জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
অবশেষে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে খরা কেটেছে। ব্যাংকে আস্থাহীনতার কারণে মানুষ এখন ফের সঞ্চয়পত্রমুখী হতে শুরু করেছে। এ কারণে এর বিক্রিও আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। এতে টানা ১১ মাস পর সঞ্চয়পত্রের বিক্রির নেতিবাচক প্রবণতা থেকে ১৮০ ডিগ্রি ইউটার্ন নেওয়ার মতোই হঠাৎ ইতিবাচক রূপে ধরা দিয়েছে। গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি ৩ হাজার ৩৮১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ঋণাত্মক পরিস্থিতি কাটিয়ে অর্থাৎ এই পরিমাণ সুদ-আসল বাড়তি পরিশোধ করেও চলতি বছরের জুলাইতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ২ হাজার ১৮৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা কম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য ছিল ১৮ হাজার কোটি টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হলে মানুষের সঞ্চয় কমে যায়। এরপর ব্যয় ক্রমাগত বাড়তে থাকলে উপায় না পেয়ে মানুষ আগের সঞ্চয়ে হাত দেয়। অর্থাৎ সঞ্চয় ভাঙার প্রবণতা বাড়ে। বিগত সময়ে দেশে মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে পিষ্ট সীমিত আয়ের মানুষের মধ্যে এমন প্রবণতাই দেখা গেছে। যার প্রভাব পড়েছে ওই সঞ্চয়পত্রে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১১ মাসেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি খাতে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়েছে। এ সময় সঞ্চয়ধারীরা গণহারে সঞ্চয় ভেঙেছেন কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ সঞ্চয়পত্রের আর নবায়নের চেষ্টা করেননি। এতে পরিচালন কর্তৃপক্ষকে সুদাসল ব্যয় অনেক বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে। এর বিপরীতে নতুন বিক্রি আশানুরূপ না বাড়ায় ওই ১১ মাসে নিট হিসাব ধারাবাহিক নেতিবাচক অবস্থানেই ছিল।
তবে হঠাৎ করেই পরিস্থিতি পাল্টে যায় জুলাই মাসে। যার নেপথ্যে সঞ্জীবনী শক্তির ভূমিকায় ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত ও সুদের হারে উল্লম্ফন। এর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকে আমানতের টাকা সময়মতো ফেরত পাওয়া নিয়ে সৃষ্ট গ্রাহক ভোগান্তি ও অনিশ্চয়তা সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ ছাড়া গত ৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকে স্মার্ট রেট পদ্ধতি বাতিল করে সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়। এতে ব্যাংকের গড় সুদের হার ১৫ শতাংশ ছাড়ায়। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ ছুঁইছুঁই হয়। পরে সঞ্চয়পত্রের সুদের হারও বেড়ে যায়, যা নতুন করে সঞ্চয়পত্র কেনার ঝোঁক বাড়াতে সহায়ক হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
রাজধানীর মতিঝিলে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছবিতা রানী জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে জীবন তছনছ। তবু ভবিষ্যৎ ভেবে সঞ্চয় করার চেষ্টা ছিল। সেই সঙ্গে সম্প্রতি সুদের হার বেড়েছে। কিন্তু যে ব্যাংকে সঞ্চয় ছিল, সেটি সময়মতো টাকা ফেরত দিতে না পারায় আতঙ্ক দেখা দেয়। ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সরকারের সঞ্চয়পত্র কিনেছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক থেকে সবাই আমানত তুলে নিচ্ছে এমনটা ঠিক না। তবে কেউ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। এমন কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছে তা সাধারণীকরণ করা উচিত না। মানুষ অলস টাকায় সঞ্চয়পত্র কিনছে। এতে বিক্রি ইতিবাচক হয়েছে।
অবশেষে সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে খরা কেটেছে। ব্যাংকে আস্থাহীনতার কারণে মানুষ এখন ফের সঞ্চয়পত্রমুখী হতে শুরু করেছে। এ কারণে এর বিক্রিও আগের তুলনায় বেড়ে গেছে। এতে টানা ১১ মাস পর সঞ্চয়পত্রের বিক্রির নেতিবাচক প্রবণতা থেকে ১৮০ ডিগ্রি ইউটার্ন নেওয়ার মতোই হঠাৎ ইতিবাচক রূপে ধরা দিয়েছে। গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনে সঞ্চয়পত্র নিট বিক্রি ৩ হাজার ৩৮১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা ঋণাত্মক পরিস্থিতি কাটিয়ে অর্থাৎ এই পরিমাণ সুদ-আসল বাড়তি পরিশোধ করেও চলতি বছরের জুলাইতে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ২ হাজার ১৮৭ কোটি ৫৬ লাখ টাকা উদ্বৃত্ত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে বাজেটে সঞ্চয়পত্র বিক্রি থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের, যা গত অর্থবছরের চেয়ে ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকা কম। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সঞ্চয়পত্র বিক্রির লক্ষ্য ছিল ১৮ হাজার কোটি টাকা। আর ২০২২-২৩ অর্থবছরে ছিল ৩৫ হাজার কোটি টাকা।
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, আয়ের তুলনায় ব্যয় বেশি হলে মানুষের সঞ্চয় কমে যায়। এরপর ব্যয় ক্রমাগত বাড়তে থাকলে উপায় না পেয়ে মানুষ আগের সঞ্চয়ে হাত দেয়। অর্থাৎ সঞ্চয় ভাঙার প্রবণতা বাড়ে। বিগত সময়ে দেশে মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে পিষ্ট সীমিত আয়ের মানুষের মধ্যে এমন প্রবণতাই দেখা গেছে। যার প্রভাব পড়েছে ওই সঞ্চয়পত্রে। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১১ মাসেই সঞ্চয়পত্র বিক্রি খাতে আয়ের চেয়ে ব্যয় বেশি হয়েছে। এ সময় সঞ্চয়ধারীরা গণহারে সঞ্চয় ভেঙেছেন কিংবা মেয়াদোত্তীর্ণ সঞ্চয়পত্রের আর নবায়নের চেষ্টা করেননি। এতে পরিচালন কর্তৃপক্ষকে সুদাসল ব্যয় অনেক বেশি পরিশোধ করতে হয়েছে। এর বিপরীতে নতুন বিক্রি আশানুরূপ না বাড়ায় ওই ১১ মাসে নিট হিসাব ধারাবাহিক নেতিবাচক অবস্থানেই ছিল।
তবে হঠাৎ করেই পরিস্থিতি পাল্টে যায় জুলাই মাসে। যার নেপথ্যে সঞ্জীবনী শক্তির ভূমিকায় ছিল বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পরিবর্তনের ইঙ্গিত ও সুদের হারে উল্লম্ফন। এর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যাংকে আমানতের টাকা সময়মতো ফেরত পাওয়া নিয়ে সৃষ্ট গ্রাহক ভোগান্তি ও অনিশ্চয়তা সঞ্চয়পত্র বিক্রিতে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। এ ছাড়া গত ৮ মে বাংলাদেশ ব্যাংকে স্মার্ট রেট পদ্ধতি বাতিল করে সুদের হার বাজারের ওপর ছেড়ে দেয়। এতে ব্যাংকের গড় সুদের হার ১৫ শতাংশ ছাড়ায়। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ১৮ শতাংশ ছুঁইছুঁই হয়। পরে সঞ্চয়পত্রের সুদের হারও বেড়ে যায়, যা নতুন করে সঞ্চয়পত্র কেনার ঝোঁক বাড়াতে সহায়ক হচ্ছে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
রাজধানীর মতিঝিলে একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত ছবিতা রানী জানান, উচ্চ মূল্যস্ফীতিতে জীবন তছনছ। তবু ভবিষ্যৎ ভেবে সঞ্চয় করার চেষ্টা ছিল। সেই সঙ্গে সম্প্রতি সুদের হার বেড়েছে। কিন্তু যে ব্যাংকে সঞ্চয় ছিল, সেটি সময়মতো টাকা ফেরত দিতে না পারায় আতঙ্ক দেখা দেয়। ঝুঁকি এড়াতে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সরকারের সঞ্চয়পত্র কিনেছি।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ব্যাংক থেকে সবাই আমানত তুলে নিচ্ছে এমনটা ঠিক না। তবে কেউ ব্যাংক থেকে টাকা তুলে সঞ্চয়পত্র কিনতে পারেন। এমন কারণে সঞ্চয়পত্র বিক্রি বাড়ছে তা সাধারণীকরণ করা উচিত না। মানুষ অলস টাকায় সঞ্চয়পত্র কিনছে। এতে বিক্রি ইতিবাচক হয়েছে।
সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সমন্বয়ে নিজস্ব ব্র্যান্ডের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা ‘রূপালীক্যাশ’ আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেছে রাষ্ট্রমালিকানাধীন রূপালী ব্যাংক পিএলসি। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার দিলকুশাস্থ রূপালী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এক জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সেবাটির উদ্বোধন করেন ব্যাংকের
১ ঘণ্টা আগেহিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তার জন্য নতুন নির্দেশনা জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, হিমায়িত চিংড়ি ও অন্যান্য মাছ রপ্তানি খাতে নগদ সহায়তা পেতে যে দেশে পণ্য রপ্তানি করা হবে, কেবল সে দেশ থেকেই মূল্য প্রত্যাবাসন হতে হবে।
২ ঘণ্টা আগেরপ্তানি খাতে নগদ প্রবাহ বাড়ানো ও ব্যবসা সহজ করতে বিদেশি ক্রেতাদের কাছ থেকে অগ্রিমপ্রাপ্ত রপ্তানি আয়ের ১০ শতাংশ সংরক্ষণের বাধ্যবাধকতা তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফলে কাঁচামাল সংগ্রহ, উৎপাদন কার্যক্রম ও পণ্য সরবরাহ আরও সহজ হবে।
২ ঘণ্টা আগেইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেটের ফুলব্রাইট স্পেশালিস্ট প্রোগ্রাম ও বাংলাদেশ মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির (বিএমইউ) যৌথ উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে গত ৩১ আগস্ট থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চার সপ্তাহব্যাপী ফুলব্রাইট স্পেশালিস্ট প্রোগ্রামের অধীনে ‘স্মার্ট পোর্ট ম্যানেজমেন্ট: এমপাওয়ারিং ইকোনমিক প্রোসপারিটি উইথ এআই বুটক্
৩ ঘণ্টা আগে