ফারুক মেহেদী, ঢাকা

ডলার-সংকটে রিজার্ভ তলানিতে। আমদানির লাগাম টেনে ধরায় শ্লথ হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে শুল্ক আদায় কমে গিয়ে রাজস্ব আয়ে দেখা দিয়েছে বড় ঘাটতি। অর্থনীতির নানা সূচকে এমন অসংখ্য সংকটের মধ্যেই আজ নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই বাজেটে থাকছে আশাজাগানিয়া সব লক্ষ্যমাত্রা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ধারকর্জ আর করের দিকে মূল নজর দেওয়া হয়েছে এতে।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এবারই প্রথম বাজেট ঘোষণা করবেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ লক্ষ্যে গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় অর্থমন্ত্রী সংসদে নতুন বাজেট পেশ করবেন।
সরকারের টাকার সংকট মেটাতে নতুন বাজেটে আগামী অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন অর্থমন্ত্রী। রাজস্ব আয়ে নানা ঝুঁকি এবং অর্থায়নের টানাটানির মধ্যেও তিনি উন্নয়ন ব্যয় ধরেছেন ২ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা। বড় বাজেটে বড় এডিপি ঘোষণা থাকলেও মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছুটা রক্ষণশীল হয়ে লক্ষ্য ধরেছেন অর্থমন্ত্রী। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এদিকে বাজারে জিনিসপত্রের দামে যখন আগুন, তখনো ১০ শতাংশ ছুঁয়ে যাওয়া মূল্যস্ফীতিকে সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার আশা দেখাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।
দেশীয় শিল্পের প্রসারসহ অনেক বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আশাজাগানিয়া লক্ষ্য ঠিক করলেও সুযোগ বুঝে ঠিকই স্থানীয় শিল্পের কাঁচামালে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঝুঁকি নিচ্ছেন নতুন বাজেটে। অর্থমন্ত্রী কর-শুল্ক-ভ্যাট নীতি এমনভাবে সাজিয়েছেন যে এবার ধনী-গরিব কমবেশি সবার ওপরই চাপবে করের বোঝা।
যেখানে অর্থনীতির সংকটগুলো কাটিয়ে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে প্রবৃদ্ধির চাকা সচল করার কথা, সেখানে বড় বাজেটের বেশি খরচের চাপে আবারও মূল্যস্ফীতি উসকে দেওয়া, বড় রাজস্বের বোঝায় মানুষের করের চাপ বাড়িয়ে দেওয়াসহ নানা অস্থিরতার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা মনে করেন, ঘাটতি বাজেটের অর্থসংস্থানে বড় ঋণের লক্ষ্য সরকারের সুদ ও দায়ের চাপও বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাঁচামাল ও প্রাথমিক পণ্যের
আমদানিতে ট্যারিফ বেড়ে গেলে খরচ বেড়ে যাবে। তখন এটা খরচতাড়িত মূল্যস্ফীতি হবে। সেখানে কিছু ছাড় দেওয়ার কথা ছিল। একে তো বিনিময় হারের অবমূল্যায়ন হয়েছে। ৩৬ শতাংশ অবমূল্যায়ন হওয়া মানে ওই পরিমাণ কর দেওয়া। খুব বেশি সম্প্রসারিত বাজেট হবে না, তা আশা করা যায়। হয়তো খরচ কিছুটা বাড়বে। তবে পুরো বিষয়টা ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিত। তা না হলে খরচ বেড়ে যাবে। আমার মনে হয়, সার্বিক চেষ্টা ও কৌশল হওয়া উচিত মূল্যস্ফীতি কমানো।
জীবনযাপনে মানুষের যখন ত্রাহি অবস্থা তখনো বড় রাজস্ব আয়ের চ্যালেঞ্জই নিতে যাচ্ছে সরকার। এ রাজস্ব আদায়ের জন্য বেশির ভাগ পণ্যের শূন্য শুল্ক তুলে দেওয়া হচ্ছে। আইএমএফের চাপে করছাড় তুলে দিয়ে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সাশ্রয় করতে চান অর্থমন্ত্রী। এত দিন শিল্পের কাঁচামালে যে শূন্য শুল্ক ছিল, সেটিও তুলে দিয়ে ১ শতাংশ শুল্ক বসানো হচ্ছে। এতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক হলেও অনেক শিল্প ও সেবায় খরচ বেড়ে প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা কমে যাওয়ার ঝুঁকির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০ লাখ টাকার বেশি আয় থাকলেই ৩০ শতাংশ হারে ব্যক্তিকর দিতে হবে। এতে অনেকেই সর্বোচ্চ করদাতার কাতারে শামিল হবে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার বিপরীতে ব্যক্তি করদাতাকে স্বস্তি দিতে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর কথা শোনা গেলেও সে পথে হাঁটেননি অর্থমন্ত্রী। বরং কর আদায়ে মরিয়া হয়ে এবার অবাধে সব খাতে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আইসক্রিম, মিষ্টি পানীয়, কোমল পানীয়, মোবাইলের সিম কার্ড, লটারির টিকিট থেকে শুরু করে গুল, জর্দা, সিগারেটসহ অসংখ্য পণ্যে বাড়তি কর বসছে আসছে বাজেটে। এভাবে করের জাল বিস্তার করে শুধু এনবিআরের মাধ্যমেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বড় রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য অনেক কঠিন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চ্যালেঞ্জের মধ্যেই বাজেট হতে যাচ্ছে। এবার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হার ও ডলার-সংকট। তবে আমরা চাই ব্যবসাবান্ধব বাজেট। ব্যবসায়ীদের ওপর করের চাপটা এবার একটু বেশিই। যেকোনো পণ্যেই শুল্ককর দিতে হবে। একটি পণ্য যতবার বিক্রি হবে, ততবার কর দিতে হবে কেন?’
এদিকে, বড় রাজস্ব লক্ষ্য ধরলেও তাতেই বাজেটের অর্থ সংস্থান হচ্ছে না। তাই এবারও রীতি মেনে বড় অঙ্কের ধারকর্জ করার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী। আসছে বাজেটে তাই ঘাটতি হবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এ টাকার জন্য সরকারকে দ্বারস্থ হতে হবে বিদেশি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত ও সঞ্চয়পত্রের ওপর। মোটাদাগে সরকারকে নতুন অর্থবছরে বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নিতে হবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর দেশীয় উৎস থেকে নিতে হবে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে আসবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর বাকিটা আসবে অন্য উৎস থেকে। শুধু যে পুরো টাকা সরকার উন্নয়নে খরচ করবে তা নয়; একই সঙ্গে ঋণের সুদেও বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হবে নতুন অর্থবছরে। এর মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকাই খরচ হবে দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, সরকার চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। অর্থবছরের ১০ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে অর্ধেকের কম। আর বাকি দুই মাসে বাকি অর্ধেক বাস্তবায়ন করার কথা। বাস্তবায়নে এমন অদক্ষতার মধ্যেও আসছে অর্থবছরে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি দেওয়া হচ্ছে। এর ভেতরে গতানুগতিকভাবে কম দরকারি অনেক প্রকল্পও রয়েছে। এসব খাতে বেশি খরচের লক্ষ্যও মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

ডলার-সংকটে রিজার্ভ তলানিতে। আমদানির লাগাম টেনে ধরায় শ্লথ হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে শুল্ক আদায় কমে গিয়ে রাজস্ব আয়ে দেখা দিয়েছে বড় ঘাটতি। অর্থনীতির নানা সূচকে এমন অসংখ্য সংকটের মধ্যেই আজ নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই বাজেটে থাকছে আশাজাগানিয়া সব লক্ষ্যমাত্রা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ধারকর্জ আর করের দিকে মূল নজর দেওয়া হয়েছে এতে।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এবারই প্রথম বাজেট ঘোষণা করবেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ লক্ষ্যে গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় অর্থমন্ত্রী সংসদে নতুন বাজেট পেশ করবেন।
সরকারের টাকার সংকট মেটাতে নতুন বাজেটে আগামী অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন অর্থমন্ত্রী। রাজস্ব আয়ে নানা ঝুঁকি এবং অর্থায়নের টানাটানির মধ্যেও তিনি উন্নয়ন ব্যয় ধরেছেন ২ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা। বড় বাজেটে বড় এডিপি ঘোষণা থাকলেও মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছুটা রক্ষণশীল হয়ে লক্ষ্য ধরেছেন অর্থমন্ত্রী। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এদিকে বাজারে জিনিসপত্রের দামে যখন আগুন, তখনো ১০ শতাংশ ছুঁয়ে যাওয়া মূল্যস্ফীতিকে সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার আশা দেখাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।
দেশীয় শিল্পের প্রসারসহ অনেক বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আশাজাগানিয়া লক্ষ্য ঠিক করলেও সুযোগ বুঝে ঠিকই স্থানীয় শিল্পের কাঁচামালে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঝুঁকি নিচ্ছেন নতুন বাজেটে। অর্থমন্ত্রী কর-শুল্ক-ভ্যাট নীতি এমনভাবে সাজিয়েছেন যে এবার ধনী-গরিব কমবেশি সবার ওপরই চাপবে করের বোঝা।
যেখানে অর্থনীতির সংকটগুলো কাটিয়ে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে প্রবৃদ্ধির চাকা সচল করার কথা, সেখানে বড় বাজেটের বেশি খরচের চাপে আবারও মূল্যস্ফীতি উসকে দেওয়া, বড় রাজস্বের বোঝায় মানুষের করের চাপ বাড়িয়ে দেওয়াসহ নানা অস্থিরতার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা মনে করেন, ঘাটতি বাজেটের অর্থসংস্থানে বড় ঋণের লক্ষ্য সরকারের সুদ ও দায়ের চাপও বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাঁচামাল ও প্রাথমিক পণ্যের
আমদানিতে ট্যারিফ বেড়ে গেলে খরচ বেড়ে যাবে। তখন এটা খরচতাড়িত মূল্যস্ফীতি হবে। সেখানে কিছু ছাড় দেওয়ার কথা ছিল। একে তো বিনিময় হারের অবমূল্যায়ন হয়েছে। ৩৬ শতাংশ অবমূল্যায়ন হওয়া মানে ওই পরিমাণ কর দেওয়া। খুব বেশি সম্প্রসারিত বাজেট হবে না, তা আশা করা যায়। হয়তো খরচ কিছুটা বাড়বে। তবে পুরো বিষয়টা ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিত। তা না হলে খরচ বেড়ে যাবে। আমার মনে হয়, সার্বিক চেষ্টা ও কৌশল হওয়া উচিত মূল্যস্ফীতি কমানো।
জীবনযাপনে মানুষের যখন ত্রাহি অবস্থা তখনো বড় রাজস্ব আয়ের চ্যালেঞ্জই নিতে যাচ্ছে সরকার। এ রাজস্ব আদায়ের জন্য বেশির ভাগ পণ্যের শূন্য শুল্ক তুলে দেওয়া হচ্ছে। আইএমএফের চাপে করছাড় তুলে দিয়ে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সাশ্রয় করতে চান অর্থমন্ত্রী। এত দিন শিল্পের কাঁচামালে যে শূন্য শুল্ক ছিল, সেটিও তুলে দিয়ে ১ শতাংশ শুল্ক বসানো হচ্ছে। এতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক হলেও অনেক শিল্প ও সেবায় খরচ বেড়ে প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা কমে যাওয়ার ঝুঁকির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০ লাখ টাকার বেশি আয় থাকলেই ৩০ শতাংশ হারে ব্যক্তিকর দিতে হবে। এতে অনেকেই সর্বোচ্চ করদাতার কাতারে শামিল হবে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার বিপরীতে ব্যক্তি করদাতাকে স্বস্তি দিতে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর কথা শোনা গেলেও সে পথে হাঁটেননি অর্থমন্ত্রী। বরং কর আদায়ে মরিয়া হয়ে এবার অবাধে সব খাতে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আইসক্রিম, মিষ্টি পানীয়, কোমল পানীয়, মোবাইলের সিম কার্ড, লটারির টিকিট থেকে শুরু করে গুল, জর্দা, সিগারেটসহ অসংখ্য পণ্যে বাড়তি কর বসছে আসছে বাজেটে। এভাবে করের জাল বিস্তার করে শুধু এনবিআরের মাধ্যমেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বড় রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য অনেক কঠিন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চ্যালেঞ্জের মধ্যেই বাজেট হতে যাচ্ছে। এবার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হার ও ডলার-সংকট। তবে আমরা চাই ব্যবসাবান্ধব বাজেট। ব্যবসায়ীদের ওপর করের চাপটা এবার একটু বেশিই। যেকোনো পণ্যেই শুল্ককর দিতে হবে। একটি পণ্য যতবার বিক্রি হবে, ততবার কর দিতে হবে কেন?’
এদিকে, বড় রাজস্ব লক্ষ্য ধরলেও তাতেই বাজেটের অর্থ সংস্থান হচ্ছে না। তাই এবারও রীতি মেনে বড় অঙ্কের ধারকর্জ করার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী। আসছে বাজেটে তাই ঘাটতি হবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এ টাকার জন্য সরকারকে দ্বারস্থ হতে হবে বিদেশি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত ও সঞ্চয়পত্রের ওপর। মোটাদাগে সরকারকে নতুন অর্থবছরে বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নিতে হবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর দেশীয় উৎস থেকে নিতে হবে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে আসবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর বাকিটা আসবে অন্য উৎস থেকে। শুধু যে পুরো টাকা সরকার উন্নয়নে খরচ করবে তা নয়; একই সঙ্গে ঋণের সুদেও বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হবে নতুন অর্থবছরে। এর মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকাই খরচ হবে দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, সরকার চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। অর্থবছরের ১০ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে অর্ধেকের কম। আর বাকি দুই মাসে বাকি অর্ধেক বাস্তবায়ন করার কথা। বাস্তবায়নে এমন অদক্ষতার মধ্যেও আসছে অর্থবছরে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি দেওয়া হচ্ছে। এর ভেতরে গতানুগতিকভাবে কম দরকারি অনেক প্রকল্পও রয়েছে। এসব খাতে বেশি খরচের লক্ষ্যও মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
ফারুক মেহেদী, ঢাকা

ডলার-সংকটে রিজার্ভ তলানিতে। আমদানির লাগাম টেনে ধরায় শ্লথ হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে শুল্ক আদায় কমে গিয়ে রাজস্ব আয়ে দেখা দিয়েছে বড় ঘাটতি। অর্থনীতির নানা সূচকে এমন অসংখ্য সংকটের মধ্যেই আজ নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই বাজেটে থাকছে আশাজাগানিয়া সব লক্ষ্যমাত্রা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ধারকর্জ আর করের দিকে মূল নজর দেওয়া হয়েছে এতে।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এবারই প্রথম বাজেট ঘোষণা করবেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ লক্ষ্যে গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় অর্থমন্ত্রী সংসদে নতুন বাজেট পেশ করবেন।
সরকারের টাকার সংকট মেটাতে নতুন বাজেটে আগামী অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন অর্থমন্ত্রী। রাজস্ব আয়ে নানা ঝুঁকি এবং অর্থায়নের টানাটানির মধ্যেও তিনি উন্নয়ন ব্যয় ধরেছেন ২ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা। বড় বাজেটে বড় এডিপি ঘোষণা থাকলেও মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছুটা রক্ষণশীল হয়ে লক্ষ্য ধরেছেন অর্থমন্ত্রী। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এদিকে বাজারে জিনিসপত্রের দামে যখন আগুন, তখনো ১০ শতাংশ ছুঁয়ে যাওয়া মূল্যস্ফীতিকে সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার আশা দেখাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।
দেশীয় শিল্পের প্রসারসহ অনেক বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আশাজাগানিয়া লক্ষ্য ঠিক করলেও সুযোগ বুঝে ঠিকই স্থানীয় শিল্পের কাঁচামালে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঝুঁকি নিচ্ছেন নতুন বাজেটে। অর্থমন্ত্রী কর-শুল্ক-ভ্যাট নীতি এমনভাবে সাজিয়েছেন যে এবার ধনী-গরিব কমবেশি সবার ওপরই চাপবে করের বোঝা।
যেখানে অর্থনীতির সংকটগুলো কাটিয়ে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে প্রবৃদ্ধির চাকা সচল করার কথা, সেখানে বড় বাজেটের বেশি খরচের চাপে আবারও মূল্যস্ফীতি উসকে দেওয়া, বড় রাজস্বের বোঝায় মানুষের করের চাপ বাড়িয়ে দেওয়াসহ নানা অস্থিরতার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা মনে করেন, ঘাটতি বাজেটের অর্থসংস্থানে বড় ঋণের লক্ষ্য সরকারের সুদ ও দায়ের চাপও বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাঁচামাল ও প্রাথমিক পণ্যের
আমদানিতে ট্যারিফ বেড়ে গেলে খরচ বেড়ে যাবে। তখন এটা খরচতাড়িত মূল্যস্ফীতি হবে। সেখানে কিছু ছাড় দেওয়ার কথা ছিল। একে তো বিনিময় হারের অবমূল্যায়ন হয়েছে। ৩৬ শতাংশ অবমূল্যায়ন হওয়া মানে ওই পরিমাণ কর দেওয়া। খুব বেশি সম্প্রসারিত বাজেট হবে না, তা আশা করা যায়। হয়তো খরচ কিছুটা বাড়বে। তবে পুরো বিষয়টা ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিত। তা না হলে খরচ বেড়ে যাবে। আমার মনে হয়, সার্বিক চেষ্টা ও কৌশল হওয়া উচিত মূল্যস্ফীতি কমানো।
জীবনযাপনে মানুষের যখন ত্রাহি অবস্থা তখনো বড় রাজস্ব আয়ের চ্যালেঞ্জই নিতে যাচ্ছে সরকার। এ রাজস্ব আদায়ের জন্য বেশির ভাগ পণ্যের শূন্য শুল্ক তুলে দেওয়া হচ্ছে। আইএমএফের চাপে করছাড় তুলে দিয়ে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সাশ্রয় করতে চান অর্থমন্ত্রী। এত দিন শিল্পের কাঁচামালে যে শূন্য শুল্ক ছিল, সেটিও তুলে দিয়ে ১ শতাংশ শুল্ক বসানো হচ্ছে। এতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক হলেও অনেক শিল্প ও সেবায় খরচ বেড়ে প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা কমে যাওয়ার ঝুঁকির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০ লাখ টাকার বেশি আয় থাকলেই ৩০ শতাংশ হারে ব্যক্তিকর দিতে হবে। এতে অনেকেই সর্বোচ্চ করদাতার কাতারে শামিল হবে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার বিপরীতে ব্যক্তি করদাতাকে স্বস্তি দিতে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর কথা শোনা গেলেও সে পথে হাঁটেননি অর্থমন্ত্রী। বরং কর আদায়ে মরিয়া হয়ে এবার অবাধে সব খাতে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আইসক্রিম, মিষ্টি পানীয়, কোমল পানীয়, মোবাইলের সিম কার্ড, লটারির টিকিট থেকে শুরু করে গুল, জর্দা, সিগারেটসহ অসংখ্য পণ্যে বাড়তি কর বসছে আসছে বাজেটে। এভাবে করের জাল বিস্তার করে শুধু এনবিআরের মাধ্যমেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বড় রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য অনেক কঠিন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চ্যালেঞ্জের মধ্যেই বাজেট হতে যাচ্ছে। এবার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হার ও ডলার-সংকট। তবে আমরা চাই ব্যবসাবান্ধব বাজেট। ব্যবসায়ীদের ওপর করের চাপটা এবার একটু বেশিই। যেকোনো পণ্যেই শুল্ককর দিতে হবে। একটি পণ্য যতবার বিক্রি হবে, ততবার কর দিতে হবে কেন?’
এদিকে, বড় রাজস্ব লক্ষ্য ধরলেও তাতেই বাজেটের অর্থ সংস্থান হচ্ছে না। তাই এবারও রীতি মেনে বড় অঙ্কের ধারকর্জ করার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী। আসছে বাজেটে তাই ঘাটতি হবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এ টাকার জন্য সরকারকে দ্বারস্থ হতে হবে বিদেশি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত ও সঞ্চয়পত্রের ওপর। মোটাদাগে সরকারকে নতুন অর্থবছরে বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নিতে হবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর দেশীয় উৎস থেকে নিতে হবে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে আসবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর বাকিটা আসবে অন্য উৎস থেকে। শুধু যে পুরো টাকা সরকার উন্নয়নে খরচ করবে তা নয়; একই সঙ্গে ঋণের সুদেও বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হবে নতুন অর্থবছরে। এর মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকাই খরচ হবে দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, সরকার চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। অর্থবছরের ১০ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে অর্ধেকের কম। আর বাকি দুই মাসে বাকি অর্ধেক বাস্তবায়ন করার কথা। বাস্তবায়নে এমন অদক্ষতার মধ্যেও আসছে অর্থবছরে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি দেওয়া হচ্ছে। এর ভেতরে গতানুগতিকভাবে কম দরকারি অনেক প্রকল্পও রয়েছে। এসব খাতে বেশি খরচের লক্ষ্যও মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

ডলার-সংকটে রিজার্ভ তলানিতে। আমদানির লাগাম টেনে ধরায় শ্লথ হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে শুল্ক আদায় কমে গিয়ে রাজস্ব আয়ে দেখা দিয়েছে বড় ঘাটতি। অর্থনীতির নানা সূচকে এমন অসংখ্য সংকটের মধ্যেই আজ নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই বাজেটে থাকছে আশাজাগানিয়া সব লক্ষ্যমাত্রা। তবে সবকিছু ছাপিয়ে ধারকর্জ আর করের দিকে মূল নজর দেওয়া হয়েছে এতে।
অর্থমন্ত্রী হিসেবে এবারই প্রথম বাজেট ঘোষণা করবেন আবুল হাসান মাহমুদ আলী। এ লক্ষ্যে গতকাল বুধবার শুরু হয়েছে জাতীয় সংসদের বাজেট অধিবেশন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ৩টায় অর্থমন্ত্রী সংসদে নতুন বাজেট পেশ করবেন।
সরকারের টাকার সংকট মেটাতে নতুন বাজেটে আগামী অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ৪১ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করেছেন অর্থমন্ত্রী। রাজস্ব আয়ে নানা ঝুঁকি এবং অর্থায়নের টানাটানির মধ্যেও তিনি উন্নয়ন ব্যয় ধরেছেন ২ লাখ ৮১ হাজার কোটি টাকা। বড় বাজেটে বড় এডিপি ঘোষণা থাকলেও মোট দেশজ উৎপাদনে (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির ক্ষেত্রে কিছুটা রক্ষণশীল হয়ে লক্ষ্য ধরেছেন অর্থমন্ত্রী। এবার জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য ধরা হয়েছে ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। এদিকে বাজারে জিনিসপত্রের দামে যখন আগুন, তখনো ১০ শতাংশ ছুঁয়ে যাওয়া মূল্যস্ফীতিকে সাড়ে ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার আশা দেখাচ্ছেন অর্থমন্ত্রী।
দেশীয় শিল্পের প্রসারসহ অনেক বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আশাজাগানিয়া লক্ষ্য ঠিক করলেও সুযোগ বুঝে ঠিকই স্থানীয় শিল্পের কাঁচামালে ১ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঝুঁকি নিচ্ছেন নতুন বাজেটে। অর্থমন্ত্রী কর-শুল্ক-ভ্যাট নীতি এমনভাবে সাজিয়েছেন যে এবার ধনী-গরিব কমবেশি সবার ওপরই চাপবে করের বোঝা।
যেখানে অর্থনীতির সংকটগুলো কাটিয়ে মূল্যস্ফীতি কমিয়ে প্রবৃদ্ধির চাকা সচল করার কথা, সেখানে বড় বাজেটের বেশি খরচের চাপে আবারও মূল্যস্ফীতি উসকে দেওয়া, বড় রাজস্বের বোঝায় মানুষের করের চাপ বাড়িয়ে দেওয়াসহ নানা অস্থিরতার আশঙ্কা করছেন বিশ্লেষকেরা। তাঁরা মনে করেন, ঘাটতি বাজেটের অর্থসংস্থানে বড় ঋণের লক্ষ্য সরকারের সুদ ও দায়ের চাপও বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি তৈরি করবে।
বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কাঁচামাল ও প্রাথমিক পণ্যের
আমদানিতে ট্যারিফ বেড়ে গেলে খরচ বেড়ে যাবে। তখন এটা খরচতাড়িত মূল্যস্ফীতি হবে। সেখানে কিছু ছাড় দেওয়ার কথা ছিল। একে তো বিনিময় হারের অবমূল্যায়ন হয়েছে। ৩৬ শতাংশ অবমূল্যায়ন হওয়া মানে ওই পরিমাণ কর দেওয়া। খুব বেশি সম্প্রসারিত বাজেট হবে না, তা আশা করা যায়। হয়তো খরচ কিছুটা বাড়বে। তবে পুরো বিষয়টা ভারসাম্যপূর্ণ হওয়া উচিত। তা না হলে খরচ বেড়ে যাবে। আমার মনে হয়, সার্বিক চেষ্টা ও কৌশল হওয়া উচিত মূল্যস্ফীতি কমানো।
জীবনযাপনে মানুষের যখন ত্রাহি অবস্থা তখনো বড় রাজস্ব আয়ের চ্যালেঞ্জই নিতে যাচ্ছে সরকার। এ রাজস্ব আদায়ের জন্য বেশির ভাগ পণ্যের শূন্য শুল্ক তুলে দেওয়া হচ্ছে। আইএমএফের চাপে করছাড় তুলে দিয়ে অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব সাশ্রয় করতে চান অর্থমন্ত্রী। এত দিন শিল্পের কাঁচামালে যে শূন্য শুল্ক ছিল, সেটিও তুলে দিয়ে ১ শতাংশ শুল্ক বসানো হচ্ছে। এতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ইতিবাচক হলেও অনেক শিল্প ও সেবায় খরচ বেড়ে প্রতিযোগিতা-সক্ষমতা কমে যাওয়ার ঝুঁকির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২০ লাখ টাকার বেশি আয় থাকলেই ৩০ শতাংশ হারে ব্যক্তিকর দিতে হবে। এতে অনেকেই সর্বোচ্চ করদাতার কাতারে শামিল হবে। জীবনযাত্রার ব্যয় বেড়ে যাওয়ার বিপরীতে ব্যক্তি করদাতাকে স্বস্তি দিতে করমুক্ত আয়ের সীমা বাড়ানোর কথা শোনা গেলেও সে পথে হাঁটেননি অর্থমন্ত্রী। বরং কর আদায়ে মরিয়া হয়ে এবার অবাধে সব খাতে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। আইসক্রিম, মিষ্টি পানীয়, কোমল পানীয়, মোবাইলের সিম কার্ড, লটারির টিকিট থেকে শুরু করে গুল, জর্দা, সিগারেটসহ অসংখ্য পণ্যে বাড়তি কর বসছে আসছে বাজেটে। এভাবে করের জাল বিস্তার করে শুধু এনবিআরের মাধ্যমেই রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য বাড়িয়ে করা হচ্ছে ৪ লাখ ৮০ হাজার কোটি টাকা। বিশ্লেষকেরা মনে করেন, বিদ্যমান অর্থনৈতিক বাস্তবতায় বড় রাজস্ব আয়ের লক্ষ্য অনেক কঠিন।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চ্যালেঞ্জের মধ্যেই বাজেট হতে যাচ্ছে। এবার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদের হার ও ডলার-সংকট। তবে আমরা চাই ব্যবসাবান্ধব বাজেট। ব্যবসায়ীদের ওপর করের চাপটা এবার একটু বেশিই। যেকোনো পণ্যেই শুল্ককর দিতে হবে। একটি পণ্য যতবার বিক্রি হবে, ততবার কর দিতে হবে কেন?’
এদিকে, বড় রাজস্ব লক্ষ্য ধরলেও তাতেই বাজেটের অর্থ সংস্থান হচ্ছে না। তাই এবারও রীতি মেনে বড় অঙ্কের ধারকর্জ করার পরিকল্পনা করেছেন অর্থমন্ত্রী। আসছে বাজেটে তাই ঘাটতি হবে ২ লাখ ৫১ হাজার ৬০০ কোটি টাকা, যা জিডিপির ৪ দশমিক ৬ শতাংশ। এ টাকার জন্য সরকারকে দ্বারস্থ হতে হবে বিদেশি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে এবং দেশের ব্যাংকিং খাত ও সঞ্চয়পত্রের ওপর। মোটাদাগে সরকারকে নতুন অর্থবছরে বৈদেশিক উৎস থেকে ঋণ নিতে হবে ৯০ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আর দেশীয় উৎস থেকে নিতে হবে আরও ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে ব্যাংক থেকে আসবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা, সঞ্চয়পত্র থেকে ১৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা। আর বাকিটা আসবে অন্য উৎস থেকে। শুধু যে পুরো টাকা সরকার উন্নয়নে খরচ করবে তা নয়; একই সঙ্গে ঋণের সুদেও বিপুল অঙ্কের অর্থ খরচ করতে হবে নতুন অর্থবছরে। এর মধ্যে ১ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ কোটি টাকাই খরচ হবে দেশি-বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধে।
তথ্য-উপাত্ত বলছে, সরকার চলতি অর্থবছরের উন্নয়ন বাজেটে চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। অর্থবছরের ১০ মাসে বাস্তবায়ন হয়েছে অর্ধেকের কম। আর বাকি দুই মাসে বাকি অর্ধেক বাস্তবায়ন করার কথা। বাস্তবায়নে এমন অদক্ষতার মধ্যেও আসছে অর্থবছরে ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকার এডিপি দেওয়া হচ্ছে। এর ভেতরে গতানুগতিকভাবে কম দরকারি অনেক প্রকল্পও রয়েছে। এসব খাতে বেশি খরচের লক্ষ্যও মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দেওয়ার ঝুঁকি রয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
৭ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
এনবিআর জানায়, নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সহজীকরণে এনবিআরের উদ্যোগে ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের সহযোগিতায় ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটস্থ কার্যালয়ে ‘হেল্পডেস্ক’ চালু করা হয়েছে।
রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি)-এ ই-ট্যাক্স ম্যানেজমেন্ট ইউনিটের হেল্পডেস্ক থেকে আগামী শুক্রবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা ও শনিবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত অনলাইনে রিটার্ন দাখিল সংক্রান্ত সেবা প্রদান করা হবে।

ডলার-সংকটে রিজার্ভ তলানিতে। আমদানির লাগাম টেনে ধরায় শ্লথ হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে শুল্ক আদায় কমে গিয়ে রাজস্ব আয়ে দেখা দিয়েছে বড় ঘাটতি। অর্থনীতির নানা সূচকে এমন অসংখ্য সংকটের মধ্যেই আজ নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই বাজেটে থা
০৬ জুন ২০২৪
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে বিমানবন্দরের বাইরে অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো ব্যবস্থা চালুর দাবি জোরালো হয়েছে। সেই সঙ্গে দ্রুত এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানিয়েছেন ব্যবসায়ী ও রপ্তানিকারকেরা। তাঁরা বলছেন, অফডকভিত্তিক এয়ার কার্গো অপারেশন চালু না হলে যেকোনো সংকটে আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়।
অফডক হলো বন্দর বা বিমানবন্দরের মূল এলাকার বাইরে অবস্থিত এমন নির্ধারিত স্থাপনা, যেখানে আমদানি-রপ্তানি পণ্যের খালাস, সংরক্ষণ, পরীক্ষা ও হ্যান্ডলিং করা হয়। সহজভাবে বলা যায়, বন্দরের ভেতরে সব কাজ না করে বন্দরের বাইরে আলাদা জায়গায় কার্গোর কাজ করা, এটাই অফডক।
চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরের মতো আকাশপথেও অফডক ব্যবস্থা চালু করা যায় বলে মনে করেন নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, বর্তমানে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কার্গো হ্যান্ডলিং সেবা মূলত বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস দিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা খুবই সীমিত। অনেক সময় পণ্য খালাসে অতিরিক্ত দুই থেকে তিন দিন সময় লেগে যায়। এতে রপ্তানি ও আমদানি উভয় ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা সমস্যায় পড়েন।
অফডক চালু হলে এ ধরনের জটিলতা থাকবে না জানিয়ে মোহাম্মদ হাতেম বলেন, এতে পণ্য খালাস দ্রুত হবে এবং সামগ্রিকভাবে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য আরও সহজ ও গতিশীল হবে।
অফডক দরকার কেন
সংশ্লিষ্টরা জানান, অফডক ব্যবস্থা চালু হলে বেসরকারি উদ্যোগে একাধিক অপারেটর থাকবে। ফলে কার্গো আমদানি-রপ্তানি পরিবহনে টার্মিনাল হ্যান্ডলিং, কার্গো হ্যান্ডলিং, স্ক্যানিং চার্জসহ অন্যান্য ফি নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতামূলক বাজারব্যবস্থা সৃষ্টি হবে। একই সঙ্গে সেবার মানও বাড়বে।
তথ্যমতে, বর্তমানে আকাশপথে প্রতি কেজি পণ্য রপ্তানিতে প্রায় ২৬ টাকা সার্ভিস চার্জ নেয় বিমান বাংলাদেশ ও সিভিল এভিয়েশন। একই সেবা পেতে ব্যাংককে প্রতি কেজিতে ৬.৪২ টাকা, কলকাতায় ৪.৮৮ টাকা এবং দিল্লিতে ৬.১০ টাকা দিতে হয়। এতে করে আকাশপথে পণ্য পরিবহন খরচ কয়েক গুণ বেড়ে যাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা মনে করেন, দেশে এয়ার কার্গো অপারেশনে অফডক পদ্ধতি চালু হলে অধিকতর কার্গো নিরাপত্তার সঙ্গে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত হবে। ইলেকট্রনিক কার্গো ট্র্যাকিং সিস্টেম (ইসিটিএস) চালু হবে। ফলে সহজে কার্গোর অবস্থান জানা যাবে। দ্রুত পণ্য খালাসে সুবিধা পাবে এবং জট কমবে। ওষুধের কাঁচামাল, জরুরি গার্মেন্টস পণ্যের নমুনাসহ আনুষঙ্গিক পণ্য সহজে পরিবহন করা যাবে। এতে দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ত্বরান্বিত হবে।
ই-কমার্স ব্যবসায়ীরা এর সুফল ভোগ করতে পারবেন। বিশ্বের অনেক দেশে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে। যেমন সিঙ্গাপুর, দুবাই, নেদারল্যান্ডস, জার্মানি, জাপান, ভারত, হংকং, ইউএসএ। সেখানে এই ব্যবস্থার ফলে কার্গো পরিবহনে সময়ের সাশ্রয় ও পণ্য খালাসে জটিলতা নেই বললেই চলে।
ব্যবসায়ীরা জানান, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে দীর্ঘদিন ধরে অফডক ব্যবস্থা চালু আছে এবং তা সফলভাবে পরিচালিত হচ্ছে। একই ধরনের ব্যবস্থা ঢাকার বিমানবন্দর ও আশপাশের এলাকায় চালু করা গেলে আকাশপথে পণ্য পরিবহন আরও সহজ হবে।
এদিকে এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়ন চেয়ে ২৩ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে চিঠি দিয়েছে তৈরি পোশাক খাতের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ। সংগঠনটি বলছে, ঢাকা বিমানবন্দর এবং এর আশপাশে অফডক সুবিধা চালু হলে আমদানি প্রক্রিয়া সহজ হবে এবং রপ্তানির গতি বাড়বে। তবে অফডকের জন্য লাইসেন্স দেওয়ার ক্ষেত্রে কম খরচে ভালো সেবা নিশ্চিত করতে স্পষ্ট শর্ত থাকা প্রয়োজন।
বিজিএমইএ আরও জানিয়েছে, বর্তমানে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস বিমানবন্দরের কার্গো হ্যান্ডলিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করছে। তাই অফডক ব্যবস্থায় বিমানের সঙ্গে সমন্বয় ও চুক্তির বিষয়টি নীতিমালায় স্পষ্ট থাকা জরুরি।
জানতে চাইলে বিজিএমইএর পরিচালক ফয়সাল সামাদ বলেন, অফডক চালু হলে ডিএইচএল বা ফেডেক্সের মতো কুরিয়ার কোম্পানিগুলো বন্ড লাইসেন্স নিয়ে এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরে ক্লিয়ারেন্স নিয়ে সরাসরি ডেলিভারি করতে পারবে। তখন আর বিমানের ওপর নির্ভর করতে হবে না। ফলে সময় ও অর্থ সাশ্রয় হবে।
১০ ডিসেম্বর প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে ‘এয়ার এক্সপ্রেস সার্ভিস ডেলিভারি’ বিষয়ক একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ—বিডা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, কাস্টমস এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনসহ আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত দেশি-বিদেশি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, ইতিমধ্যে এয়ার কার্গো কার্যক্রমকে প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর আওতায় আনতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের (আইআরডি) কাস্টমস ও মূল্য সংযোজন কর বিভাগ থেকে ‘এয়ার কার্গো অপারেটরস স্টেশন (এসিওএস) স্থাপন, ব্যবস্থাপনা, পরিচালনা, তদারকি ও কাস্টমস নিয়ন্ত্রণ বিধিমালা, ২০২৫ ’-এর খসড়াও প্রণয়ন করা হয়েছে।
এয়ার কার্গো অপারেটর’স স্টেশন নীতিমালা চূড়ান্ত ও বাস্তবায়নের বিষয়ে জানতে চাইলে আইআরডি সচিব ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান বলেন, ‘অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে যত দ্রুত সম্ভব বিধিমালা চূড়ান্ত করে তা বাস্তবায়ন করতে চাই।’

ডলার-সংকটে রিজার্ভ তলানিতে। আমদানির লাগাম টেনে ধরায় শ্লথ হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে শুল্ক আদায় কমে গিয়ে রাজস্ব আয়ে দেখা দিয়েছে বড় ঘাটতি। অর্থনীতির নানা সূচকে এমন অসংখ্য সংকটের মধ্যেই আজ নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই বাজেটে থা
০৬ জুন ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
৭ ঘণ্টা আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. মেহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে পরিচালনা পর্ষদের সকল সদস্য এই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।
এএমএল ও সিএফটি কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণে পরিচালনা পর্ষদের ভূমিকা এবং প্রাসঙ্গিক নিয়ন্ত্রক নির্দেশনা সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই ছিল এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য। কর্মশালায় আলোচিত প্রধান বিষয় ছিল—ব্যাংকিং খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে এবং মানি লন্ডারিং তদারকিতে পরিচালনা পর্ষদের সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ) কর্তৃক বিভিন্ন সময় সিস্টেম চেক পরিদর্শন থেকে প্রাপ্ত পর্যবেক্ষণসমূহ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা। দেশের সাম্প্রতিক মানি লন্ডারিং পরিস্থিতি এবং রিপোর্টিং সংস্থা হিসেবে ব্যাংকের করণীয়।
কর্মশালায় রিসোর্স পারসন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএফআইইউর অতিরিক্ত পরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও যুগ্ম পরিচালক জুয়াইরিয়া হক।
এ ছাড়া ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সদস্য মো. এবতাদুল ইসলাম, কাজী মো. মাহবুব কাশেম এফসিএ, মো. গোলাম মোস্তফা ও মুহাম্মদ মনজুরুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মনসুর মোস্তফা, উপব্যবস্থাপনা পরিচালকেরা ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও এই সচেতনতামূলক সেশনে অংশ নেন।
আইএফআইসি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানায়, ব্যাংকিং কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বজায় রাখতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ব্যবস্থা শক্তিশালী করতে এ ধরনের কর্মশালা নিয়মিত আয়োজন করা হবে।

ডলার-সংকটে রিজার্ভ তলানিতে। আমদানির লাগাম টেনে ধরায় শ্লথ হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে শুল্ক আদায় কমে গিয়ে রাজস্ব আয়ে দেখা দিয়েছে বড় ঘাটতি। অর্থনীতির নানা সূচকে এমন অসংখ্য সংকটের মধ্যেই আজ নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই বাজেটে থা
০৬ জুন ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
৭ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

দেশের শীর্ষস্থানীয় ইস্পাত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস লিমিটেডের ২৩তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নির্দেশিকা অনুযায়ী ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ঘোষিত ৫০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ (ক্যাশ ডিভিডেন্ড) সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছেন। কোম্পানির চেয়ারম্যান আলী হোসেন আকবরআলী এফসিএ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
সভায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণী এবং পরিচালকমণ্ডলীর প্রতিবেদন অনুমোদিত হয়। শেয়ারহোল্ডাররা ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য কোম্পানির পরিচালক পুনর্নিয়োগ এবং নিরীক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব অনুমোদন করেন।
কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমীর আলীহোসেন পরিচালকমণ্ডলীর বিবরণী উপস্থাপন করেন এবং কোম্পানির ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের অবহিত করেন।
বিপুলসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার নিজ নিজ বিও (BO) আইডি ব্যবহার করে ওয়েব লিংকের মাধ্যমে এই ভার্চুয়াল সভায় সরাসরি অংশ নেন। নিরীক্ষিত হিসাব বিবরণীসহ বিভিন্ন বিষয়ে শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের উত্তর দেন কোম্পানি সচিব।
শেয়ারহোল্ডাররা তাঁদের মন্তব্যে কোম্পানির বর্তমান ব্যবস্থাপনা ও পরিচালকমণ্ডলীর প্রতি গভীর আস্থা ও নির্ভরতার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
সভায় কোম্পানির পরিচালকবৃন্দ, কোম্পানি সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে কোম্পানির ধারাবাহিক প্রবৃদ্ধি বজায় রাখার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।

ডলার-সংকটে রিজার্ভ তলানিতে। আমদানির লাগাম টেনে ধরায় শ্লথ হয়ে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। ফলে শুল্ক আদায় কমে গিয়ে রাজস্ব আয়ে দেখা দিয়েছে বড় ঘাটতি। অর্থনীতির নানা সূচকে এমন অসংখ্য সংকটের মধ্যেই আজ নতুন অর্থবছরের বাজেট নিয়ে আসছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার বিশাল এই বাজেটে থা
০৬ জুন ২০২৪
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণেচ্ছুক প্রার্থীদের সুবিধার্থে ছুটির দিনে অনলাইনে আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড-এনবিআর। আজ বৃহস্পতিবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে এনবিআর।
৭ ঘণ্টা আগে
আকাশপথে আমদানি-রপ্তানি ব্যবস্থার দুর্বলতা নতুন করে সামনে এনেছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ড। ওই ঘটনায় কয়েক দিনের জন্য কার্গো কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ায় ব্যবসায়ীরা বড় ধরনের ক্ষতির মুখে পড়েন। এই প্রেক্ষাপটে আকাশপথে পণ্য পরিবহনকে নিরবচ্ছিন্ন, দ্রুত ও সংকটসহনীয় করতে
১ দিন আগে
আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি তাদের পরিচালনা পর্ষদের সদস্যদের জন্য অ্যান্টি মানি লন্ডারিং (এএমএল) ও সন্ত্রাসে অর্থায়ন প্রতিরোধ (সিএফটি) সংক্রান্ত এক সচেতনতামূলক কর্মশালার আয়োজন করেছে। গত ২১ ডিসেম্বর ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এই কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
১ দিন আগে