মাহফুজুল ইসলাম, ঢাকা
আড়াই বছরের একটি সরকারি প্রকল্প দীর্ঘসূত্রের কারণে গড়িয়েছে ১১ বছরে। তিন দফা মেয়াদ ও বাজেট বাড়িয়েও কাজ এখনো শেষ হয়নি। আর এ সময়ে প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে আরও ৫১ কোটি টাকা, যা মূল বরাদ্দের তুলনায় ৫৭ শতাংশ বেশি।
ভৌত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৯৬ শতাংশে, অথচ আর্থিক অগ্রগতি থেমে আছে ৭০.৭১ শতাংশে; যার মানে হলো অন্তত ২৫ শতাংশের গরমিল। আর এই বাস্তবতায় আবারও দেড় বছরের সময় বাড়ানোর আবেদন জমা পড়েছে পরিকল্পনা কমিশনে, যদিও তা করা হয়েছে বিদ্যমান নিয়ম ভেঙে।
প্রকল্পটির নাম ‘গোপালগঞ্জ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল (২য় সংশোধিত)’। শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে, প্রাথমিক মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। সে হিসাবে মেয়াদ ছিল ২.৫ বছর। বর্তমানে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ বছরে, অর্থাৎ সময় বেড়েছে ৩৪০ শতাংশ।
মূল বরাদ্দ ছিল ৮৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। তিন দফা সংশোধনের পর প্রকল্পের মোট ব্যয় গিয়ে ঠেকেছে ১৩৯ কোটি ৩০ লাখ টাকায়। তবু প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়নি। এখন আবার প্রস্তাব এসেছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত নতুন করে দেড় বছরের সময় বাড়ানোর।
তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) বলছে, প্রকল্পের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত না করে সময় বাড়ানো যৌক্তিক নয়। আইএমইডির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা, যন্ত্রপাতি ও মালামাল ক্রয়ে ধীরগতি, প্রশাসনিক সভার ঘাটতি এবং অডিট না হওয়ায় প্রকল্পটি দীর্ঘসূত্রতায় পড়েছে।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত কোনো পূর্ণাঙ্গ অডিট হয়নি। আইএমইডি বলছে, এত সময় পেরিয়ে গেলেও অডিট না হওয়া ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আইএমইডির খসড়া প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিয়ম অনুসারে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করতে হয়, অথচ এই আবেদন জমা পড়েছে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮ দিন পরে, যা বিধি লঙ্ঘনের শামিল।
প্রকল্প পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ দাবি করেছেন, জমি অধিগ্রহণে জটিলতা প্রকল্প বিলম্বের অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, ‘৭.৫ একর জমি অধিগ্রহণ হয়ে গেছে, এখন বাউন্ডারি ওয়ালের জন্য বাকি ৩.৫০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’
আর আইএমইডির উপপরিচালক শহীদুল ইসলাম সোহাগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি ইতিমধ্যে ৯৬ শতাংশ, তবে আর্থিক অগ্রগতি এখনো ৭০.৭১ শতাংশে রয়েছে। এই অবস্থায় প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হলে সরকারের ইতিমধ্যে ব্যয় করা অর্থ অপচয়ে পরিণত হবে এবং জনগণও প্রয়োজনীয় দন্ত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই নির্ধারিত শর্ত মেনে সীমিত পরিসরে আরও দেড় বছরের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনায় আনা যেতে পারে।’
তবে প্রকল্প এলাকার বাস্তব চিত্র বলছে অন্য কথা। মাঠপর্যায়ের পরিদর্শনে দেখা গেছে, প্রয়োজনীয় তথ্যসংবলিত কোনো সাইনবোর্ড নেই, যা জনসাধারণের সামনে প্রকল্পের স্বচ্ছতা তুলে ধরার মৌলিক শর্তের পরিপন্থী।
এ ছাড়া প্রকল্পে এখনো ১০টি ক্রয় প্যাকেজ অপূর্ণ রয়েছে। বাস্তবায়নসংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ কমিটির (পিএসসি) ৪৬টি সভা হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র ১২টি; আর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভা ৪৬টির জায়গায় হয়েছে মাত্র ৬টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত এই প্রকল্পের ধীরগতি ও অব্যবস্থাপনা আবারও প্রমাণ করছে, সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে সময়মতো বাস্তবায়ন, বাজেট নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ।
সরকার এই দফায় সময় বাড়ানোর আবেদনে সায় দিলে তা হবে প্রকল্পের চতুর্থ দফা, কিন্তু জনগণের প্রশ্ন—এই দফায় কি কার্যকর পরিণতি আসবে, নাকি নতুন আরেকটি দীর্ঘসূত্রের শুরু হবে?
আড়াই বছরের একটি সরকারি প্রকল্প দীর্ঘসূত্রের কারণে গড়িয়েছে ১১ বছরে। তিন দফা মেয়াদ ও বাজেট বাড়িয়েও কাজ এখনো শেষ হয়নি। আর এ সময়ে প্রকল্পে ব্যয় বেড়েছে আরও ৫১ কোটি টাকা, যা মূল বরাদ্দের তুলনায় ৫৭ শতাংশ বেশি।
ভৌত অগ্রগতি দাঁড়িয়েছে ৯৬ শতাংশে, অথচ আর্থিক অগ্রগতি থেমে আছে ৭০.৭১ শতাংশে; যার মানে হলো অন্তত ২৫ শতাংশের গরমিল। আর এই বাস্তবতায় আবারও দেড় বছরের সময় বাড়ানোর আবেদন জমা পড়েছে পরিকল্পনা কমিশনে, যদিও তা করা হয়েছে বিদ্যমান নিয়ম ভেঙে।
প্রকল্পটির নাম ‘গোপালগঞ্জ ডেন্টাল কলেজ হাসপাতাল (২য় সংশোধিত)’। শুরু হয়েছিল ২০১৪ সালের জানুয়ারিতে, প্রাথমিক মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত। সে হিসাবে মেয়াদ ছিল ২.৫ বছর। বর্তমানে সেটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১১ বছরে, অর্থাৎ সময় বেড়েছে ৩৪০ শতাংশ।
মূল বরাদ্দ ছিল ৮৮ কোটি ৬৯ লাখ টাকা। তিন দফা সংশোধনের পর প্রকল্পের মোট ব্যয় গিয়ে ঠেকেছে ১৩৯ কোটি ৩০ লাখ টাকায়। তবু প্রকল্পটি সম্পন্ন হয়নি। এখন আবার প্রস্তাব এসেছে ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২৬ সালের জুন পর্যন্ত নতুন করে দেড় বছরের সময় বাড়ানোর।
তবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) বলছে, প্রকল্পের আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত না করে সময় বাড়ানো যৌক্তিক নয়। আইএমইডির পর্যবেক্ষণে বলা হয়েছে, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতা, যন্ত্রপাতি ও মালামাল ক্রয়ে ধীরগতি, প্রশাসনিক সভার ঘাটতি এবং অডিট না হওয়ায় প্রকল্পটি দীর্ঘসূত্রতায় পড়েছে।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, এই প্রকল্পে এখন পর্যন্ত কোনো পূর্ণাঙ্গ অডিট হয়নি। আইএমইডি বলছে, এত সময় পেরিয়ে গেলেও অডিট না হওয়া ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
আইএমইডির খসড়া প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, নিয়ম অনুসারে প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাসের মধ্যে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করতে হয়, অথচ এই আবেদন জমা পড়েছে মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮ দিন পরে, যা বিধি লঙ্ঘনের শামিল।
প্রকল্প পরিচালক ডা. মোহাম্মদ ইমতিয়াজ দাবি করেছেন, জমি অধিগ্রহণে জটিলতা প্রকল্প বিলম্বের অন্যতম কারণ। তিনি বলেন, ‘৭.৫ একর জমি অধিগ্রহণ হয়ে গেছে, এখন বাউন্ডারি ওয়ালের জন্য বাকি ৩.৫০ শতাংশ জমি অধিগ্রহণ প্রক্রিয়াধীন। আশা করছি দ্রুত সমাধান হবে।’
আর আইএমইডির উপপরিচালক শহীদুল ইসলাম সোহাগ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘প্রকল্পটির ভৌত অগ্রগতি ইতিমধ্যে ৯৬ শতাংশ, তবে আর্থিক অগ্রগতি এখনো ৭০.৭১ শতাংশে রয়েছে। এই অবস্থায় প্রকল্প বন্ধ করে দেওয়া হলে সরকারের ইতিমধ্যে ব্যয় করা অর্থ অপচয়ে পরিণত হবে এবং জনগণও প্রয়োজনীয় দন্ত চিকিৎসাসেবা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই নির্ধারিত শর্ত মেনে সীমিত পরিসরে আরও দেড় বছরের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রস্তাব বিবেচনায় আনা যেতে পারে।’
তবে প্রকল্প এলাকার বাস্তব চিত্র বলছে অন্য কথা। মাঠপর্যায়ের পরিদর্শনে দেখা গেছে, প্রয়োজনীয় তথ্যসংবলিত কোনো সাইনবোর্ড নেই, যা জনসাধারণের সামনে প্রকল্পের স্বচ্ছতা তুলে ধরার মৌলিক শর্তের পরিপন্থী।
এ ছাড়া প্রকল্পে এখনো ১০টি ক্রয় প্যাকেজ অপূর্ণ রয়েছে। বাস্তবায়নসংক্রান্ত নিয়ন্ত্রণ কমিটির (পিএসসি) ৪৬টি সভা হওয়ার কথা থাকলেও হয়েছে মাত্র ১২টি; আর প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির (পিআইসি) সভা ৪৬টির জায়গায় হয়েছে মাত্র ৬টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পরিচালিত এই প্রকল্পের ধীরগতি ও অব্যবস্থাপনা আবারও প্রমাণ করছে, সরকারি উন্নয়ন প্রকল্পে সময়মতো বাস্তবায়ন, বাজেট নিয়ন্ত্রণ ও অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা এখনো বড় চ্যালেঞ্জ।
সরকার এই দফায় সময় বাড়ানোর আবেদনে সায় দিলে তা হবে প্রকল্পের চতুর্থ দফা, কিন্তু জনগণের প্রশ্ন—এই দফায় কি কার্যকর পরিণতি আসবে, নাকি নতুন আরেকটি দীর্ঘসূত্রের শুরু হবে?
কারখানাটি চালু হলে প্রতি বছর ২ কোটি ৮০ লাখ ইউনিট ব্যাগ, বেল্ট, ক্যাপ, টুপি, স্কার্ফ, মাফলার, চশমা ও চশমার ফ্রেম উৎপাদনের পরিকল্পনা রয়েছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ২ হাজার ৮৩০ জন বাংলাদেশির কর্মসংস্থান করা যাবে।
১ ঘণ্টা আগেগত জানুয়ারিতে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার পর থেকে ট্রাম্পের শুল্ক নীতি বিশ্ব বাণিজ্যে বড় ধরনের অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। এশিয়া ও আফ্রিকার দেশগুলোর বিভিন্ন হারে অতিরিক্ত আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন। এর প্রভাবে অনেক বিশ্লেষক আরেকটি মহামন্দার আশঙ্কা দেখছেন।
২ ঘণ্টা আগেইসলামি শরিয়াহ্ ভিত্তিতে পরিচালিত ইউনিয়ন ব্যাংক ভয়াবহ খেলাপি সংকটে পড়েছে। ব্যাংকটির মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ২৮ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২৫ হাজার ৩০২ কোটি টাকাই খেলাপি, যা মোট ঋণের ৮৯ দশমিক ৮১ শতাংশ। এর মধ্যে ৬ হাজার ২৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা ইচ্ছাকৃতভাবে পরিশোধ করছেন না...
১১ ঘণ্টা আগেপুঁজিবাজারে অনলাইন লেনদেনের জন্য ২০১৬ সালের মার্চে চালু করা হয়েছিল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মোবাইল অ্যাপ। তবে প্রযুক্তিগত অগ্রগতির ধারায় দেশ এগিয়ে গেলেও উল্টো পথে হাঁটছে এই অ্যাপটির ব্যবহার। পরিসংখ্যান বলছে, গত তিন অর্থবছরে ধারাবাহিকভাবে কমেছে অ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা।
১১ ঘণ্টা আগে