রোকন উদ্দীন, ঢাকা

রমজান মাসে দেশে ইফতার-সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ খেজুর। ধর্মীয় রীতির প্রতি সম্মান জানিয়ে অধিকাংশ রোজাদার খেজুর দিয়ে ইফতার করেন। এটি শুধু ধর্মীয় গুরুত্বই বহন করে না; বরং পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ, যা সারা দিন সিয়াম শেষে খেলে শরীরে জোগায় তাৎক্ষণিক শক্তি। সাহ্রিতেও অনেকে দু-চারটি খেজুর খেয়ে দিনের প্রস্তুতি নেন।
সারা বছর খেজুরের কমবেশি কদর থাকলেও প্রতিবছর রমজান এলেই এর চাহিদা একলাফে বাড়ে কয়েক গুণ। অথচ সে অনুযায়ী দেশে মেলে না সরবরাহ। দেশে উৎপাদিত না হওয়ার বিপরীতে সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভরতাই এর অন্যতম কারণ। এ ছাড়া আমদানিতে উচ্চ হারের ট্যারিফ ভ্যালু আরোপ এবং ত্রুটিপূর্ণ বাজার ব্যবস্থাপনা খেজুরের সরবরাহ-সংকট এবং দামে অস্বাভাবিকতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় খেজুরের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছে বেশির ভাগ মানুষ। অন্যবারের মতো এবারও বদলায়নি পরিস্থিতি। বড় শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, এ বছর আমদানিও অস্বাভাবিক কমে গেছে; যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আসন্ন রমজানেও।
আমদানি কমায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা
দেশে খেজুরের চাহিদা ১ লাখ টন। এর মধ্যে ৬৫-৭০ শতাংশই প্রয়োজন হয় রমজানে। বাকি মাসগুলোয় গড়ে খেজুর খাওয়া হয় ২ হাজার ৭২৭ টন করে। কাস্টমসের তথ্যমতে, ক্রমান্বয়ে খেজুরের আমদানি কমছে। ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৮৮ হাজার ৫৬৭ টন আমদানি হলেও ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ৫১৫ টনে, যা প্রায় ২২ শতাংশ কম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ৮০ হাজার ৯১০ টন।
এর বিপরীতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) আমদানি হয়েছে মাত্র ২৮৯ টন। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে আমদানি হয়েছে মাত্র ৭২ দশমিক ২৫ টন। এই অবস্থায় চাহিদার বিপরীতে খেজুরের মজুত এখন তলানিতে। রমজানের বাকি প্রায় সাড়ে তিন মাস। এই সময়ে ৭০ হাজার খেজুরের প্রয়োজন হলেও এখনো বড় পরিসরে আমদানি শুরু হয়নি। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এবার আমদানি থেকে দূরেই থাকছে। কিছু মালিক পলাতক, কেউ কেউ হয়েছেন গ্রেপ্তার। বাকিদের আমদানি খতিয়ান খুবই নগণ্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে খেজুর আমদানির তথ্য মেলেনি। অক্টোবরের চিত্রও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অগ্রগতির মধ্যে গত সপ্তাহে রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে, সেগুলোর আমদানি সহজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক খেজুরসহ সংশ্লিষ্ট পণ্যে নগদ মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ব্যস, এতটুকুই। যদিও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, সরকারি পর্যায়ে ১ হাজার ৫৬০ টন খেজুর আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, চলতি বছর নানা কারণে খেজুর আমদানি কমে যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা না নিলে রমজানে খেজুর নিয়ে হাহাকার হতে পারে।
চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জান্নাত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর হলো খেজুর উৎপাদনের মৌসুম। অন্যান্য বছর আগে থেকেই আমদানি হতো। এ বছর তা হয়নি।

শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমদানি শুল্ক ও ট্যারিফ ভ্যালু বাড়ার কারণে খেজুরের বাজারে ব্যাপক চাপ পড়েছে, যা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কাস্টমস তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে খেজুরের ট্যারিফ ভ্যালু ছিল প্রতি টন ৬০০ ডলার, যার ভিত্তিতে শুল্ক ছিল ১০ শতাংশ। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে শুল্কহার ৫৮.৬০ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা আরও বাড়িয়ে ৬৩.৬০ শতাংশ করা হয়েছে। বর্তমানে খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ শুল্ক, ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, ৫ শতাংশ অগ্রিম করসহ অন্যান্য চার্জ যোগ হয়ে চূড়ান্ত শুল্কহার খুব বেশি হয়ে গেছে।
ট্যারিফ ভ্যালুর জটিলতা
উচ্চ হারের ট্যারিফ বসানোর পর আমদানি আরও কমে গেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খেজুরের ট্যারিফ ভ্যালু চারটি স্ল্যাবে ভাগ হয়েছে। এতে নিম্নমানের প্রতি টন খেজুরের ওপর ট্যারিফ ভ্যালু আরোপ করা হয় ১ হাজার ডলার। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম মাত্র ৪৫০-৫০০ ডলার। প্রতি টন ভালো মানের খেজুর ৮০০-১২০০ ডলারে পাওয়া গেলেও দেশে এর ট্যারিফ ভ্যালু বসানো হয়েছে ২ হাজার ৫০০ ডলার। একইভাবে সেরা মানের প্রতি টন খেজুরের ওপর ৪ হাজার ডলার ট্যারিফ ভ্যালু ধার্য করা হয়, যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম সেই ২ হাজার ৫০০ ডলারের মধ্যে। অপরদিকে মাঝারি মানের প্রতি টন খেজুর ১ হাজার ৫০০ ডলারে মিললেও এর ওপর ট্যারিফ ভ্যালু ধার্য হয় ২ হাজার ৭৫০ ডলার। ফলে এক কনটেইনার
খেজুর আনতে যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪ লাখ
টাকা খরচ হতো, বর্তমানে তা বেড়ে ৪৮ লাখে পৌঁছেছে। খরচ বেশি হওয়ায় এরই মধ্যে অনেক ছোট আমদানিকারক ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে বাজারেও সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে; যার প্রভাব পড়েছে দামে।

আমদানি হয় ২৫-৩০ ধরনের খেজুর
পাইকারি বাজার বাদামতলী ঘুরে জানা যায়, জাইদী, দাবাস, মেডজুল, আজওয়া, আম্বার, মাবরুম, মাশরুক, সাফাওয়ি বা কালমি, মরিয়ম, নাগালসহ বিভিন্ন মান ও দামের ২৫-৩০ ধরনের খেজুর আমদানি হয়। এসব খেজুর ইরাক, ইরান, জর্ডান, দুবাই, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসে। এর বাইরে আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়া থেকেও আমদানি হয়।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি ক্রয় করে জাইদী, দাবাস জাতের খেজুর, যার বড় রপ্তানিকারক দেশ ইরাক। এগুলোর দাম তুলনামূলক কম। আর সামর্থ্যবানেরা আজওয়া, আম্বার, মরিয়ম ইত্যাদি খেজুর বেশি ক্রয় করে। এসব উচ্চমূল্যের খেজুরের জন্য সৌদি আরবসহ অল্প কয়েকটি আরব দেশ সুপরিচিত।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভুইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, উচ্চমূল্যের কারণে সাধারণ মানুষ অনেক আগেই খেজুরের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছে। এখন সময় থাকতেই এগুলোর শুল্ক ও কর কয়েক মাসের জন্য তুলে দিয়ে ব্যাপক আমদানির সুযোগ করে দিতে হবে। শুল্কছাড়ের সুবিধা ভোক্তারা পাচ্ছেন কি না, তা-ও কঠোর মনিটরিং করতে হবে।
বাজার পরিস্থিতি, ক্রেতারা চাপে
২০২২ সাল পর্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষ ১০০ টাকা কেজিতে খেজুর খেতে পারত; যা বর্তমান বাজারে ২৫০-৫০০ টাকার বেশি। কিন্তু পরে হঠাৎ ট্যারিফ ভ্যালুর ও শুল্ক বাড়ার কারণে দাম বাড়তেই থাকে।
টিসিবির তথ্যমতে, এক বছরের ব্যবধানে বাজারে খেজুরের দাম ৭-১৫ শতাংশ বেড়েছে। আর রমজানের সাড়ে তিন মাস আগেই খেজুরের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। উচ্চমানের খেজুর; যেমন আজওয়া, মরিয়ম, আম্বার, বর্তমানে ১২০০-১৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর ছিল ৫০০-৯০০ টাকার মধ্যে। গত রমজানের আগে খেজুরের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দাম বেঁধে দেয় সরকার। তখন অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের দাম প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদী খেজুরের দাম প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এই দামে খেজুর বাজারে মেলেনি। মালিবাগ বাজারের ক্রেতা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, খেজুর বিলাসী পণ্য নয়। দাম বাড়ায় নিম্নবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও চাপে পড়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি ও প্রস্তাব
যদি বর্তমান অবস্থায় শুল্কহার এবং ট্যারিফ ভ্যালু বহাল থাকে, তবে আগামী রমজানে খেজুরের চাহিদা পূরণে বড় সংকট তৈরি হবে। তখন পুরোনো এবং নিম্নমানের খেজুর নিয়েই কাড়াকাড়ি হতে পারে। আশঙ্কা প্রকাশ করে এরই মধ্যে আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিদ্যমান ট্যারিফ ভ্যালু কমানো এবং শুল্কহার অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছেন। তাঁরা বলছেন, সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলে তার সুফল রমজানে মিলবে না। কারণ, জাহাজীকরণের পরও বিভিন্ন সোর্স থেকে খেজুর আসতে ৬০ দিন লেগে যায়। সব মিলিয়ে আমদানির জন্য তিন মাস হাতে রাখতে হয়। মার্চের শুরুতে রমজান শুরু হলে হাতে আছে মাত্র সাড়ে তিন মাস। এ ছাড়া উৎপাদনকারী দেশগুলোতে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর খেজুরের মৌসুম থাকে। দামও কম থাকে। এ সময় আমদানি না করতে পারলে দাম বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুদ্দীন আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সরকারকে শুল্ক কমানোর এবং ট্যারিফ ভ্যালু যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার অনুরোধ করেছি। যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে রমজানে খেজুরের দাম সহনীয় রাখা সম্ভব।’
পাইকারি গরমমসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি এনায়েতুল্লাহ বলেন, ‘ট্যারিফ ভ্যালু দুই স্ল্যাবে নির্ধারণ করা উচিত। নিম্নমানের খেজুরের ক্ষেত্রে ৮০০-৯০০ ডলার এবং ভালো মানের ক্ষেত্রে ১৮০০-২০০০ ডলার হওয়া যৌক্তিক। শুল্কহার ২০ শতাংশে নামালে সরকার, ব্যবসায়ী, ক্রেতা—সবাই উপকৃত হবেন।
কী করছে সরকার
সরকারি সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রস্তাব নিয়ে তা যাচাই করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠিয়েছে। বিদ্যমান ট্যারিফ ভ্যালুকে ত্রুটিপূর্ণ এবং প্রকৃত মূল্য অপেক্ষা অনেক বেশি মনে করছে ট্যারিফ কমিশনও। এমনকি খেজুর আমদানির ওপর আরোপিত অগ্রিম ও আগাম কর যৌক্তিক নয় বলে জানানো হয়েছে। তাই সরবরাহ বৃদ্ধি এবং দাম কমাতে আরোপিত শুল্কায়ন মূল্য যৌক্তিক করা, শুল্কহারে ছাড় দেওয়া ও সমুদয় অগ্রিম প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে সরকারের কাছে।
কমিশনের উপপ্রধান (বাণিজ্য নীতি) মাহমুদুল হাসান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এতে ভোক্তা, সরকার ও ব্যবসায়ী—সবাই স্বস্তি পাবে।’
অগ্রগতি কত দূর জানতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব (শুল্ক নীতি) মুকিতুল হাসান বলেন, ‘আমরা খেজুরের শুল্ক ও শুল্কায়ন মূল্য নিয়ে এরই মধ্যে একটা পর্যালোচনাসহ খেজুরের আমদানিতে নীতিগতভাবে কী পরিমাণ ছাড় দেওয়া যায়, তার একটা সারাংশ তৈরি করা হয়েছে। দ্রুতই সরকার এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে।

রমজান মাসে দেশে ইফতার-সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ খেজুর। ধর্মীয় রীতির প্রতি সম্মান জানিয়ে অধিকাংশ রোজাদার খেজুর দিয়ে ইফতার করেন। এটি শুধু ধর্মীয় গুরুত্বই বহন করে না; বরং পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ, যা সারা দিন সিয়াম শেষে খেলে শরীরে জোগায় তাৎক্ষণিক শক্তি। সাহ্রিতেও অনেকে দু-চারটি খেজুর খেয়ে দিনের প্রস্তুতি নেন।
সারা বছর খেজুরের কমবেশি কদর থাকলেও প্রতিবছর রমজান এলেই এর চাহিদা একলাফে বাড়ে কয়েক গুণ। অথচ সে অনুযায়ী দেশে মেলে না সরবরাহ। দেশে উৎপাদিত না হওয়ার বিপরীতে সম্পূর্ণ আমদানি নির্ভরতাই এর অন্যতম কারণ। এ ছাড়া আমদানিতে উচ্চ হারের ট্যারিফ ভ্যালু আরোপ এবং ত্রুটিপূর্ণ বাজার ব্যবস্থাপনা খেজুরের সরবরাহ-সংকট এবং দামে অস্বাভাবিকতা আরও বাড়িয়ে দিচ্ছে। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোয় খেজুরের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছে বেশির ভাগ মানুষ। অন্যবারের মতো এবারও বদলায়নি পরিস্থিতি। বড় শঙ্কার বিষয় হচ্ছে, এ বছর আমদানিও অস্বাভাবিক কমে গেছে; যার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে আসন্ন রমজানেও।
আমদানি কমায় বাড়ছে দুশ্চিন্তা
দেশে খেজুরের চাহিদা ১ লাখ টন। এর মধ্যে ৬৫-৭০ শতাংশই প্রয়োজন হয় রমজানে। বাকি মাসগুলোয় গড়ে খেজুর খাওয়া হয় ২ হাজার ৭২৭ টন করে। কাস্টমসের তথ্যমতে, ক্রমান্বয়ে খেজুরের আমদানি কমছে। ২০২২ সালে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে ৮৮ হাজার ৫৬৭ টন আমদানি হলেও ২০২৩ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬৮ হাজার ৫১৫ টনে, যা প্রায় ২২ শতাংশ কম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ৮০ হাজার ৯১০ টন।
এর বিপরীতে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের তথ্য বলছে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) আমদানি হয়েছে মাত্র ২৮৯ টন। অর্থাৎ প্রতি মাসে গড়ে আমদানি হয়েছে মাত্র ৭২ দশমিক ২৫ টন। এই অবস্থায় চাহিদার বিপরীতে খেজুরের মজুত এখন তলানিতে। রমজানের বাকি প্রায় সাড়ে তিন মাস। এই সময়ে ৭০ হাজার খেজুরের প্রয়োজন হলেও এখনো বড় পরিসরে আমদানি শুরু হয়নি। পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে বড় প্রতিষ্ঠানগুলো এবার আমদানি থেকে দূরেই থাকছে। কিছু মালিক পলাতক, কেউ কেউ হয়েছেন গ্রেপ্তার। বাকিদের আমদানি খতিয়ান খুবই নগণ্য। বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিসংখ্যানে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে খেজুর আমদানির তথ্য মেলেনি। অক্টোবরের চিত্রও খুঁজে পাওয়া যায়নি। অগ্রগতির মধ্যে গত সপ্তাহে রমজানে যেসব পণ্যের চাহিদা বেশি থাকে, সেগুলোর আমদানি সহজ করতে বাংলাদেশ ব্যাংক খেজুরসহ সংশ্লিষ্ট পণ্যে নগদ মার্জিনের হার ন্যূনতম পর্যায়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছে। ব্যস, এতটুকুই। যদিও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, সরকারি পর্যায়ে ১ হাজার ৫৬০ টন খেজুর আমদানির জন্য ঋণপত্র খোলা হয়েছে।
ব্যবসায়ীদের আশঙ্কা, চলতি বছর নানা কারণে খেজুর আমদানি কমে যাবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকার দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা না নিলে রমজানে খেজুর নিয়ে হাহাকার হতে পারে।
চট্টগ্রামের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট জান্নাত এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী আবুল কালাম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, সেপ্টেম্বর-অক্টোবর হলো খেজুর উৎপাদনের মৌসুম। অন্যান্য বছর আগে থেকেই আমদানি হতো। এ বছর তা হয়নি।

শুল্ক বৃদ্ধির প্রভাব
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আমদানি শুল্ক ও ট্যারিফ ভ্যালু বাড়ার কারণে খেজুরের বাজারে ব্যাপক চাপ পড়েছে, যা নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে। কাস্টমস তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে খেজুরের ট্যারিফ ভ্যালু ছিল প্রতি টন ৬০০ ডলার, যার ভিত্তিতে শুল্ক ছিল ১০ শতাংশ। কিন্তু ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে শুল্কহার ৫৮.৬০ এবং ২০২৪-২৫ অর্থবছরে তা আরও বাড়িয়ে ৬৩.৬০ শতাংশ করা হয়েছে। বর্তমানে খেজুর আমদানিতে ২৫ শতাংশ কাস্টমস ডিউটি, ১৫ শতাংশ ভ্যাট, ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ শুল্ক, ১০ শতাংশ অগ্রিম আয়কর, ৫ শতাংশ অগ্রিম করসহ অন্যান্য চার্জ যোগ হয়ে চূড়ান্ত শুল্কহার খুব বেশি হয়ে গেছে।
ট্যারিফ ভ্যালুর জটিলতা
উচ্চ হারের ট্যারিফ বসানোর পর আমদানি আরও কমে গেছে। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে খেজুরের ট্যারিফ ভ্যালু চারটি স্ল্যাবে ভাগ হয়েছে। এতে নিম্নমানের প্রতি টন খেজুরের ওপর ট্যারিফ ভ্যালু আরোপ করা হয় ১ হাজার ডলার। অথচ আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম মাত্র ৪৫০-৫০০ ডলার। প্রতি টন ভালো মানের খেজুর ৮০০-১২০০ ডলারে পাওয়া গেলেও দেশে এর ট্যারিফ ভ্যালু বসানো হয়েছে ২ হাজার ৫০০ ডলার। একইভাবে সেরা মানের প্রতি টন খেজুরের ওপর ৪ হাজার ডলার ট্যারিফ ভ্যালু ধার্য করা হয়, যদিও আন্তর্জাতিক বাজারে এর দাম সেই ২ হাজার ৫০০ ডলারের মধ্যে। অপরদিকে মাঝারি মানের প্রতি টন খেজুর ১ হাজার ৫০০ ডলারে মিললেও এর ওপর ট্যারিফ ভ্যালু ধার্য হয় ২ হাজার ৭৫০ ডলার। ফলে এক কনটেইনার
খেজুর আনতে যেখানে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৪ লাখ
টাকা খরচ হতো, বর্তমানে তা বেড়ে ৪৮ লাখে পৌঁছেছে। খরচ বেশি হওয়ায় এরই মধ্যে অনেক ছোট আমদানিকারক ব্যবসা বন্ধ করে দিয়েছে। এতে বাজারেও সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে; যার প্রভাব পড়েছে দামে।

আমদানি হয় ২৫-৩০ ধরনের খেজুর
পাইকারি বাজার বাদামতলী ঘুরে জানা যায়, জাইদী, দাবাস, মেডজুল, আজওয়া, আম্বার, মাবরুম, মাশরুক, সাফাওয়ি বা কালমি, মরিয়ম, নাগালসহ বিভিন্ন মান ও দামের ২৫-৩০ ধরনের খেজুর আমদানি হয়। এসব খেজুর ইরাক, ইরান, জর্ডান, দুবাই, সৌদি আরবসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আসে। এর বাইরে আলজেরিয়া ও তিউনিসিয়া থেকেও আমদানি হয়।
বিক্রেতারা জানিয়েছেন, নিম্ন আয়ের মানুষ বেশি ক্রয় করে জাইদী, দাবাস জাতের খেজুর, যার বড় রপ্তানিকারক দেশ ইরাক। এগুলোর দাম তুলনামূলক কম। আর সামর্থ্যবানেরা আজওয়া, আম্বার, মরিয়ম ইত্যাদি খেজুর বেশি ক্রয় করে। এসব উচ্চমূল্যের খেজুরের জন্য সৌদি আরবসহ অল্প কয়েকটি আরব দেশ সুপরিচিত।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভুইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, উচ্চমূল্যের কারণে সাধারণ মানুষ অনেক আগেই খেজুরের ক্রয়ক্ষমতা হারিয়েছে। এখন সময় থাকতেই এগুলোর শুল্ক ও কর কয়েক মাসের জন্য তুলে দিয়ে ব্যাপক আমদানির সুযোগ করে দিতে হবে। শুল্কছাড়ের সুবিধা ভোক্তারা পাচ্ছেন কি না, তা-ও কঠোর মনিটরিং করতে হবে।
বাজার পরিস্থিতি, ক্রেতারা চাপে
২০২২ সাল পর্যন্ত নিম্ন আয়ের মানুষ ১০০ টাকা কেজিতে খেজুর খেতে পারত; যা বর্তমান বাজারে ২৫০-৫০০ টাকার বেশি। কিন্তু পরে হঠাৎ ট্যারিফ ভ্যালুর ও শুল্ক বাড়ার কারণে দাম বাড়তেই থাকে।
টিসিবির তথ্যমতে, এক বছরের ব্যবধানে বাজারে খেজুরের দাম ৭-১৫ শতাংশ বেড়েছে। আর রমজানের সাড়ে তিন মাস আগেই খেজুরের দাম কেজিতে বেড়েছে ৫০ টাকা। উচ্চমানের খেজুর; যেমন আজওয়া, মরিয়ম, আম্বার, বর্তমানে ১২০০-১৯০০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে, যা গত বছর ছিল ৫০০-৯০০ টাকার মধ্যে। গত রমজানের আগে খেজুরের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে দাম বেঁধে দেয় সরকার। তখন অতি সাধারণ ও নিম্নমানের খেজুরের দাম প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ১৬৫ টাকা এবং বহুল ব্যবহৃত জাইদী খেজুরের দাম প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকা নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এই দামে খেজুর বাজারে মেলেনি। মালিবাগ বাজারের ক্রেতা শাখাওয়াত হোসেন বলেন, খেজুর বিলাসী পণ্য নয়। দাম বাড়ায় নিম্নবিত্তের পাশাপাশি মধ্যবিত্তরাও চাপে পড়েছে।
ব্যবসায়ীদের দাবি ও প্রস্তাব
যদি বর্তমান অবস্থায় শুল্কহার এবং ট্যারিফ ভ্যালু বহাল থাকে, তবে আগামী রমজানে খেজুরের চাহিদা পূরণে বড় সংকট তৈরি হবে। তখন পুরোনো এবং নিম্নমানের খেজুর নিয়েই কাড়াকাড়ি হতে পারে। আশঙ্কা প্রকাশ করে এরই মধ্যে আমদানিকারক ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা বিদ্যমান ট্যারিফ ভ্যালু কমানো এবং শুল্কহার অর্ধেকে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করেছেন। তাঁরা বলছেন, সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হলে তার সুফল রমজানে মিলবে না। কারণ, জাহাজীকরণের পরও বিভিন্ন সোর্স থেকে খেজুর আসতে ৬০ দিন লেগে যায়। সব মিলিয়ে আমদানির জন্য তিন মাস হাতে রাখতে হয়। মার্চের শুরুতে রমজান শুরু হলে হাতে আছে মাত্র সাড়ে তিন মাস। এ ছাড়া উৎপাদনকারী দেশগুলোতে সেপ্টেম্বর-অক্টোবর খেজুরের মৌসুম থাকে। দামও কম থাকে। এ সময় আমদানি না করতে পারলে দাম বেড়ে যাবে।
বাংলাদেশ ফ্রেশ ফ্রুটস ইমপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুদ্দীন আহমদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা সরকারকে শুল্ক কমানোর এবং ট্যারিফ ভ্যালু যৌক্তিক পর্যায়ে নামিয়ে আনার অনুরোধ করেছি। যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়, তাহলে রমজানে খেজুরের দাম সহনীয় রাখা সম্ভব।’
পাইকারি গরমমসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজি এনায়েতুল্লাহ বলেন, ‘ট্যারিফ ভ্যালু দুই স্ল্যাবে নির্ধারণ করা উচিত। নিম্নমানের খেজুরের ক্ষেত্রে ৮০০-৯০০ ডলার এবং ভালো মানের ক্ষেত্রে ১৮০০-২০০০ ডলার হওয়া যৌক্তিক। শুল্কহার ২০ শতাংশে নামালে সরকার, ব্যবসায়ী, ক্রেতা—সবাই উপকৃত হবেন।
কী করছে সরকার
সরকারি সংস্থাগুলো বিষয়টি নিয়ে এরই মধ্যে আলোচনা শুরু করেছে। বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে প্রস্তাব নিয়ে তা যাচাই করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠিয়েছে। বিদ্যমান ট্যারিফ ভ্যালুকে ত্রুটিপূর্ণ এবং প্রকৃত মূল্য অপেক্ষা অনেক বেশি মনে করছে ট্যারিফ কমিশনও। এমনকি খেজুর আমদানির ওপর আরোপিত অগ্রিম ও আগাম কর যৌক্তিক নয় বলে জানানো হয়েছে। তাই সরবরাহ বৃদ্ধি এবং দাম কমাতে আরোপিত শুল্কায়ন মূল্য যৌক্তিক করা, শুল্কহারে ছাড় দেওয়া ও সমুদয় অগ্রিম প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়েছে সরকারের কাছে।
কমিশনের উপপ্রধান (বাণিজ্য নীতি) মাহমুদুল হাসান এ বিষয়ে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এতে ভোক্তা, সরকার ও ব্যবসায়ী—সবাই স্বস্তি পাবে।’
অগ্রগতি কত দূর জানতে চাইলে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) দ্বিতীয় সচিব (শুল্ক নীতি) মুকিতুল হাসান বলেন, ‘আমরা খেজুরের শুল্ক ও শুল্কায়ন মূল্য নিয়ে এরই মধ্যে একটা পর্যালোচনাসহ খেজুরের আমদানিতে নীতিগতভাবে কী পরিমাণ ছাড় দেওয়া যায়, তার একটা সারাংশ তৈরি করা হয়েছে। দ্রুতই সরকার এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেবে।

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
২৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৪০ মিনিট আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর এই শুল্ক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মানি কন্ট্রোলের খবরে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর ভারতীয় পণ্যের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপানোর জবাবে নয়াদিল্লিও জানিয়েছে, তারা নিজেদের রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষায় ‘উপযুক্ত ব্যবস্থা’ নিতে পারে। এক সরকারি কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এই কথা জানিয়েছেন।
এর আগে, এ সপ্তাহের শুরুতে মেক্সিকোর সিনেট এক নতুন শুল্ক ব্যবস্থা অনুমোদন করে, যা ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে। ভারত, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, থাইল্যান্ড এবং ইন্দোনেশিয়াসহ যেসব দেশের সঙ্গে মেক্সিকোর কোনো মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) নেই, সেসব দেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর এই শুল্ক বসানো হবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘ভারত মেক্সিকোর সঙ্গে তাদের অংশীদারত্বকে বিশেষ গুরুত্ব দেয় এবং স্থিতিশীল ও ভারসাম্যপূর্ণ এক বাণিজ্যিক পরিবেশ তৈরি করতে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করতে প্রস্তুত, যাতে দুই দেশের ব্যবসা ও সাধারণ মানুষ লাভবান হয়।’
এই শুল্কের প্রভাব কমাতে ভারত ইতিমধ্যেই মেক্সিকোর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনায় বসেছে। সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখে মেক্সিকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করে, যাতে ভারতীয় রপ্তানি সুরক্ষিত করার জন্য বিশেষ ছাড় পাওয়া যায়। ভারতীয় ওই কর্মকর্তা জানান, ‘বাণিজ্য দপ্তর মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যুক্ত হয়ে বিশ্ব বাণিজ্য নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ পারস্পরিক সুবিধাজনক সমাধান খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে।’
দুই দেশই একটি মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির জন্য আনুষ্ঠানিক আলোচনা শুরু করতে তৈরি হচ্ছে। আলোচনা শুরু করার জন্য প্রয়োজনীয় শর্তাবলি দ্রুত চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা যায়, যা ভারতীয় রপ্তানিকারকদের এই শুল্ক থেকে সুরক্ষা দিতে সাহায্য করতে পারে।
ইতিমধ্যেই বাণিজ্যসচিব রাজেশ আগরওয়াল ও মেক্সিকোর উপ-অর্থমন্ত্রী লুইস রোসেন্ডোর মধ্যে একটি উচ্চ-পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে এবং আগামী সপ্তাহগুলোতে আরও প্রযুক্তিগত আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে। ওই কর্মকর্তা আরও যোগ করেন, ‘গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে চললেও, ভারত তার রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার অধিকার নিজের হাতে রেখেছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, এই শুল্কের প্রভাব নির্ভর করবে ‘মেক্সিকোর অভ্যন্তরীণ সরবরাহ শৃঙ্খলে ভারতীয় রপ্তানির গুরুত্ব কতখানি এবং ভারতীয় কোম্পানিগুলি শুল্কের ছাড় পেতে বা এই বাড়তি খরচ মেক্সিকোর উপভোক্তাদের ওপর চাপিয়ে দিতে কতটা সক্ষম, তার ওপর।’
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রশাসনের সতর্কবার্তার পরই এই শুল্ক বাড়ানো হলো, যেখানে বলা হয়েছিল যে, সস্তায় চীনা পণ্য মেক্সিকো হয়ে আমেরিকাতে ঢুকছে। মেক্সিকো এটিকে তাদের অভ্যন্তরীণ শিল্পকে রক্ষা, চাকরি সংরক্ষণ এবং সস্তা আমদানির কারণে তৈরি হওয়া বাজারের ভারসাম্যহীনতা দূর করার পদক্ষেপ হিসেবে দেখিয়েছে। ফেডারেশন অব ইন্ডিয়ান এক্সপোর্ট অর্গানাইজেশনসের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় সাহাই বলেন, এই পদক্ষেপের ফলে অটোমোবাইল, অটো যন্ত্রাংশ, যন্ত্রপাতি, বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিকস, অরগানিক কেমিক্যাল, ওষুধ, টেক্সটাইল এবং প্লাস্টিকের মতো ক্ষেত্রগুলি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
সাহাই পিটিআইকে বলেন, ‘এত বেশি শুল্ক আমাদের প্রতিযোগিতার ক্ষমতা কমিয়ে দেবে এবং বছরের পর বছর ধরে গড়ে ওঠা সরবরাহ শৃঙ্খলে সমস্যা তৈরির ঝুঁকি বাড়াবে।’
এদিকে, ২০২৪ সালে ভারত মেক্সিকোতে ৮ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য রপ্তানি করেছিল, যেখানে মেক্সিকো থেকে আমদানি হয়েছিল ২ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলারের পণ্য। ভারত ও মেক্সিকোর মধ্যে চলমান আলোচনা, যার সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি আলোচনার সম্ভাবনাও যুক্ত, তা এই ক্রমবর্ধমান শুল্কের মুখে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে স্থিতিশীল করতে এবং ভারতীয় রপ্তানিকারকদের স্বার্থ রক্ষা করতে সাহায্য করবে বলে আশা করা যায়।

রমজান মাসে দেশে ইফতার-সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ খেজুর। ধর্মীয় রীতির প্রতি সম্মান জানিয়ে অধিকাংশ রোজাদার খেজুর দিয়ে ইফতার করেন। এটি শুধু ধর্মীয় গুরুত্বই বহন করে না; বরং পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ, যা সারা দিন সিয়াম শেষে খেলে শরীরে জোগায় তাৎক্ষণিক শক্তি। সাহ্রিতেও অনেকে দু-চারটি খেজুর খেয়ে দিনের প্রস্তুতি নেন।
১৭ নভেম্বর ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৪০ মিনিট আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
আজ রোববার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) ঊর্ধ্বতন এক সূত্র আজকের পত্রিকাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এনবিআরের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘ওসমান হাদির ওপর হামলার পর যেহেতু ফয়সাল করিম মাসুদ প্রাথমিকভাবে অভিযুক্ত, সেহেতু গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তাঁর বিভিন্ন বিষয় অনুসন্ধান করবে। আমরাও তাঁর আর্থিক কোনো অপরাধ আছে কি না, সেগুলোর অনুসন্ধান করব।’
এনবিআরের ওই জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, ‘শোনা যাচ্ছে এবং অনেক আলোচনা রয়েছে যে এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত করার জন্য এবং দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির জন্য ভারত থেকে অনেক ফান্ডিং হচ্ছে। ফলে সে বিষয়গুলো খতিয়ে দেখার জন্য মূলত হিসাবগুলো ফ্রিজ করা হয়েছে।’
জানা গেছে, ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেসের (বেসিস) সদস্য।
এর আগে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে সন্দেহভাজনের ছবি প্রকাশ করে তথ্য চাওয়া হয়েছে। পুলিশের বিবৃতিতে সন্দেহভাজন তরুণের নাম উল্লেখ করা না হলেও ছবি দেখে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ বলে আন্দাজ করা যায়। এই তরুণকেও আগে হাদির সঙ্গে দেখা গেছে। তবে কয়েক দিন ধরে হাদির সঙ্গে গণসংযোগে থাকা মাস্ক পরা তরুণই যে ‘ফয়সাল করিম মাসুদ ওরফে দাউদ খান’ এমন কোনো তথ্য পুলিশের কাছ থেকে পাওয়া যায়নি।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, ৯ ডিসেম্বর বাংলামোটর এলাকায় হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টারে গিয়ে হাদির পাশে বসে আলোচনা শুনছিলেন ফয়সাল করিম। সেই আলোচনার ছবিও ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ফয়সাল করিম নামের তরুণ কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের নিষিদ্ধঘোষিত সহযোগী সংগঠন ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। ২০১৯ সালের ১১ মে ঘোষিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিতে তিনি সদস্য হন। তাঁর পুরো নাম ফয়সাল করিম দাউদ খান।

রমজান মাসে দেশে ইফতার-সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ খেজুর। ধর্মীয় রীতির প্রতি সম্মান জানিয়ে অধিকাংশ রোজাদার খেজুর দিয়ে ইফতার করেন। এটি শুধু ধর্মীয় গুরুত্বই বহন করে না; বরং পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ, যা সারা দিন সিয়াম শেষে খেলে শরীরে জোগায় তাৎক্ষণিক শক্তি। সাহ্রিতেও অনেকে দু-চারটি খেজুর খেয়ে দিনের প্রস্তুতি নেন।
১৭ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
২৯ মিনিট আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৮ ঘণ্টা আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে ব্যয় করছে বাংলাদেশি রোগীরা। অথচ দেশের স্বাস্থ্যসেবার বাজার বর্তমানে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী আট বছরে আরও ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০৩৩ সালে ২৩ বিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি; মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচকেরা বলেন, অবকাঠামোর ঘাটতি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পশ্চাৎপদতা, দক্ষ মানবসম্পদের সংকট, সেবার উচ্চ ব্যয়, কার্যকর তদারকির অভাব—এসব মিলিয়েই কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন অর্জিত হয়নি। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে অর্জন থাকলেও সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। উন্নত দেশ তো দূরের কথা, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। তাঁর মতে, ইউনিভার্সেল হেলথকেয়ার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ও বিকেন্দ্রীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী। তিনি জানান, সীমিত বাজেট, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, মানের ঘাটতি, শহর-গ্রামের বৈষম্য, বাড়তি ব্যয়, দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা—এসব কারণেই স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যার ফলে তুলনামূলক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিপুলসংখ্যক রোগী বিদেশমুখী হওয়ায় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে কাঠামোগত ঘাটতি, দক্ষ জনবলস্বল্পতা, অনুমোদনহীন ক্লিনিক-ফার্মেসির বিস্তার, ভুল রোগনির্ণয়, ভুয়া ওষুধ এবং আইন প্রয়োগের দুর্বলতা জনস্বাস্থ্য আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্বাস্থ্যবিমা কার্যকর না হওয়ায় ৭৪ শতাংশ ব্যয় রোগীকেই বহন করতে হয়, যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য বড় ঝুঁকি।
নির্ধারিত আলোচনায় অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক সরকারি হাসপাতালের মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ জরুরি বলে মনে করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেলের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী স্বাস্থ্য খাতে আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় ও পিপিপি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত। এ কারণে প্রতিবছর প্রায় ৫ বিলিয়ন ডলার চিকিৎসার জন্য বিদেশে গিয়ে ব্যয় করছে বাংলাদেশি রোগীরা। অথচ দেশের স্বাস্থ্যসেবার বাজার বর্তমানে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার এবং আগামী আট বছরে আরও ৯ বিলিয়ন ডলার বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা ২০৩৩ সালে ২৩ বিলিয়নে উন্নীত হতে পারে।
গতকাল শনিবার ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের স্বাস্থ্যসেবা খাতে আস্থা বৃদ্ধি; মান নিয়ন্ত্রণে কৌশলগত কাঠামো নিশ্চিতকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে উপস্থাপিত মূল প্রবন্ধে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় জাতীয় অধ্যাপক ও বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি এ কে আজাদ খান প্রধান অতিথি ছিলেন।
আলোচকেরা বলেন, অবকাঠামোর ঘাটতি, নতুন প্রযুক্তি ব্যবহারে পশ্চাৎপদতা, দক্ষ মানবসম্পদের সংকট, সেবার উচ্চ ব্যয়, কার্যকর তদারকির অভাব—এসব মিলিয়েই কাঙ্ক্ষিত স্বাস্থ্য উন্নয়ন অর্জিত হয়নি। অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, কিছু ক্ষেত্রে অর্জন থাকলেও সামগ্রিকভাবে দেশের স্বাস্থ্যসেবা কাঙ্ক্ষিত মানে পৌঁছায়নি। উন্নত দেশ তো দূরের কথা, পার্শ্ববর্তী দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। তাঁর মতে, ইউনিভার্সেল হেলথকেয়ার বাস্তবায়ন বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব নয়, তবে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবায় জোর দেওয়া ছাড়া বিকল্প নেই। তিনি ব্যবস্থাপনায় উন্নয়ন ও বিকেন্দ্রীকরণের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ইউনাইটেড হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ডিসিসিআইয়ের সাবেক সহসভাপতি মালিক তালহা ইসমাইল বারী। তিনি জানান, সীমিত বাজেট, অদক্ষ ব্যবস্থাপনা, মানের ঘাটতি, শহর-গ্রামের বৈষম্য, বাড়তি ব্যয়, দুর্বল নিয়ন্ত্রণব্যবস্থা—এসব কারণেই স্বাস্থ্য খাতের চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। যার ফলে তুলনামূলক উন্নত চিকিৎসার জন্য বিপুলসংখ্যক রোগী বিদেশমুখী হওয়ায় বছরে ৫ বিলিয়ন ডলার বাইরে চলে যাচ্ছে।
ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, মানসম্মত ও রোগীবান্ধব সেবা নিশ্চিতে কাঠামোগত ঘাটতি, দক্ষ জনবলস্বল্পতা, অনুমোদনহীন ক্লিনিক-ফার্মেসির বিস্তার, ভুল রোগনির্ণয়, ভুয়া ওষুধ এবং আইন প্রয়োগের দুর্বলতা জনস্বাস্থ্য আস্থাকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। স্বাস্থ্যবিমা কার্যকর না হওয়ায় ৭৪ শতাংশ ব্যয় রোগীকেই বহন করতে হয়, যা নিম্ন ও মধ্য আয়ের মানুষের জন্য বড় ঝুঁকি।
নির্ধারিত আলোচনায় অধ্যাপক সৈয়দ আতিকুল হক সরকারি হাসপাতালের মানোন্নয়নকে সর্বোচ্চ জরুরি বলে মনে করেন। ইউনিভার্সেল মেডিকেলের চেয়ারম্যান প্রীতি চক্রবর্তী স্বাস্থ্য খাতে আস্থা পুনরুদ্ধারে সরকারি-বেসরকারি সমন্বয় ও পিপিপি ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

রমজান মাসে দেশে ইফতার-সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ খেজুর। ধর্মীয় রীতির প্রতি সম্মান জানিয়ে অধিকাংশ রোজাদার খেজুর দিয়ে ইফতার করেন। এটি শুধু ধর্মীয় গুরুত্বই বহন করে না; বরং পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ, যা সারা দিন সিয়াম শেষে খেলে শরীরে জোগায় তাৎক্ষণিক শক্তি। সাহ্রিতেও অনেকে দু-চারটি খেজুর খেয়ে দিনের প্রস্তুতি নেন।
১৭ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
২৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৪০ মিনিট আগে
অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা।
৮ ঘণ্টা আগেযশোর প্রতিনিধি

অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা। বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীতে গতকাল শনিবার জমে ওঠে বছরের বড় হাট।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বসা এই বাজারে এদিন প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। চাহিদা বাড়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ফুলের সরবরাহ ও কেনাবেচা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন ফুলচাষিরা।
গতকাল বাজারে সবচেয়ে বেশি এসেছে গাঁদা ফুল। মানভেদে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ২০০-৪০০ টাকায়। তবে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক কম। বিপরীতে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে অন্যান্য ফুল।
চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হয় ২, জারবেরা ১৬-১৮, গ্লাডিওলাস ১৬-২০, রজনীগন্ধা ১০-১৪, গোলাপ ৮-১০ এবং ভুট্টা ফুল প্রতিটি সর্বোচ্চ ১৫ টাকা দরে।
ফুলচাষি খালেদুর রহমান টিটু বলেন, ‘বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসের বাজার ধরার জন্য কয়েক মাস ধরে গাঁদা ফুলের পরিচর্যা করেছি। গাঁদার কাঙ্ক্ষিত দাম পাইনি, তবে অন্য ফুলের দাম ভালো থাকায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’
রজনীগন্ধার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে চাষ করা ফুল এবার ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজ ৯০০টি রজনীগন্ধা ১৪ টাকা পিস দরে বিক্রি করেছি। গতকাল ছিল ৯ টাকা। সামনে দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোর জেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ১১ ধরনের ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়। ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই চার মাসই ফুলের প্রধান মৌসুম। এ সময় অন্তত ৭-৮টি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে ঘিরে ১৫০-২০০ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার লক্ষ্য থাকে স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীদের।
গদখালী ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মঞ্জুর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে চাষিরা ফুল উৎপাদন করেন। এবার গাঁদা ফুলের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় এর দাম কম। তবে গাঁদা ছাড়া প্রায় সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে।

অগ্রহায়ণের শীতের সকাল। সাইকেল ও ভ্যানের ওপরে থরে থরে সাজানো রঙিন ফুলে ভরে উঠেছে যশোরের গদখালীর বাজার। গোলাপ, গাঁদা, রজনীগন্ধা, জারবেরা, গ্লাডিওলাস, চন্দ্রমল্লিকা—ফুলের ঘ্রাণ আর দরদামের হাঁকডাকে মুখর পুরো এলাকা। বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে কেন্দ্র করে ফুলের রাজধানী খ্যাত গদখালীতে গতকাল শনিবার জমে ওঠে বছরের বড় হাট।
যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পাশে বসা এই বাজারে এদিন প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। চাহিদা বাড়ায় অন্যান্য দিনের তুলনায় কয়েক গুণ বেশি ফুলের সরবরাহ ও কেনাবেচা হয়েছে। অতিবৃষ্টিতে চলতি মৌসুমে যে ক্ষতি হয়েছিল, তা কিছুটা হলেও পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন ফুলচাষিরা।
গতকাল বাজারে সবচেয়ে বেশি এসেছে গাঁদা ফুল। মানভেদে প্রতি হাজার গাঁদা ফুল বিক্রি হয়েছে ২০০-৪০০ টাকায়। তবে সরবরাহ বেশি থাকায় দাম তুলনামূলক কম। বিপরীতে চড়া দামে বিক্রি হয়েছে অন্যান্য ফুল।
চন্দ্রমল্লিকা বিক্রি হয় ২, জারবেরা ১৬-১৮, গ্লাডিওলাস ১৬-২০, রজনীগন্ধা ১০-১৪, গোলাপ ৮-১০ এবং ভুট্টা ফুল প্রতিটি সর্বোচ্চ ১৫ টাকা দরে।
ফুলচাষি খালেদুর রহমান টিটু বলেন, ‘বিজয় দিবস ও বুদ্ধিজীবী দিবসের বাজার ধরার জন্য কয়েক মাস ধরে গাঁদা ফুলের পরিচর্যা করেছি। গাঁদার কাঙ্ক্ষিত দাম পাইনি, তবে অন্য ফুলের দাম ভালো থাকায় ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নেওয়া যাবে।’
রজনীগন্ধার চাষি রফিকুল ইসলাম জানান, দুই বিঘা জমিতে চাষ করা ফুল এবার ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘আজ ৯০০টি রজনীগন্ধা ১৪ টাকা পিস দরে বিক্রি করেছি। গতকাল ছিল ৯ টাকা। সামনে দাম আরও বাড়ার সম্ভাবনা আছে।’
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, যশোর জেলায় প্রায় দেড় হাজার হেক্টর জমিতে ১১ ধরনের ফুলের বাণিজ্যিক চাষ হয়। ডিসেম্বর থেকে মার্চ—এই চার মাসই ফুলের প্রধান মৌসুম। এ সময় অন্তত ৭-৮টি গুরুত্বপূর্ণ দিবসকে ঘিরে ১৫০-২০০ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনার লক্ষ্য থাকে স্থানীয় চাষি ও ব্যবসায়ীদের।
গদখালী ফুলচাষি ও ব্যবসায়ী সমিতির সহসভাপতি মঞ্জুর আলম বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসকে সামনে রেখে চাষিরা ফুল উৎপাদন করেন। এবার গাঁদা ফুলের উৎপাদন চাহিদার চেয়ে বেশি হওয়ায় এর দাম কম। তবে গাঁদা ছাড়া প্রায় সব ফুলের দাম ঊর্ধ্বমুখী। গতকালের হাটে প্রায় ২ কোটি টাকার ফুল বেচাকেনা হয়েছে।

রমজান মাসে দেশে ইফতার-সংস্কৃতির অপরিহার্য অংশ খেজুর। ধর্মীয় রীতির প্রতি সম্মান জানিয়ে অধিকাংশ রোজাদার খেজুর দিয়ে ইফতার করেন। এটি শুধু ধর্মীয় গুরুত্বই বহন করে না; বরং পুষ্টিগুণেও সমৃদ্ধ, যা সারা দিন সিয়াম শেষে খেলে শরীরে জোগায় তাৎক্ষণিক শক্তি। সাহ্রিতেও অনেকে দু-চারটি খেজুর খেয়ে দিনের প্রস্তুতি নেন।
১৭ নভেম্বর ২০২৪
যুক্তরাষ্ট্রের পদাঙ্ক অনুসরণ করে ভারতের ওপর ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকো। এই শুল্ক বহাল থাকলে মেক্সিকোর বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ অনেক বেশি কঠিন হয়ে যাবে। মূলত, ভারতের সঙ্গে বিশাল বাণিজ্য ঘাটতি থাকায়, তা পুষিয়ে নিতেই ট্রাম্পের মতো করেই ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর মেক্সিকোর
২৯ মিনিট আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ও ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদিকে হত্যাচেষ্টায় সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদ এবং তাঁর আইটি প্রতিষ্ঠান অ্যাপল সফট আইটি লিমিটেডের সব ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছে এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি)।
৪০ মিনিট আগে
স্বাস্থ্য খাতের ব্যয়ে দক্ষিণ এশিয়ায় সবচেয়ে পিছিয়ে বাংলাদেশ। স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ১ শতাংশ এবং মাথাপিছু সরকারি ব্যয় মাত্র ১,০৭০ টাকা। দেশের প্রায় ৪৯ শতাংশ মানুষ এখনো মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত।
৮ ঘণ্টা আগে