
কয়েক বছর ধরে গোপনে বিটকয়েন মাইনিং প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে হিমালয়ের কোলঘেঁষে থাকা ভুটান। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ঠিক কতটা বিনিয়োগ করেছে, তা নিয়ে ধোয়াঁশা থাকলেও প্রকল্প নিয়ে কয়েক বছর ধরেই আগাচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খাতকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন চললেও সম্প্রতি তা প্রকাশ পেয়েছে।
সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ভুটানিজকে ভুটান সরকারের এক প্রতিনিধি বলেছেন, কয়েক বছর আগে বিটকয়েনের দাম যখন ৫ হাজার ডলার ছিল, তখন সংগ্রহ শুরু করেছিল সরকার। ঠিক কবে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। ওই সূত্রের তথ্য ঠিক হলে ২০১৯ সালে প্রকল্পটি শুরু হয়, কারণ ওই বছর বিটকয়েনের এই দাম ছিল।
বিটকয়েন মাইনিং নতুন বিটকয়েন সৃষ্টির প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ডিজিটাল মুদ্রাটির বিনিময়কে যাচাই করে এমন মারাত্মক জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা হয়। এই ধাঁধার যিনি সমাধান করেন, তাঁকে মাইনার বলা হয়। মাইনারদের মধ্যে যিনি সবার আগে সমাধান করবেন, তাঁকে পুরস্কার হিসেবে বিটকয়েন ও ফি দেওয়া হবে।
বিটকয়েন মাইনিংয়ের এই প্রকল্পে সাবেক চীনা কোটিপতি উ জিহান প্রতিষ্ঠিত সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম মাইনিং কোম্পানি বিটডিয়ারের সঙ্গেও কাজ করছে ভুটান। এ বছর এপ্রিলের এই কোম্পানি ১১০ কোটি ডলার জমা দিয়ে নিউইয়র্কভিত্তিক স্টক মার্কেট নাসডাকের তালিকাভুক্ত হয়।
গত ১৯ এপ্রিল বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, তারা ভুটানে বিটকয়েন মাইনিং ডেটা সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করছে, যা বাস্তবায়ন করতে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। চলতি অর্থবছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ডেটা সেন্টারটির নির্মাণ শুরু হবে এবং শেষ হবে ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটির মালিক কে হবে তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে, বিটডিয়ার ও ভুটান সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ভুটানের সরকারি তথ্য থেকেও বিটকয়েন মাইনিং কার্যক্রমের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। স্থলবেষ্টিত এ দেশের বাণিজ্যে সাধারণত প্রভাব ফেলে পেট্রোল, ইস্পাত এবং চালের বাজার। কিন্তু শুল্ক বিভাগের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২১ ও ২০২২ সালে কোটি কোটি ডলার খরচ করে দেশটি সবচেয়ে বেশি আমদানি করেছে কম্পিউটার চিপ। এর মধ্যে ২০২২ সালে ১৪ কোটি ২০ লাখ ডলারের কম্পিউটার চিপ আমদানি করা হয়, যা দেশটির বাজেটের প্রায় ১৫ শতাংশ। এর আগের দুই বছরে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ১১ লাখ ডলার।
বিটকয়েন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, এমন আকাশছোঁয়া দামে শুধু ২০২১ সালে যে পরিমাণ কম্পিউটার চিপ আমদানি করেছে দেশটি, তাতে কয়েকটি ফুটবল মাঠের সমান ডেটাসেন্টার নির্মাণ করা সম্ভব। কম্পিউটার চিপের এমন আকাশচুম্বী অমদানির কারণে দেশটিতে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দেয় এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতেও টান পড়ে। এসব ঘটনা থেকে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল, দেশটি গোপনে কোনো বৃহৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে।
বেশ কয়েক বছর আগে ক্রিপ্টো পোর্টফোলিও তৈরি করতে কোটি কোটি ডলার গোপনে বিনিয়োগ করেছিল ড্রাক হোল্ডিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট নামে ভুটানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি। ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ব্লকফাই এবং সেলসিয়াসের অসাবধানতার কারণে বিষয়টি তখন জানাজানি হয়ে যায়। তবে ‘গোপনীয়তার’ কথা বলে এ নিয়ে মুখ খোলেনি ড্রাক। বার্ষিক প্রতিবেদনও একই অজুহাতে প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল সম্পদ, ক্রিপ্টো পোর্টফোলিও বা বিটকয়েন মাইনিং নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ২০২১ সালে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হতে পারে ভেবে ব্লকচেইনে আগ্রহী হয়ে উঠে ভুটান। তখন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার অন্যতম শীর্ষ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রিপলের সঙ্গে বিনিময়ের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ‘ডিজিটাল মুদ্রার’ প্রচলন করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এসব উদ্যোগের কথা সব সময় গোপন রাখা হয়েছে।
হিমালয়ের হিমবাহ থেকে সৃষ্ট নদীগুলো থেকে প্রচুর জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে দেশটি। অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তিও বিদ্যুৎ খাত। ৮ লাখ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদনেরও (জিডিপি) প্রায় ৩০ শতাংশ এখাত থেকে অর্জন করে দেশটি। এখন বিটকয়েন মাইনিংয়ের জন্য জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে কাজে লাগিয়ে ডেটা সেন্টার তৈরি করতে চাইছে তারা। এটি হলে এল সালভাদরের পর ভুটান হবে বিটকয়েন স্বীকৃতিদাতা দ্বিতীয় দেশ।
কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝুঁকছে ভুটান। সবচেয়ে সম্ভাব্য উত্তর, মহামারী পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দার পরে রাজস্ব ঘাটতি পূরণ। স্বল্প জনসংখ্যা ও টেকসই জলবিদ্যুৎ ক্ষমতাও বিটকয়েন মাইনিং কোম্পানিগুলোর কাছে দেশটিকে আকর্ষণীয় করে তুলছে। কারণ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা আছে; কাজাখস্তান ও সুইডেনও বিট কয়েন মাইনিংয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারপর থেকেই সস্তা বিদ্যুতের অনুসন্ধানে রয়েছে বিটকয়েন মাইনিং সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। তবে বিটকয়েনের দাম কমায় এবং গত বছর বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোর সায়েন্টিফিক এবং কম্পিউট নর্থের মতো মাইনিং কোম্পানি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আবেদনও করেছে।
আর্থিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান লুক্সরের বিটকয়েন মাইনিং বিশ্লেষক জারান মেলেরুড বলেন, ‘ভুটানে বিটকয়েন মাইনিং হবে, এতে অবাক হওয়া কিছু নেই। কারণ দেশটিতে রয়েছে টেকসই জলবিদ্যুৎ। তা ছাড়া জনসংখ্যা যেহেতু কম, তাই দেশটিতে জনপ্রতি বিদ্যুতের চাহিদা আমেরিকার মতো উন্নত দেশের সমান। তাই এমন সস্তা ও আটকে থাকা জলবিদ্যুৎ নিঃসন্দেহে বিটকয়েন মাইনারদের কাছে খুবই লোভনীয়। কারণ তাঁদের কাজই হলো অবমূল্যায়িত বিদ্যুৎকে বিটকয়েনে পরিণত করা।’
ভুটানের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি পর্যটন খাত করোনার কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ মহমারি ঠেকাতে প্রায় দুই বছর সীমান্ত পুরো বন্ধ রেখেছিল ভুটান। এমন পরিস্থিতিতে চীন, সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী ও ভুটানের রাজপরিবারের এক সদস্য নিয়ে গঠিত ক্লাব ‘সিঙ্গাপুর-ভুটান অ্যাসোসিয়েশন’ বিটকয়েন মাইনিং প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়ে আসে। সেই প্রস্তাবে ৭০০ কিলোওয়াট মাইনিং রিগ দিয়ে তৈরি শিপিং কনটেইনারগুলোতে ৮ লাখ ডলার পর্যন্ত ব্যয় করতে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের রাজকীয় সহায়তা এবং সস্তায় বিদ্যুৎ সরবাহের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।
তবে ভুটানের বর্তমান রাজার চাচা দাশো উগেন সেচুপ দরজি ফোর্বসকে বলেন, ‘প্রকল্পটি বর্তমানে আটকে আছে। সরকার এ ধরনের ব্যবসার জন্য বেসরকারি খাতকে অনুমোদন দেয়নি।’
সিঙ্গাপুর ভুটান অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড সদস্য হামফেরি চ্যান বলেছেন, ‘এফটিএক্সের পতন এবং স্থলবেষ্টিত দেশটিতে খনির পরিবহন ও পরিচালনার সঙ্গে লজিস্টিক সমস্যাগুলো বিনিয়োগকারীদের আগ্রহকে কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে।’
আমস্টারডামের ভ্রিজ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির গবেষক অ্যালেক্স ডি ভ্রিস বলছেন, ‘ভুটান প্রতিবছর ৭৫ শতাংশ বিদ্যুৎ রপ্তানি করে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে যখন নদীগুলো শুকিয়ে যায়, তখন দেশটিকে উলটো ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হয়। এরকম পরিস্থিতে মাইনিং যদি দীর্ঘ সময়ের বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে লগ্নি করা অর্থ তুলে আনাটাও ঝুঁকির মুখে পড়ে। মনে রাখতে হবে, মাইনিং বন্ধ মানে কিন্তু আয়ও বন্ধ থাকবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ফোর্বস থেকে অনুবাদ করেছেন তুষার পাল

কয়েক বছর ধরে গোপনে বিটকয়েন মাইনিং প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে হিমালয়ের কোলঘেঁষে থাকা ভুটান। দক্ষিণ এশিয়ার দেশটি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে ঠিক কতটা বিনিয়োগ করেছে, তা নিয়ে ধোয়াঁশা থাকলেও প্রকল্প নিয়ে কয়েক বছর ধরেই আগাচ্ছে। আর এ ক্ষেত্রে বিদ্যুৎ খাতকে ব্যবহার করা হচ্ছে। ২০২০ সাল থেকে বিষয়টি নিয়ে গুঞ্জন চললেও সম্প্রতি তা প্রকাশ পেয়েছে।
সম্প্রতি স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ভুটানিজকে ভুটান সরকারের এক প্রতিনিধি বলেছেন, কয়েক বছর আগে বিটকয়েনের দাম যখন ৫ হাজার ডলার ছিল, তখন সংগ্রহ শুরু করেছিল সরকার। ঠিক কবে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। ওই সূত্রের তথ্য ঠিক হলে ২০১৯ সালে প্রকল্পটি শুরু হয়, কারণ ওই বছর বিটকয়েনের এই দাম ছিল।
বিটকয়েন মাইনিং নতুন বিটকয়েন সৃষ্টির প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ডিজিটাল মুদ্রাটির বিনিময়কে যাচাই করে এমন মারাত্মক জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করা হয়। এই ধাঁধার যিনি সমাধান করেন, তাঁকে মাইনার বলা হয়। মাইনারদের মধ্যে যিনি সবার আগে সমাধান করবেন, তাঁকে পুরস্কার হিসেবে বিটকয়েন ও ফি দেওয়া হবে।
বিটকয়েন মাইনিংয়ের এই প্রকল্পে সাবেক চীনা কোটিপতি উ জিহান প্রতিষ্ঠিত সিঙ্গাপুরভিত্তিক বিশ্বের বৃহত্তম মাইনিং কোম্পানি বিটডিয়ারের সঙ্গেও কাজ করছে ভুটান। এ বছর এপ্রিলের এই কোম্পানি ১১০ কোটি ডলার জমা দিয়ে নিউইয়র্কভিত্তিক স্টক মার্কেট নাসডাকের তালিকাভুক্ত হয়।
গত ১৯ এপ্রিল বিনিয়োগকারীদের জন্য প্রতিষ্ঠানটির প্রকাশিত তথ্যে দেখা যায়, তারা ভুটানে বিটকয়েন মাইনিং ডেটা সেন্টার তৈরির পরিকল্পনা করছে, যা বাস্তবায়ন করতে ১০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হবে। চলতি অর্থবছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে ডেটা সেন্টারটির নির্মাণ শুরু হবে এবং শেষ হবে ২০২৪ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এটির মালিক কে হবে তা নির্দিষ্ট করে জানানো হয়নি। এসব বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে, বিটডিয়ার ও ভুটান সরকার কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
ভুটানের সরকারি তথ্য থেকেও বিটকয়েন মাইনিং কার্যক্রমের ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছিল। স্থলবেষ্টিত এ দেশের বাণিজ্যে সাধারণত প্রভাব ফেলে পেট্রোল, ইস্পাত এবং চালের বাজার। কিন্তু শুল্ক বিভাগের তথ্যে দেখা যাচ্ছে, ২০২১ ও ২০২২ সালে কোটি কোটি ডলার খরচ করে দেশটি সবচেয়ে বেশি আমদানি করেছে কম্পিউটার চিপ। এর মধ্যে ২০২২ সালে ১৪ কোটি ২০ লাখ ডলারের কম্পিউটার চিপ আমদানি করা হয়, যা দেশটির বাজেটের প্রায় ১৫ শতাংশ। এর আগের দুই বছরে এই সংখ্যা ছিল যথাক্রমে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলার ও ১১ লাখ ডলার।
বিটকয়েন ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরা বলছেন, এমন আকাশছোঁয়া দামে শুধু ২০২১ সালে যে পরিমাণ কম্পিউটার চিপ আমদানি করেছে দেশটি, তাতে কয়েকটি ফুটবল মাঠের সমান ডেটাসেন্টার নির্মাণ করা সম্ভব। কম্পিউটার চিপের এমন আকাশচুম্বী অমদানির কারণে দেশটিতে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দেয় এবং রাষ্ট্রীয় কোষাগারের বৈদেশিক মুদ্রার মজুতেও টান পড়ে। এসব ঘটনা থেকে স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছিল, দেশটি গোপনে কোনো বৃহৎ প্রকল্পে বিনিয়োগ করছে।
বেশ কয়েক বছর আগে ক্রিপ্টো পোর্টফোলিও তৈরি করতে কোটি কোটি ডলার গোপনে বিনিয়োগ করেছিল ড্রাক হোল্ডিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট নামে ভুটানের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানি। ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ব্লকফাই এবং সেলসিয়াসের অসাবধানতার কারণে বিষয়টি তখন জানাজানি হয়ে যায়। তবে ‘গোপনীয়তার’ কথা বলে এ নিয়ে মুখ খোলেনি ড্রাক। বার্ষিক প্রতিবেদনও একই অজুহাতে প্রতিষ্ঠানটির ডিজিটাল সম্পদ, ক্রিপ্টো পোর্টফোলিও বা বিটকয়েন মাইনিং নিয়ে কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ২০২১ সালে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক হতে পারে ভেবে ব্লকচেইনে আগ্রহী হয়ে উঠে ভুটান। তখন ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবসার অন্যতম শীর্ষ সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রিপলের সঙ্গে বিনিময়ের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে ‘ডিজিটাল মুদ্রার’ প্রচলন করে দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংক। কিন্তু এসব উদ্যোগের কথা সব সময় গোপন রাখা হয়েছে।
হিমালয়ের হিমবাহ থেকে সৃষ্ট নদীগুলো থেকে প্রচুর জলবিদ্যুৎ উৎপাদন করতে পারে দেশটি। অর্থনীতির অন্যতম চালিকাশক্তিও বিদ্যুৎ খাত। ৮ লাখ মানুষের ঘরে বিদ্যুৎ সরবরাহের পাশাপাশি মোট দেশজ উৎপাদনেরও (জিডিপি) প্রায় ৩০ শতাংশ এখাত থেকে অর্জন করে দেশটি। এখন বিটকয়েন মাইনিংয়ের জন্য জটিল গাণিতিক সমস্যার সমাধান করতে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোকে কাজে লাগিয়ে ডেটা সেন্টার তৈরি করতে চাইছে তারা। এটি হলে এল সালভাদরের পর ভুটান হবে বিটকয়েন স্বীকৃতিদাতা দ্বিতীয় দেশ।
কিন্তু প্রশ্ন হলো কেন বিটকয়েন বা ক্রিপ্টোকারেন্সির দিকে ঝুঁকছে ভুটান। সবচেয়ে সম্ভাব্য উত্তর, মহামারী পরবর্তী অর্থনৈতিক মন্দার পরে রাজস্ব ঘাটতি পূরণ। স্বল্প জনসংখ্যা ও টেকসই জলবিদ্যুৎ ক্ষমতাও বিটকয়েন মাইনিং কোম্পানিগুলোর কাছে দেশটিকে আকর্ষণীয় করে তুলছে। কারণ ক্রিপ্টোকারেন্সিতে চীনের নিষেধাজ্ঞা আছে; কাজাখস্তান ও সুইডেনও বিট কয়েন মাইনিংয়ে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। তারপর থেকেই সস্তা বিদ্যুতের অনুসন্ধানে রয়েছে বিটকয়েন মাইনিং সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলো। তবে বিটকয়েনের দাম কমায় এবং গত বছর বিদ্যুতের দাম বেড়ে যাওয়ায় কোর সায়েন্টিফিক এবং কম্পিউট নর্থের মতো মাইনিং কোম্পানি নিজেদের দেউলিয়া ঘোষণার জন্য আবেদনও করেছে।
আর্থিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান লুক্সরের বিটকয়েন মাইনিং বিশ্লেষক জারান মেলেরুড বলেন, ‘ভুটানে বিটকয়েন মাইনিং হবে, এতে অবাক হওয়া কিছু নেই। কারণ দেশটিতে রয়েছে টেকসই জলবিদ্যুৎ। তা ছাড়া জনসংখ্যা যেহেতু কম, তাই দেশটিতে জনপ্রতি বিদ্যুতের চাহিদা আমেরিকার মতো উন্নত দেশের সমান। তাই এমন সস্তা ও আটকে থাকা জলবিদ্যুৎ নিঃসন্দেহে বিটকয়েন মাইনারদের কাছে খুবই লোভনীয়। কারণ তাঁদের কাজই হলো অবমূল্যায়িত বিদ্যুৎকে বিটকয়েনে পরিণত করা।’
ভুটানের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি পর্যটন খাত করোনার কারণে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কারণ মহমারি ঠেকাতে প্রায় দুই বছর সীমান্ত পুরো বন্ধ রেখেছিল ভুটান। এমন পরিস্থিতিতে চীন, সিঙ্গাপুরের ব্যবসায়ী ও ভুটানের রাজপরিবারের এক সদস্য নিয়ে গঠিত ক্লাব ‘সিঙ্গাপুর-ভুটান অ্যাসোসিয়েশন’ বিটকয়েন মাইনিং প্রকল্পের প্রস্তাব নিয়ে আসে। সেই প্রস্তাবে ৭০০ কিলোওয়াট মাইনিং রিগ দিয়ে তৈরি শিপিং কনটেইনারগুলোতে ৮ লাখ ডলার পর্যন্ত ব্যয় করতে ইচ্ছুক বিনিয়োগকারীদের রাজকীয় সহায়তা এবং সস্তায় বিদ্যুৎ সরবাহের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়।
তবে ভুটানের বর্তমান রাজার চাচা দাশো উগেন সেচুপ দরজি ফোর্বসকে বলেন, ‘প্রকল্পটি বর্তমানে আটকে আছে। সরকার এ ধরনের ব্যবসার জন্য বেসরকারি খাতকে অনুমোদন দেয়নি।’
সিঙ্গাপুর ভুটান অ্যাসোসিয়েশনের বোর্ড সদস্য হামফেরি চ্যান বলেছেন, ‘এফটিএক্সের পতন এবং স্থলবেষ্টিত দেশটিতে খনির পরিবহন ও পরিচালনার সঙ্গে লজিস্টিক সমস্যাগুলো বিনিয়োগকারীদের আগ্রহকে কিছুটা কমিয়ে দিয়েছে।’
আমস্টারডামের ভ্রিজ ইউনিভার্সিটির অর্থনীতির গবেষক অ্যালেক্স ডি ভ্রিস বলছেন, ‘ভুটান প্রতিবছর ৭৫ শতাংশ বিদ্যুৎ রপ্তানি করে। কিন্তু শুষ্ক মৌসুমে যখন নদীগুলো শুকিয়ে যায়, তখন দেশটিকে উলটো ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি করতে হয়। এরকম পরিস্থিতে মাইনিং যদি দীর্ঘ সময়ের বন্ধ রাখতে হয়, তাহলে লগ্নি করা অর্থ তুলে আনাটাও ঝুঁকির মুখে পড়ে। মনে রাখতে হবে, মাইনিং বন্ধ মানে কিন্তু আয়ও বন্ধ থাকবে।’
যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ফোর্বস থেকে অনুবাদ করেছেন তুষার পাল

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৭ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে ব্যয় করছে বাংলাদেশি রোগীরা। অথচ দেশের স্বাস্থ্যসেবার বাজার বর্তমানে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী আট বছরে আরও ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০৩৩ সালে ২৩ বিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি; মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচকেরা বলেন, অবকাঠামোর ঘাটতি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পশ্চাৎপদতা, দক্ষ মানবসম্পদের সংকট, সেবার উচ্চ ব্যয়, কার্যকর তদারকির অভাব—এসব মিলিয়েই কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন অর্জিত হয়নি। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে অর্জন থাকলেও সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। উন্নত দেশ তো দূরের কথা, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। তাঁর মতে, ইউনিভার্সেল হেলথকেয়ার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ও বিকেন্দ্রীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী। তিনি জানান, সীমিত বাজেট, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, মানের ঘাটতি, শহর-গ্রামের বৈষম্য, বাড়তি ব্যয়, দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা—এসব কারণেই স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যার ফলে তুলনামূলক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিপুলসংখ্যক রোগী বিদেশমুখী হওয়ায় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে কাঠামোগত ঘাটতি, দক্ষ জনবলস্বল্পতা, অনুমোদনহীন ক্লিনিক-ফার্মেসির বিস্তার, ভুল রোগনির্ণয়, ভুয়া ওষুধ এবং আইন প্রয়োগের দুর্বলতা জনস্বাস্থ্য আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্বাস্থ্যবিমা কার্যকর না হওয়ায় ৭৪ শতাংশ ব্যয় রোগীকেই বহন করতে হয়, যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য বড় ঝুঁকি।
নির্ধারিত আলোচনায় অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক সরকারি হাসপাতালের মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ জরুরি বলে মনে করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেলের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী স্বাস্থ্য খাতে আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় ও পিপিপি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে ব্যয় করছে বাংলাদেশি রোগীরা। অথচ দেশের স্বাস্থ্যসেবার বাজার বর্তমানে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী আট বছরে আরও ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০৩৩ সালে ২৩ বিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি; মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচকেরা বলেন, অবকাঠামোর ঘাটতি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পশ্চাৎপদতা, দক্ষ মানবসম্পদের সংকট, সেবার উচ্চ ব্যয়, কার্যকর তদারকির অভাব—এসব মিলিয়েই কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন অর্জিত হয়নি। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে অর্জন থাকলেও সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। উন্নত দেশ তো দূরের কথা, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। তাঁর মতে, ইউনিভার্সেল হেলথকেয়ার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ও বিকেন্দ্রীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী। তিনি জানান, সীমিত বাজেট, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, মানের ঘাটতি, শহর-গ্রামের বৈষম্য, বাড়তি ব্যয়, দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা—এসব কারণেই স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যার ফলে তুলনামূলক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিপুলসংখ্যক রোগী বিদেশমুখী হওয়ায় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে কাঠামোগত ঘাটতি, দক্ষ জনবলস্বল্পতা, অনুমোদনহীন ক্লিনিক-ফার্মেসির বিস্তার, ভুল রোগনির্ণয়, ভুয়া ওষুধ এবং আইন প্রয়োগের দুর্বলতা জনস্বাস্থ্য আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্বাস্থ্যবিমা কার্যকর না হওয়ায় ৭৪ শতাংশ ব্যয় রোগীকেই বহন করতে হয়, যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য বড় ঝুঁকি।
নির্ধারিত আলোচনায় অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক সরকারি হাসপাতালের মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ জরুরি বলে মনে করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেলের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী স্বাস্থ্য খাতে আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় ও পিপিপি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

কয়েক বছর আগেই রাষ্ট্রীয়ভাবে বিটকয়েন মাইনিংয়ের প্রকল্পে হাতে নিয়েছে ভুটান। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের সঠিক তথ্য নিয়ে রহস্য তৈরি হওয়ায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। তবে ২০২০ সাল থেকে ভেতরে-ভেতরে কথা চললেও এই প্রকল্পের কথা চলতি সপ্তাহের আগপর্যন্ত কখনোই খোলাসা করা হয়নি। ভুটানে বিটকয়েন তৈর
০৫ মে ২০২৩
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা। বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীতে গতকাল শনিবার জমে ওঠে বছরের বড় হাট।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বসা এই বাজারে এদিন প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। চাহিদা বাড়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ফুলের সরবরাহ ও কেনাবেচা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন ফুলচাষিরা।
গতকাল বাজারে সবচেয়ে বেশি এসেছে গাঁদা ফুল। মানভেদে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ২০০-৪০০ টাকায়। তবে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক কম। বিপরীতে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে অন্যান্য ফুল।
চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হয় ২, জারবেরা ১৬-১৮, গ্লাডিওলাস ১৬-২০, রজনীগন্ধা ১০-১৪, গোলাপ ৮-১০ এবং ভুট্টা ফুল প্রতিটি সর্বোচ্চ ১৫ টাকা দরে।
ফুলচাষি খালেদুর রহমান টিটু বলেন, ‘বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসের বাজার ধরার জন্য কয়েক মাস ধরে গাঁদা ফুলের পরিচর্যা করেছি। গাঁদার কাঙ্ক্ষিত দাম পাইনি, তবে অন্য ফুলের দাম ভালো থাকায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’
রজনীগন্ধার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে চাষ করা ফুল এবার ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজ ৯০০টি রজনীগন্ধা ১৪ টাকা পিস দরে বিক্রি করেছি। গতকাল ছিল ৯ টাকা। সামনে দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোর জেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ১১ ধরনের ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়। ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই চার মাসই ফুলের প্রধান মৌসুম। এ সময় অন্তত ৭-৮টি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে ঘিরে ১৫০-২০০ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার লক্ষ্য থাকে স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীদের।
গদখালী ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মঞ্জুর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে চাষিরা ফুল উৎপাদন করেন। এবার গাঁদা ফুলের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় এর দাম কম। তবে গাঁদা ছাড়া প্রায় সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে।

অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা। বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীতে গতকাল শনিবার জমে ওঠে বছরের বড় হাট।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বসা এই বাজারে এদিন প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। চাহিদা বাড়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ফুলের সরবরাহ ও কেনাবেচা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন ফুলচাষিরা।
গতকাল বাজারে সবচেয়ে বেশি এসেছে গাঁদা ফুল। মানভেদে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ২০০-৪০০ টাকায়। তবে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক কম। বিপরীতে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে অন্যান্য ফুল।
চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হয় ২, জারবেরা ১৬-১৮, গ্লাডিওলাস ১৬-২০, রজনীগন্ধা ১০-১৪, গোলাপ ৮-১০ এবং ভুট্টা ফুল প্রতিটি সর্বোচ্চ ১৫ টাকা দরে।
ফুলচাষি খালেদুর রহমান টিটু বলেন, ‘বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসের বাজার ধরার জন্য কয়েক মাস ধরে গাঁদা ফুলের পরিচর্যা করেছি। গাঁদার কাঙ্ক্ষিত দাম পাইনি, তবে অন্য ফুলের দাম ভালো থাকায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’
রজনীগন্ধার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে চাষ করা ফুল এবার ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজ ৯০০টি রজনীগন্ধা ১৪ টাকা পিস দরে বিক্রি করেছি। গতকাল ছিল ৯ টাকা। সামনে দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোর জেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ১১ ধরনের ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়। ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই চার মাসই ফুলের প্রধান মৌসুম। এ সময় অন্তত ৭-৮টি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে ঘিরে ১৫০-২০০ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার লক্ষ্য থাকে স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীদের।
গদখালী ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মঞ্জুর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে চাষিরা ফুল উৎপাদন করেন। এবার গাঁদা ফুলের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় এর দাম কম। তবে গাঁদা ছাড়া প্রায় সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে।

কয়েক বছর আগেই রাষ্ট্রীয়ভাবে বিটকয়েন মাইনিংয়ের প্রকল্পে হাতে নিয়েছে ভুটান। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের সঠিক তথ্য নিয়ে রহস্য তৈরি হওয়ায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। তবে ২০২০ সাল থেকে ভেতরে-ভেতরে কথা চললেও এই প্রকল্পের কথা চলতি সপ্তাহের আগপর্যন্ত কখনোই খোলাসা করা হয়নি। ভুটানে বিটকয়েন তৈর
০৫ মে ২০২৩
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৮ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে। তবে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে এই লেনদেনের প্রবণতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মূলত নগদ বহনের ঝুঁকি, বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্টের সুবিধা—এ সব মিলিয়েই সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে ৫১ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশিরা বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করেছিলেন ৪৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। মাত্র এক মাস পর সেপ্টেম্বরে সেই ব্যয় দাঁড়ায় ৪৯৪ কোটি ২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ বিদেশে কার্ড খরচ এক মাসে বেড়েছে ৫১ কোটি ১ লাখ টাকা।
তথ্য বলছে, বিদেশে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে—৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা। থাইল্যান্ডে খরচ হয়েছে ৫৯ কোটি ৯ লাখ এবং যুক্তরাজ্যে ৫৪ কোটি ১ লাখ টাকা। সিঙ্গাপুরে ব্যয় ৪০ কোটি ৪ লাখ, মালয়েশিয়ায় ৩৪ কোটি, ভারতে ৩২ কোটি ৩ লাখ, নেদারল্যান্ডসে ২৫ কোটি, সৌদি আরবে ২৪ কোটি, কানাডায় ২১ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ১৭ কোটি এবং আয়ারল্যান্ডে ১৬ কোটি টাকা। চীনে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অন্যান্য দেশে মোট খরচ ৯২ কোটি টাকার বেশি।
অন্যদিকে, বিদেশিরাও বাংলাদেশে এসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কত খরচ করে থাকেন। আগস্টে বিদেশিদের ব্যয় ছিল ১৮৩ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা সেপ্টেম্বরে সামান্য কমে দাঁড়ায় ১৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসে তাঁদের কার্ডব্যয় কমেছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। বিদেশিদের মধ্যেও বাংলাদেশে এসে সর্বোচ্চ খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা—৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। যুক্তরাজ্য ও ভারতের নাগরিকদের ব্যয় ছিল ১৭ কোটি টাকা করে।
এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, নগদ বহনের চেয়ে মানুষ কার্ডে লেনদেনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিদেশ ভ্রমণে এটি সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন পদ্ধতি। সাম্প্রতিক সময়ে চীনে যাত্রীপ্রবাহ রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে—তাই সে দেশে কার্ড ব্যয়েও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দৈনন্দিন খরচ, বেতন-ভাতা গ্রহণ এবং নগদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ডেবিট কার্ড। তুলনামূলকভাবে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা কম হলেও এর ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে এবং তা মূলত শহরকেন্দ্রিক। শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ক্রেডিট কার্ড এখন একটি স্বাভাবিক ব্যয়ের মাধ্যম হয়ে উঠছে। একইভাবে প্রি-পেইড কার্ডের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে—গত পাঁচ বছরে যার প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৬ গুণ।
বর্তমানে দেশের ৫৬টি ব্যাংক ও ১টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি) কার্ড সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ৪৮টি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, দ্বৈত মুদ্রার ডেবিট কার্ড এবং প্রি-পেইড কার্ড—এই তিন ধরনের সেবা পরিচালনা করে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, সামগ্রিকভাবে মানুষ নগদের চেয়ে কার্ডে লেনদেনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাঁর ভাষায়, আঞ্চলিক কূটনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতিও ক্রস-বর্ডার কার্ড ব্যবহারে প্রভাব ফেলছে।
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে। তবে বিদেশে বাংলাদেশিদের ক্রেডিট কার্ডে এই লেনদেনের প্রবণতা আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। মূলত নগদ বহনের ঝুঁকি, বিদেশি মুদ্রা ব্যবস্থাপনা এবং আন্তর্জাতিক পেমেন্টের সুবিধা—এ সব মিলিয়েই সাম্প্রতিক সময়ে নিত্যনতুন রেকর্ড হচ্ছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রকাশিত সর্বশেষ পরিসংখ্যান বলছে, আগস্ট থেকে সেপ্টেম্বরে মাত্র এক মাসের ব্যবধানে বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যয়ের পরিমাণ বেড়েছে ৫১ কোটি টাকা।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৫ সালের আগস্টে বাংলাদেশিরা বিদেশে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে খরচ করেছিলেন ৪৪৩ কোটি ৩ লাখ টাকা। মাত্র এক মাস পর সেপ্টেম্বরে সেই ব্যয় দাঁড়ায় ৪৯৪ কোটি ২ লাখ টাকায়। অর্থাৎ বিদেশে কার্ড খরচ এক মাসে বেড়েছে ৫১ কোটি ১ লাখ টাকা।
তথ্য বলছে, বিদেশে বাংলাদেশিদের সর্বোচ্চ ক্রেডিট কার্ডে খরচ হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে—৭০ কোটি ৯ লাখ টাকা। থাইল্যান্ডে খরচ হয়েছে ৫৯ কোটি ৯ লাখ এবং যুক্তরাজ্যে ৫৪ কোটি ১ লাখ টাকা। সিঙ্গাপুরে ব্যয় ৪০ কোটি ৪ লাখ, মালয়েশিয়ায় ৩৪ কোটি, ভারতে ৩২ কোটি ৩ লাখ, নেদারল্যান্ডসে ২৫ কোটি, সৌদি আরবে ২৪ কোটি, কানাডায় ২১ কোটি, অস্ট্রেলিয়ায় ১৭ কোটি এবং আয়ারল্যান্ডে ১৬ কোটি টাকা। চীনে ব্যয় হয়েছে ১৫ কোটি টাকা। অন্যান্য দেশে মোট খরচ ৯২ কোটি টাকার বেশি।
অন্যদিকে, বিদেশিরাও বাংলাদেশে এসে ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে কত খরচ করে থাকেন। আগস্টে বিদেশিদের ব্যয় ছিল ১৮৩ কোটি ৫ লাখ টাকা, যা সেপ্টেম্বরে সামান্য কমে দাঁড়ায় ১৭৫ কোটি ৯ লাখ টাকায়। অর্থাৎ এক মাসে তাঁদের কার্ডব্যয় কমেছে প্রায় ৮ কোটি টাকা। বিদেশিদের মধ্যেও বাংলাদেশে এসে সর্বোচ্চ খরচ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকেরা—৩৮ কোটি ৬ লাখ টাকা। যুক্তরাজ্য ও ভারতের নাগরিকদের ব্যয় ছিল ১৭ কোটি টাকা করে।
এ নিয়ে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ ড. জাহিদ হোসেন বলেন, নগদ বহনের চেয়ে মানুষ কার্ডে লেনদেনে বেশি স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। বিদেশ ভ্রমণে এটি সবচেয়ে সহজ, নিরাপদ ও ঝুঁকিহীন পদ্ধতি। সাম্প্রতিক সময়ে চীনে যাত্রীপ্রবাহ রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে—তাই সে দেশে কার্ড ব্যয়েও রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
ব্যাংক খাতসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, দৈনন্দিন খরচ, বেতন-ভাতা গ্রহণ এবং নগদ উত্তোলনের ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের কাছে এখনো সবচেয়ে জনপ্রিয় মাধ্যম ডেবিট কার্ড। তুলনামূলকভাবে ক্রেডিট কার্ডের সংখ্যা কম হলেও এর ব্যবহার দ্রুত বাড়ছে এবং তা মূলত শহরকেন্দ্রিক। শহুরে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত শ্রেণির মধ্যে ক্রেডিট কার্ড এখন একটি স্বাভাবিক ব্যয়ের মাধ্যম হয়ে উঠছে। একইভাবে প্রি-পেইড কার্ডের ব্যবহারও উল্লেখযোগ্য গতিতে বৃদ্ধি পেয়েছে—গত পাঁচ বছরে যার প্রবৃদ্ধি প্রায় ১৬ গুণ।
বর্তমানে দেশের ৫৬টি ব্যাংক ও ১টি ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান (এনবিএফসি) কার্ড সেবা দিচ্ছে। এর মধ্যে ৪৮টি ব্যাংক ক্রেডিট কার্ড, দ্বৈত মুদ্রার ডেবিট কার্ড এবং প্রি-পেইড কার্ড—এই তিন ধরনের সেবা পরিচালনা করে।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, সামগ্রিকভাবে মানুষ নগদের চেয়ে কার্ডে লেনদেনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। তাঁর ভাষায়, আঞ্চলিক কূটনীতি ও বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতিও ক্রস-বর্ডার কার্ড ব্যবহারে প্রভাব ফেলছে।

কয়েক বছর আগেই রাষ্ট্রীয়ভাবে বিটকয়েন মাইনিংয়ের প্রকল্পে হাতে নিয়েছে ভুটান। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের সঠিক তথ্য নিয়ে রহস্য তৈরি হওয়ায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। তবে ২০২০ সাল থেকে ভেতরে-ভেতরে কথা চললেও এই প্রকল্পের কথা চলতি সপ্তাহের আগপর্যন্ত কখনোই খোলাসা করা হয়নি। ভুটানে বিটকয়েন তৈর
০৫ মে ২০২৩
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৭ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
১৩ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে তামার দাম ইতিমধ্যে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পথে। গত শুক্রবার প্রতি টন তামার দাম ১১ হাজার ৯৫২ ডলার উঠে যায়।
উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কারণে তামা ডেটা সেন্টার, বৈদ্যুতিক যান, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর জন্য অপরিহার্য কাঁচামাল। বিশ্বজুড়ে ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে বিপুল বিনিয়োগ তামার চাহিদাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
বেঞ্চমার্ক মিনারেল ইনটেলিজেন্সের বিশ্লেষক দান ডে ইয়ং বলেন, এআই খাতকে কেন্দ্র করে যাঁরা বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা এমন পণ্য বেছে নিচ্ছেন, যেখানে ডেটা সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত। ফলে তামাভিত্তিক ইটিএফসহ সংশ্লিষ্ট সম্পদে বিনিয়োগ বাড়ছে।
এ প্রবণতার অংশ হিসেবে কানাডার স্প্রট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের প্রথম বাস্তব তামাসমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালু করে। প্রায় ১০ হাজার টন তামা সংরক্ষিত এই তহবিলের ইউনিট মূল্য চলতি বছরে ৪৬ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১৪ কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছেছে।
রয়টার্সের এক জরিপে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে বৈশ্বিক তামার বাজারে ১ লাখ ২৪ হাজার টন এবং আগামী বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ম্যাকোয়ারির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বে তামার চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা দেশ চীনে চাহিদা বাড়বে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, আর চীনের বাইরে আগামী বছর চাহিদা বাড়তে পারে ৩ শতাংশ।
ম্যাকোয়ারির বিশ্লেষক অ্যালিস ফক্স বলেন, কঠোর সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে বাজারে যে আলোচনা চলছে, সেটিই তামার দামে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করছে।
সরবরাহ সংকটের পেছনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ফ্রিপোর্ট ম্যাকমোরানের গ্রাসবার্গ খনিতে দুর্ঘটনা, গ্লেনকোরসহ বড় খনি কোম্পানির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমেক্স ও সাংহাই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে মোট তামার মজুত চলতি বছরে ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৬ লাখ ৬১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। তবে এর বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাচ্ছে।
কমেক্সে তামার মজুত রেকর্ড ৪ লাখ ৫ হাজার ৭৮২ টনে পৌঁছেছে, যা মোট বৈশ্বিক এক্সচেঞ্জ মজুতের ৬১ শতাংশ। বছরের শুরুতে যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) চালিত ডেটা সেন্টারগুলোর ক্রমবর্ধমান চাহিদা এবং বৈশ্বিক সরবরাহ সংকটের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে তামার দাম দ্রুত বেড়ে প্রতি টন প্রায় ১২ হাজার ডলারে পৌঁছেছে। যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে তামার ঘাটতি পরিস্থিতিকে আরও ঘনীভূত করেছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি বছরে তামার দাম ইতিমধ্যে ৩৫ শতাংশ বেড়েছে, যা ২০০৯ সালের পর সর্বোচ্চ বার্ষিক প্রবৃদ্ধির পথে। গত শুক্রবার প্রতি টন তামার দাম ১১ হাজার ৯৫২ ডলার উঠে যায়।
উচ্চ বিদ্যুৎ পরিবাহিতার কারণে তামা ডেটা সেন্টার, বৈদ্যুতিক যান, বিদ্যুৎ গ্রিড এবং জ্বালানি রূপান্তর অবকাঠামোর জন্য অপরিহার্য কাঁচামাল। বিশ্বজুড়ে ডেটা সেন্টার সম্প্রসারণ ও পরিচ্ছন্ন জ্বালানিতে বিপুল বিনিয়োগ তামার চাহিদাকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাচ্ছে।
বেঞ্চমার্ক মিনারেল ইনটেলিজেন্সের বিশ্লেষক দান ডে ইয়ং বলেন, এআই খাতকে কেন্দ্র করে যাঁরা বিনিয়োগ করছেন, তাঁরা এমন পণ্য বেছে নিচ্ছেন, যেখানে ডেটা সেন্টারের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল অন্তর্ভুক্ত। ফলে তামাভিত্তিক ইটিএফসহ সংশ্লিষ্ট সম্পদে বিনিয়োগ বাড়ছে।
এ প্রবণতার অংশ হিসেবে কানাডার স্প্রট অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট ২০২৪ সালের মাঝামাঝি বিশ্বের প্রথম বাস্তব তামাসমর্থিত এক্সচেঞ্জ ট্রেডেড ফান্ড (ইটিএফ) চালু করে। প্রায় ১০ হাজার টন তামা সংরক্ষিত এই তহবিলের ইউনিট মূল্য চলতি বছরে ৪৬ শতাংশ বেড়ে প্রায় ১৪ কানাডিয়ান ডলারে পৌঁছেছে।
রয়টার্সের এক জরিপে বিশ্লেষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছরে বৈশ্বিক তামার বাজারে ১ লাখ ২৪ হাজার টন এবং আগামী বছরে ১ লাখ ৫০ হাজার টনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে।
অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং ও আর্থিক পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থা ম্যাকোয়ারির পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছরে বিশ্বে তামার চাহিদা দাঁড়াবে প্রায় ২ কোটি ৭০ লাখ টনে, যা আগের বছরের তুলনায় ২ দশমিক ৭ শতাংশ বেশি। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভোক্তা দেশ চীনে চাহিদা বাড়বে ৩ দশমিক ৭ শতাংশ, আর চীনের বাইরে আগামী বছর চাহিদা বাড়তে পারে ৩ শতাংশ।
ম্যাকোয়ারির বিশ্লেষক অ্যালিস ফক্স বলেন, কঠোর সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে বাজারে যে আলোচনা চলছে, সেটিই তামার দামে ঊর্ধ্বমুখী চাপ সৃষ্টি করছে।
সরবরাহ সংকটের পেছনে রয়েছে ইন্দোনেশিয়ায় ফ্রিপোর্ট ম্যাকমোরানের গ্রাসবার্গ খনিতে দুর্ঘটনা, গ্লেনকোরসহ বড় খনি কোম্পানির উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা কমানোর সিদ্ধান্ত।
লন্ডন মেটাল এক্সচেঞ্জ, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কমেক্স ও সাংহাই ফিউচার্স এক্সচেঞ্জে মোট তামার মজুত চলতি বছরে ৫৪ শতাংশ বেড়ে ৬ লাখ ৬১ হাজার টনে দাঁড়িয়েছে। তবে এর বড় অংশ যুক্তরাষ্ট্রে চলে যাচ্ছে।
কমেক্সে তামার মজুত রেকর্ড ৪ লাখ ৫ হাজার ৭৮২ টনে পৌঁছেছে, যা মোট বৈশ্বিক এক্সচেঞ্জ মজুতের ৬১ শতাংশ। বছরের শুরুতে যা ছিল মাত্র ২০ শতাংশ।

কয়েক বছর আগেই রাষ্ট্রীয়ভাবে বিটকয়েন মাইনিংয়ের প্রকল্পে হাতে নিয়েছে ভুটান। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগের সঠিক তথ্য নিয়ে রহস্য তৈরি হওয়ায় এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটি। তবে ২০২০ সাল থেকে ভেতরে-ভেতরে কথা চললেও এই প্রকল্পের কথা চলতি সপ্তাহের আগপর্যন্ত কখনোই খোলাসা করা হয়নি। ভুটানে বিটকয়েন তৈর
০৫ মে ২০২৩
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৭ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৭ ঘণ্টা আগে
দেশের ভেতরে ও বাইরে উভয় ক্ষেত্রেই আর্থিক খাতে নগদ লেনদেন ক্রমেই কমে আসছে; তার জায়গা দখল করছে প্লাস্টিক মানি। অভ্যন্তরীণ পেমেন্ট থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক সফর, অনলাইন কেনাকাটা, ব্যবসায়িক খরচ কিংবা জীবনযাত্রার প্রয়োজন—সব ক্ষেত্রেই এখন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারের মাধ্যমে লেনদেন বাড়ছে।
৮ ঘণ্টা আগে