Ajker Patrika

আইইএয়ের প্রতিবেদন

কমছে তেল-গ্যাসের মজুত

  • বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৫ হাজার তেল ও গ্যাসক্ষেত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
  • বিনিয়োগ না বাড়ালে সংকটে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
  • ইউরোপের তেলক্ষেত্রগুলোয় গড়ে ১৫ শতাংশ উৎপাদন কমেছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

স্থলভাগের খনিগুলোয় তেল ও গ্যাসের উৎপাদন উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। এর প্রভাব স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে পড়তে শুরু করেছে। এই খাতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ না বাড়ালে বিশ্ববাসী বিশাল এক সংকটের মধ্যে পড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফ্রান্সভিত্তিক আন্তর্জাতিক শক্তি সংস্থা (আইইএ) একটি গবেষণাভিত্তিক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা দিয়েছে। বিশ্বজুড়ে প্রায় ১৫ হাজার তেল ও গ্যাসক্ষেত্রের উৎপাদন তথ্যের ওপর ভিত্তি করে এই সতর্কবার্তা দেয় তারা।

আইইএ তাদের প্রতিবেদনে বলেছে, শেল ও গভীর সমুদ্রসৈকতের সম্পদের ওপর বেশি নির্ভরতার কারণে স্থলভাগে তেল ও গ্যাসের উৎপাদন কমছে। এর মানে আগে তেল ও গ্যাস তোলার জন্য কোম্পানিগুলো যে পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করত, এখন তা করে না। ফলে ভালো উৎপাদন কঠিন হয়ে পড়ছে। বর্তমানে এই খনিজ সম্পদ আহরণের জন্য আগের চেয়ে বেশি বেগ পেতে হচ্ছে। তবু আগের মতো উৎপাদন করা যাচ্ছে না।

বিশ্বে তেল ও গ্যাসের চাহিদা নিয়ে আলোচনা হয়, কিন্তু এই তেল ও গ্যাস কীভাবে উৎপাদন ও সরবরাহ করা হয়, তা গুরুত্ব পায় না। আইইএর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তেল ও গ্যাস কম উৎপাদনের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছে, কীভাবে এটি স্বাভাবিক পর্যায়ে রাখা যায় এবং তেল ও গ্যাসের উৎপাদন কমে গিয়ে বিপর্যয়ের মুখে পড়তে না হয়।

আইইএর নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল বলেন, ‘তেল ও গ্যাস খাতে যত বিনিয়োগ হয়, তার সামান্য অংশ নতুন চাহিদা পূরণের জন্য ব্যবহৃত হয়। প্রতিবছর প্রায় ৯০ শতাংশ বিনিয়োগ চলে যায় পুরোনো ক্ষেত্রগুলোয় উৎপাদন কমে যাওয়া পুষিয়ে নিতে। এটি উৎপাদন কমে যাওয়ার মূল কারণ। আমাদের নতুন বিশ্লেষণ বলছে, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় এই হার আরও বেড়েছে। তেলের ক্ষেত্রে যদি নতুন বিনিয়োগ বন্ধ হয়, তবে প্রতিবছর ব্রাজিল ও নরওয়ের সম্মিলিত উৎপাদনের সমান তেল বিশ্ববাজার থেকে হারিয়ে যাবে।’

ফাতিহ বিরল আরও বলেন, এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে প্রয়োজন বিনিয়োগ বাড়ানো। কোম্পানিগুলো যদি স্থলভাগে নতুন খনি অনুসন্ধানে বিনিয়োগ না বাড়ায়, তাহলে আসন্ন সংকট এড়ানো চ্যালেঞ্জিং হবে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী স্থলভাগে তেল-গ্যাস মজুতের পরিমাণ খুব দ্রুত কমছে। মধ্যপ্রাচ্যের সুপারজায়ান্ট তেলক্ষেত্রের উৎপাদন প্রতিবছর ২ শতাংশের কম হারে হ্রাস পাচ্ছে। এদিকে ইউরোপের তেলক্ষেত্রগুলোয় গড়ে ১৫ শতাংশের বেশি হারে উৎপাদন কমছে। অর্থাৎ নাটকীয়ভাবে টাইট তেল ও শেল গ্যাসের মজুত কমছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিনিয়োগ বাড়ানো ছাড়া এক বছরে উৎপাদন ৩৫ শতাংশের বেশি এবং দ্বিতীয় বছরে আরও ১৫ শতাংশ হ্রাস পাবে।

প্রতিবেদনে দেওয়া তথ্য অনুসারে, ২০১০ সালে বিনিয়োগ বন্ধ করায় প্রতিদিন ৪ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপাদন কম হতো। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, মজুত কমতে থাকায় বর্তমানে বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে ৫৫ লাখ ব্যারেল জ্বালানি তেল এবং ১৮ হাজার কোটি কিউবিক মিটার থেকে ২৭ হাজার কোটি কিউবিক মিটার গ্যাস কম উত্তোলন করা হচ্ছে।

প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানে প্রায় ২০ বছর লাগে। যার মধ্যে নতুন ক্ষেত্র আবিষ্কারের জন্য প্রায় এক দশক এবং মূল্যায়ন, অনুমোদন ও নির্মাণের জন্য আরও এক দশক সময় লাগে। তাই সময়মতো বিনিয়োগ না বাড়ালে ভবিষ্যতে জ্বালানি সংকটে পড়তে হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

‎ডিভোর্সের পরও জোর করে রাতযাপন, বর্তমান স্বামীকে নিয়ে প্রাক্তন স্বামীকে হত্যা ‎

৯ পুলিশ পরিদর্শক বাধ্যতামূলক অবসরে

গণবিক্ষোভ আতঙ্কে মোদি সরকার, ১৯৭৪-পরবর্তী সব আন্দোলন নিয়ে গবেষণার নির্দেশ

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের ‘সন্ত্রাসী খেল’ ফাঁস করে দিলেন জঙ্গিগোষ্ঠী জইশের সদস্য

নিজের বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি কলেজশিক্ষকের

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত