নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার কারসাজির অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সাজা পাওয়া তিন শেয়ার ব্যবসায়ী হলেন মো. সাইফ উল্লাহ, মো. এ জি মাহমুদ এবং এস এম মোতাহারুল জানান। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এর আগে আলোচিত শেয়ার ব্যবসায়ী মো. আবুল খায়ের হিরুর সহযোগী হিসেবে শেয়ার কারসাজিতে জড়িত ছিলেন। এর আগেও তাঁদের একাধিকবার জরিমানা করা হয়েছে।
শেয়ার কারসাজি করা কোম্পানিগুলো হলো গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স পিএলসি, ইসলামী ইনস্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, পিপলস ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
বিএসইসির তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের ১৯ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত সময়ে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশ করে সিরিজ ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়িয়ে মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছেন। ওই ১০ দিনে সিরিজ ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের ২৩ দশমিক ৯২, ইসলামী ইনস্যুরেন্সের ২৫ দশমিক ২৮, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্সের ৩৪ দশমিক ৬৫, পিপলস ইনস্যুরেন্সের ৩৭ দশমিক ৩৫ এবং রিপাবলিক ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম ১৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ বাড়ানো হয়।
কমিশন বলছে, শেয়ার আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে কারসাজি করে ওই ব্যক্তিরা ইচ্ছাকৃতভাবে একটি কৃত্রিম বাজার সৃষ্টি করে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন। উপস্থাপিত অভিযোগগুলো সঠিক ও ইচ্ছাকৃত এবং এই কর্মকাণ্ডের ফলে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যা পুঁজিবাজার উন্নয়নের পরিপন্থী। কারসাজির বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দেওয়া ব্যাখ্যা কমিশনের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি। তাই আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কারসাজি করে শেয়ারের দাম বাড়ানোর দায়ে মো. সাইফ উল্লাহকে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা, মো. এ জি মাহমুদ ও মো. সাইফ উল্লাহকে যৌথভাবে ৪২ লাখ টাকা এবং এস এম মোতাহারুল জানানকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সে হিসাবে তাঁদের মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
কারসাজিতে শ্যালক-দুলাভাই
এই কারসাজিতে নেতৃত্ব দেন শেয়ার ব্যবসায়ী মো. সাইফ উল্লাহ। আর তাঁকে সহযোগিতা করেন মো. এ জি মাহমুদ এবং এস এম মোতাহারুল জানান। সম্পর্কে সাইফ উল্লাহর শ্যালক হন মো. এ জি মাহমুদ।
অন্যদিকে আত্মীয়তার সম্পর্ক না থাকলেও মোতাহারুল জানান তাঁদের সহযোগী ছিলেন। সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্স লিমিটেডে তাঁদের বিও হিসাব রয়েছে। তাঁরা সিরিজ ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে শেয়ারের দাম বাড়ান। তাঁরা সবাই সমবায় অধিদপ্তরে উপনিবন্ধক ও সমালোচিত শেয়ার ব্যবসায়ী মো. আবুল খায়ের হিরুর সহযোগী।
আগেও কারসাজি করেছেন তাঁরা
এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রভাতি ইনস্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির জন্য মো. সাইফ উল্লাহকে ১৫ লাখ টাকা ও মো. এ জি মাহমুদকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজিতেও জড়িত থাকার অভিযোগে হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানকে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা, মো. সাইফ উল্লাহকে ৫০ লাখ টাকা এবং মো. এ জি মাহমুদকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
ওই বছরের মে মাসে ইনডেক্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার নিয়ে কারসাজির জন্য মো. সাইফ উল্লাহকে ৩০ লাখ টাকা এবং মো. এ জি মাহমুদকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
একই বছরের আগস্টে জনতা ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির অভিযোগে মো. সাইফ উল্লাহকে ৪০ লাখ টাকা ও মো. এ জি মাহমুদ এবং এস এম মোতাহারুল জানানকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের গবেষণা ফেলো ও অর্থনীতিবিদ হেলাল আহমেদ জনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, জরিমানা করার সঙ্গে তা দ্রুত আদায় করতে পারলে শেয়ারবাজারের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে।
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত পাঁচটি কোম্পানির শেয়ার কারসাজির অভিযোগে তিন ব্যক্তিকে মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বিএসইসির কমিশন সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিএসইসি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সাজা পাওয়া তিন শেয়ার ব্যবসায়ী হলেন মো. সাইফ উল্লাহ, মো. এ জি মাহমুদ এবং এস এম মোতাহারুল জানান। অভিযুক্ত ব্যক্তিরা এর আগে আলোচিত শেয়ার ব্যবসায়ী মো. আবুল খায়ের হিরুর সহযোগী হিসেবে শেয়ার কারসাজিতে জড়িত ছিলেন। এর আগেও তাঁদের একাধিকবার জরিমানা করা হয়েছে।
শেয়ার কারসাজি করা কোম্পানিগুলো হলো গ্লোবাল ইনস্যুরেন্স পিএলসি, ইসলামী ইনস্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড, পিপলস ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও রিপাবলিক ইনস্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
বিএসইসির তদন্ত প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ২০২১ সালের ১৯ থেকে ২৯ জুলাই পর্যন্ত সময়ে তাঁরা একে অপরের সঙ্গে যোগসাজশ করে সিরিজ ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বাড়িয়ে মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছেন। ওই ১০ দিনে সিরিজ ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে গ্লোবাল ইনস্যুরেন্সের ২৩ দশমিক ৯২, ইসলামী ইনস্যুরেন্সের ২৫ দশমিক ২৮, সেন্ট্রাল ইনস্যুরেন্সের ৩৪ দশমিক ৬৫, পিপলস ইনস্যুরেন্সের ৩৭ দশমিক ৩৫ এবং রিপাবলিক ইনস্যুরেন্সের শেয়ারের দাম ১৪ দশমিক ৭৪ শতাংশ বাড়ানো হয়।
কমিশন বলছে, শেয়ার আইন লঙ্ঘনের মাধ্যমে কারসাজি করে ওই ব্যক্তিরা ইচ্ছাকৃতভাবে একটি কৃত্রিম বাজার সৃষ্টি করে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের প্রভাবিত করার অপপ্রয়াস চালিয়েছেন। উপস্থাপিত অভিযোগগুলো সঠিক ও ইচ্ছাকৃত এবং এই কর্মকাণ্ডের ফলে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, যা পুঁজিবাজার উন্নয়নের পরিপন্থী। কারসাজির বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দেওয়া ব্যাখ্যা কমিশনের কাছে গ্রহণযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হয়নি। তাই আইন অনুযায়ী অভিযুক্ত ব্যক্তিদের জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
কমিশন সূত্রে জানা গেছে, কারসাজি করে শেয়ারের দাম বাড়ানোর দায়ে মো. সাইফ উল্লাহকে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা, মো. এ জি মাহমুদ ও মো. সাইফ উল্লাহকে যৌথভাবে ৪২ লাখ টাকা এবং এস এম মোতাহারুল জানানকে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সে হিসাবে তাঁদের মোট ১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা জরিমানা ধার্য করা হয়েছে।
কারসাজিতে শ্যালক-দুলাভাই
এই কারসাজিতে নেতৃত্ব দেন শেয়ার ব্যবসায়ী মো. সাইফ উল্লাহ। আর তাঁকে সহযোগিতা করেন মো. এ জি মাহমুদ এবং এস এম মোতাহারুল জানান। সম্পর্কে সাইফ উল্লাহর শ্যালক হন মো. এ জি মাহমুদ।
অন্যদিকে আত্মীয়তার সম্পর্ক না থাকলেও মোতাহারুল জানান তাঁদের সহযোগী ছিলেন। সিটি ব্যাংক ক্যাপিটাল রিসোর্স লিমিটেডে তাঁদের বিও হিসাব রয়েছে। তাঁরা সিরিজ ট্রেডিংয়ের মাধ্যমে শেয়ারের দাম বাড়ান। তাঁরা সবাই সমবায় অধিদপ্তরে উপনিবন্ধক ও সমালোচিত শেয়ার ব্যবসায়ী মো. আবুল খায়ের হিরুর সহযোগী।
আগেও কারসাজি করেছেন তাঁরা
এর আগে ২০২০ সালের সেপ্টেম্বর থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রভাতি ইনস্যুরেন্সের শেয়ার নিয়ে কারসাজির জন্য মো. সাইফ উল্লাহকে ১৫ লাখ টাকা ও মো. এ জি মাহমুদকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ন্যাশনাল ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজিতেও জড়িত থাকার অভিযোগে হিরুর স্ত্রী কাজী সাদিয়া হাসানকে ১ কোটি ৪০ লাখ টাকা, মো. সাইফ উল্লাহকে ৫০ লাখ টাকা এবং মো. এ জি মাহমুদকে ১৫ লাখ টাকা জরিমানা আরোপ করা হয়।
ওই বছরের মে মাসে ইনডেক্স অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজের শেয়ার নিয়ে কারসাজির জন্য মো. সাইফ উল্লাহকে ৩০ লাখ টাকা এবং মো. এ জি মাহমুদকে ২৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
একই বছরের আগস্টে জনতা ইনস্যুরেন্সের শেয়ার কারসাজির অভিযোগে মো. সাইফ উল্লাহকে ৪০ লাখ টাকা ও মো. এ জি মাহমুদ এবং এস এম মোতাহারুল জানানকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
গবেষণাপ্রতিষ্ঠান চেঞ্জ ইনিশিয়েটিভের গবেষণা ফেলো ও অর্থনীতিবিদ হেলাল আহমেদ জনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, জরিমানা করার সঙ্গে তা দ্রুত আদায় করতে পারলে শেয়ারবাজারের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোকে (বিবিএস) রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক হস্তক্ষেপমুক্ত করে একটি আধুনিক ও স্বতন্ত্র জাতীয় সংস্থায় রূপ দেওয়ার সুপারিশ করেছে সরকারের স্বাধীন টাস্কফোর্স। এর অংশ হিসেবে সংস্থার নাম বদলে ‘স্ট্যাটিসটিকস বাংলাদেশ (স্ট্যাটবিডি)’। আর এর প্রধানকে চিফ স্ট্যাটিসটিশিয়ান বা প্রধান পরিসংখ্যানবিদে
১ ঘণ্টা আগেচলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই-আগস্টে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নে বড় ধরনের ধীরগতি দেখা দিয়েছে। এ সময়ে এডিপি বাস্তবায়িত হয়েছে মাত্র ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা দেশের ইতিহাসে সর্বনিম্ন। ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে বাস্তবায়িত হয়েছিল ২ দশমিক ৫৭ শতাংশ। গতকাল সোমবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়
১ ঘণ্টা আগেরাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ১২তম এশিয়ান ট্যুরিজম ফেয়ার (এটিএফ)। বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এ মেলা চলবে ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত।
৩ ঘণ্টা আগেদিনভর সূচকে ওঠানামার মধ্য দিয়ে পার করেছে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই)। তবে শেষের পতন ঠেকিয়ে দিয়েছে ব্যাংক খাত। এই খাতের বেশিরভাগ শেয়ারের দাম বাড়ার প্রভাবে শেষ পর্যন্ত সূচক ঊর্ধ্বমুখী ছিল। তবে টাকার অংকে লেনদেনের পরিমাণ কমেছে।
৩ ঘণ্টা আগে