আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ফিলিস্তিনে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের কারণে চরম রাজনৈতিক সংকট ও বৈশ্বিক সমালোচনার মুখে ইসরায়েল। খোদ ইসরায়েলিরাই মনে করছেন, রাষ্ট্রটি ভেতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই বাস্তবতা আট দশক আগেই উপলব্ধি করেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইন। ইসরায়েল রাষ্ট্র একদিন পতনের দিকে এগোবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তিনি।
১৯৪৮ সালে ‘রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার এক দশক আগেই আইনস্টাইন জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ইহুদি জাতীয়তাবাদের (জায়োনিজম) ‘মূল চেতনার পরিপন্থী’। হিটলারের জার্মানি থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া এই বিজ্ঞানী ফ্যাসিবাদের রূপ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
এর আগে ১৯৪৬ সালে ফিলিস্তিন ইস্যুতে অ্যাংলো-আমেরিকান ইনকোয়ারি কমিটিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে আইনস্টাইন বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা (ইসরায়েল রাষ্ট্র ধারণা) খারাপ।’ অর্থাৎ, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়েই তিনি সংশয়ে ছিলেন।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী মেনাহেম বেগিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। ওই সময় আইনস্টাইনসহ একদল ইহুদি বুদ্ধিজীবী নিউইয়র্ক টাইমসে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে বেগিনের দলের বিরুদ্ধে সরব হন। চিঠিতে বেগিনের হেরুত পার্টিকে নাৎসি ও ফ্যাসিবাদী দলের সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়, দলটি ‘সংগঠন, রাজনৈতিক আদর্শ ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে’ ফ্যাসিস্টদের মতোই।
এই হেরুত পার্টির উত্তরসূরি বর্তমানে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন দল লিকুদ পার্টি। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বেগিন ইরগুন নামে এক ইহুদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন, যারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হয়েও বেগিন কখনো ব্রিটেন সফর করেননি। কারণ, তখনো তিনি সেখানে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন।
ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে সংঘটিত বহু সহিংসতার ঘটনাই ছিল আইনস্টাইনের বিশেষ আপত্তির জায়গা। সম্ভবত এ কারণে তিনি ১৯৫২ সালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়ন তাঁকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আইনস্টাইন বিনয়ের সঙ্গে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন। কারণ, তিনি একদিকে শান্তিবাদী ছিলেন, অন্যদিকে জার্মান শরণার্থী হিসেবে নিউ জার্সির প্রিন্সটনে নিজের ঘর নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন।

আইনস্টাইনের সবচেয়ে কঠোর বিবৃতিগুলোর একটি পাওয়া যায় এক সংক্ষিপ্ত চিঠিতে। ১৯৪৮ সালের এপ্রিলে ‘দেইর ইয়াসিন’ গণহত্যার খবর পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখেছিলেন। ওই গণহত্যায় বেগিনের সন্ত্রাসী সংগঠন ইরগুন এবং ইহুদিদের চরমপন্থী সংগঠন স্টার্ন গ্যাং-এর প্রায় ১২০ সন্ত্রাসী পশ্চিম জেরুজালেমের দেইর ইয়াসিন গ্রামে হামলা চালিয়ে ১০০ থেকে ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে। তাদের হত্যার ধরন ছিল নৃশংস। কিছু মানুষকে গুলি করে, কিছু গ্রেনেড বিস্ফোরণে এবং অনেককে গ্রেপ্তারের পর প্যারেড করিয়ে হত্যা করা হয়। ধর্ষণ, নির্যাতন ও অঙ্গচ্ছেদেরও অভিযোগ ওঠে।
আইনস্টাইন চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন নিউইয়র্কে ‘আমেরিকান ফ্রেন্ডস অব দ্য ফাইটারস ফর দ্য ফ্রিডম অব ইসরায়েল’ নামের একটি সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শেফার্ড রিফকিন বরাবর। রিফকিন যুক্তরাষ্ট্রে স্টার্ন গ্যাং-এর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। আইনস্টাইন ৫০ শব্দের ওই চিঠিতে লেখেন—
জনাব,
যখন ফিলিস্তিনে আমাদের ওপর কোনো সত্যিকারের এবং চূড়ান্ত বিপর্যয় নেমে আসবে, তখন সেটির জন্য প্রথমে দায়ী হবে ব্রিটিশরা এবং দ্বিতীয়ত দায়ী হবে আমাদের নিজস্ব স্তর থেকে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। আমি এই বিভ্রান্ত এবং অপরাধী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কারও সঙ্গে যুক্ত থাকতে রাজি নই।
আপনার বিশ্বস্ত,
আলবার্ট আইনস্টাইন।
পরে এই চিঠির সত্যতা বিচার করে নিলামে বিক্রি হয় এবং বহু গবেষক এটিকে আইনস্টাইনের সবচেয়ে কঠোর ভাষায় লেখা ‘অ্যান্টি-জায়োনিস্ট’ বার্তা হিসেবে বর্ণনা করেন।
তবে আইনস্টাইন সব সময় এমন ছিলেন না। ১৯২৯ সালে ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ানকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি ফিলিস্তিনে ইহুদির রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা ইহুদিদের প্রশংসা করেছিলেন। তিনি সেই চিঠিতে বলেন, ‘চমৎকার নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গুণসম্পন্ন তরুণ-তরুণী; যারা খালি হাতে সড়ক নির্মাণ করছে, পরিত্যক্ত মাটিকে কৃষিতে রূপ দিচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। কোনো সচেতন ব্যক্তি ফিলিস্তিনে ইহুদিদের অসাধারণ সাফল্য এবং তাঁদের একাগ্রতা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারি না।’
আইনস্টাইনের এই ধারণা গড়ে উঠেছিল ১৯২৩ সালে ১২ দিনের ফিলিস্তিন সফরের সময়। তিনি সেখানে হিব্রু ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দেন। সেটিই ছিল তাঁর প্রথম ও শেষ মধ্যপ্রাচ্য সফর।
সারা জীবন শান্তিবাদী আইনস্টাইন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘ম্যানিফেস্টো টু দ্য ইউরোপিয়ানস’ শীর্ষক ইশতেহার লিখেছিলেন। এই ইশতেহারে সমস্ত রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ঐক্যের মাধ্যমে ইউরোপে শান্তির আহ্বান জানানো হয়। সম্ভবত এ কারণেই তিনি কখনো ইসরায়েল সফর করেননি। কারণ, রাষ্ট্রটি অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং ফিলিস্তিনিদের রক্তের ওপর গঠিত।
এরপর ফিলিস্তিনে দেইর ইয়াসিন গণহত্যার মতো অনেক ঘটনা ঘটেছে। আইনস্টাইন যেই ইহুদি সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করতেন, আজকের গাজা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে আবারও নির্বিচারে হামলা চালানো হচ্ছে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েলে চারবার সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, তবে একটিও স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে পারেনি। নেতানিয়াহুর একমাত্র অস্ত্র হলো—ইসরায়েলি ইহুদিদের নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতিকে ব্যবহার করা। ফিলিস্তিনি ‘সন্ত্রাসীদের’ হাত থেকে ইসরায়েলকে ‘রক্ষা’ করার যোগ্য ‘শক্তিশালী নেতা’ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে তিনি মরিয়া।
নেতানিয়াহুর শাসনামলেই পাস হয়েছে বিতর্কিত ‘ইহুদি জাতি-রাষ্ট্র আইন’। অথচ ইসরায়েলকে একটি ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পূর্ববর্তী নেতারা।
আইনস্টাইনের মতো অনেক ইহুদি আজ এই রাষ্ট্রের রাজনীতি ও নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। অনেকে বলছেন, হেরুত দলের নাৎসি ও ফ্যাসিবাদী দর্শনের ছায়া আজকের লিকুদ পার্টি ও অন্য ডানপন্থী দল ও সংগঠনের ওপর দৃশ্যমান।
আইনস্টাইন সম্ভবত আগেই বুঝেছিলেন, সশস্ত্র চরমপন্থীদের নেতৃত্বে গঠিত ইসরায়েল রাষ্ট্র দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকতে পারবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
আরও খবর পড়ুন:

ফিলিস্তিনে নৃশংস হত্যাযজ্ঞের কারণে চরম রাজনৈতিক সংকট ও বৈশ্বিক সমালোচনার মুখে ইসরায়েল। খোদ ইসরায়েলিরাই মনে করছেন, রাষ্ট্রটি ভেতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়ছে। এই বাস্তবতা আট দশক আগেই উপলব্ধি করেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত পদার্থবিদ আলবার্ট আইনস্টাইন। ইসরায়েল রাষ্ট্র একদিন পতনের দিকে এগোবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন তিনি।
১৯৪৮ সালে ‘রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার এক দশক আগেই আইনস্টাইন জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ইহুদি জাতীয়তাবাদের (জায়োনিজম) ‘মূল চেতনার পরিপন্থী’। হিটলারের জার্মানি থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া এই বিজ্ঞানী ফ্যাসিবাদের রূপ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
এর আগে ১৯৪৬ সালে ফিলিস্তিন ইস্যুতে অ্যাংলো-আমেরিকান ইনকোয়ারি কমিটিতে বক্তব্য দিতে গিয়ে আইনস্টাইন বলেন, ‘আমি মনে করি, এটা (ইসরায়েল রাষ্ট্র ধারণা) খারাপ।’ অর্থাৎ, রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রয়োজনীয়তা নিয়েই তিনি সংশয়ে ছিলেন।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েলের ভবিষ্যৎ প্রধানমন্ত্রী মেনাহেম বেগিন যুক্তরাষ্ট্র সফরে যান। ওই সময় আইনস্টাইনসহ একদল ইহুদি বুদ্ধিজীবী নিউইয়র্ক টাইমসে একটি খোলা চিঠি প্রকাশ করে বেগিনের দলের বিরুদ্ধে সরব হন। চিঠিতে বেগিনের হেরুত পার্টিকে নাৎসি ও ফ্যাসিবাদী দলের সঙ্গে তুলনা করে বলা হয়, দলটি ‘সংগঠন, রাজনৈতিক আদর্শ ও সামাজিক দৃষ্টিভঙ্গিতে’ ফ্যাসিস্টদের মতোই।
এই হেরুত পার্টির উত্তরসূরি বর্তমানে ইসরায়েলের ক্ষমতাসীন দল লিকুদ পার্টি। দলের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। বেগিন ইরগুন নামে এক ইহুদি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর নেতা ছিলেন, যারা ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময় হামলা চালিয়েছে। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হয়েও বেগিন কখনো ব্রিটেন সফর করেননি। কারণ, তখনো তিনি সেখানে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় ছিলেন।
ইসরায়েল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার আগে সংঘটিত বহু সহিংসতার ঘটনাই ছিল আইনস্টাইনের বিশেষ আপত্তির জায়গা। সম্ভবত এ কারণে তিনি ১৯৫২ সালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন-গুরিয়ন তাঁকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আইনস্টাইন বিনয়ের সঙ্গে প্রস্তাবটি ফিরিয়ে দেন। কারণ, তিনি একদিকে শান্তিবাদী ছিলেন, অন্যদিকে জার্মান শরণার্থী হিসেবে নিউ জার্সির প্রিন্সটনে নিজের ঘর নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন।

আইনস্টাইনের সবচেয়ে কঠোর বিবৃতিগুলোর একটি পাওয়া যায় এক সংক্ষিপ্ত চিঠিতে। ১৯৪৮ সালের এপ্রিলে ‘দেইর ইয়াসিন’ গণহত্যার খবর পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখেছিলেন। ওই গণহত্যায় বেগিনের সন্ত্রাসী সংগঠন ইরগুন এবং ইহুদিদের চরমপন্থী সংগঠন স্টার্ন গ্যাং-এর প্রায় ১২০ সন্ত্রাসী পশ্চিম জেরুজালেমের দেইর ইয়াসিন গ্রামে হামলা চালিয়ে ১০০ থেকে ২৫০ জন ফিলিস্তিনি নারী, পুরুষ ও শিশুকে হত্যা করে। তাদের হত্যার ধরন ছিল নৃশংস। কিছু মানুষকে গুলি করে, কিছু গ্রেনেড বিস্ফোরণে এবং অনেককে গ্রেপ্তারের পর প্যারেড করিয়ে হত্যা করা হয়। ধর্ষণ, নির্যাতন ও অঙ্গচ্ছেদেরও অভিযোগ ওঠে।
আইনস্টাইন চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন নিউইয়র্কে ‘আমেরিকান ফ্রেন্ডস অব দ্য ফাইটারস ফর দ্য ফ্রিডম অব ইসরায়েল’ নামের একটি সংগঠনের নির্বাহী পরিচালক শেফার্ড রিফকিন বরাবর। রিফকিন যুক্তরাষ্ট্রে স্টার্ন গ্যাং-এর জন্য অর্থ সংগ্রহ করছিলেন। আইনস্টাইন ৫০ শব্দের ওই চিঠিতে লেখেন—
জনাব,
যখন ফিলিস্তিনে আমাদের ওপর কোনো সত্যিকারের এবং চূড়ান্ত বিপর্যয় নেমে আসবে, তখন সেটির জন্য প্রথমে দায়ী হবে ব্রিটিশরা এবং দ্বিতীয়ত দায়ী হবে আমাদের নিজস্ব স্তর থেকে গড়ে ওঠা সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো। আমি এই বিভ্রান্ত এবং অপরাধী ব্যক্তিদের সঙ্গে সম্পৃক্ত কারও সঙ্গে যুক্ত থাকতে রাজি নই।
আপনার বিশ্বস্ত,
আলবার্ট আইনস্টাইন।
পরে এই চিঠির সত্যতা বিচার করে নিলামে বিক্রি হয় এবং বহু গবেষক এটিকে আইনস্টাইনের সবচেয়ে কঠোর ভাষায় লেখা ‘অ্যান্টি-জায়োনিস্ট’ বার্তা হিসেবে বর্ণনা করেন।
তবে আইনস্টাইন সব সময় এমন ছিলেন না। ১৯২৯ সালে ম্যানচেস্টার গার্ডিয়ানকে পাঠানো এক চিঠিতে তিনি ফিলিস্তিনে ইহুদির রাষ্ট্রের পক্ষে কাজ করা ইহুদিদের প্রশংসা করেছিলেন। তিনি সেই চিঠিতে বলেন, ‘চমৎকার নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক গুণসম্পন্ন তরুণ-তরুণী; যারা খালি হাতে সড়ক নির্মাণ করছে, পরিত্যক্ত মাটিকে কৃষিতে রূপ দিচ্ছে, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিক্ষাব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ করছে। কোনো সচেতন ব্যক্তি ফিলিস্তিনে ইহুদিদের অসাধারণ সাফল্য এবং তাঁদের একাগ্রতা দেখে মুগ্ধ না হয়ে পারি না।’
আইনস্টাইনের এই ধারণা গড়ে উঠেছিল ১৯২৩ সালে ১২ দিনের ফিলিস্তিন সফরের সময়। তিনি সেখানে হিব্রু ইউনিভার্সিটিতে বক্তৃতা দেন। সেটিই ছিল তাঁর প্রথম ও শেষ মধ্যপ্রাচ্য সফর।
সারা জীবন শান্তিবাদী আইনস্টাইন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ‘ম্যানিফেস্টো টু দ্য ইউরোপিয়ানস’ শীর্ষক ইশতেহার লিখেছিলেন। এই ইশতেহারে সমস্ত রাষ্ট্রের রাজনৈতিক ঐক্যের মাধ্যমে ইউরোপে শান্তির আহ্বান জানানো হয়। সম্ভবত এ কারণেই তিনি কখনো ইসরায়েল সফর করেননি। কারণ, রাষ্ট্রটি অস্ত্র, বিস্ফোরক এবং ফিলিস্তিনিদের রক্তের ওপর গঠিত।
এরপর ফিলিস্তিনে দেইর ইয়াসিন গণহত্যার মতো অনেক ঘটনা ঘটেছে। আইনস্টাইন যেই ইহুদি সন্ত্রাসবাদকে ঘৃণা করতেন, আজকের গাজা তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ। বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বে আবারও নির্বিচারে হামলা চালানো হচ্ছে নিরস্ত্র ফিলিস্তিনিদের ওপর।
সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইসরায়েলে চারবার সাধারণ নির্বাচন হয়েছে, তবে একটিও স্থিতিশীল সরকার গঠন করতে পারেনি। নেতানিয়াহুর একমাত্র অস্ত্র হলো—ইসরায়েলি ইহুদিদের নিরাপত্তাহীনতার অনুভূতিকে ব্যবহার করা। ফিলিস্তিনি ‘সন্ত্রাসীদের’ হাত থেকে ইসরায়েলকে ‘রক্ষা’ করার যোগ্য ‘শক্তিশালী নেতা’ হিসেবে নিজেকে উপস্থাপন করতে তিনি মরিয়া।
নেতানিয়াহুর শাসনামলেই পাস হয়েছে বিতর্কিত ‘ইহুদি জাতি-রাষ্ট্র আইন’। অথচ ইসরায়েলকে একটি ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র’ হিসেবে প্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পূর্ববর্তী নেতারা।
আইনস্টাইনের মতো অনেক ইহুদি আজ এই রাষ্ট্রের রাজনীতি ও নীতির বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। অনেকে বলছেন, হেরুত দলের নাৎসি ও ফ্যাসিবাদী দর্শনের ছায়া আজকের লিকুদ পার্টি ও অন্য ডানপন্থী দল ও সংগঠনের ওপর দৃশ্যমান।
আইনস্টাইন সম্ভবত আগেই বুঝেছিলেন, সশস্ত্র চরমপন্থীদের নেতৃত্বে গঠিত ইসরায়েল রাষ্ট্র দীর্ঘ মেয়াদে টিকে থাকতে পারবে না।
তথ্যসূত্র: মিডল ইস্ট মনিটর
আরও খবর পড়ুন:

অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
১০ মিনিট আগে
রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
৯ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আরও ক্ষমতাধর হবেন আর সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমবে।
১১ ঘণ্টা আগে
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রে মোহাম্মদ বিন সালমানের এটিই প্রথম সফর। খাশোগি হত্যার ঘটনায় সে সময় আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সালমান। তবে তিনি এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
একদল মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাট সিনেটরের সঙ্গে রিপাবলিকান পার্টির সমঝোতার পর এই অগ্রগতি এসেছে। শর্ত হলো—রিপাবলিকানরা আগামী ডিসেম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকি নিয়ে উত্থাপিত বিলে যদি ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে ডেমোক্র্যাটরা এই তহবিলের বিলে ভোট দেবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত এই তহবিল প্যাকেজে কিছু সরকারি খাত—যেমন খাদ্য সহায়তা ও আইনসভা শাখার অর্থায়ন—চলতি অর্থবছর পর্যন্ত চালু রাখার বিলও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই প্যাকেজের পক্ষে আট ডেমোক্র্যাট সিনেটর ভোট দেন।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক মাইক হান্না জানিয়েছেন, ডেমোক্র্যাটদের সমর্থনের ফলে সিনেট এখন অচলাবস্থা ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় ৬০ ভোট পেয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘এটিকে ক্লোচার ভোট বলা হয়। এর মাধ্যমে সিনেট সম্মত হয়েছে তহবিল সংক্রান্ত আলোচনা চালিয়ে যেতে এবং সরকার পুনরায় চালুর জন্য প্রয়োজনীয় বিলগুলো পাসের প্রক্রিয়া শুরু করতে।’
হান্না আরও বলেন, ‘ক্লোচার ভোটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—এটি একবার ৬০ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয়ে গেলে পরবর্তী সব ভোট সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নেওয়া যায়। অর্থাৎ, সিনেটে এখন বিল ও অর্থায়ন প্রস্তাব পাস হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত।’
তবে এই সংশোধিত প্যাকেজটি প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে হবে এবং এরপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের জন্য পাঠাতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ায় কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ফ্লোরিডায় সপ্তাহান্তের ছুটি কাটিয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, আমরা সরকার শাটডাউন অবসানের খুব কাছাকাছি।’
বর্তমানে টানা ৪০ দিন ধরে চলা এই অচলাবস্থার কারণে হাজারো ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার সরকারি কর্মচারী কর্মবিরতিতে গেছেন এবং লাখো আমেরিকানের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে।

অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
একদল মধ্যপন্থী ডেমোক্র্যাট সিনেটরের সঙ্গে রিপাবলিকান পার্টির সমঝোতার পর এই অগ্রগতি এসেছে। শর্ত হলো—রিপাবলিকানরা আগামী ডিসেম্বরে মেয়াদোত্তীর্ণ হতে যাওয়া স্বাস্থ্যসেবা ভর্তুকি নিয়ে উত্থাপিত বিলে যদি ভোট দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়, তাহলে ডেমোক্র্যাটরা এই তহবিলের বিলে ভোট দেবে।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত এই তহবিল প্যাকেজে কিছু সরকারি খাত—যেমন খাদ্য সহায়তা ও আইনসভা শাখার অর্থায়ন—চলতি অর্থবছর পর্যন্ত চালু রাখার বিলও অন্তর্ভুক্ত ছিল। এই প্যাকেজের পক্ষে আট ডেমোক্র্যাট সিনেটর ভোট দেন।
ওয়াশিংটন ডিসি থেকে আল জাজিরার সাংবাদিক মাইক হান্না জানিয়েছেন, ডেমোক্র্যাটদের সমর্থনের ফলে সিনেট এখন অচলাবস্থা ভাঙার জন্য প্রয়োজনীয় ৬০ ভোট পেয়ে গেছে। তিনি বলেন, ‘এটিকে ক্লোচার ভোট বলা হয়। এর মাধ্যমে সিনেট সম্মত হয়েছে তহবিল সংক্রান্ত আলোচনা চালিয়ে যেতে এবং সরকার পুনরায় চালুর জন্য প্রয়োজনীয় বিলগুলো পাসের প্রক্রিয়া শুরু করতে।’
হান্না আরও বলেন, ‘ক্লোচার ভোটের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো—এটি একবার ৬০ শতাংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় পাস হয়ে গেলে পরবর্তী সব ভোট সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠতায় নেওয়া যায়। অর্থাৎ, সিনেটে এখন বিল ও অর্থায়ন প্রস্তাব পাস হওয়া অনেকটাই নিশ্চিত।’
তবে এই সংশোধিত প্যাকেজটি প্রতিনিধি পরিষদে পাস হতে হবে এবং এরপর প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্বাক্ষরের জন্য পাঠাতে হবে। পুরো প্রক্রিয়ায় কয়েক দিন সময় লাগতে পারে। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ফ্লোরিডায় সপ্তাহান্তের ছুটি কাটিয়ে হোয়াইট হাউসে ফিরে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছে, আমরা সরকার শাটডাউন অবসানের খুব কাছাকাছি।’
বর্তমানে টানা ৪০ দিন ধরে চলা এই অচলাবস্থার কারণে হাজারো ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার সরকারি কর্মচারী কর্মবিরতিতে গেছেন এবং লাখো আমেরিকানের খাদ্য সহায়তা কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়েছে।

১৯৪৮ সালে ‘রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার এক দশক আগেই আইনস্টাইন জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ইহুদি জাতীয়তাবাদের (জায়োনিজম) ‘মূল চেতনার পরিপন্থী’। হিটলারের জার্মানি থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া এই বিজ্ঞানী ফ্যাসিবাদের রূপ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
১২ জুলাই ২০২৫
রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
৯ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আরও ক্ষমতাধর হবেন আর সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমবে।
১১ ঘণ্টা আগে
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রে মোহাম্মদ বিন সালমানের এটিই প্রথম সফর। খাশোগি হত্যার ঘটনায় সে সময় আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সালমান। তবে তিনি এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বাড়িয়েছে। শুক্র থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা হামলায় শত শত ড্রোন ব্যবহার করা হয়, এতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এই হামলাগুলো দেশটির একাধিক শহরে বিদ্যুৎ, তাপ এবং পানি সরবরাহ ব্যাহত করেছে। রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি সেন্টনেনার্গো জানিয়েছে, এতে তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে গেছে।
ইউক্রেনার্গো বলেছে, মেরামতের কিছু কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও কিয়েভ, দিনিপ্রোপেত্রভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, পোলতাভা, চেরনিহিভ ও সুমি অঞ্চলে নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাট চলতে পারে বলে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে জানিয়েছেন ইউক্রেনের জ্বালানি উপমন্ত্রী সভিতলানা গ্রিনচুক।
তিনি স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইউনাইটেড নিউজকে বলেন, ‘শত্রুপক্ষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে, যেগুলো প্রতিহত করা অত্যন্ত কঠিন। রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এত বেশি সরাসরি জ্বালানি স্থাপনায় আঘাতের ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি।’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ড্রোন হামলার লক্ষ্য ছিল পশ্চিম ইউক্রেনের দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র। এসব উপকেন্দ্র খমেলনিতস্কি ও রিভনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে; যেগুলো লুতস্ক শহর থেকে যথাক্রমে ১২০ কিলোমিটার ও ৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সিবিহা টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউরোপের পারমাণবিক নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। আমরা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বোর্ড অব গভর্নরসের জরুরি বৈঠক আহ্বানের দাবি জানাই, যাতে এই অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, চীন ও ভারত; যারা ঐতিহ্যগতভাবে রুশ তেলের বড় ক্রেতা, তারা যেন মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে এই আক্রমণ বন্ধে ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর এমন হামলা ইউক্রেনকে শীতের আগে তীব্র তাপ সরবরাহ সংকটে ফেলতে পারে। প্রায় চার বছর ধরে চলা রুশ আগ্রাসনে দেশটির বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহব্যবস্থা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের জ্বালানি কোম্পানি নাফতোগাজ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহান্তের হামলা অক্টোবরের শুরু থেকে নবম বৃহৎ গ্যাস অবকাঠামো আক্রমণ।
কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব হামলায় ইউক্রেনের প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের অর্ধেক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
ইউক্রেনের শীর্ষ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ওলেক্সান্দর খারচেঙ্কো বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, যদি কিয়েভের দুটি প্রধান বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহ কেন্দ্র টানা তিন দিনের বেশি সময় বন্ধ থাকে এবং তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়, তাহলে রাজধানীতে ‘প্রযুক্তিগত বিপর্যয়’ ঘটবে।
এদিকে রুশ হামলার জবাবে ইউক্রেনও সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার তেল মজুত কেন্দ্র ও শোধনাগারে হামলা জোরদার করেছে। এর মাধ্যমে মস্কোর জ্বালানি রপ্তানি ব্যাহত করা এবং দেশজুড়ে জ্বালানি ঘাটতি সৃষ্টি করাই কিয়েভের লক্ষ্য।
রোববার স্থানীয় সময় ভোরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রিয়া জানিয়েছে, দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৪৪টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।

রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মস্কো কয়েক মাস ধরে ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর হামলা বাড়িয়েছে। শুক্র থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা হামলায় শত শত ড্রোন ব্যবহার করা হয়, এতে অন্তত সাতজন নিহত হয়েছে বলে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এই হামলাগুলো দেশটির একাধিক শহরে বিদ্যুৎ, তাপ এবং পানি সরবরাহ ব্যাহত করেছে। রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ কোম্পানি সেন্টনেনার্গো জানিয়েছে, এতে তাদের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে গেছে।
ইউক্রেনার্গো বলেছে, মেরামতের কিছু কাজ সম্পন্ন হয়েছে এবং বিকল্প উৎস থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
তবে পরিস্থিতি কিছুটা স্থিতিশীল হলেও কিয়েভ, দিনিপ্রোপেত্রভস্ক, দোনেৎস্ক, খারকিভ, পোলতাভা, চেরনিহিভ ও সুমি অঞ্চলে নিয়মিত বিদ্যুৎ-বিভ্রাট চলতে পারে বলে স্থানীয় সময় শনিবার রাতে জানিয়েছেন ইউক্রেনের জ্বালানি উপমন্ত্রী সভিতলানা গ্রিনচুক।
তিনি স্থানীয় টেলিভিশন চ্যানেল ইউনাইটেড নিউজকে বলেন, ‘শত্রুপক্ষ ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ব্যাপক আক্রমণ চালিয়েছে, যেগুলো প্রতিহত করা অত্যন্ত কঠিন। রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে এত বেশি সরাসরি জ্বালানি স্থাপনায় আঘাতের ঘটনা এর আগে দেখা যায়নি।’
ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা জানিয়েছেন, রাশিয়ার ড্রোন হামলার লক্ষ্য ছিল পশ্চিম ইউক্রেনের দুটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র। এসব উপকেন্দ্র খমেলনিতস্কি ও রিভনে পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোকে বিদ্যুৎ সরবরাহ করে; যেগুলো লুতস্ক শহর থেকে যথাক্রমে ১২০ কিলোমিটার ও ৯৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত।
সিবিহা টেলিগ্রামে লিখেছেন, ‘রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে ইউরোপের পারমাণবিক নিরাপত্তাকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলছে। আমরা আন্তর্জাতিক পারমাণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) বোর্ড অব গভর্নরসের জরুরি বৈঠক আহ্বানের দাবি জানাই, যাতে এই অগ্রহণযোগ্য ঝুঁকির বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।’
তিনি আরও বলেন, চীন ও ভারত; যারা ঐতিহ্যগতভাবে রুশ তেলের বড় ক্রেতা, তারা যেন মস্কোর ওপর চাপ সৃষ্টি করে এই আক্রমণ বন্ধে ভূমিকা রাখে।
বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেছেন, জ্বালানি অবকাঠামোর ওপর এমন হামলা ইউক্রেনকে শীতের আগে তীব্র তাপ সরবরাহ সংকটে ফেলতে পারে। প্রায় চার বছর ধরে চলা রুশ আগ্রাসনে দেশটির বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহব্যবস্থা গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের জ্বালানি কোম্পানি নাফতোগাজ জানিয়েছে, চলতি সপ্তাহান্তের হামলা অক্টোবরের শুরু থেকে নবম বৃহৎ গ্যাস অবকাঠামো আক্রমণ।
কিয়েভ স্কুল অব ইকোনমিকসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব হামলায় ইউক্রেনের প্রাকৃতিক গ্যাস উৎপাদনের অর্ধেক কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।
ইউক্রেনের শীর্ষ জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ওলেক্সান্দর খারচেঙ্কো বুধবার এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, যদি কিয়েভের দুটি প্রধান বিদ্যুৎ ও তাপ সরবরাহ কেন্দ্র টানা তিন দিনের বেশি সময় বন্ধ থাকে এবং তাপমাত্রা মাইনাস ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নেমে যায়, তাহলে রাজধানীতে ‘প্রযুক্তিগত বিপর্যয়’ ঘটবে।
এদিকে রুশ হামলার জবাবে ইউক্রেনও সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়ার তেল মজুত কেন্দ্র ও শোধনাগারে হামলা জোরদার করেছে। এর মাধ্যমে মস্কোর জ্বালানি রপ্তানি ব্যাহত করা এবং দেশজুড়ে জ্বালানি ঘাটতি সৃষ্টি করাই কিয়েভের লক্ষ্য।
রোববার স্থানীয় সময় ভোরে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য উদ্ধৃত করে সংবাদ সংস্থা রিয়া জানিয়েছে, দেশটির বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ৪৪টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে।

১৯৪৮ সালে ‘রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার এক দশক আগেই আইনস্টাইন জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ইহুদি জাতীয়তাবাদের (জায়োনিজম) ‘মূল চেতনার পরিপন্থী’। হিটলারের জার্মানি থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া এই বিজ্ঞানী ফ্যাসিবাদের রূপ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
১২ জুলাই ২০২৫
অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
১০ মিনিট আগে
পাকিস্তানের সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আরও ক্ষমতাধর হবেন আর সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমবে।
১১ ঘণ্টা আগে
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রে মোহাম্মদ বিন সালমানের এটিই প্রথম সফর। খাশোগি হত্যার ঘটনায় সে সময় আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সালমান। তবে তিনি এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেসংবিধান সংশোধনী বিল
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তানের সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আরও ক্ষমতাধর হবেন আর সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমবে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই সংশোধনী বিল উত্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজান সফরে থাকা অবস্থায় ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভার বৈঠক পরিচালনা করে খসড়াটিতে অনুমোদন দেন। এরপরই বিলটি সিনেটে উপস্থাপন করে পাঠানো হয় আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করে বলেন, ২৭তম সংশোধনী ২০০৬ সালে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘চার্টার অব ডেমোক্রেসি’র অংশ, যা ১৮তম সংশোধনীর সময় অসম্পূর্ণ ছিল।
সেনাবাহিনীর কাঠামোয় বড় পরিবর্তন
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, সংবিধানের ২৪৩ ধারা সংশোধন করে ‘সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি’—এই ধারায় পরিবর্তন আনা হবে। বর্তমানে বিদ্যমান ‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি’ পদটি বিলুপ্ত করে নতুন পদ ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ তৈরি করা হবে।
এই নতুন পদ কার্যকর হবে চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে। সেনাপ্রধান একই সঙ্গে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। এর ফলে সেনাপ্রধানের হাতে কার্যত পুরো সামরিক কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে।
বিল অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’-এর সুপারিশে একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
এ ছাড়া সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের দেওয়া সম্মানসূচক উপাধি—ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ারফোর্স ও অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট আজীবন বহাল থাকবে। এসব উপাধি বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে কেবল পার্লামেন্টের হাতে।
বিচারব্যবস্থায় নতুন আদালত, কমবে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা
২৭তম সংশোধনীর সবচেয়ে আলোচিত প্রস্তাব হলো, একটি নতুন আদালত ‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ গঠন। এই আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে সুপ্রিম কোর্টের কিছু সাংবিধানিক ক্ষমতা সরাসরি এখানেই স্থানান্তর হবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধানের বিশেষ এখতিয়ার—যেমন সাংবিধানিক ব্যাখ্যা ও বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষমতা নতুন আদালতের হাতে যাবে। এর ফলে সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্ব অনেকটাই সীমিত হয়ে পড়বে।
এই নতুন আদালতে দেশের চার প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে আর বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণ করবে পার্লামেন্ট। আদালতের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে তিন বছর।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা আরও বাড়বে। অর্থাৎ, বিচারব্যবস্থার ওপর নির্বাহী বিভাগের প্রভাব বাড়বে—যা স্বাধীন বিচারব্যবস্থার জন্য উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করছেন বিশ্লেষকেরা।
রাষ্ট্রপতির আজীবন দায়মুক্তি
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি আজীবনের জন্য ফৌজদারি মামলার দায়মুক্তি পাবেন। অর্থাৎ, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ আনা যাবে না বা কোনো আদালত তাতে শুনানি করতে পারবেন না।
সংশোধনীর মূল বিষয়গুলো সংক্ষেপে—
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সংশোধনীর মাধ্যমে পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর প্রভাব আরও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস পদটি বাস্তবায়িত হলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির কার্যত রাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে উঠবেন, যাঁর ওপর প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টও নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে।
অন্যদিকে নতুন আদালত গঠনের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক ভূমিকা দুর্বল হয়ে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতিরা।

পাকিস্তানের সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আরও ক্ষমতাধর হবেন আর সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমবে।
স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই সংশোধনী বিল উত্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজান সফরে থাকা অবস্থায় ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভার বৈঠক পরিচালনা করে খসড়াটিতে অনুমোদন দেন। এরপরই বিলটি সিনেটে উপস্থাপন করে পাঠানো হয় আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করে বলেন, ২৭তম সংশোধনী ২০০৬ সালে পাকিস্তান মুসলিম লিগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘চার্টার অব ডেমোক্রেসি’র অংশ, যা ১৮তম সংশোধনীর সময় অসম্পূর্ণ ছিল।
সেনাবাহিনীর কাঠামোয় বড় পরিবর্তন
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, সংবিধানের ২৪৩ ধারা সংশোধন করে ‘সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক রাষ্ট্রপতি’—এই ধারায় পরিবর্তন আনা হবে। বর্তমানে বিদ্যমান ‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি’ পদটি বিলুপ্ত করে নতুন পদ ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ তৈরি করা হবে।
এই নতুন পদ কার্যকর হবে চলতি বছরের ২৭ নভেম্বর থেকে। সেনাপ্রধান একই সঙ্গে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’ হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন। এর ফলে সেনাপ্রধানের হাতে কার্যত পুরো সামরিক কাঠামোর নিয়ন্ত্রণ চলে যাবে।
বিল অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস’-এর সুপারিশে একজন জ্যেষ্ঠ সেনা কর্মকর্তাকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
এ ছাড়া সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর কর্মকর্তাদের দেওয়া সম্মানসূচক উপাধি—ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ারফোর্স ও অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট আজীবন বহাল থাকবে। এসব উপাধি বাতিল করার ক্ষমতা থাকবে কেবল পার্লামেন্টের হাতে।
বিচারব্যবস্থায় নতুন আদালত, কমবে সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা
২৭তম সংশোধনীর সবচেয়ে আলোচিত প্রস্তাব হলো, একটি নতুন আদালত ‘ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট’ গঠন। এই আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে সুপ্রিম কোর্টের কিছু সাংবিধানিক ক্ষমতা সরাসরি এখানেই স্থানান্তর হবে।
খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধানের বিশেষ এখতিয়ার—যেমন সাংবিধানিক ব্যাখ্যা ও বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষমতা নতুন আদালতের হাতে যাবে। এর ফলে সুপ্রিম কোর্টের কর্তৃত্ব অনেকটাই সীমিত হয়ে পড়বে।
এই নতুন আদালতে দেশের চার প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে আর বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণ করবে পার্লামেন্ট। আদালতের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে তিন বছর।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ভূমিকা আরও বাড়বে। অর্থাৎ, বিচারব্যবস্থার ওপর নির্বাহী বিভাগের প্রভাব বাড়বে—যা স্বাধীন বিচারব্যবস্থার জন্য উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করছেন বিশ্লেষকেরা।
রাষ্ট্রপতির আজীবন দায়মুক্তি
প্রস্তাবিত সংশোধনী অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি আজীবনের জন্য ফৌজদারি মামলার দায়মুক্তি পাবেন। অর্থাৎ, তাঁর বিরুদ্ধে কোনো ফৌজদারি অভিযোগ আনা যাবে না বা কোনো আদালত তাতে শুনানি করতে পারবেন না।
সংশোধনীর মূল বিষয়গুলো সংক্ষেপে—
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই সংশোধনীর মাধ্যমে পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর প্রভাব আরও প্রাতিষ্ঠানিকভাবে বেড়ে যাবে। একই সঙ্গে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও সাংবিধানিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস পদটি বাস্তবায়িত হলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির কার্যত রাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হয়ে উঠবেন, যাঁর ওপর প্রধানমন্ত্রী ও পার্লামেন্টও নির্ভরশীল হয়ে পড়তে পারে।
অন্যদিকে নতুন আদালত গঠনের মাধ্যমে সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক ভূমিকা দুর্বল হয়ে পড়বে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতিরা।

১৯৪৮ সালে ‘রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার এক দশক আগেই আইনস্টাইন জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ইহুদি জাতীয়তাবাদের (জায়োনিজম) ‘মূল চেতনার পরিপন্থী’। হিটলারের জার্মানি থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া এই বিজ্ঞানী ফ্যাসিবাদের রূপ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
১২ জুলাই ২০২৫
অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
১০ মিনিট আগে
রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
৯ ঘণ্টা আগে
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রে মোহাম্মদ বিন সালমানের এটিই প্রথম সফর। খাশোগি হত্যার ঘটনায় সে সময় আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সালমান। তবে তিনি এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, সৌদি আরব শিগগিরই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। এ নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি মাসে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। তবে আলোচনা সংশ্লিষ্ট কিছু সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের আলোচনায় তেমন কোনো ফল না-ও আসতে পারে।
গত মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি আশা করছেন, সৌদি আরব ‘শিগগিরই’ ২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে। এই চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।
কিন্তু রিয়াদ ওয়াশিংটনের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি তখনই বিবেচনা করা হবে, যখন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্পষ্ট রূপরেখা ও সময়সূচি নির্ধারিত হবে। রিয়াদের এই অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রকে কূটনৈতিকভাবে জানানো হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন উপসাগরীয় দুই কূটনৈতিক সূত্র।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, কোনো ভুল বার্তা বা বিভ্রান্তি এড়াতে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অবস্থানগত সামঞ্জস্য নিশ্চিত করা হচ্ছে, বিশেষ করে ১৮ নভেম্বর হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠেয় বৈঠকের আগে।
সাবেক মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা জোনাথন প্যানিকফ বলেন, মোহাম্মদ বিন সালমান একটি বিশ্বাসযোগ্য ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নকশা’ ছাড়া এখনই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এগোবেন না। তিনি মনে করেন, সৌদি যুবরাজ বৈঠকে ট্রাম্পকে ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে স্পষ্ট ও প্রকাশ্য সমর্থন’ দিতে চাপ দেবেন।
খাশোগি হত্যার পর প্রথম ওয়াশিংটন সফর
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রে মোহাম্মদ বিন সালমানের এটিই প্রথম সফর। খাশোগি হত্যার ঘটনায় সে সময় আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সালমান। তবে তিনি এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন।
৫ নভেম্বর ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে বলেন, ‘আমরা অনেক দেশকে আব্রাহাম চুক্তিতে যুক্ত হতে দেখছি। আশা করছি, শিগগিরই সৌদি আরবও যুক্ত হবে।’
তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কো আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্ন এড়িয়ে গেছে। এ জন্য রিয়াদ চাইছে, সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ যেন নতুন কাঠামোর আওতায় হয়, আগের কোনো চুক্তির সম্প্রসারণ নয়।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই অগ্রাধিকার
ইসলামের জন্মভূমি ও মক্কা-মদিনার তত্ত্বাবধায়ক সৌদি আরবের জন্য ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু কূটনৈতিক বিষয় নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সংবেদনশীল ইস্যু। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে হাজারো ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর আরব জনমনে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব আরও তীব্র হয়েছে।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মানাল রাদওয়ান বলেন, গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত।
কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বরাবরই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধী। সৌদি কর্তৃপক্ষ মনে করে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি নেতানিয়াহুকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে রাজি করাতে না পারেন, তাহলে এই আলোচনায় কোনো লাভ হবে না। তাই ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে ট্রাম্পের যে প্রত্যাশা, সেটা এখনই পূরণ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।
এই পরিস্থিতে রিয়াদ এখন ইসরায়েল প্রসঙ্গকে পাশ কাটিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও বিনিয়োগের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আলোচনায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মতো রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল ইস্যু যাতে মূল আলোচনাকে ছাপিয়ে না যায়, সে বিষয়েও সতর্ক অবস্থান নিচ্ছে সৌদি নেতৃত্ব।
সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বিশ্বের সর্বোচ্চ তেল রপ্তানিকারক দেশটির নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ভূমিকা আরও স্পষ্ট হবে।
তবে এই চুক্তি পূর্বনির্ধারিত পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা জোটের পর্যায়ে পৌঁছায়নি। রয়টার্স জানিয়েছে, এটি কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান নিরাপত্তাব্যবস্থার অনুরূপ একটি চুক্তি হবে—যা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কার্যকর হবে এবং এর জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।
চুক্তির আওতায় উন্নত সামরিক প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা শিল্পে অংশীদারত্ব ও যৌথ প্রশিক্ষণ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। রিয়াদ চাইছে, ভবিষ্যতে কোনো মার্কিন প্রশাসন চাইলে এই চুক্তিকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা চুক্তিতে রূপান্তর করতে পারে—এমন ধারাও যুক্ত করা হোক।
ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক ডেভিড মাকোভস্কি বলেন, এটি সৌদি আরবের কাঙ্ক্ষিত পূর্ণাঙ্গ চুক্তি না হলেও একে তারা একটি ‘পদক্ষেপ হিসেবে’ দেখছে।
গাজা যুদ্ধের পর নতুন প্রেক্ষাপট
উপসাগরীয় গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান আবদুল আজিজ আল-সাঘের বলেন, ‘৭ অক্টোবরের পর সৌদি-মার্কিন আলোচনার প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। রিয়াদের অবস্থান পরিষ্কার—জাতীয় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত চাহিদা পূরণ হলে তবেই তারা আঞ্চলিক বিষয়, বিশেষ করে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে নতুন অবস্থান নেবে।’
তবে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চললেও যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্কের ভারসাম্য এখন আরও জটিল। একসময় ইরানের সামরিক হুমকি রিয়াদকে ওয়াশিংটনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। কিন্তু গত এক বছরে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে হুমকি অনেকটা প্রশমিত হয়েছে।
তা ছাড়া ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী—লেবাননের হিজবুল্লাহ, গাজার হামাস ও ইয়েমেনের হুতিরাও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ফলে সৌদি আরবের কাছে ন্যাটো ধাঁচের প্রতিরক্ষা জোটের সম্ভাবনা—এখন খুব একটা জরুরি নয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, সৌদি আরব যেন চীনের সঙ্গে সামরিক ও প্রযুক্তিগত সম্পর্ক সীমিত রাখে। কিন্তু রিয়াদ তার কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে চায়। প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা চুক্তিতে এমন ধারাও থাকছে, যাতে সৌদি আরবের সামরিক শিল্পে চীনা সম্পৃক্ততা সীমিত হয়। নতুন চুক্তির আওতায় উন্নত মার্কিন অস্ত্র বিক্রি দ্রুত অনুমোদনেরও ব্যবস্থা থাকবে, যাতে আগের মতো কংগ্রেসে বিলম্ব বা রাজনৈতিক বাধা না আসে।
সহজ কথায়, গাজা সংঘাতের পটভূমিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও মার্কিন সামরিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ—এই দুটি জটিল সমীকরণের কারণে ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ আপাতত বিলম্ব হতে পারে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন, সৌদি আরব শিগগিরই ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করবে। এ নিয়ে আলোচনার জন্য চলতি মাসে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান (এমবিএস) ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন। তবে আলোচনা সংশ্লিষ্ট কিছু সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছে, হোয়াইট হাউসের আলোচনায় তেমন কোনো ফল না-ও আসতে পারে।
গত মাসে ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি আশা করছেন, সৌদি আরব ‘শিগগিরই’ ২০২০ সালের আব্রাহাম চুক্তিতে যোগ দেবে। এই চুক্তির আওতায় সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কো ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করেছে।
কিন্তু রিয়াদ ওয়াশিংটনের কাছে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার বিষয়টি তখনই বিবেচনা করা হবে, যখন স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি স্পষ্ট রূপরেখা ও সময়সূচি নির্ধারিত হবে। রিয়াদের এই অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রকে কূটনৈতিকভাবে জানানো হয়েছে বলে রয়টার্সকে জানিয়েছেন উপসাগরীয় দুই কূটনৈতিক সূত্র।
সূত্রগুলো জানিয়েছে, কোনো ভুল বার্তা বা বিভ্রান্তি এড়াতে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অবস্থানগত সামঞ্জস্য নিশ্চিত করা হচ্ছে, বিশেষ করে ১৮ নভেম্বর হোয়াইট হাউসে অনুষ্ঠেয় বৈঠকের আগে।
সাবেক মার্কিন জাতীয় গোয়েন্দা কর্মকর্তা জোনাথন প্যানিকফ বলেন, মোহাম্মদ বিন সালমান একটি বিশ্বাসযোগ্য ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার নকশা’ ছাড়া এখনই সম্পর্ক স্বাভাবিক করার দিকে এগোবেন না। তিনি মনে করেন, সৌদি যুবরাজ বৈঠকে ট্রাম্পকে ‘স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের বিষয়ে স্পষ্ট ও প্রকাশ্য সমর্থন’ দিতে চাপ দেবেন।
খাশোগি হত্যার পর প্রথম ওয়াশিংটন সফর
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর যুক্তরাষ্ট্রে মোহাম্মদ বিন সালমানের এটিই প্রথম সফর। খাশোগি হত্যার ঘটনায় সে সময় আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সালমান। তবে তিনি এই হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ বারবার অস্বীকার করেছেন।
৫ নভেম্বর ট্রাম্প তাঁর ট্রুথ সোশ্যালের এক পোস্টে বলেন, ‘আমরা অনেক দেশকে আব্রাহাম চুক্তিতে যুক্ত হতে দেখছি। আশা করছি, শিগগিরই সৌদি আরবও যুক্ত হবে।’
তবে সংযুক্ত আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মরক্কো আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করলেও ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রশ্ন এড়িয়ে গেছে। এ জন্য রিয়াদ চাইছে, সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ যেন নতুন কাঠামোর আওতায় হয়, আগের কোনো চুক্তির সম্প্রসারণ নয়।
ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠাই অগ্রাধিকার
ইসলামের জন্মভূমি ও মক্কা-মদিনার তত্ত্বাবধায়ক সৌদি আরবের জন্য ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়া শুধু কূটনৈতিক বিষয় নয়, বরং জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে সম্পর্কিত একটি সংবেদনশীল ইস্যু। গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানে হাজারো ফিলিস্তিনি নিহত হওয়ার পর আরব জনমনে ইসরায়েলবিরোধী মনোভাব আরও তীব্র হয়েছে।
সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মানাল রাদওয়ান বলেন, গাজায় আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন ও ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করাই ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত।
কিন্তু ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বরাবরই স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিরোধী। সৌদি কর্তৃপক্ষ মনে করে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প যদি নেতানিয়াহুকে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়ে রাজি করাতে না পারেন, তাহলে এই আলোচনায় কোনো লাভ হবে না। তাই ইসরায়েলের সঙ্গে সৌদি আরবের সম্পর্ক স্বাভাবিক করা নিয়ে ট্রাম্পের যে প্রত্যাশা, সেটা এখনই পূরণ হওয়ার কোনো লক্ষণ নেই।
এই পরিস্থিতে রিয়াদ এখন ইসরায়েল প্রসঙ্গকে পাশ কাটিয়ে ট্রাম্পের সঙ্গে আলোচনায় প্রতিরক্ষা সহযোগিতা ও বিনিয়োগের বিষয়টিকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। আলোচনায় ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করার মতো রাজনৈতিকভাবে সংবেদনশীল ইস্যু যাতে মূল আলোচনাকে ছাপিয়ে না যায়, সে বিষয়েও সতর্ক অবস্থান নিচ্ছে সৌদি নেতৃত্ব।
সফরের সময় দুই দেশের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরের আশা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে বিশ্বের সর্বোচ্চ তেল রপ্তানিকারক দেশটির নিরাপত্তায় যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ভূমিকা আরও স্পষ্ট হবে।
তবে এই চুক্তি পূর্বনির্ধারিত পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা জোটের পর্যায়ে পৌঁছায়নি। রয়টার্স জানিয়েছে, এটি কাতারের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যমান নিরাপত্তাব্যবস্থার অনুরূপ একটি চুক্তি হবে—যা নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে কার্যকর হবে এবং এর জন্য কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।
চুক্তির আওতায় উন্নত সামরিক প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা শিল্পে অংশীদারত্ব ও যৌথ প্রশিক্ষণ বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। রিয়াদ চাইছে, ভবিষ্যতে কোনো মার্কিন প্রশাসন চাইলে এই চুক্তিকে পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা চুক্তিতে রূপান্তর করতে পারে—এমন ধারাও যুক্ত করা হোক।
ওয়াশিংটন ইনস্টিটিউটের বিশ্লেষক ডেভিড মাকোভস্কি বলেন, এটি সৌদি আরবের কাঙ্ক্ষিত পূর্ণাঙ্গ চুক্তি না হলেও একে তারা একটি ‘পদক্ষেপ হিসেবে’ দেখছে।
গাজা যুদ্ধের পর নতুন প্রেক্ষাপট
উপসাগরীয় গবেষণাকেন্দ্রের প্রধান আবদুল আজিজ আল-সাঘের বলেন, ‘৭ অক্টোবরের পর সৌদি-মার্কিন আলোচনার প্রেক্ষাপট বদলে গেছে। রিয়াদের অবস্থান পরিষ্কার—জাতীয় নিরাপত্তা-সংক্রান্ত চাহিদা পূরণ হলে তবেই তারা আঞ্চলিক বিষয়, বিশেষ করে ফিলিস্তিন-ইসরায়েল ইস্যুতে নতুন অবস্থান নেবে।’
তবে নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে আলোচনা চললেও যুক্তরাষ্ট্র-সৌদি সম্পর্কের ভারসাম্য এখন আরও জটিল। একসময় ইরানের সামরিক হুমকি রিয়াদকে ওয়াশিংটনের দিকে ঠেলে দিয়েছিল। কিন্তু গত এক বছরে ইসরায়েলি হামলায় ইরানের পারমাণবিক ও সামরিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ফলে হুমকি অনেকটা প্রশমিত হয়েছে।
তা ছাড়া ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠী—লেবাননের হিজবুল্লাহ, গাজার হামাস ও ইয়েমেনের হুতিরাও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছে। ফলে সৌদি আরবের কাছে ন্যাটো ধাঁচের প্রতিরক্ষা জোটের সম্ভাবনা—এখন খুব একটা জরুরি নয়।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র চাইছে, সৌদি আরব যেন চীনের সঙ্গে সামরিক ও প্রযুক্তিগত সম্পর্ক সীমিত রাখে। কিন্তু রিয়াদ তার কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন বজায় রাখতে চায়। প্রস্তাবিত প্রতিরক্ষা চুক্তিতে এমন ধারাও থাকছে, যাতে সৌদি আরবের সামরিক শিল্পে চীনা সম্পৃক্ততা সীমিত হয়। নতুন চুক্তির আওতায় উন্নত মার্কিন অস্ত্র বিক্রি দ্রুত অনুমোদনেরও ব্যবস্থা থাকবে, যাতে আগের মতো কংগ্রেসে বিলম্ব বা রাজনৈতিক বাধা না আসে।
সহজ কথায়, গাজা সংঘাতের পটভূমিতে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও মার্কিন সামরিক সুরক্ষা নিশ্চিতকরণ—এই দুটি জটিল সমীকরণের কারণে ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ আপাতত বিলম্ব হতে পারে।

১৯৪৮ সালে ‘রাষ্ট্র’ ঘোষণা করার এক দশক আগেই আইনস্টাইন জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত ইহুদি রাষ্ট্র ইসরায়েল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা ইহুদি জাতীয়তাবাদের (জায়োনিজম) ‘মূল চেতনার পরিপন্থী’। হিটলারের জার্মানি থেকে পালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে আশ্রয় নেওয়া এই বিজ্ঞানী ফ্যাসিবাদের রূপ সম্পর্কে অত্যন্ত সচেতন ছিলেন।
১২ জুলাই ২০২৫
অবশেষে ৪০ দিন পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সরকারের শাটডাউন বা অচলাবস্থা শেষ হওয়ার সম্ভাবনার দ্বার খুলে গেছে। মার্কিন সিনেট রিপাবলিকান পার্টি প্রস্তাবিত একটি বিলের পক্ষে ভোট দিতে যাচ্ছে, যা দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ সময়ের সরকারি অচলাবস্থা অবসানের পথ খুলে দিতে পারে।
১০ মিনিট আগে
রাশিয়ার ব্যাপক হামলায় ইউক্রেনের বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ‘শূন্যে’ নেমে এসেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন সংস্থা ইউক্রেনার্গো জানিয়েছে, রোববার ৮ থেকে ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
৯ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানের সংবিধানে বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। নতুন ২৭তম সংবিধান সংশোধনী বিল অনুযায়ী, সেনাবাহিনীর কাঠামো ও বিচারব্যবস্থায় ব্যাপক সংস্কারের প্রস্তাব করা হয়েছে, যার ফলে সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির আরও ক্ষমতাধর হবেন আর সুপ্রিম কোর্টের ক্ষমতা কমবে।
১১ ঘণ্টা আগে