার আবেদুর রহমান সিকদার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জুয়েল মজুমদার সেমিনারে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ বিষয়ে উপস্থাপনা দেন। তিনি ক্যাশ টাকার ব্যবহারজনিত অসুবিধা, ডিজিটাল লেনদেনের প্রয়োজনীয়তা ও নিরাপত্তা জোরদার করতে নেওয়া উদ্যোগ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক মুজিবর রহমান বলেন, কাগজের মুদ্রা শুধু নোংরাই নয়, তা রোগজীবাণুরও বাহক। ক্যাশলেস লেনদেন বাড়লে তা স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির জন্যই মঙ্গলজনক হবে। বাকৃবি ক্যাম্পাসকে ধীরে ধীরে ক্যাশলেস ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে রাফেজা আক্তার কান্তা বলেন, ‘আমরা সারা দেশে বাংলা কিউআর কোড চালু করার চেষ্টা করছি, যাতে প্রান্তিক জনগণও সহজে ডিজিটাল লেনদেন করতে পারেন। আমরা বিশ্বাস করি, “কাস্টমার ইজ দ্য কি”। তাই সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতেই এই উদ্যোগ।’
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে শিক্ষার্থী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে মুক্ত প্রশ্নোত্তরপর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, টাকা ছাপানো, পরিবহন, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থায় গেলে এই বিশাল খরচ কমবে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত হবে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও সময়োপযোগী।
আজ বৃহস্পতিবার ময়মনসিংহে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) আয়োজিত ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ ইনিশিয়েটিভ’ শীর্ষক সেমিনারে ভিডিওবার্তায় গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব কথা বলেন।
গভর্নর বলেন, ‘অনলাইন ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখনো দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে পুরোপুরি পৌঁছায়নি। আমরা চাই, নগদ টাকা না তুলে সেই অর্থ মোবাইল বা অনলাইন পেমেন্টের মাধ্যম রিকশাওয়ালা থেকে শুরু করে সব পর্যায়ের মানুষ ব্যবহার করবেন। তখনই সত্যিকারের ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।’
গভর্নর আরও বলেন, ‘আমরা নতুন অর্থনৈতিক ব্যবস্থার দিকে এগিয়ে যাচ্ছি, যেখানে ডিজিটাল ও স্মার্ট লেনদেনের মাধ্যমে অর্থনীতি হবে গতিশীল ও স্বচ্ছ। মানুষকে ছোট ছোট কাজে ব্যাংকে যেতে হবে না, ফলে সময় ও অর্থ দুটোই সাশ্রয় হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ নজরুল ইসলাম সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেমস বিভাগের পরিচালক রাফেজা আক্তার কান্তা। ‘লেনদেন হচ্ছে ক্যাশলেস, এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’—স্লোগান নিয়ে সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। সহযোগিতায় ছিল ডাচ্-বাংলা ব্যাংক পিএলসি।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক জি এম মুজিবর রহমান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংক ময়মনসিংহ কার্যালয়ের পরিচালক জয়দেব চন্দ্র বণিক এবং ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চিফ অপারেটিং অফিসার আবেদুর রহমান সিকদার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের যুগ্ম পরিচালক জুয়েল মজুমদার সেমিনারে ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ বিষয়ে উপস্থাপনা দেন। তিনি ক্যাশ টাকার ব্যবহারজনিত অসুবিধা, ডিজিটাল লেনদেনের প্রয়োজনীয়তা ও নিরাপত্তা জোরদার করতে নেওয়া উদ্যোগ সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
প্রধান অতিথি অধ্যাপক মুজিবর রহমান বলেন, কাগজের মুদ্রা শুধু নোংরাই নয়, তা রোগজীবাণুরও বাহক। ক্যাশলেস লেনদেন বাড়লে তা স্বাস্থ্য ও অর্থনীতির জন্যই মঙ্গলজনক হবে। বাকৃবি ক্যাম্পাসকে ধীরে ধীরে ক্যাশলেস ক্যাম্পাস হিসেবে গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে রাফেজা আক্তার কান্তা বলেন, ‘আমরা সারা দেশে বাংলা কিউআর কোড চালু করার চেষ্টা করছি, যাতে প্রান্তিক জনগণও সহজে ডিজিটাল লেনদেন করতে পারেন। আমরা বিশ্বাস করি, “কাস্টমার ইজ দ্য কি”। তাই সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করতেই এই উদ্যোগ।’
অনুষ্ঠানের শেষপর্বে শিক্ষার্থী ও ব্যাংক কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে মুক্ত প্রশ্নোত্তরপর্ব অনুষ্ঠিত হয়।

মানবাধিকার ইস্যুর সমাধান ও আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক না হলে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্মূল্যায়ন করতে বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সদস্যরা। ব্যবসায়ীদের শঙ্কা, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
০৮ অক্টোবর ২০২৩
‘দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ-প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল’ নির্ধারণ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) ৩টায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক) সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিবেচনার সুযোগ নেই। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে
২ ঘণ্টা আগে
একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংক একীভূতকরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবির পাশাপাশি আগামী শনিবারের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংক একীভূতকরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এ ছাড়া আগামী শনিবারের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা। তা না হলে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরোনো ভবনের সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন বিনিয়োগকারীরা।
এর আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ইকুইটির মূল্য এখন শূন্যের নিচে। ফলে শেয়ারগুলোর ভ্যালু জিরো হিসেবে বিবেচিত হবে। কাউকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।
সরকারের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘মার্জারের সার্কুলার হওয়ার পরে তা প্রত্যাহারের দাবি করেছিলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অথর্ব। আমাদের কথা কানে নেননি। আজকে পাঁচটি ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা যে অবস্থান করছে, তাঁরা কোথায় যাবেন? কাদের স্বার্থে আপনি (গভর্নর) কাজ করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।’
মিজানুর রশিদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবার সারা দেশের বিনিয়োগকারীদের এখানে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান করব। যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের ঘোষণা প্রত্যাহার না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তা না হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পদত্যাগ করতে হবে। আপনারা সবাই মঙ্গলবার দুপুর ২টায় উপস্থিত থাকবেন।’
মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, মার্জারের পুরো প্রক্রিয়াটা বিনিয়োগকারীদের ধ্বংস করতে নেওয়া হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের উদাহরণ বাংলাদেশে চলে না। এই ব্যাংকগুলোকে ভালো ভালো তকমা দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর এগুলোর দুর্বলতা সামনে এসেছে। তত দিনে উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা তাঁদের শেয়ার বিক্রি করে বেরিয়ে গেছে। যাঁদের হাতে শেয়ার ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগই সাধারণ ও স্বল্প মূলধনী বিনিয়োগকারী। তাঁরা যদি, তাঁদের বিনিয়োগের কোনো অংশ ফেরত না পান, তাহলে সারা জীবনের জন্য পুঁজিবাজার ত্যাগ করবেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতসহ সব খাতে স্থবিরতা নিয়ে এসেছে। বর্তমান সরকার ও গভর্নরের কোনো ধরনের ম্যানডেট নেই। তারা এই ধরনের মনগড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
সাজ্জাদুর আরও বলেন, ‘যে অর্থ উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি সব ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। পুরো আর্থিক খাতের সব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যাঁরা আছেন, অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করছি। পদত্যাগের আগে কোনো ব্যাংক মার্জার করার সুযোগ দেওয়া হবে না।’
সংগঠনটির মুখপাত্র মো. মহসিন কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘একীভূত হওয়া ব্যাংকে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার দিতে হবে। সরকারের চুরির দায় কেন সাধারণ মানুষ নেবে। সরকারের কি কোনো দায় নেই? টাকা পাচারের সময় সরকার কোথায় ছিল? এখন জনগণের বিনিয়োগের সুরক্ষা কে দেবে? বেনামে থাকা সম্পত্তির মালিক বিনিয়োগকারীদের করতে হবে। এস আলমের সম্পত্তি ব্যাংকের শেয়ারের সম্পদমূল্যে (এনএভি) যোগ করতে হবে। যখন ব্যাংক লুট হয়েছে, ওই সময় ব্যাংক কর্মকর্তারা কী করেছেন? তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এর আগে সকালে ওই পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। ফলে পুঁজিবাজারে এখন থেকে ব্যাংকগুলোর শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।
শেয়ার লেনদেন স্থগিত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
লেনদেন স্থগিত করার কারণ হিসেবে ডিএসই থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংক রেজ্যুলেশন অধ্যাদেশ ২০২৫-এর ধারা ১৫ অনুসারে ৫ নভেম্বর থেকে ব্যাংকগুলোকে অকার্যকর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

একীভূতকরণের প্রক্রিয়ায় থাকা পাঁচ ইসলামি ব্যাংকের শেয়ারের মূল্য শূন্য ঘোষণার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ব্যাংক একীভূতকরণ কার্যক্রম বন্ধ রাখার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

এ ছাড়া আগামী শনিবারের মধ্যে অর্থ উপদেষ্টা ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করেছেন তাঁরা। তা না হলে মঙ্গলবার বাংলাদেশ ব্যাংক ঘেরাওয়ের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর মতিঝিলে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) পুরোনো ভবনের সামনে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালন করেন বিনিয়োগকারীরা।
এর আগে বুধবার সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, পাঁচ ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের ইকুইটির মূল্য এখন শূন্যের নিচে। ফলে শেয়ারগুলোর ভ্যালু জিরো হিসেবে বিবেচিত হবে। কাউকে কোনো ধরনের ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে না।
সরকারের ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে আয়োজিত কর্মসূচিতে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের সভাপতি মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, ‘মার্জারের সার্কুলার হওয়ার পরে তা প্রত্যাহারের দাবি করেছিলাম। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর অথর্ব। আমাদের কথা কানে নেননি। আজকে পাঁচটি ব্যাংকের বিনিয়োগকারীরা যে অবস্থান করছে, তাঁরা কোথায় যাবেন? কাদের স্বার্থে আপনি (গভর্নর) কাজ করছেন তা আমাদের বোধগম্য নয়।’
মিজানুর রশিদ চৌধুরী আরও বলেন, ‘আগামী মঙ্গলবার সারা দেশের বিনিয়োগকারীদের এখানে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে অবস্থান করব। যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁদের ঘোষণা প্রত্যাহার না করবে, ততক্ষণ পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। তা না হলে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে পদত্যাগ করতে হবে। আপনারা সবাই মঙ্গলবার দুপুর ২টায় উপস্থিত থাকবেন।’
মিজানুর রশিদ চৌধুরী বলেন, মার্জারের পুরো প্রক্রিয়াটা বিনিয়োগকারীদের ধ্বংস করতে নেওয়া হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশের উদাহরণ বাংলাদেশে চলে না। এই ব্যাংকগুলোকে ভালো ভালো তকমা দিয়ে সাধারণ বিনিয়োগকারীদের বিনিয়োগ করতে বাধ্য করা হয়েছে। গত ৫ আগস্টের পর এগুলোর দুর্বলতা সামনে এসেছে। তত দিনে উদ্যোক্তা-পরিচালকেরা তাঁদের শেয়ার বিক্রি করে বেরিয়ে গেছে। যাঁদের হাতে শেয়ার ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বেশির ভাগই সাধারণ ও স্বল্প মূলধনী বিনিয়োগকারী। তাঁরা যদি, তাঁদের বিনিয়োগের কোনো অংশ ফেরত না পান, তাহলে সারা জীবনের জন্য পুঁজিবাজার ত্যাগ করবেন।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদুর রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বাংলাদেশের আর্থিক খাতসহ সব খাতে স্থবিরতা নিয়ে এসেছে। বর্তমান সরকার ও গভর্নরের কোনো ধরনের ম্যানডেট নেই। তারা এই ধরনের মনগড়া সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।’
সাজ্জাদুর আরও বলেন, ‘যে অর্থ উপদেষ্টা নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, তিনি সব ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছেন। পুরো আর্থিক খাতের সব গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে যাঁরা আছেন, অর্থ উপদেষ্টা ও গভর্নরের পদত্যাগ দাবি করছি। পদত্যাগের আগে কোনো ব্যাংক মার্জার করার সুযোগ দেওয়া হবে না।’
সংগঠনটির মুখপাত্র মো. মহসিন কয়েকটি দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ‘একীভূত হওয়া ব্যাংকে বিনিয়োগকারীদের শেয়ার দিতে হবে। সরকারের চুরির দায় কেন সাধারণ মানুষ নেবে। সরকারের কি কোনো দায় নেই? টাকা পাচারের সময় সরকার কোথায় ছিল? এখন জনগণের বিনিয়োগের সুরক্ষা কে দেবে? বেনামে থাকা সম্পত্তির মালিক বিনিয়োগকারীদের করতে হবে। এস আলমের সম্পত্তি ব্যাংকের শেয়ারের সম্পদমূল্যে (এনএভি) যোগ করতে হবে। যখন ব্যাংক লুট হয়েছে, ওই সময় ব্যাংক কর্মকর্তারা কী করেছেন? তাঁদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’
এর আগে সকালে ওই পাঁচ ব্যাংকের শেয়ার লেনদেন স্থগিত করেছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)। ফলে পুঁজিবাজারে এখন থেকে ব্যাংকগুলোর শেয়ার লেনদেন বন্ধ থাকবে।
শেয়ার লেনদেন স্থগিত হওয়া ব্যাংকগুলো হলো—ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক (এসআইবিএল), এক্সিম ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক ও ইউনিয়ন ব্যাংক।
লেনদেন স্থগিত করার কারণ হিসেবে ডিএসই থেকে জানানো হয়েছে, ব্যাংক রেজ্যুলেশন অধ্যাদেশ ২০২৫-এর ধারা ১৫ অনুসারে ৫ নভেম্বর থেকে ব্যাংকগুলোকে অকার্যকর হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।

মানবাধিকার ইস্যুর সমাধান ও আগামী সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক না হলে বাংলাদেশের জিএসপি সুবিধা পুনর্মূল্যায়ন করতে বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন পার্লামেন্টের সদস্যরা। ব্যবসায়ীদের শঙ্কা, আগামী নির্বাচন গ্রহণযোগ্য না হলে তৈরি পোশাক রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপ করতে পারে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।
০৮ অক্টোবর ২০২৩
‘দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে পরমাণু শক্তি ও প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ প্রয়োগ-প্রসারের গুরুত্ব, সম্ভাবনা ও কৌশল’ নির্ধারণ নিয়ে একটি মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (৫ নভেম্বর) ৩টায় বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।
২ ঘণ্টা আগে
একীভূত হওয়ার প্রক্রিয়ায় থাকা শরিয়াহভিত্তিক পাঁচ ব্যাংকের (ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী, গ্লোবাল ইসলামী, ইউনিয়ন, এক্সিম ও সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক) সাধারণ বিনিয়োগকারী বা শেয়ারহোল্ডারদের স্বার্থ সংরক্ষণ বিবেচনার সুযোগ নেই। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষায় সরকার চাইলে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করতে
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, টাকা ছাপানো, পরিবহন, বণ্টন ও ব্যবস্থাপনায় প্রতিবছর প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়। ডিজিটাল লেনদেনব্যবস্থায় গেলে এই বিশাল খরচ কমবে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত হবে আরও কার্যকর, নিরাপদ ও সময়োপযোগী।
৭ ঘণ্টা আগে