রাজস্ব আয়ই আসছে বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। চলতি বাজেটের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হচ্ছে না; অথচ আরও বড় রাজস্ব বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। রীতি মেনে বড় লক্ষ্যমাত্রা দিলেও অর্থবছর শেষে এর একটি অংশ অপূর্ণই থেকে যায়। আজ সংসদে অর্থমন্ত্রী ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বিশাল বাজেট ঘোষণা করবেন, যেখানে রাজস্ব থেকেই আশা করা হচ্ছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার। এটা চলতি বাজেটের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা এবং সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা বেশি। এটা সংকটের সময়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এনবিআর সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণেই হিমশিম খাচ্ছে সরকার। গত ১০ মাসে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরেই রাজস্ব ঘাটতি ২৪ হাজার ২০৬ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। মূল লক্ষ্যমাত্রা হিসাব করলে তা ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি। অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা। এই সময়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না।
চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রাজস্ব আদায়ের মধ্যে শুল্ক খাতে আদায় হয়েছে ৮২ হাজার ৫২২ কোটি ২৮ লাখ টাকা; প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ। মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট খাতে আদায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৭০৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা; প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। আয়কর আদায় ৯৩ হাজার ১৪৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা; প্রবৃদ্ধি ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে, প্রবৃদ্ধি ভালো কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, দেশের অর্থনীতি কিছুটা চাপে থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ধীরগতি বিরাজ করছে। সুতরাং ব্যবসা খারাপ হলে রাজস্ব আয় কম হবে, এটাই স্বাভাবিক। তারপরও প্রবৃদ্ধি কম নেই। যদিও লক্ষ্যমাত্রায় ঘাটতি রয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে জানা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতিবছর আগের বছরের সঙ্গে প্রবৃদ্ধি ধরে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে। তবে বাস্তব চিত্র খুব কমই বিবেচনায় থাকে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাবের কারণে রাজস্ব আয় কম হতে পারে এবং সামনে আরও চ্যালেঞ্জ জেনেও লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে অর্থবছর শেষে কাটছাঁট করতে হয়। চলতি বাজেটেও ২০ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। তারপরও কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় হচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, অর্থবছর শেষে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থেকেও বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতি থাকবে। এমন প্রেক্ষাপটেই নতুন অর্থবছরের জন্য আরও বড় লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। যে সময়ে অর্থনীতি নানান সংকট মোকাবিলা করছে; বিশেষ করে ডলার-সংকট, আমদানিতে কড়াকড়ি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রেমিট্যান্সে খরা ইত্যাদি সার্বিক অর্থনীতির গতি কমিয়ে দিচ্ছে। সরকারকে সামনে বিনিয়োগ বাড়ানো, জিনিসপত্রের দাম কমানোর মতো কঠিন সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজস্ব আয় বড় চ্যালেঞ্জ। এনবিআর সহজে যেখানে রাজস্ব আদায় হয়, সেখানে যায়। দেশের সর্বত্র যেভাবে গ্রোথ সেন্টার গড়ে উঠছে, সেখানে নজর দিচ্ছে না। বিপুলসংখ্যক সক্ষম ব্যবসায়ী রয়েছেন, যাঁরা কর দিতে পারেন, কিন্তু দিচ্ছেন না। তাঁদের কাছে এনবিআরের কেউ যাচ্ছেন না। আমি মনে করি, করশুমারি করতে পারে সরকার। এই শুমারি করলে বোঝা যাবে, কত মানুষ কর দেওয়ার জন্য উপযুক্ত। এ ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
এনবিআরের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারী বলেন, রাজস্ব আয় বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ আছে। এ ব্যাপারে আইএমএফের চাপও রয়েছে। তারা বলছে, কোনো অব্যাহতি রাখা যাবে না। যতটুকু জেনেছি, রাজস্ব বাড়াতে বাজেটে বেশ কিছু নতুন নতুন প্রস্তাব থাকবে। সরকার নতুন করে ক্ষমতায় এসেছে। তারা কিছু সংস্কার প্রস্তাব নেবে। এর ফলে রাজস্ব আয় বাড়তে পারে।
রাজস্ব আয়ই আসছে বাজেটের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। চলতি বাজেটের সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রাও অর্জিত হচ্ছে না; অথচ আরও বড় রাজস্ব বাজেট ঘোষণা করতে যাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী। রীতি মেনে বড় লক্ষ্যমাত্রা দিলেও অর্থবছর শেষে এর একটি অংশ অপূর্ণই থেকে যায়। আজ সংসদে অর্থমন্ত্রী ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৯০০ কোটি টাকার বিশাল বাজেট ঘোষণা করবেন, যেখানে রাজস্ব থেকেই আশা করা হচ্ছে ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকা। আর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকার। এটা চলতি বাজেটের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৫০ হাজার কোটি টাকা এবং সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে ৭০ হাজার কোটি টাকা বেশি। এটা সংকটের সময়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এনবিআর সূত্র জানায়, চলতি অর্থবছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা পূরণেই হিমশিম খাচ্ছে সরকার। গত ১০ মাসে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা ধরেই রাজস্ব ঘাটতি ২৪ হাজার ২০৬ কোটি টাকা ছাড়িয়ে গেছে। মূল লক্ষ্যমাত্রা হিসাব করলে তা ৪০ হাজার কোটি টাকার বেশি। অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে মোট রাজস্ব আদায় হয়েছে ২ লাখ ৮৯ হাজার ৩৭৭ কোটি টাকা। এই সময়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ লাখ ১৩ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা। রাজস্ব আদায়ের প্রবৃদ্ধি ১৫ দশমিক ৬১ শতাংশ হলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হচ্ছে না।
চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে রাজস্ব আদায়ের মধ্যে শুল্ক খাতে আদায় হয়েছে ৮২ হাজার ৫২২ কোটি ২৮ লাখ টাকা; প্রবৃদ্ধি ১১ দশমিক ১৮ শতাংশ। মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট খাতে আদায় ১ লাখ ১৩ হাজার ৭০৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা; প্রবৃদ্ধি ১৬ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ। আয়কর আদায় ৯৩ হাজার ১৪৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা; প্রবৃদ্ধি ১৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ। দেখা যাচ্ছে, প্রবৃদ্ধি ভালো কিন্তু লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কম।
এনবিআর কর্মকর্তারা জানান, দেশের অর্থনীতি কিছুটা চাপে থাকায় ব্যবসা-বাণিজ্যে ধীরগতি বিরাজ করছে। সুতরাং ব্যবসা খারাপ হলে রাজস্ব আয় কম হবে, এটাই স্বাভাবিক। তারপরও প্রবৃদ্ধি কম নেই। যদিও লক্ষ্যমাত্রায় ঘাটতি রয়েছে।
বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত পর্যালোচনা করে জানা যায়, অর্থ মন্ত্রণালয় প্রতিবছর আগের বছরের সঙ্গে প্রবৃদ্ধি ধরে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করে। তবে বাস্তব চিত্র খুব কমই বিবেচনায় থাকে। ফলে ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাবের কারণে রাজস্ব আয় কম হতে পারে এবং সামনে আরও চ্যালেঞ্জ জেনেও লক্ষ্যমাত্রা বাড়িয়ে দেয়। যে কারণে অর্থবছর শেষে কাটছাঁট করতে হয়। চলতি বাজেটেও ২০ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। তারপরও কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আয় হচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, অর্থবছর শেষে সংশোধিত লক্ষ্যমাত্রা থেকেও বড় অঙ্কের রাজস্ব ঘাটতি থাকবে। এমন প্রেক্ষাপটেই নতুন অর্থবছরের জন্য আরও বড় লক্ষ্যমাত্রা দেওয়া হয়েছে। যে সময়ে অর্থনীতি নানান সংকট মোকাবিলা করছে; বিশেষ করে ডলার-সংকট, আমদানিতে কড়াকড়ি, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, রেমিট্যান্সে খরা ইত্যাদি সার্বিক অর্থনীতির গতি কমিয়ে দিচ্ছে। সরকারকে সামনে বিনিয়োগ বাড়ানো, জিনিসপত্রের দাম কমানোর মতো কঠিন সব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
এ ব্যাপারে এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু আজকের পত্রিকাকে বলেন, রাজস্ব আয় বড় চ্যালেঞ্জ। এনবিআর সহজে যেখানে রাজস্ব আদায় হয়, সেখানে যায়। দেশের সর্বত্র যেভাবে গ্রোথ সেন্টার গড়ে উঠছে, সেখানে নজর দিচ্ছে না। বিপুলসংখ্যক সক্ষম ব্যবসায়ী রয়েছেন, যাঁরা কর দিতে পারেন, কিন্তু দিচ্ছেন না। তাঁদের কাছে এনবিআরের কেউ যাচ্ছেন না। আমি মনে করি, করশুমারি করতে পারে সরকার। এই শুমারি করলে বোঝা যাবে, কত মানুষ কর দেওয়ার জন্য উপযুক্ত। এ ব্যাপারে সরকারের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার।
এনবিআরের সাবেক সদস্য আবদুল মান্নান পাটোয়ারী বলেন, রাজস্ব আয় বাড়ানোর চ্যালেঞ্জ আছে। এ ব্যাপারে আইএমএফের চাপও রয়েছে। তারা বলছে, কোনো অব্যাহতি রাখা যাবে না। যতটুকু জেনেছি, রাজস্ব বাড়াতে বাজেটে বেশ কিছু নতুন নতুন প্রস্তাব থাকবে। সরকার নতুন করে ক্ষমতায় এসেছে। তারা কিছু সংস্কার প্রস্তাব নেবে। এর ফলে রাজস্ব আয় বাড়তে পারে।
বাংলাদেশের মানুষ বছরে গড়ে ৯৮১ টাকা ব্যয় করেন শুধু হাত ধোয়ার পেছনে। এ খরচ শহরে ১৩১১ টাকা হলেও গ্রামে ৮৩১ টাকা। পানি ব্যবহারের দিক থেকেও পার্থক্য লক্ষণীয়—একজন গ্রামীণ নাগরিক বছরে গড়ে ৩১ হাজার ১৮৪ লিটার পানি ব্যবহার করেন হাত ধোয়ার জন্য, আর শহরে এ পরিমাণ ৩০ হাজার ৬৮৩ লিটার। এসব তথ্য প্রকাশ করেছে
২ ঘণ্টা আগেচাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী কানসাট আমবাজারে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দেশের বৃহৎতম এই মৌসুমি বাজারটি এখন হাঁকডাকে মুখর, নানা জাতের আমে ভরে উঠেছে প্রতিটি আড়ত। ঈদুল আজহার ছুটি, অতিবৃষ্টি ও প্রচণ্ড খরায় সাময়িক ধাক্কা খেলেও গত কয়েকদিনে পরিস্থিতি অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক লেনদেন চালু হওয়
২ ঘণ্টা আগেচলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের ১১ মাসে (জুলাই থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত) প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ২৯ দশমিক ৩৬ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, এটি আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের এই সময় পর্যন্ত রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন
২ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম বন্দরের আলোচিত নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনার দায়িত্ব থেকে সরে যাচ্ছে সাইফ পাওয়ারটেক। আগামী ৬ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে বন্দরের চুক্তির মেয়াদ শেষ হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করবে না বন্দর কর্তৃপক্ষ। আপাতত বন্দর কর্তৃপক্ষের হাতেই থাকছে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব
২ ঘণ্টা আগে