Ajker Patrika

বাংলাদেশে সিমেন্ট, চিনি ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানি করতে চায় পাকিস্তান

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আজ বৃহস্পতিবার মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের কার্যালয়ে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের মধ্যে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রী জাম কামাল খান। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বৃহস্পতিবার মতিঝিলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্সের কার্যালয়ে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদের মধ্যে এক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রী জাম কামাল খান। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশে সিমেন্ট, চিনি ও চামড়াজাত পণ্য রপ্তানির আগ্রহ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশে সফররত পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রী জাম কামাল খান। তিনি বলেছেন, পাকিস্তান সিমেন্ট, চিনি, পাদুকা ও চামড়া প্রভৃতি খাতে বেশ ভালো করছে। বাংলাদেশ চাইলে পাকিস্তান থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে।

ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের মধ্যে এক সৌজন্য সাক্ষাৎকালে তিনি এই আগ্রহ প্রকাশ করেন। আজ বৃহস্পতিবার মতিঝিলে ডিসিসিআইয়ের কার্যালয়ে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, ‘সংস্কৃতি ও জীবনাচরণের দিক দিয়ে দুই দেশের মানুষের প্রচুর মিল আছে। পাকিস্তানের টেক্সটাইল ও বিশেষ করে জুয়েলারি পণ্য এ দেশের মানুষের মাঝে বেশ চাহিদা রয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ উন্নয়নে এফটিএ স্বাক্ষরের জন্য আদেশের বেসরকারি খাত সব সময়ই সরকারকে প্রস্তাব দিয়ে আসছে এবং পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের এফটিএ স্বাক্ষর হলে দ্বিপক্ষীয় ব্যবসা-বাণিজ্য আরও সম্প্রসারিত হবে।’

দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান ও কার্গো যোগাযোগ চালু হলে দুই দেশের ব্যবসায়িক যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান তিনি।

পাকিস্তানের বাণিজ্যমন্ত্রী জাম কামাল খান বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয়ই রপ্তানির ক্ষেত্রে তৈরি পোশাক এবং টেক্সটাইল খাতের ওপর অধিক মাত্রায় নির্ভরশীল, দুটো দেশেরই রপ্তানি পণ্যের বহুমুখীকরণের ওপর জোরারোপ করা প্রয়োজন।

ইউরোপের দেশগুলোসহ কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহৃত পোশাকের নতুন ডিজাইনের মাধ্যমে পুনর্ব্যবহার জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়ছে জানিয়ে জাম কামাল খান বলেন, এই দেশগুলোতে দুই দেশের পোশাক খাতের উদ্যোক্তাদের মনোনিবেশ করা আবশ্যক। যার মাধ্যমে রপ্তানি বাণিজ্যের নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

জাম কামাল খান জানান, পূর্ব আফ্রিকা ও মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে দুই দেশের পণ্য রপ্তানি বাড়াতে একযোগে কাজ করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।

জাম কামাল বলেন, পাকিস্তান সিমেন্ট, চিনি, পাদুকা ও চামড়া প্রভৃতি খাতে বেশ ভালো করছে। বাংলাদেশ চাইলে পাকিস্তান থেকে এসব পণ্য আমদানি করতে পারে। পাশাপাশি ওষুধ খাতে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা পাকিস্তানের জন্য বেশ কার্যকর হবে বলে মত প্রকাশ করেন।

পাকিস্তানের বাণিজ্য মন্ত্রী আরও বলেন, দুই দেশের কৃষিকাজ এবং পণ্যের উৎপাদনে নতুন প্রযুক্তি ও মূল্য সংযোজন বৃদ্ধি করা গেলে এ খাতে বৈশ্বিক বিলিয়ন ডলার অর্থনীতিতে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের রপ্তানির সুযোগ তৈরি হবে।

তিনি জানান, পাকিস্তানের পণ্যের বাজার সম্প্রসারণে শিগগিরই বাংলাদেশে ‘সিঙ্গেল কান্ট্রি এক্সিবিশন’-এর আয়োজন করা হবে, যার মাধ্যমে দুই দেশের বেসরকারি খাতের সম্পর্ক আরও জোরদারের সুযোগ তৈরি হবে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার ইমরান হায়দার, ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহসভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহসভাপতি মো. সালিম সোলায়মান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ এবং পাকিস্তান হাইকমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

১টা বাজলেই আর স্কুলে থাকে না শিক্ষার্থীরা, ফটকে তালা দিয়েও ঠেকানো গেল না

আসামে ‘দেখামাত্র গুলির নির্দেশ’ বহাল থাকবে দুর্গাপূজা পর্যন্ত

ভিকারুননিসায় হিজাব বিতর্ক: বরখাস্ত শিক্ষককে পুনর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

জম্মু-কাশ্মীরে ধ্বংস করা হলো ৪৪ হাজার কেজি রসগোল্লা

সরকারের কমিটি পছন্দ হয়নি, আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা ‎প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত